1:1 প্রভু সমাগম তাঁবুতে মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন| সেটা সীনয় মরুভূমিতে অবস্থিত ছিল| ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ত্যাগ করার পর দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিনটিতে এই সাক্ষাত্ হয়েছিল| প্রভু মোশিকে বললেন: 2 ইস্রায়েলের সমস্ত লোকসংখ্যা গণনা করো| প্রত্যেক ব্যক্তির নামের সাথে তার পরিবার এবং তার পরিবারগোষ্ঠী তালিকা তৈরী করো| 3 তুমি এবং হারোণ ইস্রায়েলের পুরুষদের মধ্যে যাদের বয়স 20 বছর অথবা তার বেশী তাদের সকলকেই গণনা করবে| (এরাই সেইসব মানুষ যারা ইস্রায়েলের সেনাবাহিনীতে কাজ করতে পারে|) তাদের গোষ্ঠী অনুযায়ীতালিকাভুক্ত করো| 4 প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠী থেকে একজন ব্যক্তি তোমাকে সাহায্য করবে| এই ব্যক্তিটিই হবে তার পরিবারগোষ্ঠীর সর্বময কর্তা| 5 এই নামগুলি হচ্ছে সেইসব লোকর যারা তোমার পাশে থাকবে এবং তোমাকে সাহায্য করবে:রূবেণের পরিবারগোষ্ঠী থেকে শদেযূরের পুত্র ইলীষূর; 6 শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে সূরীশদ্দযের পুত্র শলুমীয়েল| 7 যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন; 8 ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠী থেকে সূযারের পুত্র নথনেল| 9 সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে হেলোনের পুত্র ইলীয়াব; 10 য়োষেফের উত্তরপুরুষ ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের পুত্র ইলীশামা;মনঃশির পরিবারগোষ্ঠী থেকে পদাহসূরের পুত্র গমলীযেল; 11 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে গিদিযোনির পুত্র অবীদান; 12 দানের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীশদ্দযের পুত্র অহীযেষর; 13 আশেরের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অক্রণের পুত্র পগীযেল; 14 গাদের পরিবারগোষ্ঠী থেকে দ্য়ুযেলের পুত্র ইলীয়াসফ; 15 নপ্তালীর পরিবারগোষ্ঠী থেকে ঐননের পুত্র অহীরঃ|” 16 ওপরে উল্লিখিত ব্যক্তিরা তাদের গোষ্ঠীর নেতা| তাদের পরিবারগোষ্ঠীর সর্বময কর্তা হিসেবে লোকরা তাদেরই মনোনীত করেছিল| 17 যারা সর্বময কর্তা হিসেবে মনোনীত হয়েছিল, মোশি এবং হারোণ তাদেরই বেছে নিল| 18 এবং মোশি ও হারোণ ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের একসঙ্গে জড়ো করল| তখন লোকদের তাদের পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হল| 20 বছর অথবা তার বেশী বয়সের প্রত্যেক পুরুষের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছিল| 19 প্রভু যা আদেশ করেছিলেন মোশি ঠিক তাই করেছিল| লোকরা যখন সীনয় মরুভূমিতে ছিল মোশি তখনই তাদের গণনা করেছিল| 20 তারা রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| (রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের জ্যেষ্ঠ পুত্র|) 20 বছর বয়স্ক অথবা তার বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 21 রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীতে মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 46,500 জন| 22 তারা শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠী গণনা করেছিল: 20 বছর বয়স্ক অথবা তার উর্দ্ধে সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 23 শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 59,300 জন| 24 তারা যাদের পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল 20 বছর বয়স্ক অথবা তার উর্দ্ধে সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 25 যাদের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 45,650 জন| 26 তারা যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 27 যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 74,600 জন| 28 তারা ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম তাদের পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 29 ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 54,400 জন| 30 তারা সবুলূনের পরিবারগোষ্ঠী গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 31 সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠী মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 57,400 জন| 32 তারা ইফ্রয়িমের গোষ্ঠীর গণনা করেছিল| (ইফ্রয়িম ছিলেন য়োষেফের পুত্র|) 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 33 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 40,500জন| 34 তারা মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| (মনঃশি ছিলেন য়োষেফের অপর এক পুত্র|) 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 35 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 32,200 জন| 36 তারা বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 37 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর মোট সংখ্যা ছিল 35,400 জন| 38 তারা দানের পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 39 দানের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 62,700 জন| 40 তারা আশের পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 41 আশের পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 41,500 জন| 42 তারা নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করেছিল| 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের সমস্ত পুরুষ যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম, তাদের প্রত্যেকের নাম নিজ নিজ পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 43 নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠীর মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 53,400 জন| 44 মোশি, হারোণ এবং ইস্রায়েলের বারোজন সর্বময কর্তা এই লোকসংখ্যা গণনা করেছিল| (প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠীর থেকে একজন করে সর্বময কর্তা ছিলেন|) 45 তারা 20 বছর বয়স্ক অথবা তার চেয়ে বেশী বয়সের প্রত্যেক পুরুষের গণনা করেছিল, যারা সেনাবাহিনীতে কাজ করতে সক্ষম| প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার পরিবার অনুসারেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| 46 তালিকায সর্বসাকুল্যে মোট পুরুষের সংখ্যা ছিল 6,03,550 জন| 47 ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সঙ্গে লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীভুক্ত পরিবারদের গণনা করা হয় নি| 48 প্রভু মোশিকে বললেন: 49 “লেবির পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের গণনা করবে না অথবা ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করবে না| 50 লেবীয়দের চুক্তির পবিত্র তাঁবুর এবং তার সমস্ত জিনিসের দায়িত্ব রাখ| তারা অবশ্যই পবিত্র তাঁবুর সাথে তার সব জিনিসপত্র বহন করবে ও তার যত্ন নেবে এবং পবিত্র তাঁবুর চারপাশেই শিবির স্থাপন করবে| 51 যখনই পবিত্র তাঁবু স্থানান্তরিত হবে, লেবীয়রাই এটাকে স্থানান্তরিত করবে| যখনই বিরতির সময় পবিত্র তাঁবুর প্রতিষ্ঠা করা হবে তখন অবশ্যই লেবীয়রা এটিকে প্রতিষ্ঠা করবে| একমাত্র তারাই পবিত্র তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণ করবে| লেবীয় পরিবারগোষ্ঠী বহির্ভুত কোনো ব্যক্তি যদি তাঁবুর যত্নের ব্যাপারে সচেষ্ট হয়, তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য়| 52 ইস্রায়েলের লোকরা তাদের আলাদা গোষ্ঠীতে শিবির স্থাপন করবে| প্রত্যেক ব্যক্তি তার পারিবারিক পতাকার কাছাকাছি থাকবে| 53 লেবীয়রা চুক্তির পবিত্র তাঁবুর চারপাশে তাদের শিবির স্থাপন করবে| তাহলে ইস্রায়েলের জনগোষ্ঠীর প্রতি ঈশ্বর তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন না| তারা পবিত্র তাঁবুর দায়িত্বে থাকবে এবং তা পাহারা দেবে|” 54 সুতরাং প্রভু মোশিকে যা আদেশ করেছিলেন, ইস্রায়েলের লোকরা সেই অনুসারে সব কিছু করেছিল|
2:1 প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন: 2 “ইস্রায়েলীয়র সমাগম তাঁবুর চারপাশে কিছুটা দূরত্ব রেখে তাদের শিবির তৈরী করবে| প্রত্যেক ব্যক্তি তার গোষ্ঠীর নিজস্ব পতাকার কাছে শিবির স্থাপন করবে|” 3 “পূর্বদিকে, যে দিকে সূর্য়োদয হয়, সেদিকে থাকবে যিহূদার শিবিরের পতাকা| যিহূদার লোকরা এই পতাকার কাছেই শিবির স্থাপন করবে| অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন হলেন যিহূদার লোকদের নেতা| 4 তার দলে পুরুষের সংখ্যা 74,600 জন| 5 “যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর ঠিক পরেই ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করবে| সূযারের পুত্র নথনেল ইষাখরের লোকদের নেতা| 6 তার দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 54,400 জন| 7 “যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীর ঠিক পরেই সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠীও শিবির স্থাপন করবে| হেলোনের পুত্র ইলীয়াব সবূলূনের লোকদের নেতা| 8 তার দলে পুরুষের সংখ্যা 57,400 জন| 9 “যিহূদার শিবিরের মোট লোকসংখ্যা 1,86,400 জন| এদের বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীতে বিভক্ত করা হয়েছে| স্থানান্তরে ভ্রমণ করার সময় যিহূদার গোষ্ঠী প্রথমে অগ্রসর হবে| 10 “পবিত্র তাঁবুর দক্ষিণ দিকে রূবেণের শিবিরের পতাকা থাকবে| প্রত্যেক গোষ্ঠী তার পতাকার কাছে শিবির স্থাপন করবে| শদেযূরের পুত্র ইলীষুর হলেন রূবেণের লোকদের নেতা| 11 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 46,500 জন| 12 “রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীর ঠিক পরেই শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করবে| সূরীশদ্দেযের পুত্র শলুমীযেল হলেন শিমিযোনের লোকদের নেতা| 13 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 59,300 জন| 14 “রূবেণের লোকদের শিবিরের ঠিক পরেই গাদের পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করবে| দ্য়ুযেলের পুত্র ইলীয়াসফ হলেন গাদের লোকদের নেতা| 15 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 45,650 জন| 16 “রূবেণের শিবিরের এই গোষ্ঠীগুলির মোট পুরুষের সংখ্যা 1,51,450 জন| স্থানান্তরে ভ্রমণকালে রূবেণের শিবিরের লোকরা দ্বিতীয় স্থানে থাকবে| 17 “ভ্রমণকালে লেবীয় লোকরা রূবেণের লোকদের ঠিক পরেই থাকবে| অন্যান্য শিবিরের মাঝখানে সমাগম তাঁবু তাদের সঙ্গেই থাকবে| এমনকি ভ্রমণের সময়ও লোকরা তাদের শিবিরগুলি একই ক্রমানুসারে স্থাপন করবে| প্রত্যেক ব্যক্তি তার পারিবারিক পতাকার কাছে থাকবে| 18 “ইফ্রয়িম শিবিরের পতাকা পশ্চিম দিকে থাকবে| ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী এই পতাকার কাছেই শিবির স্থাপন করবে| অম্মীহূদের পুত্র ইলীশামা হল ইফ্রয়িমের লোকদের নেতা| 19 এই দলে পুরুষের সংখ্যা 40,500 জন| 20 “ইফ্রয়িমের পরিবারের ঠিক পরেই মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করবে| পদাহসূরের পুত্র গমলীযেল হলেন মনঃশি লোকদের নেতা| 21 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 32,200 জন| 22 “ইফ্রয়িমের পরিবারের ঠিক পরেই বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীও শিবির স্থাপন করবে| গিদিযোনির পুত্র অবীদান হল বিন্যামীনের লোকদের দলপতি| 23 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 35,400 জন| 24 “ইফ্রয়িমের শিবিরে সেনাদল হিসাবে যাদের গণনা করা হয়েছিল তাদের মোট পুরুষের সংখ্যা 1,08,100 জন| স্থানান্তরে ভ্রমণকালে এদের পরিবার তৃতীয় স্থানে থাকবে| 25 “দানের শিবিরের পতাকা তাঁবুর উত্তর দিকে থাকবে| দানের পরিবারগোষ্ঠী এই শিবিরেই থাকবে| অম্মীশদ্দযের পুত্র অহীযেষর হল দানের লোকদের নেতা| 26 এই গোষ্ঠীর পুরুষের সংখ্যা ছিল 62,700 জন| 27 “আশের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা দানের পরিবারগোষ্ঠীর ঠিক পরেই শিবির স্থাপন করবে| অক্রণের পুত্র পগীযেল হলেন আশেরের লোকদের নেতা| 28 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 41,500 জন| 29 “নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠী দানের গোষ্ঠীর ঠিক পরেই শিবির স্থাপন করবে| ঐননের পুত্র অহীরঃ হল নপ্তালির লোকদের নেতা| 30 এই দলে পুরুষের সংখ্যা ছিল 53,400 জন| 31 দানের শিবিরের মোট পুরুষের সংখ্যা 1,57,600 জন| স্থানান্তরে ভ্রমণকালে এরা সকলের শেষে থাকবে| প্রত্যেক ব্যক্তি তার পারিবারিক পতাকার সঙ্গে থাকবে|” 32 সুতরাং এরাই হল ইস্রায়েলের জনগণ| পরিবার অনুসারে তাদের গণনা করা হতো| শিবিরে গোষ্ঠী অনুসারে গণনাকৃত ইস্রায়েলের মোট পুরুষের সংখ্যা 6,03,550 জন| 33 মোশি প্রভুর কথা মান্য করল এবং ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সঙ্গে লেবীয় লোকদের গণনা করল না| 34 প্রভু মোশিকে যা যা বলেছিলেন, ইস্রায়েলের লোকরা তার প্রত্যেকটিই পালন করেছিল| প্রত্যেক গোষ্ঠী তার নিজস্ব পতাকার কাছেই শিবির স্থাপন করত এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তার পরিবার ও পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গেই যাত্রা করত|
3:1 এ হল হারোণ এবং মোশির পারিবারিক ইতিহাস, যে সময় সীনয় পর্বতের ওপর প্রভু মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন| 2 হারোণের চার পুত্র ছিল| নাদব ছিল জ্যেষ্ঠ পুত্র| বাকী তিনজন হল অবীহূ, ইলীয়াসর এবং ঈথামর| 3 এই চারজন পুত্রই যাজক হিসেবে মনোনীত হয়েছিল|যাজক হিসেবে প্রভুকে সেবা করার বিশেষ দায়িত্ব এদের দেওয়া হয়েছিল| 4 কিন্তু প্রভুকে সেবা করার সময় পাপ করার দরুণ নাদব এবং অবীহূর মৃত্যু হয়েছিল| উত্সর্গের সময় প্রভু যে আগুন ব্যবহার করার অনুমতি দেন নি তারা সেই আগুন ব্যবহার করেছিল| এই কারণেই সীনয় মরুভূমিতে নাদব এবং অবীহূযের মৃত্যু হয়েছিল| তাদের কোনো পুত্র ছিল না, এই কারণে ইলীয়াসর এবং ঈথামর তাদের স্থান নিয়েছিল এবং যাজক হিসেবে প্রভুর সেবা করেছিল| তাদের পিতা হারোণের জীবদ্দশাতেই এই সকল ঘটনা ঘটেছিল| 5 প্রভু মোশিকে বললেন, 6 “লেবীর পরিবারগোষ্ঠীকে নিয়ে এসো| তাদের সবাইকে যাজক হারোণের কাছে নিয়ে এসো| তারাই হারোণকে সাহায্য করবে| 7 সমাগম তাঁবুতে যখন হারোণ ঈশ্বরের সেবা করবে সেই সময় এই লেবীয়রা তাকে সাহায্য করবে| পবিত্র তাঁবুতে উপাসনা করতে আসা ইস্রায়েলীয়দের এই লেবীয়রা সাহায্য করবে| 8 ইস্রায়েলীয়রা সমাগম তাঁবুর প্রত্যেকটি জিনিস রক্ষা করবে, এটাই তাদের কর্তব্য| এই সকল দ্রব্যসামগ্রীর রক্ষার মধ্যে দিয়েই লেবীয়রা ইস্রায়েলীয়দের সাহায্য করবে| পবিত্র তাঁবুতে এটাই হবে তাদের উপাসনার পদ্ধতি| 9 “হারোণ এবং তার পুত্রদের কাছে লেবীয়দের দাও| ইস্রায়েলের লোকদের মধ্য থেকে একমাত্র লেবীয়দেরই হারোণ এবং তার পুত্রদের সাহায্য করার জন্য মনোনীত করা হয়েছে| 10 “যাজক হিসেবে হারোণ এবং তার পুত্রদের নিয়োগ করো| তারা অবশ্যই তাদের কর্তব্য পালন করবে এবং যাজক হিসেবে কাজ করবে| অন্য যে কোনো ব্যক্তি যদি পবিত্র দ্রব্যসামগ্রীর কাছাকাছি আসতে চেষ্টা করে তবে তাকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে|” 11 প্রভু মোশিকে আরও বললেন, 12 “আমি তোমাকে বলেছিলাম যে ইস্রায়েলের প্রত্যেক পরিবার তাদের জ্যেষ্ঠপুত্রকে অবশ্যই আমার কাছে দেবে কিন্তু এখন আমি লেবীয়দেরই আমার সেবা করার জন্য মনোনীত করছি, তারা আমারই হবে| সুতরাং ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের আর তাদের জ্যেষ্ঠপুত্রদের আমার কাছে উত্সর্গ করতে হবে না| 13 “মিশরের সমস্ত প্রথম জাতদের হত্যা করার সময় আমি ইস্রায়েলের সকল প্রথম জাতদের নিজের করে নিয়েছিলাম| জ্যেষ্ঠ সন্তানরা এবং প্রথম জাত পশুরা সকলেই আমার| কিন্তু এখন আমি তোমার জ্যেষ্ঠ সন্তানদের তোমার কাছে ফেরত দিচ্ছি এবং লেবীয়দের আমার জন্য তৈরী করছি| আমিই প্রভু|” 14 প্রভু আবার সীনযের মরুভূমিতে মোশির সঙ্গে কথা বললেন| প্রভু বললেন, 15 “লেবী গোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠীর গণনা করো| এক মাস অথবা তার বেশী বয়স্ক প্রত্যেক পুরুষকে গণনা করবে|” 16 সুতরাং মোশি প্রভুর কথা পালন করল| সে তাদের সকলকে গণনা করল| 17 লেবীয়দের তিন পুত্র ছিল, তাদের নাম হল গের্শোন, কহাত্ এবং মরারি| 18 প্রত্যেক পুত্র বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীর নেতা ছিল|গের্শোনের পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল: লিব্নি এবং শিমিযি| 19 কহাতের পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল অম্রাম, য়িষ্হর, হিব্রোণ এবং উষীযেল| 20 মরারির পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল মহলি এবং মুশি| সব পরিবার লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত ছিল| 21 গের্শোনের পরিবারের অন্তর্ভূক্ত ছিল লিব্নি এবং শিমিযির পরিবার| তারা গের্শোনের পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল| 22 এই দুটি পরিবারগোষ্ঠীতে 7,500 জন পুরুষ এবং ছেলে ছিল যাদের বয়স এক মাসের বেশী| 23 গের্শোনের পরিবারগোষ্ঠী সমাগম তাঁবুর পিছনে পশ্চিম দিকে শিবির স্থাপন করেছিল| 24 গের্শোনীযদের পরিবারগোষ্ঠীর নেতা ছিল লাযেলের পুত্র ইলীয়াসফ| 25 সমাগম তাঁবুতে গের্শোনের লোকদের কাজ ছিল পবিত্র তাঁবু, বাইরের তাঁবু এবং আচ্ছাদনের দেখাশোনা করা| সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথের পর্দারও তারা যত্ন নিত| 26 তারা প্রাঙ্গনের পর্দার যত্ন নিত এবং প্রাঙ্গণের প্রবেশ পথের পর্দারও যত্ন নিত| পবিত্র তাঁবু এবং উপাসনা বেদীর চারপাশ ঘিরে এই প্রাঙ্গণটি ছিল| এবং তারা পর্দার জন্য ব্যবহার করা হত এমন দড়ি এবং অন্যান্য জিনিসপত্রেরও যত্ন নিত| 27 কহাতের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিল অম্রাম, য়িষহর, হিব্রোণ এবং উষীযেলের পরিবার| তারা কহাতের পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল| 28 এক মাস অথবা তার থেকে বেশী বয়স্ক 8,300 জন পুরুষএবং ছেলে এই পরিবারগোষ্ঠীতে ছিল| পবিত্র স্থানের দ্রব্যসামগ্রী দেখাশোনার দায়িত্ব কহাতের লোকদের ওপর ছিল| 29 কহাতের পরিবারগোষ্ঠীগুলিকে পবিত্র তাঁবুর দক্ষিণ দিকে স্থান দেওয়া হয়েছিল| এই স্থানেই তারা শিবির স্থাপন করেছিল| 30 উষীযেলের পুত্র ইলীষাফণ কহাতের পরিবারগোষ্ঠীর নেতা ছিল| 31 পবিত্র স্থানের পবিত্র সিন্দুক, টেবিল, বাতিস্তম্ভ, বেদীগুলি এবং পাত্র সকলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের ওপর ছিল| পর্দা এবং পর্দার সঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রেরও যত্ন তারা নিত| 32 লেবীয়দের যারা নেতা ছিল, তাদের ওপর নেতৃত্ব দিত যাজক হারোণের পুত্র ইলীয়াসর| পবিত্র দ্রব্যসামগ্রীর যত্নের দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত ছিল, তাদের দেখাশোনার ভার ছিল ইলীয়াসরের ওপর| 33 মহলীয এবং মুশীয পরিবারগোষ্ঠী মরারি পরিবারের অংশ ছিল| মহলী এবং মুশী পরিবারগোষ্ঠীতে এক মাস অথবা তার বেশী বয়সের 6,200 জন পুরুষ এবং ছেলে ছিল| 34 35 অবীহযিলের পুত্র সূরীযেল ছিল মরারি পরিবারগোষ্ঠীর নেতা| এই পরিবারগোষ্ঠী পবিত্র তাঁবুর উত্তর দিকে শিবির স্থাপন করেছিল| 36 পবিত্র তাঁবুর কাঠামোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ মরারি পরিবারের লোকদের দেওয়া হয়েছিল| পবিত্র তাঁবুর কাঠামোর বন্ধনী, স্তম্ভ, ভিত্তি এবং কাঠামোর সঙ্গে ব্যবহৃত অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যত্নও তারা নিত| 37 পবিত্র তাঁবুর চারপাশ ঘিরে যে প্রাঙ্গণ তার সমস্ত স্তম্ভ তাঁবুর খুঁটিগুলি এবং দড়ির যত্নও তারা নিত| 38 সমাগম তাঁবুর সামনে অর্থাত্ পূর্বদিকে মোশি, হারোণ এবং তার পুত্ররা পবিত্র তাঁবু স্থাপন করেছিল| তারা ইস্রায়েলের লোকদের জন্য পবিত্র অঞ্চলটি রক্ষণাবেক্ষণ করত| অন্য যে কোনো ব্যক্তি পবিত্র স্থানের কাছে এসে তাকে হত্যা করা হত| 39 লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর সমস্ত পুরুষ এবং এক মাস অথবা তার বেশী বয়সের সব ছেলের সংখ্যা গণনা করার জন্য মোশি এবং হারোণকে ঈশ্বর আদেশ দিয়েছিলেন| তাদের মোট লোকসংখ্যা ছিল 22,000 জন| 40 প্রভু মোশিকে বললেন, “ইস্রায়েলের সকল প্রথমজাত পুরুষ এবং ছেলের সংখ্যা গণনা করে যাদের বয়স কমপক্ষে এক মাস, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করো| 41 আমি প্রভু, আমার জন্য ইস্রায়েলের সকল প্রথমজাত ব্যক্তির পরিবর্তে লেবীয়দের গ্রহণ কর এবং ইস্রাযেল সন্তানদের প্রথমজাত পশুদের পরিবর্তে লেবীয়দের পশুদের গ্রহণ করো|” 42 সুতরাং মোশি প্রভুর আদেশানুযাযী ইস্রায়েলের জ্যেষ্ঠ সন্তানদের সংখ্যা গণনা করল| 43 সে এক মাস অথবা তার বেশী বয়সের সকল প্রথমজাত পুরুষ এবং ছেলের নাম তালিকাভুক্ত করল| সেই তালিকায 22,273 জনের নাম ছিল| 44 প্রভু মোশিকে আরও বললেন, 45 “ইস্রায়েলের অন্যান্য প্রথমজাত ব্যক্তিদের পরিবর্তে লেবীয়দের নাও এবং অন্যান্য লোকদের পশুদের পরিবর্তে লেবীয়দের পশুদেরই নাও| লেবীয়রা আমার, আমি প্রভু এই কথা বলেছি| 46 সেখানে 22,000 জন লেবীয় আছে কিন্তু অন্যান্য পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তানদের সংখ্যা 2,273 জন অর্থাত্ লেবীয়দের থেকে ইস্রায়েলের আর অন্য পরিবারগুলিতে মোট 273 জন জ্যেষ্ঠ সন্তান বেশী আছে| 47 সুতরাং তাদের মুক্ত করতে ইস্রায়েলের লোকদের কাছ থেকে পবিত্র মন্দিরের অনুমোদিত ওজনের পরিমাপ অনুসারে 273 জনের প্রত্যেকের জন্য পাঁচ শেকেল রূপো সংগ্রহ করো| (পবিত্র স্থানের ওজনানুসারে এক শেকেল হলো 20 জিরোহ|) 48 সেই রূপো হারোণ এবং তার পুত্রদের দিয়ে দাও| ইস্রায়েলের 273 জন লোকর জন্য এই মূল্য দিতে হবে|” 49 অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর 273 জন পুরুষের বদলে জায়গা নেওয়ার মতো লেবীয়দের সংখ্যা য়থেষ্ট ছিল না| সুতরাং মোশি সেই 273 জনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করল| 50 ইস্রায়েলের প্রথমজাত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোশি রূপো সংগ্রহ করল| সে পবিত্র স্থানের অনুমোদিত ওজন অনুসারে 1,365 শেকেল রূপো সংগ্রহ করেছিল| 51 মোশি প্রভুর আদেশ মতো হারোণ ও তার পুত্রদের সেই রূপো দিয়েছিল|
