1:1 আমি পিতর, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত - পন্ত, গালাতীয়া, কাপ্পাদকিয়া, এশিয়া ও বিথুনিয়াতে ঈশ্বরের য়েসব মনোনীত লোকরা নির্বাসনে ছড়িয়ে আছে তাদের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লিখছি৷ 2 বহুপূর্বেই পিতা ঈশ্বর তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে তোমাদের মনোনীত করেছেন, যাতে তোমরা তাঁর পবিত্র লোকসমষ্টি হও৷ পবিত্র আত্মা তোমাদের পবিত্র করেছেন, ঈশ্বর চেয়েছিলেন, য়ে তোমরা তাঁর বাধ্য হবে ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের রক্তে শুচি হবে৷ ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শান্তি য়েন তোমাদের ওপর প্রচুর পরিমানে বর্ষিত হয়৷ 3 প্রশংসিত হোন ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা৷ ঈশ্বরের মহাদয়ায় তিনি আমাদের নতুন জীবন দিয়েছেন৷ খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা এই নতুন জীবন এনেছে এক নতুন প্রত্যাশা৷ 4 আমরা এখন ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রত্যাশা করব যা তিনি সন্তানদের জন্য স্বর্গে সঞ্চিত রেখেছেন, যা কখনও ধ্বংস বা বিনষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না৷ 5 বিশ্বাসের মাধ্যমে ঈশ্বরের শক্তি তোমাদের রক্ষা করছে এবং য়ে পর্যন্ত না তোমরা পরিত্রাণ পাও সেই পর্যন্ত নিরাপদে রাখছে৷ সেই পরিত্রাণের আযোজন করা আছে যাতে তা শেষকালে তোমরা পাও৷ 6 আপাততঃ বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট তোমাদের ব্যথিত করলেও ঐ কথা ভেবে তোমরা আনন্দ কর৷ 7 এসব দুঃখ কষ্ট আসে কেন? এরা আসে যাতে তোমাদের বিশ্বাস খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়৷ য়ে সোনা ক্ষয় পায় তাকেও আগুনে পুড়িয়ে খাঁটি করা হয়, আর তোমাদের খাঁটি বিশ্বাস তো সেই সোনার চাইতেও মূল্যবান৷ বিশ্বাসের পরীক্ষায় যদি দেখা যায় য়ে তোমাদের বিশ্বাস অটল আছে, তবে যীশু খ্রীষ্টের পুনরাগমনের সময়ে তোমরা কত না প্রশংসা, গৌরব ও সম্মান পাবে৷ 8 তাঁকে না দেখেও তোমরা তাঁকে ভালবাস৷ তোমরা তাঁকে না দেখতে পেয়েও বিশ্বাস করছ বলে তোমরা এক অনির্বচনীয় গৌরবময় মহা আনন্দে পরিপূর্ণ হচ্ছ৷ 9 তোমাদের বিশ্বাসের এক লক্ষ্য আছে, আর সেই লক্ষ্য হল তোমাদের আত্মার পরিত্রাণ যা তোমরা লাভ করছ৷ 10 ঈশ্বরের অনুগ্রহ য়ে তোমরা লাভ করবে সে বিষয়ে ভাববাদীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন৷ তাঁরা এই যুক্তির বিষয়েও সযত্নে অনুসন্ধান করেছেন৷ 11 খ্রীষ্টের আত্মা ঐসব ভাববাদীদের মধ্যে ছিলেন এবং সেই আত্মা তাঁদের জানিয়েছিলেন খ্রীষ্টের প্রতি কি কি দুঃখভোগ ঘটবে এবং সেই দুঃখভোগের পর কত মহিমা আসবে৷ তাঁরা এও