4:1 প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 2 “কহাত্ গোষ্ঠীর পরিবারগুলির লোকসংখ্যা গণনা করো| (কহাত্ পরিবারগোষ্ঠী লেবী পরিবারগোষ্ঠীরই একটি অংশ|) 3 ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক যে সব পুরুষ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল তাদের সকলের সংখ্যা গণনা করো| এরা সমাগম তাঁবুতে কাজ করবে| 4 সমাগম তাঁবুর ভেতরের পবিত্রতম জিনিসপত্রের যত্ন ও রক্ষনাবেক্ষণই হবে তাদের কাজ| 5 “যখন ইস্রায়েলের লোকরা কোনো নতুন জায়গায় ভ্রমণে যাবে, তখন হারোণ এবং তার পুত্ররা অবশ্যই সমাগম তাঁবুতে যাবে এবং পর্দা নামিযে সেই পর্দা দিয়ে ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলের লোকদের চুক্তির পবিত্র সিন্দুকটিকে ঢাকা দিয়ে রাখবে| 6 এর পর তারা এই সমস্ত জিনিসগুলিকে একটি মসৃণ চামড়ার তৈরী আচ্ছাদন দিয়ে ঢেকে দেবে| এর পর তারা অবশ্যই এই চামড়ার ওপর দিয়ে একটি শক্ত নীল কাপড় সমানভাবে বিছিযে দেবে এবং পবিত্র সিন্দুকের আংটার মধ্যে খুঁটিগুলো পরাবে| 7 “এর পর তারা অবশ্যই পবিত্র টেবিলের উপর একটি নীল কাপড় বিছিযে দেবে| তারপর তারা থালা, চামচ, বাটি এবং পেয় নৈবেদ্যগুলির পাত্র টেবিলের ওপর রাখবে| টেবিলের ওপরে বিশেষ ধরণের রুটিও রাখবে| 8 এই সমস্ত জিনিপত্রের উপরে তুমি অবশ্যই একটি লাল কাপড় বিছিযে দেবে| এর পর এই সমস্ত জিনিসগুলিকে মসৃণ চামড়া দিয়ে ঢেকে রাখো| এর পর টেবিলের আংটার মধ্যে খুঁটিগুলো পরাবে| 9 এর পর তারা অবশ্যই বাতিস্তম্ভ এবং তার বাতিগুলিকে একটি নীল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেবে| বাতিগুলোকে প্রজ্জ্বলিত অবস্থায় রাখার জন্য যা যা জিনিসপত্রের প্রযোজন হয়, সেই সমস্ত কিছুকে এবং বাতির জন্যে রয়োজনীয় তেলের পাত্রগুলোকেও তারা অবশ্যই ঢেকে রাখবে| 10 তারপর সমস্ত জিনিসগুলোকে মসৃণ চামড়ার মধ্যে মুড়বে| এর পর তারা অবশ্যই এই সমস্ত দ্রব্যসামগ্রীকে খুঁটিতে পরাবে, যে খুঁটিগুলো বহন করার জন্য ব্যবহৃত হত| 11 “তারা অবশ্যই সোনালী বেদীর ওপর একটি নীল কাপড় বিছিযে দেবে এবং সেটাকে একটি মসৃণ চামড়া দিয়ে আবৃত করবে| তারপর তারা বহনের জন্য বেদীর ওপরে আংটার মধ্যে খুঁটিগুলো পরাবে| 12 “এর পর তারা পবিত্র স্থানে উপাসনার জন্য যে সব বিশেষ ধরণের জিনিসপত্র ব্যবহৃত হয়, সেগুলিকে এক জায়গায় জড়ো করবে| একত্রিত জিনিসপত্রগুলিকে তারা অবশ্যই একটি নীল কাপড়ে মুড়বে| তারপর তারা ঐসব জিনিসগুলিকে মসৃণ চামড়া দিয়ে ঢাকবে| তারপর এগুলোকে বহনের জন্যে একটি কাঠামোর ওপর রাখবে| 13 “তারা অবশ্যই পিতলের বেদীর ওপর থেকে ছাই পরিষ্কার করবে এবং বেদীর ওপর একটি বেগুনী কাপড় পাতবে| 14 এরপর তারা উপাসনারর জন্য যে সব জিনিসপত্র ব্যবহৃত হত সেইগুলোকে বেদীর উপরে এক জায়গায় একত্রিত করবে| এগুলো হল আগুন রাখার পাত্র, কাঁটা চামচ, বেলচা এবং বাটি| তারা অবশ্যই এই সকল দ্রব্যসামগ্রী পিতলের বেদীর ওপর রাখবে| এরপর বেদীটি একটি মসৃণ চামড়ার আচ্ছাদন দিয়ে ঢাকবে| বেদীর উপরের আংটার মধ্যে দিয়ে তারা বহনের জন্য খুঁটিগুলোকে পরাবে| 15 “হারোণ এবং তার পুত্ররা পবিত্র স্থানের জিনিসপত্র ঢেকে দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করবে| এরপর কহাত্ পরিবারের লোকরা ভিতরে যেতে পারবে এবং ঐ সব জিনিসপুত্র বহনের কাজ শুরু করবে| এইভাবে তারা পবিত্র স্থান স্পর্শ করবে না এবং তাদের মৃত্যু হবে না| 16 “যাজক হারোণের পুত্র ইলীয়াসর, পবিত্র তাঁবুর দায়িত্বে থাকবে| সেই পবিত্র স্থান এবং সেখানকার সকল জিনিসপত্রের দায়িত্ব তার| বাতি জ্বালাবার জন্য প্রয়োজনীয় তেল, ধূপধূনো, দৈনন্দিন উত্সর্গীকৃত জিনিসপত্র এবং অভিষেকের তেলের দায়িত্বেও সে থাকবে|” 17 এরপর প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 18 “সাবধান! এই কহাতের পরিবারের লোকদের উচ্ছেদ করো না| 19 তুমি নিশ্চয়ই এই কাজগুলো করবে যাতে কহাতের পরিবারের লোকরা পবিত্রতম স্থানের কাছে যেতে পারে এবং যাতে তাদের মৃত্যু না হয়| হারোণ ও তার পুত্ররা ভেতরে প্রবেশ করে কহাত্ পরিবারের প্রত্যেকটি লোককে তাদের কি করতে হবে এবং কি বইতে হবে তা দেখিয়ে দেবে| 20 যদি তুমি এই কাজ না করো, তাহলে কহাতের লোকরা হয়তো ভেতরে প্রবেশ করে পবিত্র দ্রব্যাদি দেখতে পারে| যদি তারা ক্ষণিকের জন্যেও ঐসব জিনিপত্র দেখে, তাহলে তাদের অবশ্যই মরতে হবে|” 21 প্রভু মোশিকে বললেন, 22 “গের্শোন পরিবারের সকল লোকর সংখ্যা গণনা করো| পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে তাদের তালিকাভুক্ত করো| 23 সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল এমন 30 থেকে 50 বছর বয়স্ক পুরুষের সংখ্যা গণনা করো| সমাগম তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণই হবে তাদের কাজ| 24 “এগুলো গের্শোন পরিবারের কাজ| তারা এই সকল দ্রব্যাদি বহন করবে; 25 তারা সমাগম তাঁবুর পর্দাগুলো, পবিত্র তাঁবু এর আচ্ছাদন এবং মসৃণ চামড়ার আচ্ছাদনগুলোকে বহন করবে| তারা পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথের পর্দাও বহন করবে| 26 পবিত্র তাঁবু এবং বেদীর চতুর্দিকে যে প্রাঙ্গণ তার পর্দাগুলোকেও তারা বহন করবে| তারা প্রাঙ্গণের প্রবেশ পথের পর্দা এবং পর্দার সঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী সমস্ত দড়ি এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও বহন করবে| এই সকল জিনিসপত্রের সঙ্গে অন্যান্য যা যা কাজকর্মের প্রযোজন হবে তার দায়িত্বেও থাকবে গের্শোন পরিবারের লোকরা| 27 যে সকল কাজ করা হবে হারোণ এবং তার পুত্ররা তার প্রতি লক্ষ্য রাখবে| গের্শোনের লোকরা যে সব জিনিসপত্র বহন করবে এবং যে সব কাজ করবে, তার প্রত্যেকরি প্রতি হারোণ এবং তার পুত্ররা লক্ষ্য রাখবে| যে সব জিনিসপত্র তারা বহন করবে তার দায়িত্বও তুমি তাদের দেবে| 28 যাজক হারোণের পুত্র ঈথামরের নির্দেশ অনুসারে সমাগম তাঁবুর জন্য গের্শোন পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা এই কাজগুলোই করবে|” 29 “মরারি পরিবারগোষ্ঠীর সকল পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠীর সকল পুরুষদের গণনা করো| 30 সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল এমন 30 থেকে 50 বছরের বয়স্ক সব পুরুষের সংখ্যা গণনা করো| সমাগম তাঁবুর জন্য তারা এই বিশেষ ধরণের কাজ করবে| 31 যখন তুমি ভ্রমণ করবে তখন তাদের কাজ হল সমাগম তাঁবুর কাঠামো বহন করা| তারা অবশ্যই পবিত্র তাঁবুর বন্ধনী, স্তম্ভ এবং ভিত্তিগুলোকে বহন করবে| 32 প্রাঙ্গণের চারপাশের স্তম্ভগুলি, ভিত্তিগুলি, তাঁবুর খুঁটিগুলি, সমস্ত দড়ি এবং প্রাঙ্গণের চারপাশের খুঁটির জন্যে যা কিছু ব্যবহৃত হয় সব কিছু তারা অবশ্যই বহন করবে| নামের তালিকা তৈরী করে প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিশ্চিত করে বলে দাও তাকে কোন কোন জিনিস বহন করতে হবে| 33 সমাগম তাঁবুর কাজে সেবা করার জন্যেই মরারি পরিবারের লোকদের এই সব কাজ করতে হবে| যাজক হারোণের পুত্র ঈথামরের নির্দেশ অনুসারে এই কাজগুলি তারা করবে|” 34 মোশি, হারোণ এবং ইস্রায়েলের দলনেতারা কহাতের লোকদের তাদের পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠী অনুসারেই গণনা করেছিল| 35 ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক যেসব পুরুষ সমাগম তাঁবুতে বিশেষ কাজের দায়িত্বে ছিল তাদের সংখ্যা গণনা করেছিল| 36 কহাত্ পরিবারের 2,750 জন পুরুষ এই কাজের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছিল| 37 সুতরাং সমাগম তাঁবুর জন্য বিশেষ ধরণের কাজের দায়িত্ব কহাত্ পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল| প্রভু মোশিকে যে ভাবে কাজ করতে বলেছিলেন, মোশি এবং হারোণ ঠিক সেই ভাবেই সেসব কাজ করেছিল| 38 গের্শোনের গোষ্ঠীকেও গণনা করা হয়েছিল| 39 সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল এমন 30 থেকে 50 বছর বয়স্ক সব পুরুষকেই তারা গণনা করেছিল| তাদের সমাগম তাঁবুর জন্য বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল| 40 গের্শোন পরিবারগোষ্ঠীর 2,630 জন পুরুষ এই কাজের জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছিল| 41 সমাগম তাঁবুর জন্য বিশেষ কাজের দায়িত্ব গের্শোন পরিবারগোষ্ঠীর এইসব ব্যক্তির ওপরেই দেওয়া হয়েছিল| প্রভু মোশিকে যেভাবে কাজ করতে বলেছিলেন, মোশি এবং হারোণ ঠিক সেভাবেই সেসব কাজ করেছিল| 42 মরারি পরিবারগোষ্ঠীর সব পরিবার এবং গোষ্ঠীর পুরুষদের গণনা করা হয়েছিল| 43 সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল এমন 30 থেকে 50 বছর বয়স্ক সকল পুরুষের সংখ্যাই গণনা করা হয়েছিল| তাদের সমাগম তাঁবুর জন্য বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল| 44 মরারি পরিবারগোষ্ঠীর 3,200 জন পুরুষ এইসব কাজের জন্যে উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছিল| 45 সুতরাং মরারি পরিবারগোষ্ঠীর এইসব ব্যক্তির ওপরেই বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল| প্রভু মোশিকে যে ভাবে কাজ করতে বলেছিলেন, মোশি এবং হারোণ ঠিক সেভাবেই কাজ করেছিল| 46 মোশি, হারোণ এবং ইস্রায়েলের অন্যান্য দলনেতারা লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর জনসংখ্যা গণনা করেছিল| তারা প্রত্যেক পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা গণনা করেছিল| 47 সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিল এমন 30 থেকে 50 বছর বয়স্ক সব পুরুষের সংখ্যাই গণনা করা হয়েছিল| তাদের সমাগম তাঁবুর জন্য বিশেষ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল| স্থানান্তরে ভ্রমণের সময় এরা সমাগম তাঁবু বহনের কাজ করেছিল| 48 মোট লোকসংখ্যা ছিল 8,580 জন| 49 সুতরাং প্রভু মোশিকে যেভাবে আদেশ করেছিলেন সেই ভাবে প্রত্যেক লোককে গণনা করা হয়েছিল| প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের কাজ দেওয়া হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল তাকে অবশ্যই কোনো না কোন জিনিসপত্র বহন করতে হবে| প্রভু যেভাবে কাজ সম্পন্ন করার আদেশ দিয়েছিলেন সেই ভাবেই এইসব কাজ সম্পাদিত হয়েছিল|
5:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “অসুস্থতা এবং রোগ থেকে তাদের শিবির মুক্ত রাখার জন্য আমি ইস্রায়েলের লোকদের আদেশ করছি| লোকদের বলো চর্মরোগ আছে এমন ব্যক্তিকে শিবির থেকে যেন বের করে দেওয়া হয়| যার শরীর থেকে কিছু বের হচ্ছে তাকে দূরে পাঠিয়ে দিতে বলো এবং তাদের বলে দাও মৃতদেহ স্পর্শ করেছে এমন যে কোনো ব্যক্তিকেও শিবির থেকে বের করে দিতে| 3 সে পুরুষই হোক অথবা স্ত্রী হোক তাতে কিছু আসে যায় না, তাকে শিবির থেকে বের করে দাও যাতে তাদের যে শিবিরের মধ্যে আমি বাস করি সেখানে অসুস্থতা এবং অশুদ্ধতা ছড়িয়ে না পড়ে|” 4 ইস্রায়েলের লোকরা ঈশ্বরের আদেশ পালন করেছিল| তারা সেই সমস্ত লোকদের শিবিরের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিল| প্রভু মোশিকে যা যা আদেশ দিয়েছিলেন তারা সেইগুলোই করেছিল| 5 প্রভু মোশিকে বললেন, 6 “ইস্রায়েলের লোকদের এ কথা বলে দাও: একজন ব্যক্তি হয়তো আরেকজন ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারে| যখন কেউ অন্যদের কিছু ক্ষতি করে তখন সে আসলে ঈশ্বরের বিরুদ্ধেই পাপ কাজ করে| সেই ব্যক্তিটি অপরাধী| 7 সুতরাং সে তার নিজের পাপ স্বীকার করবে| সেই ব্যক্তিটি অবশ্যই তার ভুল কাজের জন্য পুরো খেসারত দিতে বাধ্য থাকবে| এছাড়াও সে তার খেসারতের এক পঞ্চমাংশ পরিমাণ মূল্য সেই ব্যক্তিকে দেবে, যার সে ক্ষতি করেছে| 8 কিন্তু হয়তো এমনও হতে পারে যে, সে যে ব্যক্তির ক্ষতি করেছে সে মারা গেছে এবং এমনও হতে পারে যে তার হয়ে খেসারতের মূল্য গ্রহণ করার মতো কোনো নিকট আত্মীয নেই| সে ক্ষেত্রে যে ব্যক্তিটি খারাপ কাজ করেছিল, সে প্রভুকে সেই মূল্য দেবে| সেই মূল্যের পুরোটাই তাকে যাজককে দিতে হবে| যাজক সেই মানুষকে শুচি করার জন্য অবশ্যই একটি পুং মেষ বলি দেবে| যে ব্যক্তি অন্যায কাজ করেছে, তার পাপকে ঢাকা দেওয়ার জন্যই এই মেষ বলি দেওয়া হবে| কিন্তু যাজক বাকী মূল্য রেখে দিতে পারে| 9 “যদি ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে কোনো একজন ঈশ্বরকে কোনো বিশেষ উপহার দেয, তাহলে যিনি সেই উপহার গ্রহণ করেছেন, সেই যাজক সেটি রেখে দিতে পারেন, এটি তাঁর 10 কোনো ব্যক্তির পক্ষে বিশেষ ধরণের উপহার দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়| কিন্তু যদি সে কোনো উপহার দেয তবে সেই উপহার যাজকের প্রাপ্য় হবে|” 11 এর পর প্রভু মোশিকে বললেন, 12 “ইস্রায়েলের লোকদের একথা বলে দাও: একজন পুরুষের স্ত্রী তার কাছে বিশ্বস্ত নাও হতে পারে| 13 অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে তার য়ৌন সম্পর্ক থাকতে পারে এবং এই ব্যাপারটি সে তার স্বামীর কাছে লুকোতে পারে| সে যে পাপ কাজ করছে সে সম্পর্কে তার স্বামীকে অবহিত করার জন্য সেখানে কেউ নাও থাকতে পারে| তার অন্যায কাজকর্ম সম্পর্কে তার স্বামী কোনোদিনই কোনো কিছুই নাও জানতে পারে এবং সেই স্ত্রীলোক তার পাপকর্ম সম্পর্কে তার স্বামীকে অবহিত নাও করতে পারে| 14 কিন্তু স্ত্রী যে পাপ কার্য় করে সেই ব্যাপারে স্বামী সন্দেহ করতে শুরু করতে পারে| সে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠতে পারে| তার মনে এই বিশ্বাস হতে পারে যে তার স্ত্রী তার কাছে আর পবিত্র এবং সত্ নেই| 15 যদি তাই হয়, তাহলে সে অবশ্যই তার স্ত্রীকে যাজকের কাছে নিয়ে যাবে| সেই স্বামী অবশ্যই 8 কাপ য়বের মযদা নৈবেদ্য হিসাবে প্রদান করবে| সে সেই য়বের মযদার মধ্যে কোনো তেল বা ধূপধূনা দেবে না| কারণ এটি এক ঈর্ষান্বিত স্বামীর আনা শস্য নৈবেদ্য| এই নৈবেদ্য প্রদান ঐ স্ত্রীলোককিে তার দোষ স্মরণ করাবার জন্য| 16 “যাজক সেই স্ত্রীকে প্রভুর সামনে নিয়ে যাবে এবং সেখানে দাঁড় করিযে রাখবে| 17 এর পর যাজক পবিত্র জল নিয়ে আসবে এবং একটি মাটির পাত্রে তা রাখবে| যাজক পবিত্র তাঁবুর মেঝের থেকে কিছু ধুলো তুলে সেই জলে রাখবে| 18 তারপর যাজক ঐ স্ত্রীলোককে প্রভুর সামনে দাঁড় করাবে| এর পর যাজক সেই স্ত্রীর চুল আলগা করে দেবে এবং তার হাতে সেই নৈবেদ্য রাখবে| এই নৈবেদ্যটি সেই য়বের মযদা যা তার স্বামী ঈর্ষান্বিত হয়েছিল বলে এনেছিল| এই একই সমযে যাজকের হাতে সেই তিক্ত জল থাকবে যা অভিশাপ নিয়ে আসে| 19 “এর পর যাজক সেই স্ত্রীকে দিব্য করিযে বলবেন যে: ‘যদি তুমি অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে না শুয়ে থাকো এবং তুমি যদি তোমার বিবাহিত জীবনের সমযে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো পাপ না করে থাকো তাহলে অভিশাপ বহনকারী এই তিক্ত জল তোমার কোনো ক্ষতি করবে না| 20 কিন্তু তুমি যদি তোমার স্বামী নয় এমন কোনোও পুরুষের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক করে তোমার স্বামীর বিরুদ্ধে য়ৌন পাপ করে থাক, তাহলে তুমি শুচি নও| 21 যদি তা সত্যি হয়, তাহলে এই বিশেষ জল পান করলে তোমাকে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে| তুমি কোনো সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না| এবং তুমি যদি এখন সন্তানসম্ভবা হয়ে থাকো, তাহলে তোমার সন্তান মারা যাবে| তাহলে তোমার লোকরা তোমাকে ত্যাগ করবে এবং তোমার সম্পর্কে কু-কথা কথা বলবে|’“এর পর যাজক অবশ্যই সেই স্ত্রীকে প্রভুর কাছে এক বিশেষ প্রতিশ্রুতি করার জন্য বলবে| যদি স্ত্রী মিথ্য়ে কথা বলে তাহলে তার পক্ষে এই খারাপ ঘটনাগুলো যে ঘটবে সে ব্যাপারে তাকে অবশ্যই সম্মত হতে হবে| 22 যাজক অবশ্যই বলবে, ‘তুমি অবশ্যই এই জল পান করবে যা সমস্যার সৃষ্টি করে| যদি তুমি পাপ করে থাকো, তাহলে তুমি বন্ধ্যা হয়ে যাবে, আর যদি তুমি সন্তানসম্ভবা হও, তাহলে তোমার গর্ভের শিশু জন্মের আগেই মারা যাবে| এবং সেই স্ত্রী বলবে: ‘তুমি যা বলবে আমি সেই মতো কাজ করতে সম্মত হলাম|” 23 “যাজক তখন সেই অভিশাপগুলো একটি গোটানো পুঁথিতে লিখে রাখবে| এরপরে সে জল দিয়ে সেই বাণীগুলো ধুয়ে ফেলবে| 24 এরপর সেই স্ত্রীকে সেই জল পান করতে হবে যা সমস্যার সৃষ্টি করে| এই জল তার মধ্যে প্রবেশ করবে এবং যদি সে দোষী হয় তাহলে এটি তার পক্ষে খুবই যন্ত্রণাদাযক হবে| 25 “এরপর যাজক সেই স্ত্রীর কাছ থেকে যে নৈবেদ্য দেওয়া হয়েছিল সেটি নেবে (ঈর্ষার জন্য নৈবেদ্য) এবং প্রভুর সম্মুখে উপস্থাপিত করবে| এরপর যাজক সেটিকে বেদীর উপরে নিয়ে যাবে| 26 যাজক এক মুঠো শস্য নিয়ে সেটিকে বেদীর উপরে দগ্ধ করবে| এরপর সে সেই স্ত্রীকে জলপান করতে বলবে| 27 যদি সেই স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে য়ৌন পাপ করে থাকে, তাহলে এই জল তাকে বিপদে ফেলবে| জল তার শরীরে প্রবেশ করে তাকে প্রচুর যন্ত্রণা ভোগ করাবে| কোনো সন্তান যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলে জন্মের আগেই তার মৃত্যু হবে এবং স্ত্রীলোক আর কোনোদিনই কোনো সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না| সকলেই তার বিরুদ্ধাচারণ করবে| 28 কিন্তু সেই স্ত্রী যদি তার স্বামীর বিরুদ্ধে য়ৌন পাপ না করে থাকে এবং সে যদি শুচিই থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে এই বিচার বলে দেবে যে সে দোষী নয়| তখনই সে স্বাভাবিক হবে এবং সন্তানের জন্ম দিতে পারবে| 29 “এটাই হল ঈর্ষা সংক্রান্ত বিধি যা নির্দেশ দেয কি করা উচিত্ যখন বিশেষ করে কোনো স্ত্রী তার সাথে বিবাহে আবদ্ধ স্বামীর বিরুদ্ধে পাপকর্মে লিপ্ত হয়| 30 অথবা একজন পুরুষের কি করা উচিত্ যদি সে তার স্ত্রীর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয় এবং সন্দেহ করে যে তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে পাপকর্মে লিপ্ত হয়েছে| যাজক সেই স্ত্রীকে অবশ্যই প্রভুর সামনে দাঁড়ানোর জন্য বলবে| এরপরে যাজক ঐ সমস্ত কাজগুলি সম্পন্ন করবে| এটাই বিধি| 31 তাহলে কোনো রকম অন্যাযের জন্যে স্বামী দোষী হবে না| কিন্তু যদি স্ত্রী কোনো য়ৌন পাপ করে থাকে তাহলে তাকে কষ্টভোগ করতে হবে|”
6:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো: কোন পুরুষ বা স্ত্রী নাসরীয হবার জন্য অর্থাত্ প্রভুর জন্য নিজেকে পৃথক করে তবে, 3 ঐ সময় সেই ব্যক্তি যেন কোনো দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনো কড়া পানীয় পান না করে| সেই ব্যক্তি দ্রাক্ষারস বা অন্য কোনো কড়া পানীয় থেকে তৈরী সিরকাও পান করবে না| এবং তাজা দ্রাক্ষা কিংবা কিশ্মিশ্ খাবে না| 4 আলাদা থাকার এই বিশেষ সময় দ্রাক্ষা থেকে তৈরী কোনো কিছুই সে খাবে না, এমনকি দ্রাক্ষার বীজ অথবা খোসাও নয়| 5 “নাসরীয হয়ে থাকার এই বিশেষ সমযে সেই ব্যক্তি তার চুলও কাটবে না| এই বিশেষ সময়টি শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত সে অবশ্যই পবিত্র থাকবে| সে তার চুলকে বড় হতে দেবে| সেই ব্যক্তির চুল হচ্ছে ঈশ্বরের কাছে তার শপথের একটি বিশেষ অংশ| ঈশ্বরের কাছে উপহার হিসেবে সে তার চুল দান করবে| সুতরাং আলাদা থাকার এই বিশেষ সময়টি শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত সেই ব্যক্তি তার চুল কাবে না, তাকে বাড়তে দেবে| 6 “পৃথক থাকার এই বিশেষ সময় একজন নাসরীয কোনো মৃতদেহের কাছে অবশ্যই যাবে না| কারণ, সেই ব্যক্তি প্রভুর কাছে নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছে| 7 এমনকি যদি তার নিজের পিতামাতা কিংবা ভাই অথবা বোন মারা যায়, তাহলেও সে অবশ্যই তাদের স্পর্শ করবে না| এটা তাকে অশুচি করে দেবে| তাকে অবশ্যই দেখাতে হবে যে, সে পৃথক এবং সম্পূর্ণভাবে সে নিজেকে ঈশ্বরের কাছে সমর্পণ করেছে| 8 পৃথক থাকার এই পুরো সমযে সে অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে নিজেকে প্রভুর কাছে নিবেদন করবে| 9 “এও হতে পারে যে, নাসরীয এমন একজনের সঙ্গে আছে যে অকস্মাত্ মারা গেছে| যদি নাসরীয এই মৃত ব্যক্তিকে স্পর্শ করে তবে সে অপবিত্র হয়ে যাবে| যদি তাই হয়, তবে নাসরীয অবশ্যই মাথার সমস্ত চুল কেটে ফেলবে| (ঐ চুল তার বিশেষ প্রতিজ্ঞার একটি অংশ ছিল|) সে অবশ্যই সপ্তম দিনে তার চুল কাটবে, কারণ ঐ দিনে তাকে শুচি করা হবে| 10 এরপর অষ্টম দিনে সেই নাসরীয অবশ্যই দুটি ঘুঘু এবং দুটি পায়রার বাচ্চা যাজকের কাছে নিয়ে আসবে| সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথেই সে যাজকের কাছে এগুলিকে দিয়ে দেবে| 11 তখন যাজক এদের একটিকে পাপ থেকে শুচি হবার জন্য উত্সর্গ করবে| অপরটিকে সে দাহ করার জন্য উত্সর্গ করবে| এই দাহ করা উত্সর্গই হবে নাসরীযর পাপের প্রতিদান| (সে পাপী কারণ সে একটি মৃতদেহের কাছে ছিল|) ঐ সময় সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে উপহার হিসাবে তার মাথার চুল দেবার জন্য আবার শপথ করবে| 12 এর অর্থ হল, সেই ব্যক্তি আবার আলাদা থেকে ঈশ্বরের কাছে নিজেকে অবশ্যই সমর্পণ করবে| অবশ্যই সে একটি এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষ নিয়ে আসবে| এবং এই মেষ দোষার্থক বলি হিসাবে উত্সর্গ করবে| তার পৃথক থাকার প্রথম পর্য়াযকে গণনা করা হবে না| সে নতুন করে পৃথক থাকতে শুরু করবে| এটা অবশ্যই করতে হবে কারণ সে তার প্রথম পৃথক থাকার সময় একটি মৃতদেহ স্পর্শ করায অশুচি হয়েছিল| 13 “তার পৃথক থাকার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার পরে নাসরীয অবশ্যই সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাবে| 14 এবং প্রভুর কাছে তার যা কিছু উত্সর্গ করার তা করবে| তার উত্সর্গ অবশ্যই হবে:একটি নিখুঁত এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষশাবক যা হোমবলির জন্যে উত্সর্গ করা হবে| একটি নিখুঁত এক বছর বয়স্ক স্ত্রী মেষশাবক যা পাপার্থক বলির জন্য উত্সর্গ করা হবে| একটি নিখুঁত মেষ যা মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য উত্সর্গ করা হবে| 15 এক ঝুড়ি রুটি যা খামিরবিহীনভাবে তৈরী (তেলের সঙ্গে খুব ভালো মযদা মিলিযে তৈরী কেক|) এই সব কেকের ওপরে অবশ্যই তেল ছড়ানো থাকবে| এই সব উপহারের সঙ্গেই শস্য নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য উত্সর্গ করা হবে| 16 “যাজক এই সকল দ্রব্যসামগ্রী প্রভুর সামনে উপস্থিত করে তখনই পাপস্খালনের জন্যে বলি এবং হোমবলি উত্সর্গ করবেন| 17 যাজক খামিরবিহীন তৈরী এক ঝুড়ি রুটি প্রভুকে দেবেন| তারপর তিনি প্রভুর কাছে মঙ্গল নৈবেদ্য উত্সর্গের জন্য সেই পুং মেষটিকে হত্যা করবেন| যাজক এটিকে শস্য নৈবেদ্য ও পেয় নৈবেদ্যর সাথেই প্রভুকে উত্সর্গ করবেন| 18 “এরপর নাসরীয সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে যাবে| সেখানে সে তার এই উত্সর্গ করা চুল কেটে ফেলবে এবং যে আগুন মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য উত্সর্গীকৃত নৈবেদ্যর নীচে জ্বলছে তাতে সেই চুল ফেলে দেওয়া হবে| 19 “নাসরীয তার চুল কেটে ফেলার পরে যাজক তাকে পুং মেষের একটি সেদ্ধ করা স্কন্ধ, একটি পিঠে আর একটি সরুচাকলী ঝুড়ি থেকে দেবেন| এই দুটিই খামির ছাড়া তৈরী করা হবে| 20 এর পর যাজক এইসব দ্রব্যসামগ্রী প্রভুর সামনে দোলাবেন| এটি হল দোলনীয় নৈবেদ্য| এই সব দ্রব্যসামগ্রী পবিত্র এবং এগুলো সবই যাজকের| এছাড়াও মেষের বুক এবং উরুও প্রভুর সামনে দোলানো হবে| এই সব দ্রব্যসামগ্রীও যাজকের| এর পর নাসরীয ব্যক্তিটি দ্রাক্ষারস পান করতে পারে| 21 “যে ব্যক্তি নাসরীয শপথ করবে বলে মনস্থ করেছে তার জন্য ঐগুলোই হল নিয়ম| ঐ ব্যক্তি অবশ্যই প্রভুকে ঐসব উপহার দেবে| এছাড়াও যদি কোনো ব্যক্তি আরও কিছু বেশী দিতে সক্ষম হয় এবং তা দেবার জন্য শপথ করে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই তার শপথ রাখতে হবে| তবে তাকে অবশ্যই কমপক্ষে ঐসব জিনিসপত্র দিতেই হবে যা নাসরীয শপথের নিয়মে তালিকাভুক্ত হয়েছে|” 22 প্রভু মোশিকে বললেন, 23 “হারোণ এবং তার পুত্রদের বলে দাও যে, এভাবেই তারা ইস্রায়েলের লোকদের আশীর্বাদ করবে| তারা বলবে: 24 প্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করুন এবং রক্ষা করুন| 25 প্রভু তোমাদের প্রতি সদয হোন এবং তোমাদের করুণা প্রদর্শন করুন| 26 প্রভু তোমাদের প্রার্থনার উত্তর দিন এবং তোমাদের শান্তি দিন|” 27 এরপর প্রভু বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের আশীর্বাদ করার জন্য হারোণ এবং তার পুত্ররা আমার নাম ব্যবহার করবে এবং আমি তাদের আশীর্বাদ করবো|”
7:1 মোশি পবিত্র তাঁবুর স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে এটিকে প্রভুর কাছে উত্সর্গ করল| পবিত্র তাঁবু এবং তার ভেতরের সমস্ত দ্রব্যসামগ্রীকে মোশি অভিষেক করল| বেদী এবং তার সঙ্গে ব্যবহার্য়্য় অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রীকেও মোশি অভিষেক ও পবিত্র করল| এতে বোঝানো হল যে, এই সব দ্রব্যসামগ্রী কেবলমাত্র প্রভুর উপাসনার জন্যই ব্যবহৃত হবে| 2 এরপর ইস্রায়েলের নেতাগণ প্রভুকে তাদের নৈবেদ্য প্রদান করল| এই সকল নেতারা ছিল তাদেরই পরিবারের কর্তা এবং তাদের গোষ্ঠীর নেতা| এই সব লোকরা হল তারাই যাদের লোকসংখ্যা গণনা করার দায়িত্ব ছিল| 3 এই সব লোকরা প্রভুর কাছে উপহার এনেছিল| তারা ছয়টি আচ্ছাদিত শকট এবং সেই শকটগুলিকে চালানোর জন্য বারোটি গরু এনেছিল| (প্রত্যেক নেতা একটি করে গরু দিয়েছিল| প্রত্যেক নেতা অপর আরেক নেতার সঙ্গে একসঙ্গে একটি করে শকট দিয়েছিল|) পবিত্র তাঁবুতেই নেতারা প্রভুকে এই সব দ্রব্যসামগ্রী দিয়েছিল| 4 প্রভু মোশিকে বললেন, 5 “নেতাদের কাছ থেকে এই সব উপহারসামগ্রী গ্রহণ করো| সমাগম তাঁবুর কাজে এইসব উপহারসামগ্রী ব্যবহার করা যাবে| লেবীয়দের এই সব জিনিসপত্র দিয়ে দাও| এই জিনিসগুলি তাদের প্রযোজন হবে|” 6 তাম্প মোশি শকটগুলি এবং গরুগুলোকে গ্রহণ করে ঐগুলো লেবীয় পরিবারভুক্তদের দিয়ে দিয়েছিল| 7 মোশি গের্শোন গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের দুটি গাড়ী এবং চারটি গরু দিয়েছিল| 8 এরপর মোশি মরারি গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের চারটি গাড়ী এবং আটটি গরু দিয়েছিল| তাদের কাজের জন্য এই শকট ও গরুর তাদের প্রযোজন ছিল| যাজক হারোণের পুত্র ঈথামর এইসব ব্যক্তিদের কাজকর্মের জন্য দাযবদ্ধ ছিল| 9 মোশি কহাতের পরিবারগোষ্ঠীকে একটিও গরু অথবা গাড়ি দেয নি, কারণ তাদের কাজ ছিল পবিত্র দ্রব্যসামগ্রী নিজেদের কাঁধেই বহন করা| 10 মোশি বেদীকে অভিষেক করেছিল| ঐ একই দিনে বেদীটিকে উত্সর্গ করার জন্য নেতারা তাদের নৈবেদ্য নিয়ে এসেছিল| তারা বেদীতে প্রভুকে তাদের নৈবেদ্য প্রদান করেছিল| 11 প্রভু মোশিকে বললেন, “বেদীটিকে উত্সর্গ করার জন্যে প্রত্যেকদিন একজন করে নেতা তার উপহার নিয়ে আসবে|” 12 বারোজন নেতার প্রত্যেকে তাদের উপহার নিয়ে এসেছিল| এইগুলি হল উপহার সামগ্রী:প্রত্যেক নেতা 3-1/4 পাউণ্ড ওজনের একটি করে রূপোর থালা এবং 1-3/4 পাউণ্ড ওজনের একটি করে রূপোর বাটি এনেছিল| এই দুরকমের উপহারই পবিত্র স্থানের মাপকাঠি অনুসারে ওজন করা হয়েছিল| প্রত্যেকটি বাটি এবং থালা তেল মিশ্রিত সূক্ষ্ম মযদায পূর্ণ ছিল; এটি শস্য নৈবেদ্যর জন্য ব্যবহৃত হত| প্রত্যেক নেতা 4 আউন্স ওজনের একটি করে বড় সোনার চামচও এনেছিল| এই চামচগুলি সুগন্ধি ধূনোয পরিপূর্ণ ছিল| এছাড়াও তাঁরা প্রত্যেকে একটি করে এঁড়ে বাছুর, একটি মেষ এবং এক বছর বয়স্ক একটি পুং মেষশাবক এনেছিল| এই পশুগুলিকে হোমবলির জন্য আনা হয়েছিল| পাপ কর্মের উত্সর্গের জন্য তাঁরা প্রত্যেকে একটি করে পুরুষ ছাগল এনেছিল| প্রত্যেকে 2টি গরু, 5টি পুং মেষ, 5টি পুং ছাগল এবং এক বছর বয়স্ক 5টি পুং মেষশাবক এনেছিল| এই সকল দ্রব্যসামগ্রী মঙ্গল নৈবেদ্য হিসাবে উত্সর্গীকৃত হয়েছিল|প্রথম দিন, যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর নেতা অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন তার উপহার এনেছিল|দ্বিতীয় দিন, ইষাখরের গোষ্ঠীর নেতা সূযারের পুত্র নথনেল তার উপহার এনেছিল|তৃতীয় দিন, সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর নেতা হেলোনের পুত্র ইলীয়াব তার উপহার এনেছিল|চতুর্থ দিন, রূবেণ গোষ্ঠীর নেতা শদেযূরের পুত্র ইলীষুর তার উপহার এনেছিল|পঞ্চম দিন, শিমিযোন গোষ্ঠীর নেতা সূরীশদ্দযের পুত্র শলুমীযেল তার উপহার এনেছিল|ষষ্ঠ দিন, গাদ গোষ্ঠীর নেতা দ্য়ুযেলের পুত্র ইলীয়াসফ তার উপহার এনেছিল|সপ্তম দিন, ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর নেতা অম্মীহূদের পুত্র ইলীশামা তার উপহার এনেছিল|অষ্টম দিন, মনঃশি গোষ্ঠীর নেতা পদাহসূরের পুত্র গমলীযেল তার উপহার এনেছিল|নবম দিন, বিন্যামীন গোষ্ঠীর নেতা গিদিযোনির পুত্র অবীদান তার উপহার এনেছিল|দশম দিন, দান গোষ্ঠীর নেতা অম্মীশদ্দযের পুত্র অহীযেষর তার উপহার এনেছিল|একাদশ দিন, আশের গোষ্ঠীর নেতা অক্রণের পুত্র পগীযেল তার উপহার এনেছিল|দ্বাদশ দিন, নপ্তালি গোষ্ঠীর নেতা ঐননের পুত্র অবীরাঃ তার উপহার এনেছিল| 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47 48 49 50 51 52 53 54 55 56 57 58 59 60 61 62 63 64 65 66 67 68 69 70 71 72 73 74 75 76 77 78 79 80 81 82 83 84 সুতরাং ঐসব দ্রব্যসামগ্রী ছিল ইস্রায়েলের লোকদের নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারসামগ্রী| মোশি বেদীটিকে অভিষেক করে উত্সর্গ করার সময় তারা এই সকল দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে এসেছিল| তারা 12টি রূপোর থালা, 12টি রূপোর বাটি এবং 12টি সোনার চামচ এনেছিল| 85 প্রত্যেকটি রূপোর থালা প্রায় 3-1/4 পাউণ্ড ওজনের ছিল| এবং প্রত্যেকটি বাটির ওজন ছিল প্রায় 1-3/4 পাউণ্ড| পবিত্র স্থানের মাপকাঠি অনুসারে সমস্ত রূপোর থালা এবং রূপোর বাটির মোট ওজন ছিল প্রায় 60 পাউণ্ড| 86 পবিত্র স্থানের মাপকাঠি অনুসারে সুগন্ধি ধূনোয পরিপূর্ণ 12 টি সোনার চামচের প্রত্যেকটির ওজন ছিল প্রায় 4 পাউণ্ড| 12টি সোনার চামচের মোট ওজন ছিল প্রায় 3 পাউণ্ড| 87 হোমবলি উত্সর্গের জন্য পশুর মোট সংখ্যা ছিল 12টি ষাঁড়, 12টি মেষ এবং 12টি এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষশাবক| ঐসব দ্রব্যসামগ্রীর উত্সর্গের সঙ্গে যে শস্য নৈবেদ্যর জন্য আবশ্যক, তাও ছিল এবং সেখানে 12টি পুরুষ ছাগলও ছিল যা প্রভুর কাছে পাপার্থক বলি হিসাবে উত্সর্গের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল| 88 এছাড়াও নেতারা মঙ্গল নৈবেদ্যর জন্য বলি হিসাবে উত্সর্গের জন্য পশুও দিয়েছিল| এই সব পশুদের মোট সংখ্যা ছিল 24টি ষাঁড়, 60টি মেষ, 60টি পুরুষ ছাগল এবং 60টি এক বছর বয়স্ক পুরুষ মেষশাবক| এই ভাবে মোশি অভিষেক করার পরে তারা বেদীটিকে উত্সর্গ করেছিল| 89 মোশি যখনই প্রভুর সাথে কথা বলার জন্য সমাগম তাঁবুতে যেত, সে প্রভুর কন্ঠস্বর শুনত, প্রভু তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন| সেই সাক্ষ্যসিন্দুকের বিশেষ আচ্ছাদনের ওপরের দুজন করূব দূতের মাঝখান থেকে সেই কন্ঠস্বর শোনা যেত| এই ভাবে ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলতেন|
8:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “হারোণকে বলো, সে বাতিগুলো জ্বালালে বাতিগুলোর আলোয যেন বাতিস্তম্ভের সামনের জায়গাটা আলোকিত হয়|” 3 হারোণ তাই করেছিল| সঠিক জায়গাতেই সে বাতিগুলো রেখেছিল এবং এমনভাবে রেখেছিল যে, বাতিস্তম্ভের সামনের জায়গাটা আলোকিত হয়েছিল| প্রভু মোশিকে যা আদেশ করেছিলেন তা মোশি পালন করেছিল| 4 এই ভাবে বাতিস্তম্ভটি তৈরী করা হয়েছিল| এটি পিটানো সোনা দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল, বাতিস্তম্ভের গোড়ার সোনার ভিত থেকে উপরের সোনার ফুল পর্য়ন্ত পুরোটাই| প্রভু মোশিকে ঠিক যেরকম দেখিয়েছিলেন এটি সেরকমই দেখতে হয়েছিলো| 5 প্রভু মোশিকে বললেন, 6 “ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের থেকে লেবীয়দের পৃথক করো| সেই লেবীয়দের শুচি করো| 7 তাদের শুচি করার জন্য তোমার যা যা করা উচিত্ তা এই রকম: পাপার্থক বলির জন্য যে বিশেষ জল আছে সেটা তাদের ওপর ছিটিয়ে দাও| এই জল তাদের শুচি করবে| এরপর তারা তাদের শরীর কামিযে পরিষ্কার করবে, বস্ত্রাদি ধোবে এবং শরীরকে পরিষ্কার করবে| 8 “তারপর লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকরা পালের মধ্যে থেকে একটি অল্পবয়স্ক ষাঁড় নেবে যার সঙ্গেই শস্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করা হবে| নৈবেদ্যর উদ্দেশ্যে এই শস্য হবে তেল মেশানো মযদা| এরপর পাপার্থক বলি উত্সর্গের প্রযোজনে তুমি আরও একটি অল্পবয়স্ক ষাঁড় নেবে| 9 সমাগম তাঁবুর সামনের এলাকায লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের একসঙ্গে ঐ জায়গায় নিয়ে এসো| 10 প্রভুর সামনে লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের নিয়ে এলে ইস্রায়েলের লোকরা তাদের হাত লেবীয়দের ওপরে রাখবে| 11 এরপর হারোণ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের ইস্রাযেল সন্তানদের কাছ থেকে প্রভুর কাছে আনা বিশেষ উপহার হিসাবে দিয়ে দেবে| এই ভাবে লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকরা প্রভুর উদ্দেশ্যে তাদের বিশেষ কাজ করার জন্য প্রস্তুত হবে| 12 “এরপর লেবীয়রা ষাঁড়ের মাথায় হাত রাখবে, তার মধ্যে একটি ষাঁড় পাপার্থক বলি হিসাবে এবং অন্যটি হোমবলি হিসাবে প্রভুর কাছে উত্সর্গ করার জন্য ব্যবহার করা হবে| এইসব উত্সর্গ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের পবিত্র করবে| 13 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের হারোণ এবং তার পুত্রদের সামনে দাঁড়াতে বলো| এরপর প্রভুর কাছে লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের দিয়ে দাও| তারা দোলনীয় নৈবেদ্যর মতো হবে| 14 তুমি লেবীয়দের ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের থেকে পৃথক করবে| লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকরা আমার হবে| 15 “সুতরাং লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের শুচি করো এবং তাদেরকে প্রভুর কাছে দিয়ে দাও| তারা দোলনীয় নৈবেদ্যর মতো হবে| তুমি এটা করার পরে তারা সমাগম তাঁবুতে তাদের নির্ধারিত কাজ করতে পারবে| 16 ইস্রায়েলীয় লোকরা লেবীয়র গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের আমার কাছে দিয়ে দেবে| তারা আমার হবে| অতীতে আমি প্রত্যেক ইস্রায়েলীয় পরিবারকে তাদের প্রথমজাত পুত্র আমাকে দিয়ে দিতে বলেছিলাম| কিন্তু এখন আমি ইস্রায়েলের অন্যান্য পরিবারের প্রথমজাত পুত্রদের পরিবর্তে লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের নিচ্ছি| 17 ইস্রায়েলের প্রত্যেক পুংলিঙ্গধারী প্রথমজাত আমার| সেটি মানুষ হোক্ অথবা পশু, তাতে কিছু যায় আসে না, সেটি আমারই| কারণ যেদিন আমি মিশরের সমস্ত প্রথমজাত পুত্র এবং পশুদের হত্যা করেছিলাম, আমি আমার জন্য প্রথমজাত পুত্রদের বাছাই করেছিলাম| 18 কিন্তু এখন আমি তাদের পরিবর্তে লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদেরই নেব| 19 ইস্রায়েলের সকল লোকদের থেকে আমি লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের বেছে নিয়েছিলাম| এবং আমি তাদের হারোণ এবং তার পুত্রদের কাছে উপহার হিসেবে দেব| আমি চাই সমাগম তাঁবুতে তারা কাজ করুক| তারা ইস্রায়েলের সমস্ত লোকর জন্যে সেবাকার্য় করবে| তারা তাদের শুদ্ধিকরণের বলি উত্সর্গ করতে সাহায্য করবে যা ইস্রায়েলের লোকদের শুচি করবে| তাহলে ইস্রায়েলের লোকরা পবিত্র স্থানের কাছাকাছি এলেও তারা কোনো বড় রকমের অসুস্থতা বা সমস্যার সম্মুখীন হবে না|” 20 সুতরাং মোশি, হারোণ এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোক প্রভুর আদেশ পালন করল| প্রভু মোশিকে যা আদেশ করেছিলেন, ইস্রায়েলীয়রা লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের প্রতি তা সম্পন্ন করল| 21 লেবীয়রা তাদের নিজেদের এবং তাদের পোশাক পরিচ্ছদ পরিষ্কার করলে হারোণ তাদের প্রভুর কাছে দোলনীয় নৈবেদ্যর মতো অর্পণ করল| হারোণ যে নৈবেদ্য নিবেদন করল তা তাদের পাপমুক্ত এবং শুচি করল| 22 এরপর লেবীয়রা তাদের নির্ধারিত কাজ করার জন্য সমাগম তাঁবুতে এল| তারা হারোণ এবং তার পুত্রদের অধীনে ছিল| প্রভু মোশিকে যা বলেছিলেন লেবীয়দের প্রতি তাই করা হয়েছিল| 23 এরপর প্রভু মোশিকে বললেন, 24 “এটি লেবীয়দের জন্য এক বিশেষ আদেশ: 25 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক প্রত্যেক লেবীয় পুরুষ সমাগম তাঁবুতে অবশ্যই আসবে এবং সমাগম তাঁবুর কাজকর্মে অংশ নেবে| 25 কিন্তু যখন কারোও বয়স 50 বছর তখন সে অবশ্যই ভারী কাজকর্ম থেকে অবসর নেবে| 26 পঞ্চাশ বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক সেই সকল ব্যক্তিরা সমাগম তাঁবুতে পাহারা দিয়ে তাদের ভাইদের কাজে সাহায্য করতে পারে| কিন্তু তারা যেন কোন ভারী কাজ না করে| যখন তুমি লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের তাদের কাজের জন্য মনোনীত করেছো তখন তুমি এই কাজগুলি অবশ্যই করবে|”
9:1 ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ছেড়ে চলে আসার পরে দ্বিতীয় বছরের প্রথম মাসে প্রভু সীনয় মরুভূমিতে মোশির সাথে এই কথা বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের ঠিক সমযে নিস্তারপর্বের পবিত্র দিন উদয়াপন করতে বলে দাও| 3 তারা অবশ্যই এই মাসের 14 তারিখ, গোধুলি বেলায উদ্বারের পবিত্র দিনের খাদ্য গ্রহণ করবে| তারা অবশ্যই নির্ধারিত সমযে এই কাজ করবে এবং নিস্তারপর্বের সকল নিয়ম তারা অবশ্যই পালন করবে|” 4 সুতরাং মোশি ইস্রায়েলের লোকদের নিস্তারপর্ব উদয়াপন করতে বলেছিল| 5 ইস্রায়েলের লোকরা প্রথম মাসের 14 তারিখে গোধুলি বেলায সীনয় মরুভূমিতে নিস্তারপর্ব পালন করেছিল| প্রভু মোশিকে যেভাবে আদেশ করেছিলেন ইস্রায়েলীয়রা ঠিক সেভাবেই কাজ করেছিল| 6 কিন্তু কিছু লোক ঐ দিনটিকে নিস্তারপর্বের পবিত্র দিন হিসেবে উদয়াপন করতে পারে নি| তারা অশুচি ছিল, কারণ তারা একটা মৃতদেহ স্পর্শ করেছিল| সুতরাং তারা ঐ দিনে মোশি এবং হারোণের কাছে গেল| 7 তারা মোশিকে বলল, “আমরা এক ব্যক্তির মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছি| নির্ধারিত সমযে প্রভুকে উপহার দিতে আমাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে| সুতরাং আমরা ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সঙ্গে নিস্তারপর্ব উদয়াপন করতে পারছি না| আমরা কি করব?” 8 মোশি তাদের বলল, “আমি প্রভুকে জিজ্ঞেস করবো তিনি এ ব্যাপারে কি বলেন|” 9 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, 10 “তুমি এই কথাগুলো ইস্রায়েলের লোকদের বলো: এই নিয়ম তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের জন্যই| কোনো একজনের পক্ষে নির্ধারিত সমযে নিস্তারপর্ব উদয়াপন করা সম্ভব নাও হতে পারে| হয়তো সেই ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে অশুচি হয়েছিল অথবা দূর দেশে যাত্রা করেছিল| 11 তবু সেই ব্যক্তি অন্য কোনোও সমযে নিস্তারপর্ব উদয়াপন করতে পারবে| দ্বিতীয় মাসের 14 তারিখে গোধুলি বেলায অবশ্যই সে নিস্তারপর্ব উদয়াপন করবে| ঐ সমযে তারা অবশ্যই নিস্তারপর্বের মেষ, খামির ছাড়া তৈরী রুটি এবং কিছু তেতো শাকপাতা দিয়ে খাবে| 12 তারা পরের দিন সকাল পর্য়ন্ত ঐ খাবারের কোনো কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না এবং অবশ্যই সেই মেষের কোনো হাড় ভগ্ন করবে না| সে অবশ্যই নিস্তারপর্বের সব নিয়ম অনুসরণ করবে; 13 কিন্তু যে লোকটি শুচি এবং বেড়াতে যায় নি সে যদি নির্দিষ্ট সময় নিস্তারপর্ব উদয়াপন না করে, তাহলে তাকে অবশ্যই তার লোকদের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে| সে দোষী এবং শাস্তির য়োগ্য় কারণ সে নির্দিষ্ট সময় প্রভুকে তার উপহার দেয নি| 14 “তোমাদের সঙ্গে আছে এমন কোনো বিদেশী যদি প্রভুর নিস্তারপর্ব উদ্য়াপনের জন্য ইচ্ছুক হয় তাহলে সে অবশ্যই তা করবে কিন্তু সে অবশ্যই নিস্তারপর্বের সকল বিধি অনুসরণ করবে| একই নিয়ম সকলের জন্য প্রয়োজ্য|” 15 যেদিন সমাগম তাঁবু অর্থাত্ চুক্তির সেই তাঁবু স্থাপিত হল, সেদিন সন্ধ্যায ঈশ্বরের মেঘ সেটিকে আবৃত করল এবং সকাল পর্য়ন্ত পবিত্র তাঁবুর উপরের মেঘকে ঠিক আগুনের মতো দেখাচ্ছিল| 16 মেঘটি সমস্তক্ষণ পবিত্র তাঁবু আবৃত করত এবং রাত্রে সেটাকে আগুনের মতো দেখাতো| 17 মেঘটি পবিত্র তাঁবুর ওপর থেকে স্থান পরিবর্তন করলে, ইস্রায়েলীয়রা সেটিকে অনুসরণ করল| যখন মেঘটি থামত তখন ইস্রায়েলীয়রা সেখানেই শিবির স্থাপন করত| 18 কখন যাত্রা শুরু করতে হবে, কখন থামতে হবে এবং কখন শিবির স্থাপন করতে হবে সে ব্যাপারে ইস্রায়েলের লোকদের প্রভু এই রাস্তাই দেখিয়েছিলেন| যতক্ষণ পর্য়ন্ত পবিত্র তাঁবুর উপরে মেঘ থাকত, ততক্ষণ পর্য়ন্ত লোকরা সেই একই জায়গায় শিবির স্থাপন করে বসবাস করত| 19 কোনো কোনো সমযে পবিত্র তাঁবুর ওপরে দীর্ঘ সময় ধরে মেঘ থাকতো| ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর আদেশ পালন করত এবং সেই স্থান ত্যাগ করত না| 20 কোনো সমযে আবার অল্প কযেকদিনের জন্যে পবিত্র তাঁবুর উপরে মেঘ থাকতো| সুতরাং লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত - যখন মেঘ চলতে শুরু করত, তখন তারাও সেই মেঘকে অনুসরণ করত| 21 কোনো সময় আবার মাত্র এক রাত্রির জন্য মেঘ স্থায়ী হত পরদিন সকালেই আবার চলতে শুরু করত| সুতরাং লোকরা তাদের জিনিসপত্র এক জায়গায় জড়ো করে মেঘকে অনুসরণ করত| দিনের বেলায অথবা রাত্রিতে যখনই মেঘ চলতে শুরু করত তখনই লোকরা তাকে অনুসরণ করত| 22 যদি সেই মেঘ দুদিন অথবা এক মাস অথবা এক বছরের জন্য পবিত্র তাঁবুর উপরে স্থায়ী হত তখনও লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত| তারা সেই জায়গায় থাকত এবং সেই স্থান থেকে মেঘ না সরে যাওয়া পর্য়ন্ত সেই স্থান তারা ত্যাগ করত না| এরপর মেঘ সেই জায়গা থেকে উঠে চলতে শুরু করলে, লোকরাও চলতে শুরু করত| 23 সুতরাং লোকরা প্রভুর আদেশ পালন করত| প্রভু বললে তারা শিবির স্থাপন করত এবং প্রভু বললে তারা চলতে শুরু করত| লোকরা খুব সতর্কভাবে নজর রাখত এবং প্রভু মোশিকে যা আদেশ করতেন তা তারা পালন করত|
10:1 প্রভু মোশিকে বললেন: 2 “দুটি রূপোর শিঙা তৈরী কর| শিঙা দুটি তৈরী করার জন্য পেটানো রূপো ব্যবহার কর| লোকদের একসঙ্গে ডাকার জন্যে এবং শিবির স্থানান্তরের সময় বলার জন্য এই শিঙা দুটি ব্যবহার করা হবে| 3 যদি শিঙা দুটি এক সাথে দীর্ঘসুরে জোরে বাজাও, তাহলে সব লোক যেন সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে তোমার সামনে আসে| 4 কিন্তু যদি তুমি তোমার সঙ্গে দেখা করার জন্য নেতাদের অর্থাত্ ইস্রায়েলের বারোটি পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানদের জড়ো করতে চাও, তাহলে কেবলমাত্র একটি শিঙাকেই দীর্ঘ সুরে বাজাবে| 5 “শিঙা দুটি অল্পক্ষণের জন্য বাজানো হলে বোঝাবে যে শিবিরকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে| তখন সমাগম তাঁবুর পূর্বদিকে যে পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করেছে তারা অবশ্যই চলতে শুরু করবে| 6 দ্বিতীয়বার শিঙা দুটিকে অল্পক্ষণের জন্য বাজালে সমাগম তাঁবুর দক্ষিণদিকে যে পরিবারগোষ্ঠী শিবির স্থাপন করেছে তারা চলতে শুরু করবে| 7 কিন্তু যদি বিশেষ সভার জন্য লোকদের এক জায়গায় একত্রিত করতে চাও, তাহলে শিঙা দুটিকে দীর্ঘ সময় ধরে কিন্তু অন্যভাবে বাজাবে| 8 কেবলমাত্র হারোণের পুত্ররা এবং যাজকরা শিঙা দুটিকে বাজাবে| এই বিধি তোমাদের এবং তোমাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য চিরকালীন বিধি| 9 “যদি তুমি তোমার কোনো শত্রুর সঙ্গে তোমার নিজের দেশে যুদ্ধ করতে যাও, তাহলে তুমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাওয়ার আগে শিঙা দুটিকে অল্প সমযের জন্য জোরে বাজাবে| প্রভু তোমার ঈশ্বর, তোমার শিঙার আওয়াজ শুনতে পাবেন এবং তিনি তোমাকে তোমার শত্রুদের হাত থেকে বাঁচাবেন| 10 এছাড়াও তোমার বিশেষ সভার সময়, অমাবস্যার দিনগুলোতে এবং তোমাদের সকলের সুখের সমাবেশে এই শিঙা দুটিকে বাজাবে| তুমি যখন তোমার হোমবলি এবং মঙ্গল নৈবেদ্য প্রদান করবে সেই সময়ও শিঙা দুটিকে বাজাবে| প্রভু, তোমার ঈশ্বর তোমাকে যেন মনে রাখেন, সে জন্যই এই বিশেষ পদ্ধতি| এটি করার জন্য আমি তোমাকে আদেশ করছি; আমিই প্রভু তোমার ঈশ্বর|”‘ 11 ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ত্যাগ করার পরে, দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মাসের 20 তম দিনে চুক্তির তাঁবুর ওপর থেকে মেঘ উঠল| 12 তাই ইস্রায়েলের লোকরা তাদের যাত্রা শুরু করল| তারা সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে পারণ মরুভূমিতে মেঘ থামা পর্য়ন্ত ভ্রমণ করল| 13 এই প্রথম লোকরা তাদের শিবির স্থানান্তর করল| প্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করলেন, সেই ভাবেই তারা এটিকে স্থানান্তর করল| 14 যিহূদার শিবির থেকে প্রথমে তিনটি গোষ্ঠী গেল| তারা তাদের পতাকা নিয়েই ভ্রমণ করল| প্রথম গোষ্ঠীটি ছিল যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী| অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন ছিল ঐ গোষ্ঠীর দল নেতা| 15 এরপর এলেন ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠী| সূযারের পুত্র নথনেল ছিল ঐ গোষ্ঠীর দল নেতা| 16 তারপরে এল সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠী| হেলোনের পুত্র ইলীয়াব ছিল ঐ গোষ্ঠীর দল নেতা| 17 এরপর পবিত্র তাঁবুটিকে তোলা হল, গের্শোন এবং মরারি পরিবারের লোকরা পবিত্র তাঁবুটিকে বহন করছিল, সুতরাং এই পরিবারের লোকরা সারিতে ঠিক তার পরেই ছিল| 18 এরপর রূবেণের শিবির থেকে তিনটি গোষ্ঠী তাদের পতাকাসহ ভ্রমণ করল| প্রথম গোষ্ঠীটি ছিল রূবেণের পরিবারগোষ্ঠী| শদেযূরের পুত্র ইলীযুর ছিল এই গোষ্ঠীর দল নেতা| 19 এরপর শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠী এল| সুরীশদ্দযের পুত্র শলুমীযেল ছিল এই গোষ্ঠীর দল নেতা| 20 এবং তারপরে এসেছিল গাদের পরিবারগোষ্ঠী| দ্য়ুযেলের পুত্র ইলীয়াসফ ছিল এই গোষ্ঠীর দল নেতা| 21 কহাত্ পরিবার, যারা পবিত্র তাঁবু বহন করত, এরপর তারা যাত্রা শুরু করল কারণ নতুন জায়গায় আসামাত্রই তাদের তাঁবুটি স্থাপন করতে হবে| 22 এরপর ইফ্রয়িমের শিবির থেকে তিনটি গোষ্ঠী এল| তারা তাদের পতাকাসহ ভ্রমণ করেছিল| প্রথম গোষ্ঠীটি ছিল ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী| অম্মীহূদের পুত্র ইলীশামা ছিল ঐ গোষ্ঠীর দলনেতা| 23 এরপর এসেছিল মনঃশির পরিবারগোষ্ঠী| পদাহসূরের পুত্র গমলীযেল ছিল এই গোষ্ঠীর দলনেতা| 24 এরপর এল বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠী| গিদিযোনির পুত্র অবীদান ছিল ঐ গোষ্ঠীর দলনেতা| 25 শেষ তিনটি পরিবারগোষ্ঠী ছিল অন্যান্য সকল পরিবারগোষ্ঠীর পশ্চাদভাগরক্ষী| তারা ছিল দানের শিবিরের গোষ্ঠীভুক্ত| তারা তাদের পতাকা নিয়ে ভ্রমণ করল| প্রথম গোষ্ঠীটি ছিল দানের পরিবারগোষ্ঠী| অম্মীশদ্দযের পুত্র অহীযেষর ছিল এই গোষ্ঠীর দল নেতা| 26 এরপরে এল আশেরের পরিবারগোষ্ঠী অক্রণের পুত্র পগীযেল ছিল ঐ গোষ্ঠীর দল নেতা| 27 এরপরে এল নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী| ঐননের পুত্র অহীরঃ ছিল ঐ গোষ্ঠীর দল নেতা| 28 স্থানান্তরে যাবার সময় ইস্রায়েলের লোকরা এইভাবেই একসাথে যেত| 29 মিদিযোনীয রূযেলের পুত্র ছিল হোবব| (রূযেল ছিল মোশির শ্বশুর|) মোশি হোরবকে বলল, “আমরা সেই দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছি যেটা ঈশ্বর আমাদের দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলেন| আমাদের সঙ্গে এসো আমরা তোমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবো| প্রভু ইস্রায়েলীয়দের পক্ষে মঙ্গল প্রতিজ্ঞা করেছেন|” 30 কিন্তু হোবব উত্তর দিল, “না, আমি তোমাদের সঙ্গে যাবো না| আমি আমার জন্মভূমিতে, আমার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবো|” 31 তখন মোশি বলল, “দয়া করে আমাদের ছেড়ে যাবেন না| আপনি মরুভূমি সম্পর্কে আমাদের থেকেও বেশী জানেন| আপনি আমাদের পথ প্রদর্শক হতে পারেন| 32 আপনি যদি আমাদের সঙ্গে আসেন তাহলে প্রভু আমাদের যে সকল উত্তম বিষযের অধিকারী করবেন, সেটা আমরা আপনার সঙ্গে ভাগ করে নেব|” 33 এতে হোবব রাজী হল এবং তারা প্রভুর পাহাড়ের চূড়া থেকে যাত্রা শুরু করল এবং তিন দিন পথে চলল| যাজকগণ প্রভুর সঙ্গে চুক্তির সিন্দুকটি নিয়ে লোকদের আগে আগে হাঁটল| শিবিরের জন্য স্থান অন্বেষণে তারা তিনদিন পবিত্র সিন্দুকটিকে বহন করল| 34 প্রত্যেক দিনই প্রভুর মেঘ তাদের ওপরেই থাকত এবং প্রত্যেক দিন সকালে তারা যখন শিবির ত্যাগ করত, তখন মেঘ তাদের পথ প্রদর্শন করত| 35 শিবির স্থানান্তরের জন্য লোকরা যখনই পবিত্র সিন্দুকটিকে ওঠাতো, মোশি তখনই প্রত্যেকবারের মত বলত,“প্রভু তুমি ওঠ! তোমার শত্রুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাক| তোমার শত্রুরা তোমার কাছ থেকে পালিয়ে যাক|” 36 যখনই পবিত্র সিন্দুকটিকে তার নিজের জায়গায় রাখা হত, মোশি তখনই প্রত্যেকবারের মত বলত, “প্রভু তুমি, কোটি কোটি ইস্রায়েলীয়দের কাছে ফিরে এসো|”