জানতে চেষ্টা করেছিলেন য়ে সেই আত্মা তাঁদের কি নির্দেশ করছেন, কখন সেই সব ঘটবে এবং তা ঘটার সময় জগত্ কেমন থাকবে৷ 12 ঐ ভাববাদীদের জানানো হয়েছিল য়ে ঐ সব সেবা কাজ তাঁদের জন্য নয়, বরং ভাববাদীরা তোমাদেরই সেবা করেছিলেন৷ স্বর্গ থেকে পাঠানো পবিত্র আত্মায় পরিচালিত হয়ে যাঁরা তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, তাঁদের কাছ থেকে তোমরা সেই সব কথা শুনেছ৷ তোমরা য়ে সব বিষয় শুনেছ, সে সব বিষয় এমনকি স্বর্গদূতরাও শুনতে আগ্রহী৷ 13 সেবার উপয়োগী করে তোমাদের মনকে প্রস্তুত রেখো, আর আত্মসংযমী হও৷ যীশু খ্রীষ্টের আগমনের সময় য়ে অনুগ্রহ তোমাদের দেওয়া হবে তার ওপর সম্পূর্ণ প্রত্যাশা রাখ৷ 14 অতীতে তোমরা এটা বুঝতে না তাই তোমাদের অভিলাষ অনুসারে মন্দ পথে চলতে; এখন তোমরা ঈশ্বরের বাধ্য সন্তান, তাই অতীতে তোমরা য়েভাবে চলতে সেভাবে চলো না৷ 15 কিন্তু য়ে ঈশ্বর তোমাদের আহ্বান করেছেন সেই ঈশ্বর য়েমন পবিত্র তেমনি তোমরাও তোমাদের সকল কাজে পবিত্র থাক৷ 16 শাস্ত্রে লেখা আছে, ‘আমি পবিত্র বলে তোমরা পবিত্র হও৷’ 17 ঈশ্বর কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে প্রত্যেক লোকের কাজ অনুসারে তার বিচার করেন; সেই ঈশ্বরকে যখন তোমরা পিতা বলে সম্বোধন কর তখন তোমাদের উচিত পৃথিবীতে প্রবাসীর মতো ঈশ্বর- ভয়ে জীবনযাপন করা৷ 18 তোমরা তো জান য়ে অতীতে তোমরা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতে, যা তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছিলে, কিন্তু এখন সেই রকম জীবনযাপন করা থেকে তোমরা মুক্তি পেয়েছ৷ ঈশ্বর নশ্বর সোনা বা রূপোর বিনিময়ে তোমাদের মুক্তি ক্রয় করেন নি৷ 19 কিন্তু নির্দোষ ও নিখুঁত মেষশাবক, খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্ত দিয়ে তোমাদের ক্রয় করেছেন৷ 20 জগত সৃষ্টির আগেই খ্রীষ্টকে মনোনীত করা হয়েছিল; কিন্তু এই শেষ সময়ে তোমাদের জন্য তিনি প্রকাশিত হলেন৷ 21 খ্রীষ্টের মাধ্যমেই তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হয়েছ৷ ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে খ্রীষ্টকে পুনরুত্থিত করে তাঁকে মহিমান্বিত করেছেন৷ সে জন্যই ঈশ্বরের প্রতি তোমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যাশা আছে৷ 22 সত্যের অনুগামী হয়ে তোমরা নিজেদের শুদ্ধ করেছ, তাই তোমাদের অন্তরে বিশ্বাসী ভাই ও বোনেদের জন্য প্রকৃত ভালবাসা রয়েছে৷ সুতরাং এখন তোমরা তোমাদের সমস্ত অন্তঃকরণ দিয়ে একে অপরকে ভালবাসো৷ 23 কোন নশ্বর বীজ থেকে তোমাদের এই নতুন জন্ম হয় নি৷ এই জীবন সন্ভব হয়েছে এক অবিনশ্বর বীজ থেকে৷ ঈশ্বরের সেই জীবন্ত ও চিরস্থাযী বাক্য দ্বারাই তোমাদের নতুন জন্ম হয়েছে৷ 24 তাই শাস্ত্র বলে:‘মানুষ মাত্রেই ঘাসের মতো আর ঘাসের ফুলের মতোই তাদের মহিমা৷ ঘাস শুকিয়ে যায়, ফুল ঝরে পড়ে; 25 কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য চিরকাল থাকে৷’যিশাইয় 40:6-8বাক্য হচ্ছে সেই সুসমাচার যা তোমাদের কাছে প্রচার করা হয়েছে৷