11:1 লোকরা তাদের সমস্যা সম্পর্কে অভিয়োগ করা শুরু করলে প্রভু তাদের অভিয়োগ শুনলেন এবং ক্ষুদ্ধ হলেন| প্রভুর কাছ থেকে আগুন এসে লোকদের মধ্যে জ্বলে উঠল| আগুন শিবিরের বাইরের দিকে কিছু কিছু এলাকা গ্রাস করল| 2 তখন লোকরা মোশির কাছে সাহায্যের জন্য ক্রন্দন করল| মোশি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করল এবং আগুন নিভে গেল| 3 সুতরাং তারা ঐ জায়গাটির নাম রাখল তবেরা, কারণ প্রভুর আগুন তাদের শিবিরের মধ্যে জ্বলে উঠেছিল| 4 বিদেশীরা যারা ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে য়োগদান করেছিল, তারা অন্যান্য খাবার খেতে চাইল এবং ইস্রায়েলের লোকরা পুনরায অভিয়োগ করতে শুরু করল| তারা বলল, “কে আমাদের মাংস খেতে দেবে? 5 আমরা মিশরে যে মাছ খেতাম তা মনে পড়ছে| আমাদের ঐ মাছের জন্য কোনো দামই দিতে হত না| এছাড়াও আমাদের খুব ভালো শাকসব্জি ছিল যেমন শশা, ফুটি, পেঁযাজ জাতীয ফল, পেঁযাজ এবং রসুন| 6 কিন্তু এখন আমরা আমাদের শক্তি হারিযে ফেলেছি| এই মান্না ছাড়া আর কোন কিছুই আমরা চোখে দেখতে পাই না|” 7 (এই মান্না ছিল ধনিযা বীজের মত এবং এর রং ছিল গুগ্গুলের মতো| 8 লোকরা এই মান্না এক জায়গায় জড়ো করত| এরপর তারা পাথরের সাহায্যে সেগুলোকে গুঁড়ো করে পাত্রে সেটি রান্না করত| অথবা এটিকে পেষণ য়ন্ত্রে মিহি করে গুঁড়ো করে তা দিয়ে পিঠে তৈরী করত| পিঠেগুলোর স্বাদ ছিল অলিভ তেল দিয়ে তৈরী করা পিঠের মতো| 9 প্রত্যেক রাত্রে যখন শিশির পড়ে শিবির ভিজে যেত সেই সময় এই মান্না মাটিতে পড়তো|) 10 মোশি লোকদের অভিয়োগ করতে শুনল| প্রত্যেক পরিবারের লোকরা তাদের তাঁবুর দরজায বসে এই অভিয়োগ করছিল| প্রভু এতে খুব ক্ষুব্ধ হলেন এবং এটা মোশিকেও মনঃক্ষুন্ন করল| 11 মোশি প্রভুকে জিজ্ঞেস করল, “প্রভু, আপনি কেন আমাকে এই সব সমস্যায় জড়িয়েছেন? আমি আপনার সেবক| আমি এমন কি করেছি যে আপনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন? এই সমস্ত লোকের দায়িত্ব আপনি কেন আমার উপর দিয়েছেন? 12 আমি কি লোকদের গর্ভে ধারণ করেছি, আমি কি এদের জন্ম দিয়েছি? কিন্তু আমাকে তাদের যত্ন নিতে হয়, ঠিক যেমন ভাবে একজন সেবিকা তার দুই বাহুর মধ্যে একটি শিশুকে যত্ন করে| আপনি কেন আমাকে এটি করার জন্য বাধ্য করেছেন? পূর্বপুরুষদের যে জায়গাা দেবার জন্য আপনি প্রতিশ্রুতি করেছিলেন তাদের সেম্প জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন আপনি আমায় বাধ্য করেছেন? 13 এই সব লোককে খাওয়াবার জন্যে আমি কোথায মাংস পাব? তারা সমানে আমার কাছে অভিয়োগ করে বলছে, ‘আমাদের খাবার জন্য মাংস দাও!’ 14 আমি একা এই সমস্ত লোকর দেখাশুনো করতে পারবো না| এই দায়িত্ব আমার কাছে গুরুভার স্বরূপ| 15 আপনি যদি মনস্থ করে থাকেন যে আমার প্রতি এই রকম ব্যবহার করবেন তাহলে আমাকে এখনই হত্যা করুন| আপনি যদি আপনার সেবক হিসেবে আমাকে গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আমাকে এখনই মরতে দিন|” 16 প্রভু মোশিকে বললেন, “ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্য থেকে 70 জনকে আমার কাছে নিয়ে এসো| যাদের তুমি এই লোকদের নেতা বলে জান তাদের সমাগম তাঁবুতে নিয়ে এসো| ওখানেই ওদের তোমার সঙ্গে দাঁড়াতে দাও| 17 তখন আমি নীচে নেমে আসব এবং ওখানেই তোমার সঙ্গে কথা বলবো| তোমার ওপরে যে আত্মা আছে তার কিছুটা অংশ আমি তাদেরও দেবো| তখন তারা লোকদের দেখাশুনো করার জন্য তোমাকে সাহায্য করবে| তাহলে তোমাকে একা এই সব লোকদের দেখাশুনো করার ভার বহন করতে হবে না| 18 “লোকদের বলো: তোমরা আগামীকালের জন্য নিজেদের তৈরী করো| আগামীকাল তোমরা মাংস খাবে| প্রভু তোমাদের কান্না শুনেছেন| প্রভু তোমাদের কথা শুনেছেন, কারণ তোমরা কেঁদে বলেছ, ‘খাওয়ার জন্য আমাদের কে মাংস দেবে? আমাদের জন্য মিশরই ভালো ছিল|’ সুতরাং এখন প্রভু তোমাদের মাংস দেবেন এবং তোমরা তা খাবে| 19 একদিন অথবা দুইদিন অথবা পাঁচদিন অথবা দশদিন এমনকি কুড়িদিনেরও বেশী সময় ধরে তোমরা সেই মাংস খাবে| 20 কিন্তু তোমরা তা এক মাস ধরে খাবে| ঘেন্না না আসা পর্য়ন্ত তোমরা ঐ মাংস খাবে| এটাই তোমাদের ভবিতব্য কারণ তোমরা প্রভুকে অগ্রাহ্য করেছ যিনি তোমাদের মধ্যেই আছেন এবং তোমরা কেঁদে তাঁর সামনে অভিয়োগ করে বলেছ, ‘কেন আমরা আদৌ মিশর ত্যাগ করলাম?”‘ 21 মোশি বলল, “প্রভু এখানে 6,00,000 পুরুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আপনি বলছেন, ‘আমি তাদের এক মাস ধরে খাওয়ার জন্য য়থেষ্ট পরিমাণে মাংস দেব! 22 যদি আমরা সমস্ত গরু এবং মেষদের হত্যা করি তাহলেও এক মাস ধরে এই সমস্ত লোকদের খাওয়ানোর জন্য তা য়থেষ্ট হবে না| এবং আমরা যদি সমুদ্রের সমস্ত মাছ ধরে নিই, তাহলেও তা তাদের জন্য য়থেষ্ট হবে না!” 23 কিন্তু প্রভু মোশিকে বললেন, “প্রভুর ক্ষমতা কি সীমিত? তুমি দেখতে পাবে যে, আমি যা বলি সেটা তোমার কাছে ফলে কি না|” 24 সুতরাং মোশি লোকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বেরিয়ে গেলেন| প্রভু যা যা বলেছিলেন মোশি তাদের তাই বলল| তখন মোশি প্রবীনদের মধ্য থেকে 70 জনকে এক জায়গায় জড়ো করে তাদের তাঁবুর চারদিকে দাঁড়াতে বলল| 25 তখন প্রভু মেঘের মধ্যে নেমে এসে মোশির সাথে কথা বললেন| মোশির ওপর আত্মা ছিল, প্রভু সেই আত্মার কিছু অংশ নিয়ে 70 জন প্রবীণদের ওপরেও রাখলেন| আত্মা তাদের ওপরে নেমে আসলে পরে তারা ভবিষ্যদ্বানী করতে শুরু করল| কিন্তু এরপর তারা আর ভাববানী বলে নি| 26 প্রবীণদের মধ্যে দুজন, ইল্দদ এবং মেদদ তাদের তাঁবুর বাইরে যায় নি| তাদের নাম প্রাচীনদের তালিকায ছিল, কিন্তু তারা শিবিরেই ছিল| কিন্তু তাদের ওপরেও আত্মা এলে তারা শিবিরের মধ্যেই ভবিষ্যদ্বানী করতে শুরু করল| 27 একজন যুবক দৌড়ে গিয়ে মোশিকে এই খবর দিল| সেই ব্যক্তি বলল, “ইল্দদ এবং মেদদ শিবিরের মধ্যেই ভবিষ্যদ্বানী করছ|” 28 নূনের পুত্র যিহোশূয় (যিনি কিশোর বয়স থেকেই মোশির সহকারী ছিলেন) মোশিকে বলল, “হে আমার গুরু মোশি আপনি তাদের থামান্!” 29 কিন্তু মোশি উত্তর দিল, “তুমি কি ভয় পাচ্ছো যে লোকরা ভাববে আমি এখন আর নেতা নই? আমার ইচ্ছা প্রভুর সব প্রজাই যেন ভবিষ্যদ্বানী করতে সক্ষম হয়| আমার ইচ্ছা প্রভু যেন সকলের মধ্যেই তাঁর আত্মাকে রাখেন|” 30 এরপর মোশি এবং ইস্রায়েলের নেতারা শিবিরে ফিরে গেল| 31 এরপর প্রভু ঝড়ের সৃষ্টি করলেন যা সমুদ্র থেকে হঠাত্ এসে হাজির হল| ঝড় সেখানে হঠাত্ই ভারুই পাখীদের নিয়ে এল| ভারুই পাখীরা শিবিরের চারধারে উড়ে বেড়াতে লাগল| এতো বেশী ভারুই পাখী ছিল যে সেই জায়গার মাটি ঢেকে গেল| ভারুই পাখীগুলো মাটির ওপরে তিন ফুট স্তর তৈরী করল| একজন মানুষ একদিনে যতদূর পর্য়ন্ত হাঁটতে পারে, ততদূর পর্য়ন্ত ভারুই পাখীগুলো ছড়িয়ে ছিল| 32 তারা গিয়ে সারাদিন এবং সারারাত ধরে ভারুই পাখীগুলোকে জড়ো করল| পরের দিনও সারাদিন ধরে তারা ভারুই পাখীগুলো জড়ো করল| একজন ব্যক্তি সবচেয়ে ন্যুনতম 60 বুশেল সংগ্রহ করল| এরপর লোকরা ভারুই পাখীর মাংস শিবিরের চারদিকে ছড়িয়ে রাখল| 33 যখন লোকরা মাংস খাওয়া শুরু করল প্রভু খুব ক্রুদ্ধ হলেন| সেই মাংস তাদের মুখে থাকতে থাকতেই এবং তাদের মাংস খাওয়া শেষ করার আগেই প্রভু তাদের গুরুতরভাবে অসুস্থ করে দিলেন| অনেক লোক মারা গেল এবং ঐ জায়গাতেই তাদের কবর দেওয়া হল| 34 এই কারণেই লোকরা ঐ জায়গার নাম রাখল কিব্রোত্-হত্তাবা| তারা ঐ জায়গার ঐ নাম দিল কারণ যাদের মাংসের জন্য খুব আকাঙ্খা ছিল তাদেরই ওখানে কবর দেওয়া হয়েছিল| 35 কিব্রোত্-হত্তাবা থেকে লোকরা হত্সেরোতের দিকে যাত্রা করল এবং সেখানেই থাকল|
12:1 মরিযম এবং হারোণ মোশির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করল| কারণ মোশি একজন কুশীযা মহিলাকে বিবাহ করেছিল| তারা মনে করেছিল যে মোশির পক্ষে একজন কুশীযা মহিলাকে বিবাহ করা ঠিক হয় নি| 2 তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, “প্রভু লোকের সঙ্গে কথা বলার জন্য কি কেবল মোশিকেই ব্যবহার করেছেন| প্রভু কি আমাদের মাধ্যমেও কথা বলেন নি?”প্রভু এই কথাগুলো শুনলেন| 3 (মোশি খুব নম্র ছিল| পৃথিবীতে যে কোনো মানুষের থেকে সে বেশী নম্র ছিল|) 4 হঠাত্ই প্রভু এলেন এবং মোশি, হারোণ এবং মরিযমের সঙ্গে কথা বললেন| প্রভু বললেন, “তোমরা তিনজন এখন সমাগম তাঁবুতে এসো|”সুতরাং মোশি, হারোণ এবং মরিযম পবিত্র তাঁবুতে গেল| 5 প্রভু মেঘ স্তম্ভের মধ্যে নেমে এলেন এবং পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথে এসে দাঁড়ালেন| প্রভু ডাকলেন, “হারোণ এবং মরিযম!” হারোণ এবং মরিযম তখন বেরিয়ে এল| 6 ঈশ্বর বললেন, “আমার কথা শোনো! তোমাদের মধ্যে ভাববাদী থাকবে| আমি প্রভু দর্শনে তাদের দেখা দেবো| আমি তাদের সঙ্গে স্বপ্নে কথা বলবো| 7 কিন্তু আমার দাস মোশি সেরকম নয়| মোশি আমার বিশ্বস্ত সেবক| আমার বাড়ীর প্রত্যেকেই তাকে বিশ্বাস করে| 8 আমি যখন তার সঙ্গে কথা বলি, তখন তার সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলি| আমি এমন কোনো ধাঁধার সাহায্য নিই না যার ভেতরে কোনো অর্থ লুকিয়ে আছে; আমি তাকে যে জিনিস জানাতে চাই সেটা আমি তাকে পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিই| এবং মোশি প্রভুর সেই প্রতিমূর্ত্তির দিকে তাকিযে থাকতে পারে| সুতরাং আমার সেবক মোশির বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তোমাদের কি করে হল? 9 প্রভু তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হলেন, তাই তাদের ত্যাগ করলেন| 10 পবিত্র তাঁবু থেকে মেঘ উপরে উঠলে দেখা গেল মরিযমের চামড়া হিমের মত সাদা| হারোণ ঘুরে মরিযমের দিকে তাকিযে দেখল, তার শরীরের চামড়ার রং তুষারের মতো সাদা| তার মারাত্মক চামড়ার রোগ হয়েছে| 11 তখন হারোণ মোশির কাছে অনুনয় করে বলল, “মহাশয়, দয়া করুন, আমরা মুর্খের মতো যে কাজ করেছিলাম তার জন্য আমাদের ক্ষমা করুন| 12 মৃত অবস্থার জন্ম হয়েছে এমন একটি শিশুর মতো তাকে তার শরীরের চামড়া হারাতে দেবেন না|” (কখনও কখনও এক একটি শিশুর জন্ম হয় যাদের শরীরের অর্ধেক চামড়া ক্ষযে গেছে|) 13 এই কারণে মোশি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করল, “ঈশ্বর, দয়া করে মরিযমকে এই অসুস্থতা থেকে আরোগ্য় করুন!” 14 প্রভু মোশিকে উত্তর দিলেন, “যদি তার পিতা তার মুখে থুথু ফেলে, তাহলে সে সাতদিনের জন্যে লজ্জিত থাকত না? সুতরাং তাকে সাত দিনের জন্য শিবিরের বাইরে রাখো| ঐ সমযের পরে, সে সুস্থ হয়ে উঠবে| তখন সে শিবিরে ফিরে আসতে পারে|” 15 সুতরাং তারা মরিযমকে সাত দিনের জন্যে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল এবং লোকরাও সেই জায়গা থেকে আর এগোলো না, যতক্ষণ পর্য়ন্ত তাকে আবার শিবিরে ফিরিযে না নিয়ে আসা হল| 16 এরপর লোকরা হত্সেরোত্ ত্যাগ করে পারণ মরুভূমির উদ্দেশ্যে গমন করল এবং ঐ মরুভূমিতেই শিবির স্থাপন করল|
13:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “কনান দেশের জমি অনুসন্ধানের জন্য কিছু লোক পাঠিয়ে দাও| ইস্রায়েলের লোকদের আমি এই দেশটিই দেবো| বারোটি পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেকটির থেকে একজন করে নেতা পাঠিয়ে দাও|” 3 সুতরাং পারণ মরুভূমিতে বাস করার সময় মোশি প্রভুর আদেশ অনুসারে ইস্রায়েলের এই সব নেতাদের পাঠিয়ে দিয়েছিল| 4 ঐসব নেতাদের নামগুলো হল এই:রূবেণের পরিবারগোষ্ঠী থেকে সক্কুরের পুত্র শম্মুযা| 5 শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে হোরির পুত্র শাফট| 6 যিহূদার পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়িফুন্নির পুত্র কালেব| 7 ইষাখর পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়োষেফের পুত্র য়িগাল| 8 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠী থেকে নূনের পুত্র হোশেয়| 9 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠী থেকে রাফুর পুত্র পল্টি| 10 সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী থেকে সোদির পুত্র গদ্দীযেল| 11 য়োষেফের পরিবারগোষ্ঠী থেকে (মনঃশি) সুষির পুত্র গদ্দি| 12 দান পরিবারগোষ্ঠী থেকে গমল্লির পুত্র অম্মীযেল| 13 আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকে মীখায়েলের পুত্র সথুর| 14 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী থেকে বপ্সির পুত্র নহ্বি| 15 গাদের পরিবারগোষ্ঠী থেকে মাখির পুত্র গ্য়ুযেল| 16 মোশি উল্লিখিত ব্যক্তিদের সেই দেশ দেখতে এবং জায়গাটি সম্বন্ধে ধারণা অর্জন করতে পাঠিয়েছিল| (মোশি নূনের পুত্র হোশেয়কে অন্য আরেকটি নামে ডাকত| মোশি তাকে যিহোশূয় বলে ডাকত|) 17 মোশি তাদের কনান দেশ অনুসন্ধান করতে পাঠিয়ে বলেছিল, “প্রথমে নেগেভের মধ্য দিয়ে যাও এবং তারপরে পাহাড়ী দেশে ঢুকে পড়ো| 18 দেখো, জায়গাটি কেমন দেখতে| ওখানে যারা বসবাস করে তাদের সম্বন্ধে খোঁজ নাও তারা কতোখানি শক্তিশালী অথবা দুর্বল? তারা সংখ্যায় কম না বেশী? 19 তারা যেখানে বসবাস করছে সেই জায়গাটি সম্বন্ধে জানো| সেখানকার জমি কি ভালো না খারাপ? কি ধরণের শহরে তারা বাস করে? তাদের সুরক্ষার জন্য কি শহরে কোনো প্রাচীর আছে? শহরগুলো কি মজবুতভাবে সুরক্ষিত? 20 এবং দেশটির সম্পর্কে অন্যান্য বিষযও জেনে নাও - যেমন সেখানকার জমি উর্বর না অনুর্বর? সেখানে গাছ আছে কি না? এছাড়াও সেই জায়গা থেকে ফিরে আসার সময় সেখান থেকে কিছু ফল নিয়ে আসার চেষ্টা করো|” (এটা ছিল সেই সময় যখন গাছে প্রথম দ্রাক্ষা পাকে|) 21 সুতরাং তারা সেই দেশ অনুসন্ধান করতে চলে গেল| তারা সীন মরুভূমি থেকে রহোব এবং লেবো হমাত পর্য়ন্ত জায়গা অনুসন্ধান করল| 22 তারা নেগেভের মধ্য দিয়ে দেশে প্রবেশ করে হিব্রোণে গেল| (মিশরের সোযন শহর তৈরীর সাত বছর আগে হিব্রোণ শহর তৈরী হয়েছিল|) অহীমান, শেশয এবং তল্ময ওখানে বাস করতেন| তারা ছিলেন অনাকের উত্তরপুরুষ| 23 এরপর তারা ইষ্কোল উপত্যকায গিয়ে সেখানে একটি দ্রাক্ষা গাছের শাখা কাটল| শাখাটিতে এক থোকা দ্রাক্ষা ছিল| তারা সেম্প শাখাকিে একটি খুঁটির মাঝখানে রেখে দুজন মিলে সেই খুঁটি বহন করল| এছাড়াও তারা ডালিম ফল এবং ডুমুরও নিয়ে এসেছিল| 24 ঐ জায়গাটির নাম ছিল ইষ্কোল উপত্যকা, কারণ ঐ জায়গাতেই ইস্রায়েলের লোকরা দ্রাক্ষার থোকাগুলো কেটেছিল| 25 40 দিন ধরে গুপ্তচররা সেই দেশ অনুসন্ধান করল| এরপর তারা শিবিরে ফিরে গেল| 26 ইস্রায়েলের গুপ্তচররা সেই সময় কাদেশের কাছে পারণ মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল| গুপ্তচররা মোশি হারোণ এবং ইস্রায়েলের সব লোকদের কাছে গিয়ে তারা যা যা দেখেছে সে সম্পর্কে বলল এবং তাদের সেই দেশের ফলও দেখাল| 27 তারা মোশিকে বলল, “আমরা সেই দেশে গেলাম যেখানে আপনি আমাদের পাঠালেন| সেই দেশটি প্রচুর ভালো ভালো দ্রব্যসামগ্রীতে পরিপূর্ণ| এখানে এমন কিছু ফল আছে যা ওখানে ফলে| 28 কিন্তু ওখানে যারা বসবাস করে তারা খুবই শক্তিশালী| শহরগুলো খুবই বড়ো| খুবই মজবুতভাবে সেগুলি সুরক্ষিত| এমনকি আমরা সেখানে অনাকের কযেকজন লোককে দেখেছি| 29 অমালেকের লোকরা নেগেভে বাস করে| হিত্তীয়, য়িবুষীয এবং ইমোরীয়েরা পার্বত্য শহরে বাস করে| কনানীযরা সমুদ্রের কাছে যর্দন নদীর পাশে বাস করে|” 30 মোশির কাছে যারা বসেছিল, কালেব তখন তাদের চুপ করতে বলল| তারপর কালেব বলল, “আমরা ওপরে যাবো এবং ঐ জায়গা আমাদের জন্য অধিকার করব| আমরা সহজেই ঐ জায়গা অধিকার করতে পারবো|” 31 কিন্তু তার সঙ্গে অন্য যারা গিয়েছিল তারা বলল, “আমরা ঐ লোকদের সঙ্গে লড়াই করতে পারবো না| তারা আমাদের থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী|” 32 এবং ঐ লোকরা ইস্রায়েলের অন্যান্য সমস্ত লোকদের বলল যে ঐ দেশের লোকদের পরাস্ত করার পক্ষে তারা য়থেষ্ট শক্তিশালী নয়| তারা বলল, “আমরা যে দেশ দেখেছিলাম সে দেশটি শক্তিশালী লোক পরিপূর্ণ| যারা ওখানে গিয়েছে এমন যে কোনো ব্যক্তিকেই ওখানকার অধিবাসীরা খুব সহজেই পরাস্ত করতে পারবে| এমন শক্তি তাদের আছে| 33 আমরা সেখানে দৈত্যাকার নেফিলিম লোকদের দেখেছি| (অনাকের উত্তরপুরুষরা নেফিলিম লোকদের থেকেই এসেছিল|) তাদের কাছে আমাদের ফড়িং-এর মতো দেখাচ্ছিল| হ্যাঁ, আমরা তাদের কাছে ফড়িং-এর মতো|”
14:1 সেই রাত্রে সমস্ত লোকরা শিবিরের মধ্যে প্রবল চিত্কার শুরু করল এবং কান্নাকাটিও করল| 2 ইস্রায়েলের লোকরা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে অভিয়োগ করতে লাগল| সমস্ত মানুষ এক জায়গায় একত্রিত হয়ে মোশি ও হারোণকে বলল, “আমাদের মিশরে অথবা মরুভূমিতে মরে যাওয়া উচিত্ ছিল| এই নতুন দেশে এসে নিহত হওয়ার থেকে সেটাই বরং ভালো ছিল| 3 যুদ্ধে হত হওয়ার জন্যেই কি প্রভু আমাদের এই নতুন দেশে নিয়ে এলেন? শত্রুরা আমাদের হত্যা করবে এবং আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাবে| মিশরে ফিরে যাওয়াই কি আমাদের পক্ষে ভালো নয়?” 4 তখন লোকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, “এখন আমরা একজন নতুন নেতাকে নির্বাচন করবো এবং মিশরে ফিরে যাবো|” 5 মোশি এবং হারোণ সেখানে ইস্রায়েলের সমবেত সকলের সামনে মাটিতে উবুড় হয়ে পড়ল| 6 নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং য়িফুন্নির পুত্র কালেব, যারা সেই দেশ অনুসন্ধান করে দেখতে গিয়েছিলেন, এই ঘটনায় বিচলিত হয়ে নিজেদের কাপড় ছিঁড়ল| 7 সেখানে ইস্রায়েলের সমস্ত লোকর সামনে ঐ দুইজন বলল, “আমরা যে দেশটি দেখেছি সেটি খুবই ভালো| 8 প্রভু যদি আমাদের উপর খুশী হয়ে থাকেন, তাহলে তিনিই আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে ঐ জায়গায় নিয়ে যাবেন| এবং প্রভু আমাদের সেই সমৃদ্ধ এবং উর্বর দেশটি দিয়ে দেবেন! 9 সুতরাং প্রভুর বিরুদ্ধে যেও না| ঐ দেশের লোকদের ভয় পেও না| আমরা তাদের সহজেই পরাস্ত করব| তারা আর সুরক্ষিত নয়, তা তাদের থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে| কিন্তু আমাদের সঙ্গে প্রভু আছেন| সুতরাং ভয় পেও না!” 10 সকলেই যখন যিহোশূয় এবং কালেবকে পাথর দিয়ে হত্যা করার কথা বলছিল, সেই সময় সমাগম তাঁবুর ওপরে তখনই প্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল এবং সকলেই সেটা দেখতে পেল| 11 প্রভু মোশিকে তখনই বললেন, “এই সব লোকরা আর কতদিন আমার বিরুদ্ধাচরণ করবে? তাদের মধ্যে আমি যে সব নানা অলৌকিক কাজ করেছি তা দেখা সত্ত্বেও এরা কতদিন আমাকে অবিশ্বাস করবে? 12 আমি তাদের ভয়ঙ্করভাবে অসুস্থ করে দিয়ে হত্যা করবো| আমি তাদের ধ্বংস করবো এবং তোমাকে এদের চেয়ে বড় এবং বলবান জাতিতে পরিণত করবো|” 13 তখন মোশি প্রভুকে বলল, “আপনি যদি তা করেন তবে, মিশরীয়রা সে সম্পর্কে জানতে পারবে| তারা জানে যে আপনার লোকদের মিশর থেকে বের করে আনার সময় আপনি আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন| 14 এবং মিশরের লোকরা এ সম্পর্কে কনানের লোকদের কাছেও বলবে| তারা এর মধ্যেই জেনে গেছে যে আপনিম্প প্রভু| তারা জানে যে আপনি আপনার লোকদের সঙ্গে আছেন| কারণ তারা আপনাকে দেখতে পায় এবং আপনার মেঘ তাদের উপর অবস্থিত| তারা এও জানে যে দিনের বেলায মেঘস্তম্ভে থেকে এবং রাত্রিবেলা অগ্নিস্তম্ভে থেকে তাদের আগে আগে যান| 15 সুতরাং আপনি যদি এদের সকলকে একসাথে হত্যা করেন, তাহলে সেই সব জাতি, যারা আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে শুনেছে, তারা বলবে, 16 “প্রভু এই সব লোকদের এই দেশে আনতে সক্ষম হন নি, যার সম্বন্ধে তিনি তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন| এই কারণেই প্রভু তাদের মরুভূমিতে হত্যা করেছেন|’ 17 “সুতরাং এখন হে প্রভু আপনি আপনার বাক্য় অনুসারে আপনার শক্তি প্রদর্শন করুন| 18 আপনি বলেছিলেন, ‘প্রভু ধীরে ক্রুদ্ধ হন এবং প্রেমে মহান|’ পাপী এবং বিধি ভঙ্গকারীদের তিনি ক্ষমা করেন; কিন্তু তিনি অবশ্যই দোষীদের শাস্তি দেন| প্রভু ঐসব লোকদের শাস্তি দেন এবং এছাড়াও তাদের পুত্রদের, তাদের পৌত্র-পৌত্রীদের এমনকি তাদের প্রপৌত্র প্রপৌত্রীদেরও এই সকল খারাপ কাজের জন্য শাস্তি দেন!’ 19 তাই এখন আপনি এইসব লোকদের আপনার মহত্ ভালোবাসা দেখান| তাদের পাপকে ক্ষমা করে দিন| মিশক ত্যাগ করার পর থেকে এখন পর্য়ন্ত আপনি তাদের যেভাবে ক্ষমা করে এসেছেন সেই ভাবেই এখনও আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন|” 20 প্রভু উত্তর দিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, তুমি যে ভাবে বলেছো, সেই ভাবেই আমি তাদের ক্ষমা করে দেবো| 21 কিন্তু আমি তোমাকে সত্য কথাই বলছি| আমি যেমন নিশ্চিতভাবেই বেঁচে আছি এবং আমার মহিমায যেমন সারা পৃথিবী নিশ্চিতভাবেই পরিপূর্ণ, তেমনি নিশ্চয়তার সঙ্গেই আমি তোমার কাছে শপথ করছি| 22 মিশর থেকে আমি যাদের নিয়ে এসেছিলাম, তাদের কেউই কনান দেশ দেখতে পাবে না| কারণ ঐসব লোকই আমার মহিমা এবং মিশরে ও মরুভূমিতে আমি যে সব অলৌকিক কাজ করেছিলাম সেগুলো দেখেছিল| কিন্তু তাও তারা আমাকে অমান্য করেছে এবং আমাকে এই নিয়ে দশবার পরীক্ষা করেছে| 23 আমি তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম| আমি শপথ করেছিলাম যে আমি তাদের ঐ জায়গা দিয়ে দেব| কিন্তু যারা আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তাদের কেউই সেই জায়গায় কোনোদিন প্রবেশ করবে না| 24 তবে আমার সেবক কালেব একটু আলাদা রকমের; সে আমাকে পুরোপুরি অনুসরণ করেছে| সুতরাং সে যে জায়গা এর মধ্যেই দেখে নিয়েছে, আমি তাকে সেই জায়গাতেই নিয়ে আসব এবং তার বংশ সেই জায়গা অধিকার করবে| 25 অমালেকীয়রা এবং কনানীযরা উপত্যকায বাস করছে| সুতরাং আগামীকাল তুমি অবশ্যই এই জায়গা ত্যাগ করবে| সূফ সাগরে যাওয়ার পথ ধরে তুমি মরুভূমিতে ফিরে যাও|” 26 প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 27 “এই সব দুষ্ট লোকরা আর কতদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে অভিয়োগ করবে? আমি তাদের অভিয়োগ ও অসন্তোষ শুনেছি| 28 সুতরাং তাদের বলে দাও, ‘তোমরা যে সব ব্যাপারে অভিয়োগ করেছিলে, প্রভু নিশ্চিতভাবেই তোমাদের সেই সব অভিয়োগগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন| তোমাদের যা হবে তা হল এই: 29 মরুভূমিতেই তোমরা মারা যাবে| 20 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক প্রত্যেক ব্যক্তি, যারা প্রত্যেকে আমার লোকদের একজন বলে গণ্য ছিল, তারা মারা যাবে| কারণ তোমরা আমার বিরুদ্ধে অর্থাত্ প্রভুর বিরুদ্ধে অভিয়োগ করেছিলে| 30 সুতরাং যে দেশ আমি তোমাদের দেবো বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সেখানে তোমাদের কেউই কোনোদিন প্রবেশ করতে এবং বাস করতে পারবে না| কেবলমাত্র য়িফুন্নির পুত্র কালেব এবং নূনের পুত্র যিহোশূয় সে দেশে প্রবেশ করতে পারবে| 31 তোমরা ভয় পেয়েছিলে এবং অভিয়োগ করেছিলে যে নতুন দেশে তোমাদের শত্রুরা তোমাদের কাছ থেকে তোমাদের সন্তানদের ছিনিয়ে নিয়ে যাবে; কিন্তু আমি বলছি, আমি ঐ সন্তানদের সেই দেশে নিয়ে আসবো| তোমরা যা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছো, তারা সেই জিনিসগুলোই উপভোগ করবে| 32 কিন্তু তোমরা এই মরুভূমিতেই মারা যাবে| 33 “তোমাদের সন্তানরা 40 বছর ধরে মরুভূমিতে মেষপালক হয়ে থাকবে| তোমাদের অবিশ্বস্ততার জন্য তারা শাস্তি ভোগ করবে| তারা অবশ্যই এই কষ্ট ভোগ করবে যতক্ষণ পর্য়ন্ত না তোমরা সবাই মরুভূমিতে মারা যাচ্ছে| 34 তোমরা 40 বছর ধরে তোমাদের পাপের জন্য শাস্তি ভোগ করবে| (অর্থাত্ 40 দিন ধরে লোকরা যে জায়গাটি অনুসন্ধান করেছিলো তার প্রতিদিনের জন্য এক বছর করে|) তখন তোমরা বুঝতে পারবে আমি তোমাদের বিরুদ্ধে গেলে কি হতে পারে| 35 “আমি প্রভু এবং আমিই শপথ করছি, এই মন্দ লোকরা যারা একত্রে আমার বিরুদ্ধাচরণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি এই কাজগুলো করবো| তারা সকলেই এই মরুভূমিতে মারা যাবে|” 36 মোশি যাদের নতুন দেশ অনুসন্ধান করতে পাঠিয়েছিল তারাই ফিরে এসে ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের মধ্যে অভিয়োগ ছড়িয়ে দিয়েছিল| তারা বলেছিল, যে লোকরা ঐ দেশে প্রবেশ করার পক্ষে য়থেষ্ট শক্তিশালী নয়, 37 সেই দেশের অখ্যাতিকারী এই লোকরাই মহামারীতে মারা পড়ল - প্রভুর ইচ্ছা অনুসারেই তা হল| 38 কিন্তু যারা দেশ অনুসন্ধান করতে গিয়েছিল তাদের মধ্যে কেবল নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং য়িফুন্নির পুত্র কালেব জীবিত থাকল| 39 মোশি ইস্রায়েলের লোকদের এই সব কথা বললে ইস্রায়েলের সাধারণ লোকরা শোকে ভেঙে পড়ল| 40 পরদিন খুব সকালে উঠে লোকরা পর্বতের চূড়ার দিকে এগোল| তারা বলল, “এই আমরা, প্রভু যে দেশের কথা বলেছেন চলো আমরা সেখানে যাই কারণ আমরা পাপ করেছি|” 41 কিন্তু মোশি বলল, “তোমরা প্রভুর আদেশ পালন করছ না কেন? তোমরা সফল হবে না| 42 তোমরা ঐ দেশে যেও না| প্রভু তোমাদের সঙ্গে নেই, এই কারণে শত্রুরা সহজেই তোমাদের পরাস্ত করতে পারবে| 43 সেখানে তোমাদের বিরুদ্ধে অমালেকীয়রা এবং কনানীযরা যুদ্ধ করবে| তোমরা প্রভুর পথ থেকে সরে এসেছো| সুতরাং তোমরা যখন তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে তখন তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকবেন না এবং তোমরা সকলেই যুদ্ধে মারা যাবে|” 44 কিন্তু লোকরা মোশিকে বিশ্বাস করে নি| তারা পর্বতের চূড়ার দিকে এগিয়ে গেল| কিন্তু প্রভুর সাক্ষ্যসিন্দুক এবং মোশি তাদের সঙ্গে যায় নি| 45 এরপর উঁচু পর্বতের ওপরে বসবাসকারী অমালেকীয়রা এবং কনানীযেরা নীচে নেমে এসে তাদের উপর আঘাত হানল এবং খুব সহজেই তাদের পরাস্ত করে হর্মা পর্য়ন্ত সমস্ত রাস্তা তাড়া করল|
15:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে কথা বলো এবং তাদের বলো: আমি তোমাদের একটি দেশ দিচ্ছি যা তোমাদের বাসভূমি হবে| যখন তোমরা সেই দেশে প্রবেশ করবে, 3 তখন তোমরা অবশ্যই প্রভুকে আগুনে তৈরী এক বিশেষ নৈবেদ্য প্রদান করবে| তার সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা হোমবলি নৈবেদ্য, বিশেষ প্রতিশ্রুতি, বিশেষ উপহার, মঙ্গল নৈবেদ্য, বিশেষ ছুটির জন্য তোমাদের গোরু, মেষ এবং ছাগল ব্যবহার করবে| 4 “উপহার উত্সর্গকারী ব্যক্তি সেই স্থানে প্রভুকে দেবার জন্য যেন শস্য নৈবেদ্যও নিয়ে আসে| এই শস্যের নৈবেদ্য হবে 1 কোযার্ট অলিভ তেল মিশ্রিত 8 কাপ মিহি মযদা| 5 প্রত্যেক সমযে হোমবলির জন্য একটি করে মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে, এছাড়াও তুমি পেয় নৈবেদ্যর জন্য 1 কোযার্ট দ্রাক্ষারস উত্সর্গ করবে| 6 “তুমি যদি মেষ দাও তাহলে তুমি অবশ্যই শস্যের নৈবেদ্যও তৈরী করবে| এই শস্যের নৈবেদ্য হবে 1-1/4 কোযার্ট অলিভ তেলে মিশ্রিত 16 কাপ মিহি মযদা| 7 এবং তুমি অবশ্যই পেয় নৈবেদ্যর জন্য 1-1়/4 কোযার্ট দ্রাক্ষারস উত্সর্গ করবে| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 8 “তুমি হোমবলি, নৈবেদ্য, মঙ্গল নৈবেদ্য অথবা প্রভুর কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে একটি অল্প বয়স্ক বৃষেরও ব্যবস্থা করতে পারো| 9 ঐ সময় তুমি বৃষের সঙ্গে অবশ্যই শস্যের নৈবেদ্য নিয়ে আসবে| সেই শস্যের নৈবেদ্য হবে 2 কোযার্ট অলিভ তেলে মিশ্রিত 24 কাপ মিহি মযদা| 10 এছাড়াও পেয় নৈবেদ্যর জন্য 2 কোযার্ট দ্রাক্ষারসও নিয়ে আসবে| এই নৈবেদ্য হবে আগুন দিয়ে তৈরী| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 11 প্রত্যেকটি বৃষ, মেষ, মেষশাবক অথবা ছাগল, যা তুমি প্রভুকে দিচ্ছো, তা এভাবেই তৈরী হবে| 12 তুমি যে পশুগুলো দিচ্ছো তার প্রত্যেকটির জন্যই এটি কোরো| 13 “প্রভুকে খুশী করার জন্য ইস্রায়েলের প্রত্যেক নাগরিক এই পদ্ধতিতে আগুনের সাহায্যে তৈরী নৈবেদ্য প্রদান করবে| 14 আর এখন থেকে বিদেশীরা যারা তোমাদের সঙ্গেই বাস করে, যদি তারা প্রভুকে খুশী করার জন্যে আগুনের সাহায্যে তৈরী কোনো নৈবেদ্য প্রদান করে, তাহলে তারাও তোমাদের মতোই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সেই নৈবেদ্য প্রদান করবে| 15 এই একই বিধি সকলের জন্য হবে, ইস্রায়েলের লোকদের জন্যে এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীদের জন্যেও| এই বিধি চিরকাল চলবে| তুমি এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী প্রত্যেকেই প্রভুর কাছে সমান| 16 এর অর্থ হল তোমরাও একই বিধি এবং নিয়ম অনুসরণ করবে| ঐ বিধি এবং নিয়ম তোমাদের জন্যে এবং তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী বিদেশীদের জন্যও প্রয়োজ্য|” 17 প্রভু মোশিকে বললেন, 18 “ইস্রায়েলের লোকদের এই কথাগুলো বলো: আমি তোমাদের অন্য দেশে নিয়ে যাচ্ছি| 19 তোমরা যখন সেই দেশে পৌঁছে সেই দেশের কোনো খাদ্য গ্রহণ করবে, তখন অবশ্যই প্রভুকে সেই খাদ্যের কিছু অংশ উপহার হিসাবে উত্সর্গ করবে| 20 তোমরা শস্য গুঁড়ো করে রুটির জন্য মযদার তাল তৈরী করবে এবং সেই মযদার তালের প্রথমটা প্রভুকে উপহার হিসেবে প্রদান করবে| শস্য মাড়ানোর জায়গা থেকে আনা শস্য যেভাবে উত্সর্গ করা হয় এটিও সেইভাবেই করো| 21 এই নিয়ম চিরকাল চলবে| তোমরা অবশ্যই ঐ মযদার তালের প্রথমটা প্রভুকে উপহার হিসেবে প্রদান করবে| 22 “এখন তোমরা যদি কোনো ভুল করো এবং প্রভু মোশিকে যে আদেশ করেছেন তার কোনোটা পালন করতে ভুলে যাও, তাহলে তোমরা কি করবে? 23 প্রভু মোশির মাধ্যমে এই আদেশগুলো দিয়েছিলেন| যেদিন প্রভু এই আদেশগুলো দিয়েছিলেন সেদিন থেকেই আদেশগুলির কার্য়কারিতা শুরু হয়েছিল এবং আদেশগুলি চিরকাল চলবে| 24 সুতরাং যদি তোমরা কোন ভুল কর এবং এই আজ্ঞাগুলো পালন করতে ভুলে যাও তাহলে কি করবে? যদি ইস্রায়েলের সব লোকই ভুল করে, তাহলে সবাই একত্রে প্রভুকে একটি অল্পবয়সী বৃষ হোমবলির নৈবেদ্য হিসেবে প্রদান করবে| তার সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| এছাড়াও বৃষের সঙ্গে নৈবেদ্য হিসেবে দেবার জন্যে শস্য এবং পেয় নৈবেদ্য প্রদানের কথা মনে রাখবে| তোমরা অবশ্যই পাপের জন্য একটি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য হিসেবে প্রদান করবে| 25 “এই ভাবে যাজক ইস্রায়েলের সমস্ত লোককে শুচি করবেন যেন তারা পাপের ক্ষমা লাভ করে কারণ তারা ভুল করে সেই কাজ করেছে| সুতরাং তারা যখন এ সম্বন্ধে জানতে পারল, তখনই তারা প্রভুর কাছে আগুনে তৈরী নৈবেদ্য এবং কৃত পাপের জন্য নৈবেদ্য আনল| 26 ইস্রায়েলের সমস্ত লোক এবং তাদের সঙ্গে বসবাসকারী অন্যান্য সকলকেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে| তাদের ক্ষমা করা হবে কারণ তারা ভুলবশতঃ ঐ কাজ করেছিল| 27 “কিন্তু যদি কেবলমাত্র একজন ব্যক্তি ভুল করে পাপ করে, তাহলে সে অবশ্যই একটি এক বছর বয়স্ক স্ত্রী ছাগল নিয়ে আসবে| সেই ছাগলটি হবে পাপের জন্য নৈবেদ্য| 28 সেই ব্যক্তিকে শুচি করার জন্য যাজক অবশ্যই রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে| সেই ব্যক্তিটি ভুল করেছিল এবং প্রভুর সামনে পাপ করেছিল| যাজক সেই ব্যক্তির জন্য প্রায়শ্চিত্ত করলে তাকে ক্ষমা করা হবে| 29 এই বিধিটি প্রত্যেকের জন্যই, যে ভুল করবে এবং যে পাপ করবে| ইস্রায়েলের পরিবারে জাত প্রত্যেকের জন্য এবং তোমাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশীদের জন্যও এই একই বিধি বলবত্ থাকবে| 30 “কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি জেনেশুনে ভুল করে তাহলে সে প্রভুর বিরুদ্ধে গেছে| সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই তার লোকদের কাছ থেকে পৃথক রাখা হবে| ইস্রায়েলের পরিবারে জাত কোনো ব্যক্তি অথবা তাদের সঙ্গে বসবাসকারী বিদেশীদের জন্যও এই একই নিয়ম| 31 সেই ব্যক্তি প্রভুর বাক্য় অবজ্ঞা করেছে এবং সেই আজ্ঞা লঙঘন করেছে সুতরাং সে তোমার গোষ্ঠী থেকে আলাদা থাকবে| সেই ব্যক্তি দোষী এবং অবশ্যই শাস্তি পাবে|” 32 ইস্রায়েলের লোকরা মরুভূমিতে থাকাকালীন একজনকে বিশ্রামবারে কাঠ জড়ো করতে দেখল| 33 যে লোকরা তাকে কাঠ জড়ো করতে দেখেছিল তারা তাকে মোশি এবং হারোণের কাছে নিয়ে এল এবং সমস্ত লোক চারদিকে একত্রিত হল| 34 তারা সেই লোকটিকে পাহারায রাখল কারণ তারা জানতো না, তারা কিভাবে তাকে শাস্তি দেবে| 35 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “লোকটিকে অবশ্যই মরতে হবে| শিবিরের বাইরে সমস্ত লোক তার ওপর পাথর ছুঁড়বে|” 36 এই কারণে লোকরা তাকে শিবিরের বাইরে নিয়ে গেল এবং তাকে পাথর মেরে হত্যা করল| প্রভু মোশিকে যেভাবে আজ্ঞা করেছিলেন, তারা ঠিক সেভাবেই এটি করল| 37 প্রভু মোশিকে বললেন, 38 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো তারা যেন সুতো দিয়ে ঝালর তৈরী করে তা কাপড়ের কোণে লাগায এবং এখন থেকে বংশ পরম্পরায তারা যেন এই নিয়ম পালন করে| এই গোছাগুলোর প্রত্যেকটিতে তারা যেন একটি করে নীল সুতো রাখে| 39 এই সুতোর গোছাগুলোর দিকে তাকালে তোমরা প্রভুর দেওয়া আজ্ঞাগুলো মনে করতে পারবে| আর তখনই আজ্ঞাগুলো তোমরা পালন করবে| আজ্ঞাগুলো ভুলে গিয়ে, তোমাদের শরীর ও চোখ যা চায, তাই করে অবিশ্বস্ত হবে না| 40 আমার সব আজ্ঞাগুলো পালন করার কথা তোমরা মনে রাখবে| তাহলে তোমরা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে পবিত্র হবে| 41 আমি প্রভু তোমাদের ঈশ্বর| আমিই সেই যিনি তোমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছিলাম| তোমাদের প্রভু হওয়ার জন্যই আমি এটা করেছিলাম| আমিই প্রভু তোমাদের ঈশ্বর|”
16:1 কোরহ, দাথন, অবীরাম এবং ওন মোশির বিরুদ্ধে গেল| (কোরহ ছিল ষিষ্হরের পুত্র| ষিষ্হর ছিল কহাতের পুত্র এবং কহাত্ ছিল লেবির পুত্র| দাথন এবং অবীরাম ছিল দুই ভাই এবং ইলীয়াবের পুত্র| ওন ছিল পেলতের পুত্র| দাথন, অবীরাম এবং ওন ছিলেন রূবেণের উত্তরপুরুষ|) 2 ঐ চারজন ব্যক্তি ইস্রায়েলের অন্যান্য 250 জন পুরুষকে একত্রিত করে মোশির বিরুদ্ধে গেল| তারা ছিল লোকদের নির্বাচিত নেতা| সমস্ত লোক তাদের চিনত| 3 তারা মোশি এবং হারোণের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য একসাথে এল| তারা মোশি এবং হারোণকে বলল, “আপনি বড্ড বেশী বাড়াবাড়ি করছেন| ইস্রায়েলের সকল লোক পবিত্র এবং প্রভু এখনও তাদের মধ্যেই বাস করেন| প্রভুর অন্যান্য লোকদের থেকে আপনি নিজেকে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন|” 4 মোশি এই কথা শুনে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ল| 5 আর সে কোরহ এবং তার অনুসরণকারীদের বলল, “আগামীকাল সকালে প্রভু দেখিয়ে দেবেন কোন্ ব্যক্তি প্রকৃতই তাঁর এবং কে প্রকৃতই পবিত্র| আর সেই ব্যক্তিকে প্রভু তাঁর কাছে নিয়ে আসবেন| প্রভু যাকে বেছে নেবেন তাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসবেন| 6 সুতরাং কোরহ তুমি এবং তোমার অনুসরণকারী এই কাজ করবে: 7 আগামীকাল ধুনুচি নিয়ে তাতে সুগন্ধি ধূপধূনো রাখবে| তারপরে সেই ধুনুচিগুলো প্রভুর সামনে নিয়ে আসবে| প্রভু সেই ব্যক্তিকে বেছে নেবেন যে সত্যই পবিত্র| তোমরা লেবীয়রা অনেক দূরে চলে গেছো - তোমরা ভুল করছো|” 8 মোশি কোরহকে এও বলল, “লেবীয়রা দয়া করে আমার কথা শোন| 9 এটাই কি য়থেষ্ট নয় যে ইস্রায়েলের ঈশ্বর তোমাদের ইস্রায়েলের মণ্ডলী থেকে আলাদা করে প্রভুর পবিত্র তাঁবুর সেবা করার জন্য এবং মণ্ডলীর সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সেবা করার জন্য তোমাদের তাঁর কাছে নিয়ে এসেছেন? 10 যাজকদের কাজে সাহায্য করার জন্য ঈশ্বর তোমাদের অর্থাত্ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের নিয়ে এসেছিলেন| কিন্তু তোমরা এখন যাজক হওয়ার চেষ্টা করছো| 11 তুমি এবং তোমার অনুসরণকারীরা একত্রিত হয়ে প্রভুর বিরোধিতা করেছো| হারোণ কি কোনো ভুল কাজ করেছে যে তাঁর বিরুদ্ধে তোমরা অভিয়োগ করছো?” 12 এরপর মোশি ইলীয়াবের পুত্র দাথন এবং অবীরামকে ডাকল| কিন্তু ঐ দুই ব্যক্তি বললেন, “আমরা যাবো না| 13 এটাই কি য়থেষ্ট নয় যে আপনি উত্তম জিনিসে পরিপূর্ণ শস্য শ্যামলা দেশ থেকে আমাদের নিয়ে এসেছেন যাতে মরুভূমির হত্যা করতে পারেন? আর এখন আপনি আমাদের উপর কর্তৃত্ত্বও করবেন? 14 আমরা কেন আপনাকে অনুসরণ করবো? উত্তম জিনিসে পরিপূর্ণ এমন কোনো দেশে তো আপনি আমাদের নিয়ে আসেন নি| আপনি আমাদের ঈশ্বরের শপথ করা সেই দেশও দেন নি এবং আমাদের চারণভূমি অথবা দ্রাক্ষাক্ষেতও দেন নি| আপনি কি এই সব লোকদের ক্রীতদাস করবেন? না, আমরা আসবো না|” 15 এই কারণে মোশি খুবই ক্রুদ্ধ হল| সে প্রভুকে বলল, “আমি এইসকল লোকদের সঙ্গে কোনোদিন কোন অন্যায করি নি| আমি কোনো সমযেই তাদের কাছ থেকে কোনো কিছুই নিই নি, একটি গাধা পর্য়ন্ত নয়| প্রভু আপনি এদের উপহার গ্রহণ করবেন না!” 16 এরপর মোশি কোরহকে বলল, “আগামীকাল তুমি এবং তোমার অনুসরণকারীরা প্রভুর সামনে দাঁড়াবে| সেখানে হারোণ, তুমি ও তোমার লোকরা থাকবে| 17 তোমরা প্রত্যেকে একটি করে ধুনুচি এনে তাতে সুগন্ধি ধূপধূনো রাখবে এবং তা ঈশ্বরকে প্রদান করবে| সেখানে নেতাদের জন্য 250 টি ধুনুচি থাকবে এবং একটি পাত্র তোমার জন্য ও একটি পাত্র হারোণের জন্য থাকবে|” 18 সুতরাং প্রত্যেকে একটি ধুনুচি নিয়ে তার ওপর জ্বলন্ত কযলা ও সুগন্ধি ধূপধূনো রাখল| এরপর তারা মোশি ও হারোণের সাথে সামগম তাঁবুর প্রবেশপথে গিয়ে দাঁড়ালো| 19 কোরহও সমাগম তাঁবুর প্রবেশপথে তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত লোককে জড়ো করেছিল| এর ঠিক পর সেই জায়গায় সকলের সামনে প্রভুর মহিমা প্রকাশিত হল| 20 প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, 21 “এই সকল লোকদের থেকে দূরে সরে যাও| আমি এখনই তাদের ধ্বংস করতে চাই|” 22 কিন্তু মোশি এবং হারোণ মাটিতে নতজানু হয়ে অনুনয় করে বলল, “হে ঈশ্বর, আপনি জানেন লোকরা তাদের মনে কি ভাবছে|একজন পাপ করলে কি আপনি সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি ক্রুদ্ধ হবেন?” 23 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, 24 “কোরহ, দাথন এবং অবীরামের তাঁবু থেকে লোকদের সরে যেতে বলো|” 25 মোশি উঠে দাঁড়াল এবং দাথন ও অবীরামের কাছে গেল| ইস্রায়েলের সকল প্রবীণরা (নেতারা) তাঁকে অনুসরণ করল| 26 মোশি লোকদের সাবধান করে দিয়ে বলল, “এই সকল মন্দ লোকদের তাঁবু থেকে সরে যাও| তাদের কোনো জিনিস স্পর্শ কোরো না| যদি তোমরা সেটা করো, তাহলে তাদের পাপের জন্য তোমরা ধ্বংস হবে|” 27 সেই কারণে কোরহ, দাথন এবং অবীরামের তাঁবু থেকে লোকরা সরে গেল| আর দাথন এবং অবীরাম বের হয়ে তাদের স্ত্রীদের সন্তানদের এবং ছোটো শিশুদের নিয়ে তাঁবুর প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে রইল| 28 তখন মোশি বলল, “আমি তোমাদের প্রমাণ করে দেখাবো যে প্রভুই আমাকে এইসব কাজ করার জন্য পাঠিয়েছেন এবং আমি এসব নিজের ইচ্ছানুসারে করিনি| 29 এই লোকরা এখানে মারা যাবে| কিন্তু তারা যদি স্বাভাবিবকভাবে মারা যায়, যেভাবে লোকরা সবসময় মারা যায় তাহলে তা প্রমাণ করবে যে, প্রভু আমাকে প্রকৃতই পাঠান নি| 30 কিন্তু যদি প্রভু এই লোকদের মৃত্যু একটু ভিন্নভাবে ঘটান অর্থাত্ একটু নতুনভাবে তাহলে তোমরা জানবে যে এই লোকরা সত্যই প্রভুকে অবজ্ঞা করেছিল| এটাই হল প্রমাণ: ধরনী বিদীর্ণ হয়ে যাবে এবং এই সমস্ত লোককে গ্রাস করবে| তারা জীবিতাবস্থায তাদের কবরে নেমে যাবে| এবং এই সব লোকদের অধিকৃত যাবতীয় জিনিসপত্র তাদের সঙ্গেই তলিযে যাবে|” 31 যখন মোশি এই কথাগুলো বলা শেষ করল, লোকদের পাযের তলার মাটি ফেটে গেল| 32 মনে হল যেন পৃথিবী তার মুখটি খুলে তাদের গ্রাস করল| কোরহের সমস্ত লোকরা, তাদের পরিবার এবং তাদের অধিকৃত যাবতীয় দ্রব্যসামগ্রী পৃথিবীর নীচে চলে গেল| 33 ঐসব লোকরা জীবন্ত অবস্থাতেই তাদের কবরে গেল| তাদের অধিকৃত সকল দ্রব্যসামগ্রীই তাদের সঙ্গে মাটির তলায় চলে গেল| এরপর পৃথিবী তাদের ওপরে মুখ বন্ধ করল| তারা বিনষ্ট হল এবং সমাজ থেকে চিরকালের জন্যই চলে গেল| 34 ইস্রায়েলের লোকরা এই মরনোন্মুখ মানুষগুলোর আর্তনাদ শুনতে পেল| সেই কারণে তারা বিভিন্ন দিকে ছুটে পালাতে পালাতে বলল, “পৃথিবী আমাদেরও গ্রাস করবে!” 35 এরপর প্রভুর কাছ থেকে এক আগুন এসে যারা সুগন্ধি ধূপধূনোর নৈবেদ্য প্রদান করছিল, সেই 250 জন পুরুষকে ধ্বংস করল| 36 প্রভু মোশিকে বললেন, 37 “যাজক হারোণের পুত্র ইলীয়াসরকে বলো, যে আগুন এখনও শিখাহীন হয়ে জ্বলছে তার থেকে সমস্ত সুগন্ধি ধূপধূনোর পাত্রগুলো নিয়ে এসো| এই সুগন্ধি ধূপধূনোর পাত্রগুলি এখন পবিত্র| পাত্রগুলো পবিত্র কারণ তারা এই পাত্রগুলো ঈশ্বরকে প্রদান করেছিল| তাদের ধুনুচিগুলো নিয়ে হাতুড়ির সাহায্যে সমতল পাতে পরিণত কর| এরপর এই ধাতব চাদরটি বেদীর আচ্ছাদনের কাজে ব্যবহার করো| ইস্রায়েলের লোকদের জন্য এটি চিহ্ন, যাতে তারা সতর্ক হয়|” 38 39 সুতরাং যাজক ইলীযসর পিতলের তৈরী সেই ধুনুচিগুলো নিলেন| যারা মারা গিয়েছিল তারাই ঐ পাত্রগুলো এনেছিল| আর তারা তা পিটিযে বেদীকে ঢাকবার জন্য পাত প্রস্তুত করলেন| 40 মোশির মাধ্যমে প্রভু যে ভাবে আজ্ঞা দিয়েছিলেন, তিনি ঠিক সেভাবেই তা করলেন| এটি এমন একটি চিহ্নস্বরূপ হল যা ইস্রায়েলের লোকদের মনে রাখতে সাহায্য করবে যে কেবলমাত্র হারোণের পরিবারের কোনো ব্যক্তিই প্রভুর সামনে সুগন্ধি ধূপধূনো উত্সর্গ করতে পারে| এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি যদি প্রভুকে সুগন্ধি ধূপধূনোর নৈবেদ্য প্রদান করেন তাহলে সেও কোরহ এবং তার অনুসরণকারীদের মতোই মারা যাবে| 41 পরদিন ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা মোশি এবং হারোণের বিরুদ্ধে অভিয়োগ করে বলল, “আপনারা প্রভুর লোকদের হত্যা করেছেন|” 42 আর ইস্রায়েলের লোকরা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে একত্র হয়ে যখন সমাগম তাঁবুর দিকে তাকাল, তখন দেখল মেঘ সেটিকে ঢেকে দিয়েছে এবং সেখানে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশিত হচ্ছে| 43 তারপর মোশি এবং হারোণ সমাগম তাঁবুর সামনে গেলেন| 44 প্রভু মোশিকে বললেন, 45 “ঐ লোকদের থেকে দূরে সরে যাও, যাতে আমি এখনই তাদের ধ্বংস করতে পারি|” তাতে মোশি এবং হারোণ মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ল| 46 তখন মোশি হারোণকে বলল, “ধুনুচি নিয়ে তাতে বেদী থেকে আগুন নিয়ে রাখো| এরপর এতে সুগন্ধি ধূপধূনো দাও এবং ঐ লোকদের কাছে তাড়াতাড়ি গিয়ে তাদের পবিত্র করো| কারণ প্রভু তাদের প্রতি খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন| ইতিমধ্যেই রোগ ছড়াতে শুরু করেছে|” 47 সুতরাং হারোণ মোশির কথামতো কাজ করল| হারোণ সুগন্ধি ধূপধূনো ও আগুন এনে লোকদের মাঝখানে দৌড়ে গেল| কিন্তু লোকদের মধ্যে এর মধ্যেই অসুস্থতা শুরু হয়ে গিয়েছিল| এই কারণে হারোণ মৃত লোক এবং যারা জীবিত আছে তাদের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়াল| লোকদের শুচি করার জন্যে যা দরকার হারোণ ঠিক তাই করলেন এবং তাদের অসুস্থতা আর বাড়ল না| 48 49 কোরহের কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছিল তাদের ছাড়াও আরও 14,700 জন লোক অসুস্থতার জন্য মারা গেল| 50 সুতরাং ঐ ভয়ঙ্কর অসুস্থতা আর এগোলো না এবং পরে হারোণ পবিত্র তাঁবুর প্রবেশপথে মোশির কাছে গিয়ে গেল|
17:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে কথা বলো| বারোটি পরিবারগোষ্ঠী প্রত্যেকটির নেতার কাছ থেকে একটি করে মোট বারোটি হাঁটার লাঠি বা ছড়ি নিয়ে এসো| প্রত্যেক ব্যক্তির নাম তার লাঠির ওপরে লেখো| 3 লেবি গোষ্ঠীর লাঠির ওপরে হারোণের নাম লেখ| বারোটি পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেকটির নেতার জন্য অবশ্যই একটি করে লাঠি থাকবে| 4 এই লাঠিগুলোকে সাক্ষ্যসিন্দুকের সামনে সমাগম তাঁবুতে রাখো| এটাই সেই জায়গা যেখানে আমি তোমার সঙ্গে দেখা করি| 5 সত্যিকারের যাজক হওয়ার জন্য আমি একজনকে মনোনীত করব| আমি যে ব্যক্তিকে মনোনীত করব তার হাঁটার লাঠিতে নতুন পাতা গজাতে শুরু করবে| এই ভাবে আমি তোমার এবং আমার বিরুদ্ধে লোকদের অভিয়োগ করা বন্ধ করে দেবো|” 6 সুতরাং মোশি ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে কথা বলল| নেতারা প্রত্যেকেই তাকে লাঠি দিলেন| সেখানে মোট বারোটি লাঠি হল| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক নেতার কাছ থেকে পাওয়া একটি করে লাঠি সেখানে ছিল| লাঠিগুলোর মধ্যে একটি ছিল হারোণের| 7 চুক্তির তাঁবুতে প্রভুর সামনে মোশি লাঠিগুলো রেখে দিল| 8 পরদিন মোশি তাঁবুতে প্রবেশ করে হারোণের লাঠিটি দেখল| লেবি পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া এই লাঠিই ছিল একমাত্র লাঠি যাতে নতুন পাতা গজিযেছিল| সেই লাঠিটিতে শাখা প্রশাখা গজিযেছিল এবং বাদামও ফলেছিল| 9 সেই কারণে মোশি প্রভুর সেই স্থান থেকে সমস্ত লাঠিগুলো নিয়ে এল| মোশি ইস্রায়েলের লোকদের সেই লাঠিগুলো দেখালেন| তারা সকলেই লাঠিগুলো দেখল এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের লাঠিগুলো ফিরিযে নিয়ে গেল| 10 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “চুক্তি সিন্দুকের সামনে পবিত্র তাঁবুর ভেতরে পেছনদিকে হারোণের লাঠিটিকে রাখো| এই যে সব লোক, যারা সব সমযেই আমার বিরোধিতা করে তাদের জন্য এটি একটি সতর্কীকরণ| এতে আমার বিরুদ্ধে অভিয়োগ করা বন্ধ হয়ে যাবে যার ফলে আমি তাদের ধ্বংস করব না|” 11 সুতরাং মোশি প্রভুর আজ্ঞা অনুসারেই কাজ করল| 12 ইস্রায়েলের লোকরা মোশিকে বলল, “দেখ, আমরা মারা পড়তে বসেছি| আমরা শেষ হয়ে যাব| আমরা সকলেই ধ্বংস হয়ে যাব| 13 যে কোনোও ব্যক্তি প্রভুর পবিত্র তাঁবুর কাছে আসে সে মারা যায়| তবে কি আমরা সকলেই মারা যাবো?”