2:1 তাই তোমরা এমন কিছু করো না যাতে অপরেব্যথা পায়৷ মিথ্যা বলো না, ছলনা করো না, 2 হিংসা করো না, কারো সম্পর্কে নিন্দাবাদ করো না৷ এসব মন্দ বিষয়গুলি তোমাদের অন্তর থেকে দূর করে দাও৷ 3 নবজাত শিশুর মতো হও, খাঁটি আধ্যাত্মিক দুধের জন্য আকাঙ্খা রাখ, যা পান করে তোমরা বৃদ্ধিলাভ করবে ও তোমাদের পরিত্রাণ হবে৷ তোমরা এর মধ্যেই প্রভুর সেই দয়ার আস্বাদ পেয়েছ৷ 4 প্রভু যীশু হলেন জীবন্ত প্রস্তর৷ জগতের লোক সেই প্রস্তর অগ্রাহ্য় করল; কিন্তু তিনিই সেই ‘প্রস্তর’ য়াঁকে ঈশ্বর মনোনীত করেছেন৷ ঈশ্বরের চোখে তিনি মহামূল্য, তাই তোমরা তাঁর কাছে এস৷ 5 তোমরাও এক একটি জীবন্ত প্রস্তর সুতরাং সেই আত্মিক ধর্মধাম গড়বার জন্য তোমাদের ব্যবহার করতে দাও, যাতে পবিত্র যাজক হিসাবে তোমরা আত্মিক বলি উত্সর্গ করতে পার, যা খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণীয় হবে৷ 6 আর শাস্ত্রেও একথা আছে:‘দেখ, আমি সিযোনে একটি প্রস্তর স্থাপন করছি, যা মনোনীত মহামূল্য কোণের প্রধান প্রস্তর৷ তার ওপর য়ে মানুষ বিশ্বাস রাখবে তাকে কখনই লজ্জায় পড়তে হবে না৷’যিশাইয় 28:16 7 যাঁরা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের কাছে সেই প্রস্তর (যীশু) মহামূল্যবান; কিন্তু যাঁরা তাঁকে অবজ্ঞা করে তাদের কাছে তিনি হলেন সেই প্রস্তর:‘রাজমিস্ত্রিরা য়ে প্রস্তর বাতিল করে দিয়েছিল, সেটাই হয়ে উঠল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তর৷’গীতসংহিতা 118:22 8 শাস্ত্র আবার এই কথাও বলে যাঁরা বিশ্বাস করে না তাদের পক্ষে;‘এটা এমনই এক প্রস্তর যাতে মানুষ হোঁচট খায়, আর সেই প্রস্তরের দরুণ অনেক লোক হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে৷’ যিশাইয় 8:14তারা ঈশ্বরের বাক্য অমান্য করে বলেই হোঁচট খায় আর এটাই তো তাদের বিধি নির্দিষ্ট পরিণাম৷ 9 কিন্তু তোমরা সেরকম নও, তোমরা মনোনীত মানবগোষ্ঠী, রাজকীয় যাজককুল, এক পবিত্র জাতি৷ তোমরা ঈশ্বরের আপন জনগোষ্ঠী, তাই তোমরা ঈশ্বরের আশ্চর্য কর্মকাণ্ডের কথা বলতে পারো৷ যিনি তোমাদের অন্ধকার থেকে তাঁর অপূর্ব আলোয় নিয়ে এসেছেন, তোমরা তাঁরই গুণগান কর৷ 10 আগে তোমরা তাঁর প্রজা ছিলে না কিন্তু এখন তোমরা ঈশ্বরের আপন প্রজাবৃন্দ; একসময় তোমরা ঈশ্বরের দয়া পাও নি কিন্তু এখন তা পেয়েছ৷ 11 প্রিয় বন্ধুরা, তোমরা এই পৃথিবীতে বিদেশী ও আগন্তুক৷ এই জন্য আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, দৈহিক