18:1 প্রভু হারোণকে বললেন, “পবিত্র স্থানের বিরুদ্ধে যে কোনোরকম ভুল কাজের জন্য তুমি, তোমার পুত্ররা এবং তোমার পিতার পরিবারের সকল ব্যক্তি দায়ী থাকবে| যাজকগণের বিরুদ্ধে যে কোনোরকম ভুল কাজের জন্যে তুমি এবং তোমার পুত্ররা দায়ী থাকবে| 2 তুমি তোমার পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্যান্য লেবীয় লোকদেরও নিয়ে এসো যাতে তারা তোমার সাথে য়োগ দিতে পারে| তুমি তোমার পুত্রদের সাথে যখন চুক্তির সিন্দুকের সাক্ষাতে উপস্থিত থাকবে তখন তারা তোমাদের সাহায্য করবে| 3 লেবি পরিবার থেকে আসা ঐসব লোকরা তোমার অধীনে থাকবে| পবিত্র তাঁবুতে প্রয়োজনীয় সব কাজই তারা করবে| কিন্তু তারা কোনো সমযেই পবিত্র স্থানের দ্রব্যসামগ্রীর কাছে অথবা বেদীর কাছে যাবে না| যদি তারা সেটা করে, তাহলে তারা মারা যাবে এবং তুমিও মারা যাবে| 4 তারা তোমাকে সঙ্গ দেবে এবং তোমার সঙ্গে কাজ করবে| সমাগম তাঁবুর তত্ত্বাবধানের জন্য তারা দায়ী থাকবে| পবিত্র তাঁবুতে অবশ্য করণীয কাজগুলো তারা করবে| এ ছাড়া অন্য কেউই ঐ জায়গায় আসতে পারবে না যেখানে তুমি আছো| 5 “পবিত্র স্থান এবং বেদীর তত্ত্বাবধান করার জন্য তুমি দাযবদ্ধ কারণ আমি ইস্রায়েলের লোকদের ওপরে আর ক্রুদ্ধ হতে চাই না| 6 ইস্রায়েলের লোকদের মধ্য থেকে আমি নিজে একমাত্র লেবীয় গোষ্ঠীভুক্তদেরই বেছে নিয়েছি| তারা তোমাদের কাছে উপহারস্বরূপ প্রভুর সেবা করার জন্য এবং সমাগম তাঁবুতে কাজ করার জন্য আমি তোমাদের কাছে তাদের দিয়েছি| 7 কিন্তু হারোণ, কেবলমাত্র তুমি এবং তোমার পুত্ররাই যাজক হিসাবে সেবা করতে পারো| কেবলমাত্র তুমিই বেদীর কাছে যেতে পারো| পবিত্রতম স্থানের পর্দার অভ্য়ন্তরে একমাত্র তুমিই প্রবেশ করতে পারো| আমি দানরূপে যাজকত্ব পদ তোমাদের দিয়েছি| অন্য যে কেউই আমার পবিত্র স্থানের কাছে আসবে তাকে অবশ্যই হত্যা করা হবে|” 8 এরপর প্রভু হারোণকে বললেন, “দেখ ইস্রায়েলের লোকরা আমাকে যে বিশেষ উপহারগুলো দিয়েছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমি নিজেই তোমাকে দিয়েছি| আমি তোমাকে সব পবিত্র উপহারসামগ্রী দেব যা ইস্রায়েলীয়রা আমাকে দেয| তুমি এবং তোমার পুত্ররা এইসব উপহার সামগ্রী ভাগ করে নেবে| সেগুলো চিরকাল তোমাদেরই থাকবে| 9 লোকরা উত্সর্গের জন্য জিনিসপত্র, শস্য নৈবেদ্য, পাপার্থক বলি এবং দোষার্থক বলির নৈবেদ্য নিয়ে আসবে| ঐসব নৈবেদ্য সব থেকে পবিত্র| সব থেকে পবিত্র নৈবেদ্য যে অংশ পোড়ানো হয় নি, সেখান থেকেই তোমার অংশ আসবে| ঐসব দ্রব্যসামগ্রী তোমার এবং তোমার পুত্রদের জন্য| 10 কেবলমাত্র অতি পবিত্র স্থানে তোমরা ঐসব দ্রব্য সামগ্রী ভক্ষণ কোরো| তোমার পরিবারের প্রত্যেক পুরুষ ঐসব দ্রব্যসামগ্রী খেতে পারবে, কিন্তু তুমি অবশ্যই মনে রাখবে যে, ঐসব নৈবেদ্যগুলো পবিত্র| 11 “এবং ইস্রায়েলের লোকরা দোলনীয় নৈবেদ্য স্বরূপ যে সব উপহারসামগ্রী আমাকে দেয, সেগুলোও তোমাদের| আমি তোমাকে, তোমার পুত্রদের এবং তোমার কন্যাদের এগুলো দিলাম| এটি তোমার অংশ| তোমার পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তি, যে শুচি সে এগুলো খেতে পারবে| 12 “তাদের ক্ষেতে উত্পন্ন প্রথম সবচেয়ে উত্কৃষ্ট অলিভ তেল, নতুন দ্রাক্ষারস, শস্য যা তারা আমার উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে তা আমি তোমাদের দিলাম| 13 দেশের সমস্ত প্রথম ফসল যা তারা প্রভুর উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে তা তোমাদের হবে| তোমার পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তি, যে শুচি সে এটি খেতে পারবে| 14 “ইস্রায়েলে যে সকল দ্রব্যসামগ্রী প্রভুকে দেওয়া হবে সেগুলো তোমারই| 15 “স্ত্রীলোকের প্রথম সন্তান এবং পশুর প্রথম সন্তান অবশ্যই প্রভুকে দান করতে হবে| সেই সন্তান তোমার হবে| যদি প্রথমজাত পশুটি অশুচি হয় তাহলে সেটিকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হবে| যদি নৈবেদ্যটি শিশু হয়, তাহলে সেই শিশুটিকে অবশ্যই ফেরত নিয়ে আসতে হবে| 16 যখন শিশুটির বয়স এক মাস, তখন তারা অবশ্যই তার দাম দেবে| খরচ হবে 2 আউন্স রূপো| তুমি অবশ্যই সরকারী মাপকাঠি অনুযায়ীরূপো ওজন করবে| সরকারী মাপকাঠি অনুসারে এক শেকল হল 20 জিরাহ| 17 “কিন্তু তুমি প্রথমজাত গোরু মেষ অথবা ছাগলের মুক্তির জন্য কোনো মূল্য দেবে না| ঐ পশুরা পবিত্র বেদীর ওপরে তাদের রক্ত ছিটিয়ে দাও এবং তাদের চর্বি পোড়াও| এই নৈবেদ্য আগুনের সাহায্যে তৈরী| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করে| 18 কিন্তু ঐসব পশুর মাংস তোমার| যেমন দোলনীয় নৈবেদ্যর বক্ষঃস্থল এবং অন্যান্য নৈবেদ্যর দক্ষিণ উরু তোমার| 19 লোকরা পবিত্র উপহারস্বরূপ যে সব দ্রব্যসামগ্রী প্রদান করে, আমি প্রভু হিসাবে সে সবই তোমাকে দিলাম| এটি তোমার প্রাপ্য় অংশ| আমি এইগুলো তোমাকে, তোমার পুত্রদের এবং তোমার কন্যাদের দিলাম| এই বিধি চিরকাল চলবে| এটি প্রভুর সঙ্গে একটি চুক্তি, যা কোনো সময়ই ভঙ্গ করা যাবে না| আমি তোমার কাছে এবং তোমার উত্তরপুরুষদের কাছে এই প্রতিশ্রুতি করলাম|” 20 প্রভু হারোণকে এও বললেন, “তুমি জমির কোনো অংশই পাবে না| অন্যান্য লোকরা যা অধিকারভুক্ত করে থাকে এমন কোনো কিছুই তুমি অধিকারভুক্ত করতে পারবে না| আমি, প্রভু তোমারই হবো| ইস্রায়েলের লোকরা সেই দেশ পাবে যা আমি তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম| কিন্তু আমিই তোমার অংশ ও অধিকার| 21 “ইস্রায়েলের লোকরা তাদের যা কিছু আছে তার এক দশমাংশ আমাকে দেবে| সুতরাং সেই এক দশমাংশ আমি লেবির সকল উত্তরপুরুষদের দিয়ে দিচ্ছি| সমাগম তাঁবুতে তারা যে সেবাকার্য় করেছে তার জন্যে এটি তাদের পারিশ্রমিক| 22 কিন্তু এখন থেকে সমাগম তাঁবুর কাছে ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকরা অবশ্যই যাবে না| যদি তারা সো করে, তবে তাদের অবশ্যম্প মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে| 23 লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকরা, যারা সমাগম তাঁবুতে কাজ করে তারা এর বিরুদ্ধে যে কোনোরকম পাপ কাজের জন্যে দায়ী| এটিই বিধি| এইটিই চিরকাল চলবে| আর এই লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকরা ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে কোনো দেশই পাবে না| 24 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা তাদের যা কিছু আছে তার সব কিছুর এক দশমাংশ আমাকে দেবে| এবং আমি সেই এক দশমাংশ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের দেবো| সেই কারণেই লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের সম্পর্কে এই কথাগুলো আমি বলেছিলাম: ঐসব লোকরা কোনো দেশ পাবে না যা আমি ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের কাছে প্রতিশ্রুতি করেছি|” 25 প্রভু মোশিকে বললেন, 26 “লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের বলো, ইস্রায়েলের লোকরা, তাদের অধিকারে যা আছে, তার সবকিছুর এক দশমাংশ প্রভুকে দেবে| সেই এক দশমাংশ লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের হবে| কিন্তু তোমরা অবশ্যই তার এক দশমাংশ প্রভুকে তাঁর নৈবেদ্য স্বরূপ প্রদান করবে| 27 ফসল কাটার পর যেমন শস্য এবং য়ন্ত্রের সাহায্যে দ্রাক্ষার রস বের করা হয় সেই রকমভাবে তোমার দাম তোমার পক্ষে গণনা করা হবে| 28 “এই ভাবে ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের মতো, তোমরাও প্রভুকে তোমার নৈবেদ্য প্রদান করবে| ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুকে যা দেন সেই এক দশমাংশ তুমি পাবে| এবং তারপর তুমি যাজক হারোণকে তার এক দশমাংশ দেবে| 29 যখন ইস্রায়েলের লোকরা তাদের অধিকারভুক্ত সবকিছুর এক দশমাংশ তোমাকে দেবে, তখন তুমি অবশ্যই তার মধ্য থেকে সর্বাপেক্ষা উত্কৃষ্ট এবং পবিত্রতম অংশটি বেছে নেবে| ঐটিই সেই এক দশমাংশ যা তুমি অবশ্যই প্রভুকে প্রদান করবে| 30 “সুতরাং লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত লোকদের বলো, “ইস্রায়েলের লোকরা ফসল কাটার পরে শস্যের এবং দ্রাক্ষারসের এক দশমাংশ তোমাদের দেবে| এরপর তোমরা তার থেকে সর্বাপেক্ষা উত্কৃষ্ট অংশটি প্রভুকে দেবে| 31 বাকী অংশটি তুমি এবং তোমার পরিবারের সদস্যরা খেতে পারবে| সমাগম তাঁবুতে তুমি যে কাজ করো তার জন্য এটি তোমার পারিশ্রমিক| 32 এবং যদি তুমি সব সময়ই সব থেকে উত্কৃষ্ট অংশটি প্রভুকে দিয়ে দাও, তাহলে তুমি কোনো সময়ই দোষী হবে না| তুমি ইস্রায়েলের লোকদের দেওয়া পবিত্র উপহারসামগ্রী কখনও অপবিত্র কোরো না, তাহলে তুমি মারা যাবে না|”
19:1 প্রভু, মোশি এবং হারোণকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের ঈশ্বর যে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার থেকেই আসছে এই বিধিগুলি| ইস্রায়েলের লোকদের বলো তারা যেন তোমাদের কাছে একটি নিখুঁত লাল গোরু নিয়ে আসে| গোরুটির শরীরে যেন অবশ্যই কোনো রকম আঘাতের চিহ্ন না থাকে এবং সেটি যেন কোনোদিন জোযাল না বয়ে থাকে| 3 সেই গোরুটিকে যাজক ইলীয়াসরের কাছে দিয়ে দাও| ইলীয়াসর সেই গোরুটিকে শিবিরের বাইরে নিয়ে যাবে এবং সেখানে এটি হত্যা করবে| 4 তখন যাজক ইলীয়াসর কিছুটা রক্ত তার আঙুলে নিয়ে তা পবিত্র তাঁবুর দিকে সাতবার ছিটিয়ে দেবে| 5 এরপর গোটা গোরুটিকে তার সামনে পোড়ানো হবে| গোরুটির চামড়া, মাংস, রক্ত এবং অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে পোড়াতে হবে| 6 এরপর যাজক একটি এরস কাঠের কাঠি, একটি এসোবএবং কিছু লাল সুতো নেবে| যেখানে গোরুটি পুড়ছে সেই আগুনে ঐসব দ্রব্যসামগ্রী ছুঁড়ে দেবে| 7 এরপর যাজক স্নান করবে এবং নিজের বস্ত্রাদি জলে ধুয়ে ফেলবে| এরপর সে শিবিরে ফিরে আসতে পারবে| যাজক সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অশুচি থাকবে| 8 যে ব্যক্তি গোরুটি পুড়িয়েছে সেও স্নান করবে এবং নিজের বস্ত্রাদি জলে ধুয়ে ফেলবে| সেও সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অপবিত্র থাকবে| 9 “এরপর একজন শুচি ব্যক্তি সেই গোরুর ছাই সংগ্রহ করবে| সে শিবিরের বাইরে পরিষ্কার জায়গায় সেই ছাই রাখবে| যখন লোকরা শুচি হওয়ার জন্য এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আযোজন করবে, সে সময় এই ছাই ব্যবহৃত হবে| কোনো ব্যক্তির পাপ দূরীকরণের জন্যও এই ছাই ব্যবহৃত হবে| 10 “যে ব্যক্তি গোরুর ছাই সংগ্রহ করেছিল সে অবশ্যই তার বস্ত্রাদি ধুয়ে ফেলবে| সেও সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অশুচি থাকবে|“এই নিয়ম চিরকাল চলবে| ইস্রায়েলের নাগরিকদের জন্য এই নিয়ম এবং তোমাদের সঙ্গে যে বিদেশীরা বাস করছে তাদের জন্যেও এই একই নিয়ম বলবত্ থাকবে| 11 যদি কোনো ব্যক্তি কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করে, তাহলে সে সাতদিন পর্য়ন্ত অশুচি থাকবে| 12 সে অবশ্যই তৃতীয় দিনে এবং পুনরায সপ্তম দিনে বিশেষ জলে নিজেকে পরিষ্কার করবে| যদি সে তা না করে, তাহলে সে অশুচিই থেকে যাবে| 13 যদি একজন ব্যক্তি কোনো মৃতদেহ স্পর্শ করে তবে সেই ব্যক্তি অশুচি| যদি সেই ব্যক্তি নিজেকে শুচি না করে পবিত্র তাঁবুতে যায়, তাহলে সেই তাঁবুটিও অশুচি হয়ে যাবে| সুতরাং সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের থেকে পৃথক করে রাখা হবে| যদি কোনো অশুচি ব্যক্তির ওপরে পবিত্র জল ঢেলে না দেওয়া হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অশুচিই থেকে যাবে| 14 “এই নিয়ম মানতে হবে যখন তারা তাদের তাঁবুতে মারা যায়| যদি কোনো ব্যক্তি তার তাঁবুতে মারা যায় তাহলে তাঁবুর প্রত্যেক ব্যক্তি অশুচি হবে| তারা সাতদিনের জন্য অশুচি থাকবে| 15 এবং ঢাকা না দেওয়া প্রত্যেকটি বযাম অথবা পাত্র অশুচি হয়ে যাবে| 16 যদি কোনো ব্যক্তি মৃতদেহ স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি সাতদিন অশুচি থাকবে| মৃতদেহটি যদি বাইরে মাঠে থাকে অথবা সেই ব্যক্তি যদি যুদ্ধে মারা গিয়ে থাকে তাহলেও এটি প্রয়োজ্য| এছাড়াও যদি কোন ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির হাড় স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি সাতদিনের জন্য অশুচি থাকবে| 17 “সুতরাং সেই ব্যক্তিকে আবার শুচি করার জন্যে তুমি অবশ্যই পোড়ানো গোরুর ছাই ব্যবহার করবে| একটি বযামের মধ্যেকার ছাইযের ওপর দিয়ে টাটকা স্রোতের জল ভরো| 18 একজন শুচি ব্যক্তি একটি এসোব নিয়ে সেটিকে জলে ডোবাবে| এরপর সে এটিকে তাঁবুর ওপর, তাঁবুর পাত্রগুলিতে এবং তাঁবুতে যে সব লোকরা আছে তাদের ওপরে ছিটিয়ে দেবে| যে কেউই মৃত ব্যক্তির শরীর স্পর্শ করে তার প্রতি তুমি অবশ্যই এটি করবে| যে কেউ যুদ্ধে মৃত কোনো ব্যক্তির শরীর স্পর্শ বা কোনো মৃত ব্যক্তির হাড় স্পর্শ করে তাদের ক্ষেত্রেও তুমি অবশ্যই এটি কর| 19 “এরপর তৃতীয় দিনে এবং আবার সপ্তম দিনে একজন শুচি ব্যক্তি অবশ্যই একজন অশুচি ব্যক্তির ওপরে এই জল ছিটিয়ে দেবে| সপ্তম দিনে সেই ব্যক্তি শুচি হবে| সে অবশ্যই জলে তার কাপড়চোপড় ধোবে| সন্ধ্যাবেলায সে শুচি হবে| 20 “যদি কোনো ব্যক্তি অশুচি হয়ে যায় এবং নিজেকে শুচি না করে, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের থেকে পৃথক রাখা হবে কারণ সে ঈশ্বরের পবিত্র স্থানকে অশুচি করেছে| সেই ব্যক্তির ওপরে সেই বিশেষ জল ছিটোনো হয় নি তাই সে শুচি হয় নি| 21 এই নিয়ম তোমাদের জন্য চিরকাল চলবে| যে ব্যক্তি সেই বিশেষ জল ছিটোয সে অবশ্যই তার বস্ত্রাদিও ধোবে| যে কোনো ব্যক্তি সেই বিশেষ জল স্পর্শ করবে সে সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অশুচি থাকবে| 22 যদি কোনো অশুচি ব্যক্তি অন্য কাউকে স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তিও অশুচি হয়ে যাবে| সেই ব্যক্তি সন্ধ্যা পর্য়ন্ত অশুচি থাকবে|”
20:1 ইস্রায়েলের লোকরা প্রথম মাসে, সীন মরুভূমিতে পৌঁছালো| প্রথমে তারা কাদেশে পৌঁছাল, সেখানে মরিযম মারা গেলেন এবং তাকে সেখানেই কবর দেওয়া হয়েছিল| 2 সেই জায়গায় লোকদের জন্য পর্য়াপ্ত পরিমাণ জল ছিল না, সুতরাং মোশি এবং হারোণের কাছে অভিয়োগ করার জন্যে লোকরা এক জায়গায় মিলিত হয়েছিল| 3 লোকরা মোশির সঙ্গে তর্ক করে বলল, “এও হলে ভাল হতো যদি আমরা আমাদের ভাইদের মতো প্রভুর সামনে মারা যেতাম| 4 আপনি কেন প্রভুর লোকদের এই মরুভূমিতে নিয়ে এসেছিলেন? আপনার ইচ্ছে কি এটাই যে আমাদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা পশুদের এখানেই মৃত্যু হোক? 5 আপনি কেন আমাদের মিশর থেকে এই খারপ জায়গায় নিয়ে এসেছেন? এখানে কোনো শস্য নেই| এখানে কোনো ডুমুর, দ্রাক্ষা অথবা ডালিম ফল নেই এবং পানের জন্য কোনো জলও নেই|” 6 সুতরাং মোশি এবং হারোণ লোকদের কাছ থেকে বিদায নিয়ে সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে গেলেন| তারা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লে প্রভুর মহিমা তাঁদের সামনে প্রকাশিত হল| 7 প্রভু মোশিকে বললেন, 8 “হাঁটার বিশেষ লাঠিটি নিয়ে এসো| হারোণ এবং লোকদের নিয়ে সেই পাহাড়ের সামনে এসো| সবার সামনে ঐ পাহাড়কে বলো, তখন ঐ পাহাড় থেকে জল প্রবাহিত হবে| তুমি সেই জল লোকদের এবং তাদের পশুদের দিতে পারবে|” 9 লাঠিটি পবিত্র তাঁবুতে প্রভুর সামনে ছিল| প্রভু যেভাবে বলেছিলেন, মোশি সেই ভাবেই লাঠিটি নিয়ে এলেন| 10 মোশি এবং হারোণ পাহাড়ের সামনে সমস্ত লোকদের সমবেত হতে বললেন| তখন মোশি বললেন, “তোমরা সকল সমযেই অভিয়োগ করছ| এখন আমার কথা শোন| আমরা কি তোমাদের জন্য এই পাহাড় থেকে জল বের করবো?” 11 এরপর মোশি তার হাত তুললেন এবং পাহাড়ে দুবার আঘাত করলেন| পাহাড় থেকে জল বেরোতে শুরু করল| লোকরা এবং তাদের পশুরা জল পান করল| 12 কিন্তু প্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, “ইস্রায়েলের সব লোকর সাক্ষাতে তুমি আমার প্রতি সম্মান দেখাও নি| তুমি ইস্রায়েলের লোকদের দেখাও নি যে জল বের করার ক্ষমতা আমার থেকেই এসেছে| তুমি লোকদের দেখাও নি যে তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছো| আমি ঐসব লোকদের সেই দেশটি দেব যে দেশটি আমি তাদের দেব বলে শপথ করেছিলাম, কিন্তু তুমি তাদের সেই দেশে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দেবে না|” 13 এই জায়গাটিকে বলা হতো মরীবার জল| এটিই সেই জায়গা যেখানে ইস্রায়েলীয়রা প্রভুর সঙ্গে বিবাদ করেছিল এবং এটিই সেই জায়গা যেখানে প্রভু তাদের দেখিয়েছিলেন যে তিনি পবিত্র| 14 কাদেশে থাকাকালীন মোশি ইদোমীয় রাজার কাছে বার্তাসহ কযেকজন লোককে পাঠালেন| বার্তায বলা ছিল: “আপনার ভাইযেরা অর্থাত্ ইস্রায়েলের লোকরা, আপনাকে বলছে: আমাদের যে সব সমস্যা আছে সে সম্পর্কে আপনি সবই জানেন| 15 বহু বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা মিশরে গিয়েছিলেন এবং আমরা সেখানে বহু বছর বাস করেছিলাম| মিশরের লোকরা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি নিষ্ঠুর ছিলেন| 16 কিন্তু আমরা প্রভুর কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলাম| প্রভু আমাদের প্রার্থনা শুনেছিলেন এবং আমাদের সাহায্যের জন্য একজন দূত পাঠিয়েছিলেন| প্রভু আমাদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছেন| “এখন আমরা আপনার দেশের প্রান্তে কাদেশে আছি| 17 দয়া করে আপনার দেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে দিন| আমরা কোনো শস্য ক্ষেত অথবা কোনো দ্রাক্ষাক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবো না| আমরা আপনাদের কোনো জলাশয থেকে জল পান করবো না| আমরা রাজপথ বরাবর যাতাযাত করবো| আমরা ঐ রাস্তা থেকে কোনো সময়ই ডানদিকে অথবা বাঁদিকে যাবো না| যতক্ষণ পর্য়ন্ত আমরা আপনার দেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, ততক্ষণ পর্য়ন্ত আমরা এই রাস্তার ওপরেই থাকবো|” 18 কিন্তু ইদোমীয রাজা উত্তর দিলেন, “তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যেতে পারবে না| তোমরা আমার দেশের মধ্য দিয়ে যাবার চেষ্টা করলে আমরা তরবারি নিয়ে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করবো|” 19 ইস্রায়েলের লোকরা উত্তর দিল, “আমরা প্রধান রাস্তা দিয়ে যাবো| যদি আমাদের পশুরা আপনাদের কোনো জল পান করে, আমরা তার জন্য মূল্য দেবো| আমরা কেবলমাত্র আপনার দেশের মধ্য দিয়ে পাযে হেঁটে যেতে চাই| আর কিছু নয়|” 20 কিন্তু ইদোম আবার উত্তর দিলেন, “আমরা তোমাদের আমাদের দেশের মধ্য দিয়ে আসার অনুমতি দেবো না|”এরপর ইদোমীয় রাজা এক বিশাল এবং শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী জড়ো করলেন এবং ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য গেলেন| 21 ইদোমীয় রাজা তার দেশের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের যাওয়া নিষেধ করলেন| তাই ইস্রায়েলের লোকরা ঘুরে অন্য পথে গেল| 22 ইস্রায়েলের লোকরা কাদেশ থেকে হোর পর্বতের দিকে যাত্রা করল| 23 হোর পর্বত ছিল ইদোম সীমানার কাছে| এখানেই প্রভু মোশি এবং হারোণকে বললেন, 24 “হারোণের মৃত্যুর সময় হয়েছে এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের কাছে যাওয়ার সময় হয়েছে| যে দেশটা আমি ইস্রায়েলের লোকদের দেব বলে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, হারোণ সেই দেশে প্রবেশ করবে না| মোশি, আমি একথা তোমাকেও বললাম, কারণ তুমি এবং হারোণ দুজনেই মরীবার জলের ধারে দেওয়া আমার আজ্ঞার বিরুদ্ধাচরণ করেছিলে| 25 “এখন হারোণ এবং তার পুত্র ইলীয়াসরকে হোর পর্বতের ওপরে নিয়ে এসো| 26 হারোণের বিশেষ বস্ত্র তার কাছ থেকে নিয়ে এসো এবং সেই বস্ত্রাদি তার পুত্র ইলীয়াসরকে পরিযে দাও| সেখানে পর্বতের ওপরে হারোণের মৃত্যু হবে| সে তার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে|” 27 মোশি প্রভুর আজ্ঞা পালন করলেন| মোশি, হারোণ এবং ইলীয়াসর হোর পর্বতের ওপরে গেলেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোক তাদের সেখানে যেতে দেখল| 28 মোশি হারোণের বিশেষ পোশাক খুলে নিলেন এবং হারোণের পুত্র ইলীয়াসরকে সেই সব পোশাক পরিযে দিলেন| এরপর পর্বতের চূড়ায় হারোণ মারা গেলে মোশি এবং ইলীয়াসর পর্বত থেকে নেমে এলেন| 29 ইস্রায়েলের সকল লোক হারোণের মৃত্যুর খবর জানল| এই কারণে ইস্রায়েলের প্রত্যেক ব্যক্তি 30 দিন শোক পালন করল|
21:1 কনানীয় রাজার নাম ছিলো অরাদ| তিনি নেগেভে বাস করতেন| রাজা অরাদ শুনেছিলেন, যে, ইস্রায়েলের লোকরা অথারীম যাওয়ার পথ ধরে এগিয়ে আসছে| এই কারণে রাজা বেরিয়ে এসে ইস্রায়েলের লোকদের ওপর আক্রমণ করলেন| অরাদ কযেকজন লোককে বন্দী করে রাখলেন| 2 তখন ইস্রায়েলের লোকরা প্রভুর কাছে এক বিশেষ শপথ করে বললেন: “প্রভু দয়া করে এইসব লোকদের পরাজিত করতে আমাদের সাহায্য করুন| যদি আপনি এটা করেন তাহলে আমরা তাদের শহরগুলো আপনাকে দেবো| আমরা তাদের সম্পূর্ণ ধ্বংস করবো|” 3 প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের কথা শুনলেন এবং কনানীয লোকদের পরাজিত করার জন্য প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের সাহায্য করলেন| ইস্রায়েলীয়রা কনানীযদের এবং তাদের শহরগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছিল| এই কারণে ঐ জায়গাটির নাম রাখা হল হর্মা| 4 ইস্রায়েলের লোকরা হোর পর্বত ত্যাগ করে সূফ সাগরে যাওয়ার পথ ধরে এগোলো| ইদোমের চারদিকে ঘোরার জন্য তারা এটা করল| কিন্তু লোকরা অধৈর্য়্য় হল| 5 তারা প্রভু এবং মোশির বিরুদ্ধে অভিয়োগ করতে শুরু করল| লোকরা বলল, “কেন তুমি আমাদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে এসেছো? আমরা এখানে মরুভূমিতে মারা যাবো| এখানো কোনো রুটি নেই! জল নেই! আর আমরা এই সাংঘাতিক খাদ্যকে ঘৃণা করি|” 6 এই কারণে প্রভু লোকদের মধ্যে বিষাক্ত সাপ পাঠালেন| সাপগুলো লোকদের দংশন করলে ইস্রায়েলের বহু সংখ্য়ক লোক মারা গেল| 7 তখন লোকরা মোশির কাছে এসে বলল, “আমরা জানি যে আমরা প্রভুর বিরুদ্ধে এবং আপনার বিরুদ্ধে কথা বলে পাপ করেছি| প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন যেন তিনি সাপগুলোকে ফিরিযে নিয়ে যান|” সুতরাং মোশি লোকদের জন্য প্রার্থনা করলেন| 8 প্রভু মোশিকে বললেন, “একটি পিতলের সাপ তৈরী করো এবং এটিকে একটি খুঁটির ওপরে রাখো| কোনো ব্যক্তিকে সাপে কামড়ালে যদি সেই ব্যক্তি খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকায তাহলে সে ব্যক্তি মারা যাবে না|” 9 মোশি প্রভুর আদেশ পালন করলেন| তিনি একটি পিতলের সাপ তৈরী করে সেটিকে খুঁটির ওপরে রাখলেন| এরপর যখনই কোন মানুষকে সাপে দংশন করত, তখনই সে খুঁটির ওপরের পিতলের সাপটির দিকে তাকাতো আর বেঁচে যেতো| 10 ইস্রায়েলের লোকরা ঐ জায়গা ছেড়ে ওবোতে শিবির স্থাপন করল| 11 এরপর তারা ওবোত ত্যাগ করে মোয়াবের পূর্বদিকের মরুভূমিতে ইয অবারীমে শিবির স্থাপন করল| 12 তারা সেই জায়গাও পরিত্যাগ করে সেরদ উপত্যকায শিবির স্থাপন করল| 13 এরপর তারা সরে গিয়ে মরুভূমিতে অর্ণোন নদীর অপর পারে শিবির স্থাপন করল| এই নদীটি অম্মোনীয় সীমান্তে শুরু হয়েছিল| উপত্যকা হল মোয়াব এবং ম্পমোরীযের মধ্যে সীমারেখা| 14 এই কারণে এই কথাগুলো লেখা হয়েছে প্রভুর যুদ্ধ সংক্রান্ত পুস্তকে:“...এবং শূফাতে বাহেব, আর অর্ণোনের উপত্যকাগুলি 15 এবং উপত্যকাগুলির পাশের পর্বতমালা, যা আর শহরের দিকে চলে গেছে| এই জায়গাগুলি মোয়াবের সীমান্তে অবস্থিত|” 16 ইস্রায়েলের লোকরা সেই জায়গা ছেড়ে বেরের দিকে যাত্রা করল| এই জায়গাটিতে কুযো ছিল| এটিই সেই জায়গা যেখানে প্রভু মোশিকে বললেন, “সমস্ত লোকদের একত্রে এখানে নিয়ে এসো, আমি তাদের জল দেবো|” 17 তখন ইস্রায়েলের লোকরা এই গানটি গাইল:“কুযো তুমি ঝর্ণা হয়ে ওঠো| তোমরা এই নিয়ে গান ধরো| 18 মহান মানুষরা কুযোটি খুঁড়েছিলেন| গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কুযোটি খুঁড়েছিলেন| তাঁদের নিজেদের দণ্ড আর হাঁটার লাঠি দিয়ে কুযোটি খুঁড়েছিলেন| কুযোটি মরুভূমিতে একটি উপহার|এই কারণে লোকরা সেই কুযোর নাম দিল, “মত্তানায|” 19 লোকরা মত্তানায থেকে নহলীযেল পর্য়ন্ত গেল| এরপর তারা নহলীযেল থেকে বামোত্ পর্য়ন্ত গেল| 20 বামোত্ থেকে তারা মোয়াবের উপত্যকা পর্য়ন্ত গেল| এখানে পিস্গা পর্বতের চূড়া মরুভূমির ওপরে দেখা যায়| 21 ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের কাছে ইস্রায়েলের লোকরা কযেকজন বার্তাবাহককে পাঠাল| সেই লোকরা রাজাকে বলল, 22 “আমাদের আপনার দেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার অনুমতি দিন| আমরা কোনো শস্য অথবা দ্রাক্ষার ক্ষেতের মধ্য দিয়ে যাবে| না| আমরা আপনার কোনো কুযো থেকে জল পান করবো না| আপনার দেশের সীমা অতিক্রম না করা পর্য়ন্ত আমরা রাজপথ ছাড়া অন্য কোন রাস্তা দিয়েই যাবো না|” 23 কিন্তু রাজা সীহোন তাঁর দেশের মধ্য দিয়ে লোকদের যাওয়ার অনুমতি দিলেন না| রাজা তাঁর সৈন্যবাহিনীকে এক জায়গায় একত্রিত করে ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য মরুভূমির দিকে অগ্রসর হলেন| রাজার সৈন্যরা য়হস নামে একটি জায়গায় ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল| 24 কিন্তু ইস্রায়েলের লোকরা রাজাকে হত্যা করল| এরপর অর্ণোন নদী থেকে য়ব্বোক নদী পর্য়ন্ত জায়গা তারা অধিকার করল| ইস্রায়েলের লোকরা অম্মোন সীমানা পর্য়ন্ত অধিকার করল| অম্মোনীয়দের দ্বারা সীমানা খুবই শক্তভাবে সুরক্ষিত থাকার জন্যে তারা সেই সীমানা পর্য়ন্ত গিয়ে থেমে গেল| 25 ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের সমস্ত শহরগুলোকে দখল করল এবং সেগুলিতে বসবাস করতে শুরু করল| উপরন্তু তারা হিষবোন শহর এবং তার আশেপাশের ছোটো ছোটো শহরগুলোকেও অধিকার করল| 26 ইমোরীয়দের রাজা সীহোন হিষ্বোন শহরেই বাস করতেন| অতীতে মোয়াবের রাজার সঙ্গে সীহোন যুদ্ধ করে অর্ণোন নদী পর্য়ন্ত সমস্ত জায়গা অধিকার করেছিল| 27 এই কারণেই গায়করা গেয়ে থাকেন:হিষ্বোন এস এবং হিষ্বোন শহরকে আবার তৈরী কর| সীহোনের শহরটিকে শক্ত কর! 28 হিষ্বোনে এক আগুন শুরু হয়েছিল| সেই আগুন সীহোনের শহরেও উদ্ভুত হয়েছিল| মোয়াবের আর নামে শহরটি সেই আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল| অর্ণোন নদীর ওপরের পর্বতটিকেও সেই আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে| 29 মোয়াব, ধিক্ তোমাকে! কমোশ দেবতার লোকরা, তোমরা হেরে গেছ! তার ছেলেরা পালিয়ে গেল| ইমোরীয়দের রাজা সীহোন তার কন্যাদের জেলে বন্দী করল| 30 কিন্তু আমরা সেই ইমোরীয়দের পরাজিত করলাম| হিষ্বোন থেকে দীবোন পর্য়ন্ত, মেদবার কাছে নাশিম থেকে নোফঃ পর্য়ন্ত তাদের শহরগুলোকেও আমরা ধ্বংস করেছি| 31 এই কারণে ইস্রায়েলের লোকরা ইমোরীয়দের দেশে তাদের শিবির স্থাপন করল| 32 মোশি যাসের শহরটিকে অনুসন্ধানের জন্য কযেকজন গুপ্তচর পাঠালেন| তারপরে ইস্রায়েলের লোকরা এটিকে দখল করল| তারা শহরটির আশেপাশের ছোটোখাটো শহরগুলোকেও অধিকার করল| ইস্রায়েলের লোকরা সেখানে বসবাসকারী ইমোরীয়দের সেই জায়গা ত্যাগ করতে বাধ্য করল| 33 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা বাশনের অভিমুখে সড়কপথে ভ্রমণ করল| বাশনের রাজা ওগ তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে নিয়ে ইস্রায়েলের লোকদের সম্মুখীন হওয়ার জন্য কুচকাওযাজ করে অগ্রসর হলেন| ইদ্রিযী নামে একটি জায়গায় তিনি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন| 34 কিন্তু প্রভু মোশিকে বললেন, “ঐ রাজা সম্পর্কে ভীত হযো না| আমি তার সমস্ত সৈন্য এবং তার সম্পূর্ণ দেশ তোমার হাতে তুলে দেব| ইমোরীয়দের রাজা সীহোন, যিনি হিষ্বোনে বাস করতেন তার সঙ্গে তুমি যা করেছিলে এই রাজার সঙ্গেও তুমি সেটাই করো|” 35 সুতরাং ইস্রায়েলের লোকরা ওগ এবং তার সৈন্যদের পরাজিত করল| তারা তাঁকে তার পুত্রদের এবং তাঁর সৈন্যদের হত্যা করল| এরপর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর দেশ অধিকার করল|