কামনা বাসনা থেকে নিজেদের দূরে রাখ, কারণ এসব তোমাদের আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে; 12 তোমরা এমন লোকদের মধ্যে বসবাস করছ যাঁরা সত্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, তারা বলতে পারে য়ে তোমরা ভুল কাজ করছ৷ তাই সত্ এবং ভাল জীবনযাপন কর, তাহলে তোমাদের সত্ কাজ ও স্বচক্ষে দেখে প্রভুর প্রত্যাগমনের দিন তারা ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করবে৷ 13 জগতের শাসনকর্তাদের বাধ্য হও; প্রভুর জন্যই তা কর৷ 14 রাজ্যের সর্বময় কর্তা হিসাবে রাজার বাধ্য হও৷ অন্যায়কারীদের শাস্তি দিতে এবং যাঁরা সত্ কাজ করে তাদের প্রশংসা করতে রাজা কর্ত্তৃক য়ে নেতারা নিযুক্ত, তাদের বাধ্য হও৷ 15 এইভাবে তোমরা ভালো ভালো কাজ করে, সেই সব মূর্খ লোকদের তোমাদের সম্পর্কে মূর্খের মত কথা বলা থেকে বিরত কর; ঈশ্বরও তাই চান৷ 16 স্বাধীন লোক হিসাবে বাস কর; কিন্তু এই স্বাধীনতাকে অন্যায় কাজ করার ছুতো হিসেবে ব্যবহার করো না, বরং ঈশ্বরের লোক হিসাবে জীবনযাপন কর৷ 17 সকল লোককে যথোচিত সম্মান দিও৷ সব জায়গায় সকল বিশ্বাসী ভাইদের ভালবাস৷ ঈশ্বরকে ভয় কর আর রাজাকে সম্মান দিও৷ 18 দাসেরা, তোমরা অবশ্যই তোমাদের মনিবদের সম্মান করবে এবং তাদের অনুগত থাকবে৷ কেবল দয়ালু ও ভাল মনিবদের নয়, নিষ্ঠুর প্রকৃতির মনিবদেরও বাধ্য হও৷ 19 কারণ যদি ঈশ্বর সম্বন্ধে সচেতন এমন কেউ অন্যায়ভাবে পাওয়া কষ্টের ব্যথা সহ্য করে, তাতে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন৷ 20 বাস্তবে যখন অন্যায় কাজ করার জন্য তোমরা মার খাও এবং তা সহ্য কর তাতে প্রশংসার কিছু আছে কি? কিন্তু ভাল কাজ করে যদি কষ্টভোগ সহ্য কর তবে ঈশ্বরের চোখে তা প্রশংসার য়োগ্য৷ 21 ঈশ্বর এই জন্যই তোমাদের আহ্বান করেছেন৷ খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য কষ্টভোগ করেছেন, আর এইভাবে তিনি তোমাদের কাছে এক আদর্শ রেখে গেছেন, য়েন তোমরা তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ কর৷ 22 ‘তিনি কখনও কোন পাপ করেন নি, এবং তাঁর মুখে কখনও কোন ছলনার কথা শোনা যায় নি৷’যিশাইয় 53:9 23 তাঁকে অপমান করলে, তিনি তার জবাবে কাউকে অপমান করেন নি৷ তাঁর কষ্টভোগের সময় তিনি প্রতিশোধ নেবার ভয় দেখান নি৷ কিন্তু যিনি ন্যায় বিচার করেন, তাঁরই ওপর বিচারের ভার দিয়েছিলেন৷ 24 ক্রুশের ওপরে তিনি নিজ দেহে আমাদের সমস্ত পাপের বোঝা বইলেন, য়েন আমরা আমাদের পাপের দিক থেকে মৃত হয়ে ধার্মিকতার জন্য জীবনযাপন করি৷ তাঁর দেহের ক্ষত দ্বারা তোমরা সুস্থতা লাভ করেছ৷ 25 তোমরা ভুল পথে যাওয়া মেষের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিলে, কিন্তু এখন তোমরা তোমাদের প্রাণের পালক ও রক্ষকের কাছে ফিরে এসেছ৷
3:1 ঠিক সেইরকম স্ত্রীরা, তোমরা অবশ্যই তোমাদের স্বামীর বশ্যতা স্বীকার করো যাতে যাঁরা ঈশ্বরের শিক্ষাকে অনুসরণ করে না এমন স্বামীরা তোমাদের ব্যবহারের দ্বারা খ্রীষ্টের দিকে আকৃষ্ট হয়৷ 2 তাদের কিছু বলার প্রযোজন নেই, তারা নিজেদের স্ত্রীদের শুদ্ধ ও সম্মানজনক আচার ব্যবহার দেখে আকৃষ্ট হবে৷ 3 চুলের খোঁপা, সোনার অলঙ্কার অথবা সূক্ষ্ম জামা কাপড় এইসব নশ্বর ভুষণ দ্বারা নয়, 4 বরং তোমাদের ভুষণ হওয়া উচিত তোমাদের অন্তরের মধ্যে লুকোনো সত্তা নম্রতা ও শান্ত স্বভাব, যা ঈশ্বরের চোখে মহামূল্যবান৷ 5 এইভাবেই সেই পবিত্র মহিলারা যাঁরা অতীতে ঈশ্বরে ভরসা রাখত তারা স্বামীদের প্রতি তাদের সমীহপূর্ণ ব্যবহারের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সুন্দরী করে তুলতো৷ 6 য়েমন সারা অব্রাহামের অনুরক্তা ছিলেন এবং তাকে ‘মহাশয়’ বলে ডাকতেন৷ মহিলারা, তোমরা যদি ভীত না হয়ে যা ঠিক তাই কর তবে তা প্রমাণ করবে য়ে তোমরা সারার য়োগ্য সন্ততি৷ 7 সেইভাবে তোমরা স্বামীরাও জ্ঞানপূর্বক তোমাদের স্ত্রীদের সাথে বাস কর৷ তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর৷ কারণ তারা তোমাদের থেকে দুর্বল হলেও ঈশ্বর তাদেরও সমানভাবে আশীর্বাদ করেন, য়ে আশীর্বাদ অনুগ্রহের, যা সত্য জীবন দান করে৷ তাদের সঙ্গে য়েরূপ ব্যবহার করা তোমাদের উচিত তা যদি না কর তবে তোমাদের প্রার্থনায় বাধা সৃষ্টি হতে পারে৷ 8 তোমরা সকলে শান্তিতে বাস কর, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হও, ভাই ও বোনের প্রতি প্রেমময়, সমব্যথী এবং নম্র হও৷ 9 মন্দের পরিবর্তে মন্দ করো না, অথবা অপমান করলে অপমান ফিরিয়ে দিও না, বরং ঈশ্বরের কাছে তার জন্য প্রার্থনা কর য়েন তিনি তাকে আশীর্বাদ করেন, কারণ এই করতেই তোমরা আহূত, যাতে তোমরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে পারো৷ 10 শাস্ত্রে বলছে:‘য়ে জীবন উপভোগ করতে চায় ও শুভ দিন দেখতে চায়, সে মন্দ কথা থেকে তার জিভকে য়েন সংযত রাখে; আর মিথ্যা কথা বলা থেকে ঠোঁটকে য়েন সামলে রাখে৷’ 11 পাপের পথে না গিয়ে সে সত্ কর্ম করুক; শান্তির চেষ্টা করে সেই মতো চলুক৷ 12 কারণ যাঁরা ধার্মিক তাদের প্রতি প্রভুর সজাগ দৃষ্টি আছে এবং তাদের প্রার্থনা শোনবার জন্য তাঁর কান খোলা আছে৷ কিন্তু যাঁরা মন্দ পথে চলে প্রভু তাদের দিক থেকে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেন৷’গীতসংহিতা 34:12-16 13 তোমরা যদি সব সময় ভাল কাজই করতে চাও তবে কে তোমাদের ক্ষতি করবে? 