22:1 এরপর ইস্রায়েলের লোকরা মোয়াবের যর্দন উপত্যকার দিকে এগোতে শুরু করল| যিরীহো থেকে অপরপারে যর্দন নদীর কাছে তারা শিবির স্থাপন করল| 2 ইমোরীয়দের লোকদের সঙ্গে ইস্রায়েলের লোকরা যা যা করেছিল, সিপ্পোরের পুত্র বালাক তার সমস্তটাই দেখেছিলেন| মোয়াবের রাজা খুবই ভয় পেয়েছিলেন, কারণ সেখানে ইস্রায়েলের লোকসংখ্যা ছিল প্রচুর| মোয়াব উদ্বিগ্ন হল| 3 4 মোয়াবের রাজা মিদিযনের নেতাদের বললেন, “গরু যেভাবে মাঠের সমস্ত ঘাস খেযে ফেলে, ঠিক সেভাবেই এই বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের চারপাশের সমস্ত কিছুই ধ্বংস করে দেবে|”এই সময় সিপ্পোরের পুত্র বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন| 5 বিযোরের পুত্র বিলিয়মকে ডাকার জন্য তিনি কযেকজন লোক পাঠালেন| ফরাত্ নদীর কাছে পগোর নামে একটি জায়গায় বিলিয়ম ছিলেন| এম্পখানেম্প বিলিয়মের স্বজাতীযরা বাস করতো| এই ছিল বালাকের বার্তা: “মিশ থেকে এক নতুন জাতির লোকরা এসেছে| সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে সমস্ত দেশটা ভরে যাবে| তারা আমাদের পরেই শিবির স্থাপন করেছে| 6 আপনি এসে আমাকে সাহায্য করুন| এই লোকদের অভিশাপ দিন কারণ এরা আমার চেয়ে শক্তিশালী| আমি জানি আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে আশীর্বাদ করেন তাহলে সে আশীর্বাদ পায় এবং আপনি যদি কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেন তবে সে শাপগ্রস্ত হয়| সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন| হতে পারে, আমি হয়তো তাদের আঘাত করে আমার দেশ থেকে দূর করে দিতে পারবো|” 7 মোয়াব এবং মিদিযনের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন| তার কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের সঙ্গে টাকা নিয়ে গেলেন এবং তাকে বালাকের প্রেরিত বার্তাটি বললেন| 8 বিলিয়ম তাদের বললেন, “এখানে এক রাত্রির জন্য থাকো| আমি প্রভুর সঙ্গে কথা বলবো এবং তিনি আমাকে যে উত্তর দেবেন তা আমি তোমাদের বলবো|” সুতরাং সেই রাত্রে মোয়াবের নেতারা বিলিয়মের সঙ্গেই সেখানে থাকলেন| 9 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার সঙ্গের এই সমস্ত লোকরা কারা?” 10 বিলিয়ম ঈশ্বরকে বললেন, “মোয়াবের রাজা, সিপ্পোরের পুত্র বালাক আমাকে একটি সংবাদ দেওয়ার জন্য এদের পাঠিয়েছেন| 11 এই সেই বার্তা: “মিশর থেকে এক নতুন জাতি এসেছে| সেখানে তাদের সংখ্যা এতো বেশী যে তারা সমস্ত দেশটাকে ভরে দেবে| সুতরাং আপনি আসুন এবং এই সমস্ত লোকদের অভিশাপ দিন| তাহলে হয়তো আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে সক্ষম হবো এবং তাদের আমার দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারবো|” 12 কিন্তু ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি অবশ্যই এদের সঙ্গে যাবে না| ওসব লোকর বিরুদ্ধে তোমার কথা বলা উচিত্ হবে না কারণ তারা আমার আশীর্বাদ প্রাপ্ত লোক|” 13 পরদিন সকালে উঠে বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত নেতাদের বললেন, “তোমরা তোমাদের নিজেদের দেশে ফিরে যাও| প্রভু আমাকে তোমাদের সঙ্গে যেতে দেবেন না|” 14 সুতরাং মোয়াবের নেতারা বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে তাকে এই সব কথা জানালেন| তাঁরা বললেন, “বিলিয়ম, আমাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেছেন|” 15 সুতরাং বালাক বিলিয়মের কাছে প্রথমবারের থেকেও বেশী লোক পাঠালেন| প্রথমবার তিনি যাদের পাঠিয়েছিলেন তাদের থেকেও এবারের নেতারা ছিলেন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ| 16 তাঁরা বিলিয়মের কাছে গিয়ে বললেন: “সিপ্পোরের পুত্র বালাক আপনাকে এই কথা বলেছেন: দয়া করে এখানে আসুন এবং কোন কিছুই যেন আমার কাছে আপনার আসা থামিয়ে না দেয| 17 আমি আপনাকে প্রচুর পারিশ্রমিক দেবো এবং আপনি যা বলবেন আমি তাই-ই করব| আমার জন্যে আপনি আসুন এবং এসে এই লোকদের বিরুদ্ধে কথা বলুন|” 18 বিলিয়ম বালাকের প্রেরিত দূতকে তার উত্তর জানিয়ে দিয়ে বললেন, “আমি আমার প্রভু ঈশ্বরকে অবশ্যই মান্য করবো| আমি তাঁর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে পারি না| আমি বড় বা ছোট কোনো কাজই করবো না যদি না প্রভু আমাকে সেই কাজ করার অনুমতি দেন| রাজা বালাক যদি তার রূপো এবং সোনা খচিত সুন্দর প্রাসাদটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলেও আমি প্রভুর আদেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবো না| 19 কিন্তু তোমরা অন্যান্যদের মতোই আজকের রাত্রিটা এখানে থাকতে পারো| তাহলে এই রাত্রিকালের মধ্যেই প্রভু আমাকে যা বলতে চান তা জানতে পারবো|” 20 সেই রাত্রে ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে বললেন, “এই সমস্ত লোকরা তাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা বলার জন্য পুনরায এসেছে| সুতরাং তুমি তাদের সঙ্গে যেতে পারো| কিন্তু আমি তোমাকে যা করতে বলবো তুমি কেবলমাত্র সেই কাজই করবে|” 21 পরদিন সকালে বিলিয়ম উঠে তাঁর গাধা সাজিযে মোয়াবের নেতাদের সঙ্গে গেলেন| 22 বিলিয়ম তার গাধায চড়েই যাচ্ছিলেন| তাঁর সঙ্গে তাঁর দুজন ভৃত্য ছিল| কিন্তু বিলিয়মের গমনে ঈশ্বর ক্ষুব্ধ হলেন| তাই বিলিয়মের সামনে রাস্তার ওপরে প্রভুর দূত দাঁড়ালেন, যেন বিলিয়মের যাওয়া বন্ধ করা যায়| 23 বিলিয়মের গাধা প্রভুর দূতকে রাস্তায় তরবারি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল| সেইজন্যে গাধাটি রাস্তা থেকে সরে এসে মাঠের মধ্যে চলে গেল| বিলিয়ম কিন্তু দূতকে দেখতে পান নি| সেইজন্য তিনি তাঁর গাধাটার ওপরেই রেগে গিয়ে তাকে আঘাত করলেন এবং রাস্তার ওপরে ফিরে যেতে তাকে বাধ্য করলেন| 24 পরে প্রভুর দূত এমন এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন যেখানে রাস্তাটি আরও সরু হয়ে এসেছে| জায়গাটি ছিল দুটি দ্রাক্ষা ক্ষেতের মাঝখানে| সেখানে রাস্তার দুই ধারেই দেওয়াল ছিল| 25 গাধাটি আবার প্রভুর দূতকে দেখতে পেয়ে দেওয়ালের গা ঘেঁষে হাঁটল| তাতে বিলিয়মের পা দেওয়ালে আঘাত লেগে ছড়ে গেল| সেই জন্যে বিলিয়ম আবার তাঁর গাধাটিকে আঘাত করলেন| 26 পরে প্রভুর দূত আরেকটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন| এই খানে রাস্তাটি সরু হয়ে এসেছিল, ফলে এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখান দিয়ে গাধাটি তাঁকে পাশ কাটিযে চলে যেতে পারে| গাধাটি বাঁদিক অথবা ডানদিক, কোনো দিক দিয়েই পাশ কাটাতে পারল না| 27 গাধাটি প্রভুর দূতকে দেখে বিলিয়মকে তার পিঠের ওপরে নিয়েম্প শুয়ে পড়ল| তাতে বিলিয়ম গাধাটির ওপরে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে তার হাঁটার লাঠিটি দিয়ে গাধাটিকে আঘাত করলেন| 28 তখন প্রভু গাধাটিকে দিয়ে কথা বলালেন| গাধাটি বিলিয়মকে বলল, “আপনি আমার ওপরে রেগে গিয়েছেন কেন? আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি যে এই নিয়ে আপনি আমাকে তিনবার আঘাত করলেন?” 29 বিলিয়ম গাধাটিকে বলল, “তুমি আমাকে হাস্যস্পদ করে তুলেছ| যদি আমার হাতে একটি তরবারি থাকতো, তাহলে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম|” 30 কিন্তু গাধাটি বিলিয়মকে বলল, “আপনি সারা জীবন ধরে যার উপরে চড়ে ভ্রমণ করেছেন আমি কি আপনার সেই গাধা নই? আমি কি আপনার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি?”বিলিয়ম বলল, “সেটা সত্য|” 31 তখন প্রভু বিলিয়মকে তার দূতকে দেখতে দিলেন| প্রভুর দূত হাতে একটি তরবারি নিয়ে রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলেন| বিলিয়ম মাটিতে নতজানু হয়ে অভিবাদন জানালেন| 32 তখন প্রভুর দূত বিলিয়মকে প্রশ্ন করল, “তুমি তোমার গাধাকে তিনবার আঘাত করেছো কেন? আমিই এসেছিলাম তোমাকে থামাতে| কিন্তু ঠিক সমযে 33 তোমার গাধা আমাকে দেখতে পেয়ে তিনবার আমার কাছ থেকে সরে গিয়েছিল| যদি গাধাটি সরে না যেতো, তাহলে আমি হয়তো এতক্ষণে তোমাকে হত্যা করতাম, কিন্তু তোমার গাধাকে বাঁচিয়ে রাখতাম|” 34 তখন বিলিয়ম প্রভুর দূতকে বললেন, “আমি পাপ করেছি| আমি জানতাম না যে আপনি আমার গতিরোধ করার জন্য রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলেন| আমার ওখানে যাওয়াতে আপনি যদি খুশী না হন, তাহলে আমি ঘরে ফিরে যাবো|” 35 তখন প্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “না! তুমি এই লোকদের সঙ্গে যেতে পারো| কিন্তু সাবধান, আমি তোমাকে যা বলতে বলবো তুমি কেবল তাই বলবে|” সুতরাং বালাকের প্রেরিত নেতাদের সঙ্গে বিলিয়ম চলে গেলেন| 36 বালাক শুনেছিলেন যে বিলিয়ম আসছেন| তাই অর্ণোন নদীর কাছে মোয়াবের শহরে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বালাক চলে গেলেন| জায়গাটি ছিল তাঁর দেশের উত্তর সীমানায| 37 বালাক বিলিয়মকে দেখতে পেয়ে বললেন, “আমি আগেই আপনাকে আসতে বলেছিলাম| বলেছিলাম, এটি খুবই জরুরী, কিন্তু আপনি আমার কাছে কেন আসেন নি? আপনাকে পারিশ্রমিক দিতে কি আমার সামর্য়্থ নেই?” 38 বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “দেখুন আমি এখন এখানে| আমি এসেছি কিন্তু আপনি যা বলেছেন সেটা করতে আমি সক্ষম নাও হতে পারি| প্রভু ঈশ্বর আমাকে যা বলতে বলবেন, আমি কেবলমাত্র সে কথাই বলতে পারবো|” 39 তখন বিলিয়ম বালাকের সঙ্গে কিরিযত্-হুষোতে গেলেন| 40 বালাক কিছু গবাদি পশু এবং মেষ বলিদান করে সেই মাংসের কিছুটা বিলিয়মকে এবং তার সঙ্গী নেতাদের দিলেন| 41 পরদিন সকালে বালাক বিলিয়মকে নিয়ে ব্যামোথ বালে গেলে সেখান থেকে তাঁরা ইস্রায়েলীয়দের শিবিরের কিছুটা দেখতে পেলেন|
23:1 বিলিয়ম বালাককে বলল, “এখানে সাতটি বেদী তৈরী করো এবং আমার জন্য সাতটি ষাঁড় এবং সাতটি মেষ তৈরী রাখো|” 2 বিলিয়মের কথামতো বালাক কাজগুলো করলেন| এরপর বালাক এবং বিলিয়ম প্রত্যেকটি বেদীর ওপরে একটি করে মেষ এবং একটি করে ষাঁড় উত্সর্গ করলেন| 3 তখন বিলিয়ম বালাককে বললেন, “আপনি আপনার হোমবলির কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন| আমি অন্য জায়গায় যাবো| হয়তো প্রভু আমার কাছে আসবেন এবং আমার যা বলা উচিত্ সেটা উনি আমায় বলে দেবেন|” এরপর বিলিয়ম একটি উঁচু জায়গায় চলে গেলেন| 4 ঈশ্বর সেই স্থানে বিলিয়মের কাছে এলে বিলিয়ম বললেন, “আমি সাতটি বেদী তৈরী করেছি এবং উত্সর্গ হিসেবে প্রত্যেকটি বেদীর ওপরে একটি ষাঁড় এবং একটি মেষ হত্যা করেছি|” 5 তখন প্রভু বিলিয়মকে তাঁর যা বলা উচিত্ তা বললেন| আর বললেন, “বালাকের কাছে ফিরে যাও, এবং আমি তোমাকে যা বলতে বলেছি সেই কথাগুলো বলো|” 6 তাম্প বিলিয়ম বালাকের কাছে ফিরে গেলেন| বালাক তখনও সেই হোমবলির কাছে দাঁড়িয়েছিলেন| মোয়াবের সমস্ত নেতারাও তাঁর সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন| 7 তখন বিলিয়ম এই কথাগুলো বললেন:মোয়াবের রাজা বালাক অরামের পূর্বদিকে পর্বত থেকে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন| বালাক আমাকে বললেন, “আসুন, আমার জন্য যাকোবের বিরুদ্ধে বলুন| আসুন, ইস্রায়েলের লোকদের বিরুদ্ধে বলুন|” 8 কিন্তু ঈশ্বর এইসব লোকদের বিরুদ্ধে নন, সুতরাং আমিও তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবো না| ঈশ্বর তাদের খারাপ হোক এমন কিছু চান না| সুতরাং আমিও সেটা করতে পারবো না| 9 আমি পর্বতের ওপর থেকে ঐ লোকদের দেখছি| আমি উঁচু পর্বতশৃঙ্গ থেকে তাদের দেখছি| ঐ সমস্ত লোকরা একাই বাস করে| তারা অন্য কোনো জাতির অংশ নয়| 10 যাকোবের লোকদের কে গণনা করতে পারবে? তারা ধূলোর কণার মতোই সংখ্যায় প্রচুর| ইস্রায়েলের এক চতুর্থাংশ লোককেও কেউ গণনা করতে পারবে না| একজন ভালো লোকর মতো আমাকে মরতে দাও| তাদের মতো সুখে আমার জীবন শেষ হতে দাও| 11 বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি আমার জন্য কি করলেন? আমার শত্রুদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমি আপনাকে এখানে এনেছিলাম| কিন্তু আপনি তাদের কেবলমাত্র আশীর্বাদ করলেন!” 12 কিন্তু বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “প্রভু আমাকে যে কথা বলেছেন, আমি অবশ্যই সেই কথা বলবো|” 13 তখন বালাক তাকে বললেন, “তাহলে আমার সঙ্গে আরেকটি জায়গায় আসুন| সেই জায়গা থেকে আপনি তাদের দেখতে পাবেন| আপনি তাদের সকলকে দেখতে পাবেন না, কেবল প্রান্তভাগ দেখতে পাবেন| সেই জায়গা থেকে আমার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আপনার পক্ষে কথা বলা সম্ভব হতে পারে|” 14 সুতরাং বালাক বিলিয়মকে সোফীম ক্ষেত্রের ওপরে নিয়ে গেলেন| এই জায়গাটি ছিল পিস্গা পর্বতের ওপরে| সেই জায়গায় বালাক সাতটি বেদী তৈরী করে প্রত্যেকটি বেদীর ওপরে উত্সর্গস্বরূপ একটি করে ষাঁড় এবং একটি করে মেষ উত্সর্গ করলেন| 15 বিলিয়ম বালাককে বললেন, “এই স্থানে আপনার হোমবলির পাশে থাকুন| আমি ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করতে যাবো|” 16 সুতরাং ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এলেন এবং কি বলতে হবে তা বিলিয়মকে বলে দিলেন| এরপর প্রভু বিলিয়মকে বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে সেই কথাগুলো বলতে বললেন| 17 সুতরাং বিলিয়ম বালাকের কাছে ফিরে গেলেন| বালাক তখনও পর্য়ন্ত হোমবলির কাছে দাঁড়িয়েছিলেন| মোয়াবের নেতারা তার সঙ্গে সেখানেই ছিলেন| বালাক বিলিয়মকে আসতে দেখে বললেন, “প্রভু কি বলেছেন?” 18 বিলিয়ম তখন এই ভাববাণী বললেন:“দাঁড়াও বালাক এবং আমার কথা শোন| আমার কথা শোন, সিপ্পোরের পুত্র বালাক| 19 ঈশ্বর মানুষ নন; তিনি মিথ্য়ে বলবেন না| ঈশ্বর মানুষ নন; তাঁর সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না| যদি প্রভু বলেন যে তিনি কোনো কাজ করবেন, তখন তিনি অবশ্যই সে কাজ করবেন| যদি প্রভু যদি কোনো প্রতিজ্ঞা করেন তাহলে তিনি প্রতিজ্ঞা মতো কাজটি করবেন| 20 প্রভু আমাকে ঐ সমস্ত লোকদের আশীর্বাদ করতে বলেছেন| প্রভু তাদের আশীর্বাদ করেছেন, সুতরাং আমি সেটা পরিবর্তন করতে পারব না| 21 ঈশ্বর যাকোবের লোকদের মধ্যে কোনো অন্যায দেখেন নি| ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যেও তিনি কোনো পাপ দেখেন নি| প্রভু তাদের ঈশ্বর এবং তিনি তাদের সঙ্গে আছেন| মহান রাজা তাদের সঙ্গে আছেন| 22 ঈশ্বর ঐসব লোকদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছেন| তিনি তাদের পক্ষে বুনো ষাঁড়ের মতোই শক্তিশালী| 23 যাকোবের লোকদের পরাজিত করতে পারে এমন কোনো ক্ষমতা নেই| ইস্রায়েলের লোকদের থামাতে পারে এমন কোনো মন্ত্রও নেই| যাকোব সম্পর্কে এবং ইস্রায়েলের লোকদের সম্পর্কে লোক এই কথা বলবে: ‘ঈশ্বর যে সব মহত্ কাজ করেছেন, তা দেখো!’ 24 এইসব লোকরা সিংহের মতোই উঠে দাঁড়ায এবং যে পর্য়ন্ত না তার শিকার খায় ও তার রক্ত পান করে সে পর্য়ন্ত বিশ্রাম করে না|” 25 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আপনি ওদের শাপও দেবেন না, আশীর্বাদও করবেন না|” 26 বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম যে প্রভু আমাকে যা বলতে বলবেন, আমি কেবল সেই কথাই বলতে পারবো|” 27 তখন বালাক বিলিয়মকে বললেন, “তাহলে আমার সঙ্গে আপনি আরেকটি জায়গায় আসুন| এমন হতে পারে যে, ঈশ্বর খুশী হবেন এবং সেই স্থান থেকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনুমতি দেবেন|” 28 সুতরাং বালাক বিলিয়মকে নিয়ে পিযোর পর্বতের ওপরে গেলেন| সেই পর্বতের ওপর থেকে মরুভূমি দেখা যায়| 29 বিলিয়ম বললেন, “এখানে সাতটি বেদী তৈরী করুন| তারপর সেই বেদীর জন্য সাতটি ষাঁড় এবং সাতটি মেষকে তৈরী রাখুন|” 30 বিলিয়ম যা করতে বলেছিলেন বালাক ঠিক তাই করলেন| বালাক বেদীগুলোর ওপরে ষাঁড় ও মেষগুলোকে উত্সর্গ করলেন|
24:1 বিলিয়ম দেখলেন যে প্রভু ইস্রাযেলকে আশীর্বাদ করতে পেরে সন্তুষ্ট| সেই কারণে বিলিয়ম আগের মত মন্ত্র পাবার জন্য চেষ্টা করলেন না| কিন্তু তিনি মরুভূমির দিকে ফিরে তাকালেন| 2 বিলিয়ম চোখ তুলে মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের দিকে তাকিযে ইস্রায়েলের সমস্ত লোককে দেখলেন| তারা পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে শিবির স্থাপন করেছিল| তখন বিলিয়মের কাছে ঈশ্বরের আত্মা এলেন এবং তাকে নিয়ন্ত্রণ করলেন| 3 তখন বিলিয়ম এই ভাববানী বললেন:“বিযোরের পুত্র বিলিয়মের কাছ থেকে এই বার্তা| আমি যা কিছু স্পষ্ট দেখলাম সে সম্পর্কে বলছি| 4 আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এই বার্তা শুনেছি| সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাকে যা দেখিয়েছেন তা আমি দেখেছি| আমি যা দেখেছি সেটা বিনযের সঙ্গে বলছি| 5 “হে যাকোবের লোকরা, তোমাদের তাঁবুগুলো কি সুন্দর! ইস্রায়েলের লোকরা, তোমাদের ঘরগুলো কতো সুন্দর! 6 তোমাদের তাঁবুগুলো তালগাছের সারির মতো, নদীর ধারের কনানের মতো| তোমরা প্রভুর দ্বারা রোপিত হওয়া সুমিষ্ট গন্ধগুল্মের মতো, জলের পাশে বেড়ে ওঠা এরস বৃক্ষের মতো| 7 তোমাদের জলের অভাব হবে না, এই জল তোমাদের বীজের বেডে ওঠার কাজে ব্যবহার করা যাবে| রাজা অগাগের থেকে তোমাদের রাজা অনেক মহত্ হবেন| তোমাদের রাজ্য অনেক শ্রেষ্ঠতর হবে| 8 “ঈশ্বর ঐ সমস্ত লোকদের মিশর থেকে নিয়ে এসেছেন| তারা বুনো ষাঁড়ের মতো শক্তিশালী| তারা তাদের সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করবে| তারা তাদের হাড় ভেঙ্গে দেবে এবং তীর বিদ্ধ করবে| 9 “ইস্রাযেল একটি সিংহের মতো, গুঁড়ি মেরে শুয়ে আছে| হ্যাঁ, তারা তেজী সিংহের মতো, এবং কেউই তাকে জাগাতে চায না| যদি কোনো ব্যক্তি তোমাকে আশীর্বাদ করে তবে সে নিজের আশীর্বাদ পাবে এবং যদি কোনোও ব্যক্তি তোমার বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে|” 10 বালাক বিলিয়মের ওপরে প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে নিজের হাত ঠুকলেন| বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি আপনাকে এসে আমার শত্রুদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলেছিলাম| কিন্তু আপনি তাদের এই নিয়ে তিনবার আশীর্বাদ করেছেন| 11 এখন অবিলম্বে আপনি এই স্থান ত্যাগ করে ঘরে পালান! আমি বলেছিলাম যে আমি আপনাকে খুব ভালো পারিশ্রমিক দেব| কিন্তু দেখুন, প্রভু আপনাকে আপনার পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করলেন|” 12 বিলিয়ম বালাককে বললেন, “স্মরণ করে দেখুন আপনি আমার কাছে লোক পাঠিয়ে যখন আমাকে আসার জন্য বলেছিলেন, তখনই আমি তাদের বলেছিলাম, 13 বালাক তার রূপো এবং সোনায ভরা সবথেকে সুন্দর বাড়ীটি আমায় দিতে পারেন, কিন্তু তবুও আমি কেবল সেই কথাই বলবো যা প্রভু আমাকে বলার জন্য আদেশ করবেন| আমি ভালো কিংবা খারাপ কোনো কিছুই নিজে করতে পারবো না| প্রভু যা আদেশ করবেন, আমি অবশ্যই সেই কথা বলবো|’ 14 এখন আমি আমার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাচ্ছি, কিন্তু আমি আপনাকে সতর্কবার্তা দেবো| ইস্রায়েলের এই সমস্ত লোকরা ভবিষ্যতে আপনার এবং আপনার লোকদের সঙ্গে কি করবে সেটা আমি বলে দেবো|” 15 তখন বিলিয়ম এই ভাববাণী করে বললেন:“বিযোরের পুত্র বিলিয়মের কাছ থেকে এই বার্তা, আমি যা স্পষ্ট দেখেছি সে সম্পর্কেই বলছি| 16 আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে এই বার্তা শুনেছি| পরাত্পর আমাকে যা শিখিযেছেন তা আমি শিখেছি| সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমাকে যা দেখিয়েছেন তা আমি দেখেছি| আমি যা স্পষ্ট দেখেছি সে সম্পর্কে বিনযের সঙ্গে বলছি| 17 “আমি দেখলাম প্রভু আসছেন, কিন্তু এখন নয়| আমি দেখলাম তিনি আসছেন, কিন্তু তাড়াতাড়ি নয়| যাকোবের পরিবার থেকে একজন নক্ষত্র আসবে| ইস্রায়েলের লোকদের মধ্য থেকে একজন নতুন শাসনকর্তা আসবেন| সেই শাসনকর্তা মোয়াবের লোকদের মাথা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন| সেই শাসনকর্তা কলহের সকল পুত্রদের মাথা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবেন| 18 ইস্রাযেল ইদোম দেশ অধিকার করবে এবং সে তার শত্রুর, সেয়ীর দেশটিও অধিকার করবে| 19 “যাকোবের পরিবার থেকে একজন নতুন শাসনকর্তা আসবেন| সেই শাসনকর্তা সেই শহরের অবশিষ্ট লোকদের ধ্বংস করবেন|” 20 এরপর বিলিয়ম অমালেকীয়দের দেখতে পেয়ে এই ভাববাণী বললেন:“সকল জাতির মধ্যে অমালেক হচ্ছে সবথেকে শক্তিশালী| কিন্তু শেষে তারাও ধ্বংস হয়ে যাবে!” 21 এরপর বিলিয়ম কেনীয় লোকদের দেখে এই কথাগুলো বললেন:“তোমরা বিশ্বাস করো যে পর্বতের ওপরের পাখীর বাসার মতোই তোমাদের দেশটিও নিরাপদ| 22 কিন্তু প্রভু যেভাবে কেনীয়কে ধ্বংস করেছিলেন, কেনীয় লোকরাও ধ্বংস হয়ে যাবে| অশূর তোমাদের বন্দী করবেন|” 23 এরপর বিলিয়ম এই ভাববাণী বললেন:“ঈশ্বর যখন এটি করবেন তখন কে বাঁচবে? 24 কিত্তীমের থেকে অনেক জাহাজ আসবে| তারা অশূরকে এবং এবরকে পরাজিত করবে| কিন্তু সেই জাহাজগুলোও ধ্বংস হয়ে যাবে|” 25 এরপর বিলিয়ম উঠে বাড়ীতে ফিরে গেলেন| এবং বালাক তার নিজের পথে ফিরে গেলেন|