14 কিন্তু যদি ন্যায় পথে চলার জন্য নির্যাতিত হও, তাহলে তোমরা ধন্য আর, ‘তোমরা ঐ লোকদের ভয় করো না বা তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হযো না৷’ 15 বরং অন্তরে খ্রীষ্টকে পবিত্র প্রভু বলে মেনে নাও৷ তোমাদের সবার য়ে প্রত্যাশা আছে সেই বিষয়ে তোমাদের যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে তখন তার যথাযথ জবাব দিতে তোমরা সব সময় প্রস্তুত থেকো৷ 16 কিন্তু এই জবাব বিনয় ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দেবে৷ তোমাদের বিবেক শুদ্ধ রেখো, যাতে তোমরা সমালোচিত না হও, তাহলে যাঁরা তোমাদের খ্রীষ্টীয় সত্ জীবনযাপনের প্রতি অপমান প্রদর্শন করে তারা লজ্জিত হবে৷ 17 কারণ অন্যায় করে দুঃখভোগ করার চেয়ে বরং ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়, ভাল কাজ করে দুঃখভোগ করা অনেক ভাল৷ 18 কারণ খ্রীষ্ট নিজে পাপের জন্য একবার চিরকালের জন্য সবার হয়ে কষ্টভোগ করেছিলেন৷ সেই ন্যায়পরায়ণ মানুষ অন্যায়কারী মানুষের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন৷ এই কাজ তিনি করেছিলেন ঈশ্বরের কাছে তোমাদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য৷ দৈহিকভাবে তাঁকে মারা হয়েছিল, কিন্তু আত্মায় তিনি জীবিত হলেন৷ 19 সেই অবস্থায় তিনি কারারুদ্ধ আত্মাদের কাছে গিয়ে প্রচার করলেন৷ 20 সেই কারারুদ্ধ আত্মারা বহুকাল আগে নোহের সময়ে ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিল৷ নোহের জাহাজ তৈরীর সময় ঈশ্বর তাদের জন্য ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন৷ সেই জাহাজে কেবল অল্প কিছু লোক (আট জন) জলের দ্বারা রক্ষা পেল৷ 21 সেই জল বাপ্তিস্মের মত যা এখন তোমাদের রক্ষা করে৷ শরীরের ময়লা সেই বাপ্তিস্মের দ্বারা ধুয়ে যায় না; কিন্তু তা ঈশ্বরের কাছে সত্ বিবেক বজায় রাখার জন্য এক আবেদন৷ যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের কারণে এটা তোমাদের রক্ষা করে৷ 22 যীশু স্বর্গারোহণ করে পিতা ঈশ্বরের ডানপাশে আছেন, আর স্বর্গদূতরা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতগণ এবং শক্তিধররা এখন তাঁর অধীনে৷
4:1 তাই বলছি, খ্রীষ্ট নিজেই যখন তাঁর মরদেহে দুঃখভোগ করলেন, তখন তোমরাও সেই একই মনোভাব নিয়ে নিজেদের মনটাকে দৃঢ় কর, কারণ দেহে যার দুঃখভোগ হয়েছে, সে পাপ করা থেকে নিবৃত্ত হয়েছে৷ 2 নিজেদের শক্তিশালী করে তোলো যাতে মানবিক বাসনার অনুগামী না হয়ে তোমরা বাকি জীবন ঈশ্বর তোমার কাছে যা চান তা করে কাটাতে পার৷ 3 কারণ অতীতে অবিশ্বাসীরা য়েমন চলেছিল তেমনি চলে তোমরা অনেক সময় নষ্ট করেছ৷ তোমরা য়ৌন পাপে ও কামোচ্ছাসে লিপ্ত ছিলে এবং হুল্লোড়পূর্ণ মাতলামিতে ভরা ভোজসভায় য়োগ দিয়ে ও ঘৃন্য মূর্তিপূজা করেই তো দিন কাটিয়েছ৷ 4 কিন্তু এখন অবিশ্বাসী লোকেরাই দেখে আশ্চর্য হয় য়ে তোমরা আর সেই জংলী বেপরোয়া জীবনযাপনে য়োগ দাও না; আর সেই জন্য তারা তোমাদের গালাগালি ও অপবাদ দেয়৷ 5 কিন্তু তাদের এই রকম আচরণের জন্য তাঁর (খ্রীষ্টের) কাছে কৈফিয়ত্ দিতে হবে, যিনি জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন৷ 6 এই কারণেই এই সুসমাচার সেই সমস্ত বিশ্বাসীদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল যাঁরা আজকে মৃত; য়েন দৈহিকভাবে মানুষের মত তাঁদের মৃত্যুর বিধান দেওয়া হলেও ঈশ্বরের মত তাঁরা আত্মার দ্বারা অনন্তকাল বাস করেন৷ 7 সেই সময় ঘনিয়ে আসছে যখন সবকিছুই শেষ হবে, সুতরাং মন স্থির রাখ ও আত্মসংযমী হও৷ এটা তোমাদের প্রার্থনা করতে সাহায্য করবে৷ 8 সব থেকে বড় কথা এই য়ে তোমরা পরস্পরকে একাগ্রভাবে ভালবাস, কারণ ভালবাসা অনেক অনেক পাপ ঢেকে দেয়৷ 9 কোনরকম অভিযোগ না করে পরস্পরের প্রতি অতিথিপরায়ণ হও৷ 10 তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে য়ে য়েমন আত্মিক উপহার পেয়েছ, সেই অনুসারে উপযুক্ত অধ্যক্ষের মত একে অপরকে সাহায্য কর৷ 11 যদি কেউ প্রচার করে, তবে সে এমনভাবে তা করুক, য়েন ঈশ্বরের বাক্য বলছে৷ যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুসারেই তা করুক, যাতে সব বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর প্রশংসিত হন৷ গৌরব ও পরাক্রম যুগে যুগে তাঁরই হোক্৷ আমেন৷ 12 প্রিয় বন্ধুরা, তোমাদের যাচাই করার জন্য য়ে কষ্টের আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তাতে তোমরা আশ্চর্য হযো না৷ কোন অদ্ভুত কিছু তোমাদের প্রতি ঘটছে বলে মনে করো না৷ 13 বরং তোমরা আনন্দ করো য়ে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের ভাগীদার হতে পেরেছ৷ এরপর তাঁর মহিমা যখন প্রকাশ পাবে তখন তোমরা মহা আনন্দ লাভ করবে৷ 14 তোমরা খ্রীষ্টানুসারী হয়েছ বলে কেউ যদি তোমাদের অপমান করে, তবে তোমরা ধন্য, কারণ ঈশ্বরের মহিমার আত্মা তোমাদের মধ্যে বিরাজ করছে৷ 15 তোমাদের মধ্যে কেউ য়েন খুনী, কি চোর, কি দুষ্কর্মকারী রূপে বা অন্যায়ভাবে অন্য়ের ব্যাপারে হাত দিয়ে দুঃখভোগ না করে৷ 16 কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টীয়ান বলে দুঃখভোগ করে, তবে সে য়েন লজ্জা না পায়, কিন্তু তার সেই নাম (খ্রীষ্টীয়ান) আছে বলে সে ঈশ্বরের প্রশংসা করুক৷ 17 বিচার আরন্ভ হবার সময় হয়েছে এবং তা ঈশ্বরের লোকদের থেকেই শুরু করা হবে৷ সেই বিচার যদি আমাদের থেকেই শুরু করা হয় তবে যাঁরা ঈশ্বরের সুসমাচার প্রত্যাখ্যান করে তাদের পরিণাম কি হবে? 18 শাস্ত্র য়েমন বলে, ‘নীতিপরায়ণদের পরিত্রাণ লাভ যদি এমন কঠিন হয় তবে যাঁরা ঈশ্বরবিহীন ও পাপী তাদের কি হবে?’ 19 যাঁরা ঈশ্বরের ইচ্ছানুসারে দুঃখভোগ করছে, তারা সেই বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার হাতে নিজেদের (আত্মাকে) সঁপে দিক এবং ভাল কাজ করে যাক্৷
5:1 যাঁরা মণ্ডলীর প্রাচীন তাদের কাছে এখন আমার এই বক্তব্য, আমি নিজেও একজন প্রাচীন হিসেবে খ্রীষ্টের দুঃখভোগের একজন সাক্ষী৷ সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে য়ে ঐশীমহিমা প্রকাশিত হবে আমি হব তার একজন অংশীদার৷ আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, 2 তোমাদের তত্ত্বাবধানে ঈশ্বরের য়ে পাল আছে তাদের দেখাশোনা কর৷ স্বেচ্ছায় তাদের পরিচর্য়া কর, বাধ্য হয়ে নয় বা কিছু পাবার আশায়ও নয়, বরং স্বেচ্ছায় ও আগ্রহের সঙ্গে, ঈশ্বর য়েমন চান৷ 3 যাদের দাযিত্বভার তোমরা পেয়েছ তাদের ওপর প্রভুত্ব চালিও না; কিন্তু পালের আদর্শ স্বরূপ হও৷ 4 য়েদিন প্রধান পালক (খ্রীষ্ট) দেখা দেবেন সেদিন তোমরা নিশ্চয়ই সেই অম্লান মহিমাময় মুকুট লাভ করবে৷ 5 যুবকরা, তোমরা প্রাচীনদের অনুগত হও, আর নতনম্র হয়ে একে অপরের সেবা কর, কারণ‘ঈশ্বর অহঙ্কারীদের বিরোধিতা করেন; কিন্তু নতনম্রদের অনুগ্রহ করেন৷’হিতোপদেশ 3:34 6 তাই তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রান্ত হাতের নীচে অবনত থাক, য়েন ঠিক সময়ে তিনি তোমাদের উন্নীত করেন৷ 7 তোমাদের সমস্ত ভাবনা চিন্তার ভার তাঁকে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন৷ 8 তোমরা সংযত ও সতর্ক থাক, তোমাদের মহাশত্রু দিয়াবল গর্জনকারী সিংহের মত কাকে গ্রাস করবে তা খুঁজে বেড়াচ্ছে৷ 9 তোমরা দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, বিশ্বাসে বলবান হও৷ তোমরা জান, সারা বিশ্বে তোমাদের বিশ্বাসী ভাইরাও এই রকম দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়েই দিন কাটাচ্ছে৷ 10 হ্যাঁ, তোমাদের দুঃখভোগ অল্পকালের জন্য; কিন্তু তারপর ঈশ্বর সব কিছু ঠিক করে দেবেন ও তোমাদের শক্তিশালী করে তুলবেন৷ তিনি পতন থেকে রক্ষা করার জন্য তোমাদের সাহায্য করবেন৷ তিনিই সেই ঈশ্বর যিনি সবাইকে অনুগ্রহ বিতরণ করেন৷ যীশু খ্রীষ্টে তাঁর অনন্ত মহিমার ভাগীদার হবার জন্য তিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন৷ 11 যুগে যুগে তাঁরই পরাক্রম হোক্৷ আমেন৷ 12 সীল, যাকে আমি খ্রীষ্টে বিশ্বস্ত ভাই বলে জানি তার মাধ্যমে তোমাদের কাছে এই সংক্ষিপ্ত চিঠি পাঠাচ্ছি; য়েন তোমরা আশ্বস্ত ও উত্সাহিত হও৷ আমি একথা বলতে চাই, এই হচ্ছে ঈশ্বরের প্রকৃত অনুগ্রহ এবং সেই অনুগ্রহে দৃঢ়ভাবে স্থির থাক৷ 13 বাবিলের মণ্ডলী, যাকে ঈশ্বর তোমাদের সাথে মনোনীত করেছেন, তারা তাদের শুভেচ্ছা তোমাদের পাঠাচ্ছে এবং আমার পুত্র মার্কও শুভেচ্ছা জানাচ্ছে৷ 14 প্রেমচুম্বনে পরস্পর মঙ্গলাবাদ কর৷ তোমরা যাঁরা খ্রীষ্টে আছ তাদের সবার প্রতি শান্তি নেমে আসুক৷