25:1 শিটীমের কাছে ইস্রায়েলের লোকরা শিবির স্থাপন করেছিল| সেই সময় ইস্রায়েলের লোকরা মোয়াবের স্ত্রীলোকের সঙ্গে য়ৌন পাপে লিপ্ত হয়েছিল| 2 মোয়াবের স্ত্রীলোকরা লোকদের সেখানে আসার জন্য এবং তাদের মূর্ত্তিদের কাছে উত্সর্গে য়োগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানালো| সেই কারণে ইস্রায়েলীয়রা মূর্ত্তিদের পূজায য়োগদান করল| তারা উত্সর্গীকৃত দ্রব্যসামগ্রী খেযে সেই মূর্ত্তিদের পূজাও করল| এইভাবে ইস্রায়েলের লোকরা বাল্-পিযোরের মূর্ত্তির পূজা শুরু করল| তাই প্রভু তাদের ওপর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হলেন| 3 4 প্রভু মোশিকে বললেন, “এইসব লোকদের সমস্ত নেতাদের নিয়ে এসো এবং তাদের প্রভুর সামনে হত্যা কর যাতে সমস্ত লোকরা দেখতে পায়| তাহলে প্রভু ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে তাঁর ক্রোধ প্রকাশ করবেন না|” 5 সেই কারণে মোশি ইস্রায়েলের বিচারকদের বললেন, “তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের পরিবারগোষ্ঠী থেকে সেই লোকগুলিকে খুঁজে হত্যা করো যারা পিযোরের বালের মূর্ত্তি পূজা করেছে|” 6 আর দেখ ঠিক সেই সময় একজন ইস্রায়েলীয় এক মিদিয়নীয়া স্ত্রীলোককে বাড়ীতে তার পরিবারের কাছে নিয়ে এল| সেখানে মোশি এবং অন্যান্য নেতারা যাতে এ সব দেখতে পান সেই জন্যই সে এটি করল| সেই সময় মোশি এবং অন্যান্য ইস্রায়েলীয় সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে কাঁদছিলেন| 7 ইলিয়াসরের পুত্র এবং যাজক হারোণের পৌত্র ছিলেন পীনহস| পীনহস ইস্রায়েলীয় লোকটিকে স্ত্রীলোকটিকে সঙ্গে নিয়ে শিবিরে আসতে দেখেছিলেন, সেজন্যে তিনি সমাবেশ ত্যাগ করে তার বর্শা নিলেন| 8 তারপর ইস্রায়েলীয় লোকটিকে অনুসরণ করে তাঁবুতে গিয়ে তাঁর বর্শার সাহায্যে সেই ইস্রায়েলীয় লোকটিকে এবং সেই মিদিয়নীয়া স্ত্রীলোকটিকে হত্যা করলেন| তিনি তাদের দুজনের পেটের ভিতরে বর্শাটিকে ঢুকিয়ে দিলেন| তাতে ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে যে সাংঘাতিক মহামারী শুরু হয়েছিল তা থেমে গেল| 9 মোট 24,000 লোক এই মহামারীতে মারা গিয়েছিল| 10 প্রভু মোশিকে বললেন, 11 “আমি আমার লোকদের অন্তর্জ্বালায জ্বলছি; আমি চাই তারা কেবলমাত্র আমার থাকবে| যাজক হারোণের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস ইস্রায়েলের লোকদের আমার আক্রোশ থেকে বাঁচিয়েছে| সুতরাং আমি যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে তাদের হত্যা করব না| 12 পীনহসকে বলো যে, আমি তার সঙ্গে শান্তির চুক্তি করবো| 13 এটি হলো চুক্তি; সে এবং তারপরে তার পরিবারের সদস্যরা সকল সময়ই যাজক হবে, কারণ ঈশ্বর সম্পর্কে তার এক তীব্র টান আছে এবং সে এমন কাজ করেছে যাতে ইস্রায়েলের লোকরা পবিত্র হয়!” 14 মিদিয়নীয়া স্ত্রীলোকটির সঙ্গে যে ইস্রায়েলীয় লোকটি হত হয়েছিল সে ছিল সালুর পুত্র সিম্রি| সে শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর একটি পরিবারের নেতা ছিল| 15 যে মিদিয়নীয়া স্ত্রীলোকটি হত হয়েছিল তার নাম ছিল কস্বী| সে ছিল সূরের কন্যা| সূর একটি পরিবারের কর্তা ছিলেন এবং একটি মিদিয়নীয় পরিবারগোষ্ঠীর নেতা ছিলেন| 16 প্রভু মোশিকে বললেন, 17 “মিদিয়নীয় লোকদের প্রতি শত্রু মনোভাব পোষণ কর এবং তাদের হত্যা করো| 18 কারণ তারা তোমার সাথে শত্রুতা করেছে| তারা তোমাকে পিযোরে প্রতারিত করেছিল| এবং তারা কস্বী নামক একজন স্ত্রীলোকের দ্বারা তোমাকে প্রতারিত করেছিল| সে ছিল এক মিদিয়নীয়া নেতার কন্যা| কিন্তু যখন ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে অসুস্থতা দেখা দেয সেই সময় তাকে হত্যা করা হয়েছিল| যখন লোকরা প্রতারিত হয়ে পিযোরের বালের মূর্ত্তি পূজা করেছিল সেই সময় তাদের মধ্যে অসুস্থতা দেখা দিয়েছিল|”
26:1 সেই সাংঘাতিক অসুস্থতার পরে, প্রভু মোশি এবং যাজক হারোণের পুত্র ইলিয়াসরের সঙ্গে কথা বললেন| 2 তিনি বললেন, “ইস্রায়েলের লোকদের গণনা কর| 20 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক সকল পুরুষের সংখ্যা গণনা করো এবং তাদের পরিবার অনুযায়ীতালিকাভুক্ত করো| এই পুরুষরা ইস্রায়েলের সেনাবাহিনীতে সেবা করার য়োগ্যতাসম্পন্ন|” 3 এই সময় লোকরা মোয়াবের যর্দন উপত্যকায শিবির স্থাপন করেছিল| এই স্থানটি ছিল যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর কাছে| সুতরাং মোশি এবং যাজক ইলিয়াসর লোকদের বললেন, 4 “তোমরা অবশ্যই 20 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক পুরুষদের সংখ্যা গণনা করবে| মিশর দেশ থেকে বেরিয়ে আসার সময় প্রভু মোশিকে এবং ইস্রায়েলের লোকদের যেভাবে আজ্ঞা করেছিলেন, সেভাবেই করো| 5 এই সব লোকরা ছিল রূবেণের পরিবারের অন্তর্ভূক্ত| (রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথমজাত পুত্র|) পরিবারগুলো ছিল:হনোক হতে হনোকীয পরিবার| পল্লু হতে পল্লুযীয পরিবার| 6 হিষ্রোণ হতে হিষ্রোণীয পরিবার| কর্ম্মি হতে র্কম্মীয পরিবার| 7 ঐ পরিবারগুলো ছিল রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে মোট 43,730 জন পুরুষ ছিল| 8 পল্লুর পুত্র ছিলেন ইলীয়াব| 9 ইলীয়াবের তিন পুত্র নমূযেল, দাথন এবং অবীরাম| দাথন এবং অবীরাম ছিলেন সেই দুজন নেতা, যারা মোশি এবং হারোণের বিরোধিতা করেছিলেন| কোরহ যখন প্রভুর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন সে সময় তারা কোরহকে অনুসরণ করেছিলেন| 10 সেই সময় পৃথিবীর মাটি বিদীর্ণ হয়ে কোরহ ও তার অনুসরণকারীদের গ্রাস করেছিল| এবং 250 জন পুরুষ মারা গিয়েছিল| সেটি ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি একটি সতর্কবাণী ছিল| 11 কিন্তু কোরহের সন্তানরা মারা যান নি| 12 এই পরিবারগুলি হল শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত:নমূযেল হতে নমূযেলীয পরিবার|যামীন হতে যামীনীয পরিবার| যাখীন হতে যাখীনীয পরিবার| 13 সেরহ হতে সেরহীয পরিবার| শৌল হতে শৌলীয পরিবার| 14 ঐ পরিবারগুলি ছিল শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে মোট 22,200 জন পুরুষ ছিলেন| 15 এই পরিবারগুলো হল গাদের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত:সিফোন হতে সিফোনীয পরিবার| হগি হতে হগীয পরিবার| শূনি হতে শূনীয পরিবার| 16 ওষ্ণি হতে ওষ্ণীয পরিবার| এরি হতে এরীয পরিবার| 17 আরোদ হতে আরোদীয পরিবার| অরোলি হতে অরেলীয পরিবার| 18 ঐ পরিবারগুলি ছিল গাদের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে মোট 40,500 জন পুরুষ ছিলেন| 19 এই পরিবারগুলি ছিল যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত:শেলা হতে শেলাযীয পরিবার| পেরস হতে পেরসীয পরিবার|সেরহ হতে সেরহীয পরিবার| যিহূদার পুত্রদের মধ্যে দুজন, এর এবং ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিলেন| 20 21 এই পরিবারগুলো হল পেরসের বংশধর:হিষ্রোণ হতে হিষ্রোণীয পরিবার| হামুল হতে হামুলীয পরিবার| 22 ঐ পরিবারগুলি ছিল যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 76,500 জন| 23 ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলো ছিল:তোলয হতে তোলযীয পরিবার| পূয হতে পূনীয পরিবার| 24 যাশূর হতে যাশূরীয পরিবার| শিম্রোণ হতে শিম্রোনীয পরিবার| 25 ঐ পরিবারগুলি ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিল| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 64,300 জন| 26 সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি ছিল:সেরদ হতে সেরদীয পরিবার|এলোন হতে এলোনীয পরিবার|য়হলেল হতে য়হলেলীয পরিবার| 27 ঐ পরিবারগুলি ছিল সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 60,500 জন| 28 য়োষেফের দুই পুত্রছিল মনঃশি এবং ইফ্রয়িম| প্রত্যেক পুত্রই তাদের নিজেদের পরিবারদের নিয়ে একটি গোষ্ঠী হয়ে উঠেছিলেন| 29 মনঃশি পরিবারগুলি ছিল:মাখীর হতে মাখীরীয পরিবার| (মাখীর ছিলেন গিলিয়দের পিতা|)গিলিয়দ হতে গিলিয়দীয পরিবার| 30 গিলিয়দের পরিবারগুলো ছিল: ঈযেষর হতে ঈযেষরীয পরিবার| হেলক হতে হেলকীয পরিবার| 31 অস্রীযেল হতে অস্রীযেলীয পরিবার| শেখম হতে শেখমীয পরিবার| 32 শিমীদা হতে শিমীদায়ীয পরিবার| হেফর হতে হেফরীয পরিবার| 33 সলফাদ ছিলেন হেফরের পুত্র| কিন্তু তার কোনো পুত্র ছিল না| কেবল কন্যারা ছিল| তার কন্যাদের নাম ছিল মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা এবং তির্সা| 34 ঐ পরিবারগুলোর সবগুলোই ছিল মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 52,700 জন| 35 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলো ছিল:শূথলহ হতে শূথলহীয় পরিবার| বেখর হতে বেখরীয় পরিবার| তহন হতে তহনীয় পরিবার| 36 শূথলহের পরিবার থেকে এরণ এসেছিল আর এরণ থেকে এসেছিল এরণীয পরিবার| 37 ঐ পরিবারগুলো ছিল ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে মোট 32,500 জন পুরুষ ছিলেন| ঐসব লোকদের সকলেই ছিলেন ষোষেফের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| 38 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি ছিল:বেলা হতে বেলাযীয় পরিবার|অস্বেল হতে অস্বেলীয় পরিবার|অহীরাম হতে অহীরামীয় পরিবার| 39 শূফম থেকে শূফমীয পরিবার| হূফম থেকে হূফমীয পরিবার| 40 বেলার পরিবারগুলি ছিল: অর্দ হতে অর্দীয় পরিবার| নামান থেকে নামানীয় পরিবার| 41 ঐ পরিবারগুলি সবাই ছিল বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 45,600 জন| 42 দানের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলো ছিল:শূহম হতে শূহমীয গোষ্ঠী|ঐ পরিবারগোষ্ঠীটি ছিল দানের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| 43 শূহনীয পরিবারগোষ্ঠীতে অনেক পরিবার ছিল| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 64,400 জন| 44 আশেরের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি ছিল: য়িম্ন হতে য়িম্নীয পরিবার| য়িস্বি হতে য়িস্বীয পরিবার| বরিয হতে বরিযীয পরিবার| 45 বরিয়র পরিবারগুলি ছিল:হেবর হতে হেবরীয় পরিবার| মল্কীয়েল হতে মল্কীয়েলীয় পরিবার| 46 (আশেরের সারহ নামের এক কন্যাও ছিল|) 47 ঐ পরিবারগুলি ছিল আশেরের পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 53,400 জন| 48 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি ছিল: যহসীয়েল হতে যহসীয়েলীয় পরিবার| গুনি হতে গুনীয পরিবার| 49 যেত্সর হতে যেত্সরীয় পরিবার| শিল্লেম হতে শিল্লেমীয় পরিবার| 50 ঐ পরিবারগুলো নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিল| সেখানে পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 45,500 জন| 51 সুতরাং ইস্রায়েলীয় পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 6,01,730 জন| 52 প্রভু মোশিকে বললেন, 53 “দেশ ভাগ করা হবে এবং এই লোকদের সেগুলো দেওয়া হবে| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী তাদের সংখ্যা অনুসারে জমি পাবে| 54 বড় পরিবার বেশী জমি পাবে এবং ছোট পরিবার কম জমি পাবে| যার যত লোক তাকে ততটা অধিকার দাও| 55 কিন্তু কোন পরিবার জমির কোন অংশ পাবে সেটি ঠিক করার জন্যে তুমি অবশ্যই ঘুঁটি চালবে| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী তার অংশের যে জমি পাবে, সেই জমিকে সেই পরিবারগোষ্ঠীর নাম দেওয়া হবে| 56 জমি বড় বা ছোট যাম্প হোক না কেন তুমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ঘুঁটি চালবে|” 57 তারা লেবীয় গোষ্ঠীকেও গণনা করেছিল| লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলি হল:গের্শোন হতে গের্শোনীয় পরিবার| কহাত্ হতে কহাতীয় পরিবার| মরারি হতে মরারীয় পরিবার| 58 এই পরিবারগুলোও লেবীয় পরিবারের অন্তর্ভুক্ত:লিব্নীয় পরিবার|হিব্রোনীয় পরিবার|মহলীয় পরিবার|মূশীয় পরিবার|কোরহীয় পরিবার|অম্রাম ছিলেন কহাত্ পরিবারের অন্তর্ভক্ত| 59 অম্রামের স্ত্রীর নাম ছিল য়োকেবদ| তিনি নিজেও ছিলেন লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত| তার জন্ম হয়েছিল মিশরে| অম্রাম এবং য়োকেবদের দুই পুত্র ছিল হারোণ এবং মোশি| তাদের মরিয়ম নামে একটি কন্যাও ছিল| 60 হারোণ ছিলেন নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর এবং ঈথামরের পিতা| 61 কিন্তু নাদব এবং অবীহূ মারা গিয়েছিলেন কারণ তারা প্রভুকে যে ধরণের আগুন দিয়ে নৈবেদ্য প্রদান করেছিলেন তা করা বারণ ছিল| 62 লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর পুরুষদের মোট সংখ্যা ছিল 23,000 জন| কিন্তু ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সঙ্গে এদের গণনা করা হয় নি| প্রভু অন্যান্য লোকদের যে জমি দিয়েছিলেন তার কোনো অংশ তাঁরা পান নি| 63 মোয়াবের যর্দন উপত্যকায থাকাকালীন মোশি এবং যাজক ইলিয়াসর ইস্রায়েলের লোকদের গণনা করেছিলেন| এই জায়গাটি ছিল যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর কাছে| 64 কিন্তু বহুবছর আগে সীনয় মরুভূমিতে মোশি এবং যাজক হারোণ যখন ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের গণনা করেছিলেন তখন যারা গণিত হয়েছিল তাদের একজনও এর মধ্যে ছিল না| ঐ সব লোকদের আর কেউই জীবিত ছিলেন না| 65 কেন? কারণ প্রভু ইস্রায়েলের ঐ সমস্ত লোকদের বিষয়ে বলেছিলেন যে, তারা সকলেই মরুভূমিতে মারা যাবে| কেবল দুজন ব্যক্তি বেঁচে ছিলেন| তারা হলেন যিফুন্নির পুত্র কালেব এবং নূনের পুত্র যিহোশূয়|
27:1 সলফাদ ছিলেন হেফরের পুত্র| হেফর ছিলেন গিলিয়দের পুত্র| গিলিয়দ ছিলেন মাখীরের পুত্র| মাখীর মনঃশির পুত্র| মনঃশি য়োষেফের পুত্র ছিলেন| সলফাদের পাঁচ কন্যা ছিল| তাদের নাম ছিল মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা এবং তির্সা| 2 এরা সমাগম তাঁবুর প্রবেশ পথে মোশি, যাজক ইলিয়াসর, অন্যান্য নেতা এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়িয়ে বলল, 3 “আমরা যখন মরুভুমির মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করছিলাম সে সময় আমাদের পিতা মারা গিয়েছিলেন| তিনি কোরহ দলে য়োগদানকারী লোকদের মধ্যে ছিলেন না| (যে কোরহ প্রভুর বিরোধিতা করেছিলেন|) কিন্তু আমাদের পিতা নিজ পাপে মারা গিয়েছিলেন| আমাদের পিতার কোনো পুত্র নেই| 4 এর অর্থ হল এই যে, আমাদের পিতার নাম লোপ পাবে| এটা ঠিক নয় যে আমাদের পিতার কোনো পুত্র নেই বলে তার নাম শেষ হয়ে যাবে| সুতরাং আমাদের পিতার ভাইরা যে জমি পাবে তার কিছুটা অন্ততঃ যাতে আমরা পাই তার জন্য আমরা আপনাদের কাছে প্রার্থনা করছি|” 5 সেই কারণে মোশি প্রভুকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তার কি করা উচিত্ হবে| 6 প্রভু তাকে বললেন, 7 “সলফাদ এর মেয়েরা ঠিক বলেছে| তাদের পিতার ভাইদের জমির অংশ ভাগ করে নেওয়াই তাদের উচিত্ হবে| সুতরাং যে জমিটা তুমি তাদের পিতাকে দিতে, সেই জমিটা তুমি ওদের দিয়ে দাও| 8 “সুতরাং ইস্রায়েলের লোকদের জন্য এটিকে বিধি করে নাও| ‘যদি কোন ব্যক্তির কোনো পুত্র সন্তান না থাকে এবং সে মারা যায়, তাহলে তার যা কিছু আছে সে সব কিছুই তার মেয়েকে দেওয়া হবে| 9 যদি তার কোনো মেয়ে না থাকে, তাহলে তার সমস্ত কিছুই তার ভাইদের দেওয়া হবে| 10 11 যদি তার পিতার কোনো ভাই না থাকে তাহলে তার যা কিছু আছে সে সমস্তই তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীযকে দেওয়া হবে| ইস্রায়েলের লোকদের জন্য এটিই আইন| প্রভু মোশিকে এই আদেশ দিলেন|”‘ 12 তখন প্রভু মোশিকে বললেন, “যর্দন নদীর পূর্বদিকের মরুভূমিতে যে কোনো একটি পর্বতের ওপরে যাও| ইস্রায়েলের লোকদের আমি যে দেশ দিচ্ছি সেটা তুমি দেখতে পাবে| 13 সেই দেশ দেখার পরে তুমি তোমার ভাই হারোণের মতো মারা যাবে| 14 মনে করে দেখো যখন লোকরা সীন মরুভূমিতে তৃষ্ণায বিচলিত হয়েছিল তখন তুমি এবং হারোণ দুজনেই আমার আজ্ঞা পালন করতে অস্বীকার করেছিলে| তুমি আমাকে সম্মান দাও নি এবং লোকদের দেখাও নি যে আমি পবিত্র|” (সীন মরুভূমির কাদেশের কাছে মরীবার জলের কাছে এই ঘটনা ঘটে|) 15 মোশি প্রভুকে বললেন, 16 “প্রভু ঈশ্বর আপনি সকল মানুষের চিন্তা জানেন| আমি প্রার্থনা করি যেন আপনি এই সমস্ত লোকদের জন্য একজন নেতা মনোনীত করবেন| 17 যিনি তাদের এই দেশ থেকে বের করে নতুন দেশে নিয়ে যাবেন| তাহলে প্রভুর লোকরা মেষপালকহীন মেষের মতো হবে না|” 18 সুতরাং প্রভু মোশিকে বললেন, “নূনের পুত্র যিহোশূয় নতুন নেতা হবে| সে খুবই জ্ঞানী|তাকে নতুন নেতা করো| 19 তাকে যাজক ইলিয়াসর এবং সকল লোকের সামনে দাঁড়াতে বলো| এরপর তাকে নতুন নেতা করো| 20 “লোকদের দেখিয়ে দাও যে তুমি তাকে নেতা করছ| তাহলে সমস্ত লোক তাকে মান্য করবে| 21 যিহোশূয় যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে তবে সে যাজক ইলিয়াসরের কাছে যাবে| ইলিয়াসর প্রভুর উত্তর জানার জন্য উরীমের সাহায্য নেবে| তখন ঈশ্বরের কথামতো যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা কাজ করবে| যদি তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে যাও’ তাহলে তারা যুদ্ধে যাবে| এবং যদি তিনি বলেন, ‘ঘরে যাও’ তাহলে তারা ঘরে যাবে|” 22 মোশি প্রভুর আজ্ঞা পালন করলেন| মোশি যিহোশূয়কে যাজক ইলিয়াসর এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের সামনে দাঁড়াতে বললেন| 23 এরপর যিহোশূয় যে নতুন নেতা সেটি দেখানোর জন্য মোশি তার ওপরে দু’হাত রাখলেন| প্রভু তাকে যে ভাবে বলেছিলেন সেভাবেই তিনি এই কাজটি করলেন|
28:1 এরপর প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের এই আজ্ঞা কর| তাদের বলো যে ঠিক সমযে শস্যের নৈবেদ্য এবং উত্সর্গ দেওয়ার ব্যাপারে তারা যেন নিশ্চিত হয়| ঐ নৈবেদ্যগুলি আগুনের সাহায্যে তৈরী করতে হবে| তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 3 তারা অবশ্যই আগুনের সাহায্যে তৈরী করে এই নৈবেদ্যগুলি প্রভুকে দেবে| প্রত্যেকদিন এক বছর বয়স্ক 2 মেষশাবক দেবে| সেই মেষশাবক 2 টির যেন কোনো খুঁত না থাকে| 4 ঐ মেষশাবক দুটির মধ্যে একটিকে সকালে এবং অপরটিকে গোধুলি বেলায উত্সর্গ করো| 5 এছাড়াও 1 কোযার্ট অলিভ তেলের সঙ্গে 8 কাপ খুব মিহি মযদা মিশ্রিত করে দানাশস্যের নৈবেদ্যও দাও|” 6 (সীনয় পর্বতের ওপরে তারা তাদের দৈনিক নৈবেদ্য দেওয়া শুরু করল| সেই নৈবেদ্যগুলি আগুনের সাহায্যে তৈরী হল এবং তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করল|) 7 লোকরা এছাড়াও অবশ্যই পেয় নৈবেদ্য প্রদান করবে যেটা আগুনের সাহায্যে তৈরী নৈবেদ্যর সঙ্গেই খাবে| তারা অবশ্যই প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে 1 কোযার্ট করে দ্রাক্ষারস দেবে| পবিত্র স্থানে বেদীর ওপরে সেই পেয় নৈবেদ্য ঢেলে দেবে| এটি প্রভুর কাছে একটি উপহার| 8 দ্বিতীয় মেষশাবকটিকে গোধুলি বেলায উত্সর্গ করো| এটিকে শস্য নৈবেদ্য ও পেয় নৈবেদ্যর সাথে সকালের নৈবেদ্যর মতোই উত্সর্গ করো| এই নৈবেদ্য আগুনের সাহায্যে তৈরী হবে| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে|” 9 “বিশ্রামের দিন তুমি অবশ্যই এক বছর বয়স্ক 2টি মেষশাবক দেবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| এছাড়াও তুমি অবশ্যই অলিভ তেলে মিশ্রিত 16 কাপ খুব ভালো মযদার সাহায্যে তৈরী শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 10 এটি এই বিশ্রামের দিনের জন্য বিশেষ নৈবেদ্য| নিয়মিত যে নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেওয়া হয় তার সাথে এটি অতিরিক্ত নৈবেদ্য হিসেবে গণ্য হবে|” 11 “প্রত্যেক মাসের প্রথম দিনটিকে তুমি প্রভুকে একটি বিশেষ হোমবলি উত্সর্গ করবে| এই নৈবেদ্যটি হবে এক বছর বয়স্ক 2 টি ষাঁড়, 1 টি মেষ এবং 7 টি মেষশাবক| তাদের যেন অবশ্যই কোন খুঁত না থাকে| 12 প্রত্যেকটি ষাঁড়ের সঙ্গে তুমি অবশ্যই অলিভ তেলে মিশ্রিত 24 কাপ খুব মিহি মযদার শস্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে এবং মেষের সঙ্গে তুমি অবশ্যই অলিভ তেলে মিশ্রিত 16 কাপ খুব মিহি মযদা দিয়ে তৈরী শস্যের নৈবেদ্য দেবে| 13 এছাড়াও প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে অলিভ তেলে মিশ্রিত 8 কাপ খুব মিহি মযদা দিয়ে তৈরী দানা শস্যের নৈবেদ্য দেবে| এই নৈবেদ্যটি আগুনের সাহায্যে তৈরী হবে| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 14 প্রত্যেকটি ষাঁড়ের সঙ্গে 2 কোযার্ট করে দ্রাক্ষারস, মেষের সঙ্গে 1-1/4 কোযার্ট দ্রাক্ষারস এবং প্রত্যেক মেষশাবকের সঙ্গে 1 কোযার্ করে দ্রাক্ষারস পেয় নৈবেদ্য হিসেবে দিতে হবে| বছরের প্রত্যেক মাসে হোমবলি হিসেবে ঐগুলি অবশ্যই উত্সর্গ করতে হবে| 15 নিয়মিত দৈনিক হোমবলি এবং পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও তুমি অবশ্যই প্রভুকে একটি পুরুষ ছাগল দেবে| ঐ ছাগলটি হবে পাপার্থক নৈবেদ্য| 16 “প্রথম মাসের 14 তম দিনটি হবে প্রভুর নিস্তারপর্ব উদ্য়াপনের দিন| 17 ঐ মাসের 15তম দিনে খামিরবিহীন রুটির উত্সব হবে| এই সাত দিন ধরে তোমরা খামিরবিহীন রুটি খাবে| 18 এই ছুটির প্রথম দিনটিতে অবশ্যই তোমাদের একটি বিশেষ সভা হবে| ঐ দিনে তোমরা কোনো শ্রমসাধ্য কাজ করবে না| 19 তোমরা প্রভুকে হোমের জন্য নৈবেদ্য দেবে| হোমবলির নৈবেদ্যগুলো হবে 2টি ষাঁড়, 1টি মেষ এবং 7টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক| তাদের অবশ্যই যেন কোনো খুঁত না থাকে| 20 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই প্রত্যেকটি ষাঁড়ের সঙ্গে শস্য নৈবেদ্য হিসাবে অলিভ তেলে মিশ্রিত 24 কাপ খুব মিহি মযদা, মেষের সঙ্গে শস্য নৈবেদ্য হিসাবে তেলে মিশ্রিত 16 কাপ খুব মিহি মযদা এবং প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে শস্য নৈবেদ্য হিসাবে তেলে মিশ্রিত 8 কাপ খুব মিহি মযদা দেবে| 21 22 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই 1টি পুরুষ ছাগল দেবে| তোমাদের পবিত্র করার জন্য ছাগলটি পাপের নৈবেদ্য হিসেবে দেওয়া হবে| 23 প্রতিদিন সকালে তোমরা পোড়ানোর জন্য যে নৈবেদ্য দাও সেটা ছাড়াও তোমরা অবশ্যই ঐ নৈবেদ্যগুলো দেবে| 24 “এই একইভাবে সাতদিনের প্রত্যেকদিন তোমরা অবশ্যই আগুনের সাহায্যে তৈরী নৈবেদ্য এবং তার সঙ্গে পেয় নৈবেদ্য প্রভুকে দেবে| এই সমস্ত নৈবেদ্যর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| প্রত্যেক দিনের হোমবলির সাথে এই নৈবেদ্যগুলো তোমরা অবশ্যই দেবে| 25 “আর সপ্তম দিনে তোমাদের আরেকটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে| ঐ দিনে তোমরা কোনো কাজ করবে না| 26 “সাত সপ্তাহের উত্সব চলাকালীন প্রথম ফসলের দিন যখন তোমরা প্রভুর কাছে নতুন ফসলের শস্য নৈবেদ্য নিয়ে আসো সেই সময় একটি পবিত্র সভা হবে| ঐ দিনে তোমরা অবশ্যই কোনো কাজ করবে না| 27 তোমরা অবশ্যই হোমবলি উত্সর্গ করবে| এই নৈবেদ্যটি আগুনের সাহায্যে তৈরী হবে| এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা অবশ্যই 2টি ষাঁড়, 1টি মেষ এবং 7টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক উত্সর্গ করবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 28 তোমরা অবশ্যই প্রত্যেকটি ষাঁড়ের সঙ্গে তেলে মেশানো 24 কাপ খুব মিহি মযদা, প্রত্যেকটি মেষের সঙ্গে 16 কাপ এবং 29 প্রত্যেকটি মেষশাবকের সঙ্গে 8 কাপ খুব মিহি মযদা দেবে| 30 নিজেদের পবিত্র করার জন্য তোমরা অবশ্যই 1টি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে| 31 দৈনিক হোমবলি এবং শস্য নৈবেদ্য ছাড়াও তোমরা ঐ নৈবেদ্যগুলো অবশ্যই দেবে| এ ব্যাপারে অবশ্যই নিশ্চিত হবে যে, যে প্রাণীগুলি বলি দেবে সেগুলির মধ্যে যেন কোনো খুঁত না থাকে এবং সেগুলির সাথে যেন পেয় নৈবেদ্য দেওয়া হয়|
29:1 “সপ্তম মাসের প্রথম দিনটিতে একটি পবিত্র সভা অনুষ্ঠিত হবে| ঐ দিনে তোমরা কোনো শ্রমসাধ্য কাজ করবে না| শিঙা বাজানোরজন্য ঐ দিনটি নির্দিষ্ট হয়েছে| 2 তোমরা হোমবলি উত্সর্গ করবে| তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা 1টি ষাঁড়, 1টি মেষ এবং 7টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক উত্সর্গ করবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 3 তোমরা ষাঁড়ের সঙ্গে 24 কাপ তেল মেশানো খুব মিহি মযদা, পুং মেষের সঙ্গে 16 কাপ 4 এবং 7টি মেষশাবকের প্রত্যেকটির সঙ্গে 8 কাপ করে শস্য নৈবেদ্য উত্সর্গ করবে| 5 এছাড়াও নিজেদের পবিত্র করার জন্য পাপের নৈবেদ্যস্বরূপ 1টি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে| 6 অমাবস্যার দিনের উত্সর্গ এবং তার শস্যের নৈবেদ্য ছাড়াও এই নৈবেদ্যগুলি অতিরিক্ত এবং দৈনিক উত্সর্গ এবং তার শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য ছাড়াও এগুলো অতিরিক্ত| ঐগুলো অবশ্যই নিয়মানুযাযী করতে হবে| ঐ নৈবেদ্যগুলো অবশ্যই আগুনের সাহায্যে তৈরী করা হবে| তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| 7 “সপ্তম মাসের দশম দিনটিতে একটি বিশেষ সভা হবে| ঐ দিনটিতে তোমরা অবশ্যই কোনো খাবার খাবে না এবং তোমরা অবশ্যই কোনো শ্রমসাধ্য কাজ করবে না| 8 তোমরা হোমবলি উত্সর্গ করবে| তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা অবশ্যই 1টি ষাঁড়, 1টি পুং মেষ এবং 7টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন অবশ্যই কোনো খুঁত না থাকে| 9 তোমরা অবশ্যই ষাঁড়ের সঙ্গে অলিভ তেলে মিশ্রিত 24 কাপ খুব মিহি মযদা, মেষের সঙ্গে 8 কাপ করে নৈবেদ্য দেবে| 10 11 এছাড়াও পাপের নৈবেদ্যস্বরূপ 1 টি পুরুষ ছাগল উত্সর্গ করবে| প্রায়শ্চিত্তের দিনের পাপের উত্সর্গের সাথে এটিও য়োগ করবে| দৈনিক উত্সর্গ শস্য নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর সাথে অতিরিক্ত হিসেবে এই নৈবেদ্যটিও দেওয়া হবে| 12 “সপ্তম মাসের 15তম দিনে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে| এটিই কুটিরবাস পর্ব| ঐ দিনে তোমরা কোনো শ্রমসাধ্য কাজ করবে না| তোমরা অবশ্যই প্রভুর সম্মানার্থে ঐ সাতদিন ধরে উত্সব পালন করবে| 13 তোমরা হোমবলি প্রদান করবে| ঐ নৈবেদ্যগুলো আগুনের সাহায্যে তৈরী হবে| তাদের সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা 13টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের অবশ্যই যেন কোনো খুঁত না থাকে| 14 তোমরা অবশ্যই 13টি ষাঁড়ের প্রত্যেকটির জন্য তেলে মিশ্রিত 24 কাপ খুব মিহি মযদা, 2টি মেষের প্রত্যেকটির জন্য 16 কাপ করে 15 এবং 14টি মেষশাবকের প্রত্যেকটির জন্য 8 কাপ করে নৈবেদ্য দেবে| 16 এছাড়াও তোমরা 1টি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য দেবে| এটি অবশ্যই দৈনিক উত্সর্গ শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর সাথে অতিরিক্ত হিসাবে য়োগ করা হবে| 17 “এই উত্সবের দ্বিতীয় দিনে তোমরা অবশ্যই 12টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 18 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 19 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই পাপের উত্সর্গের জন্য 1টি পুরুষ ছাগল নৈবেদ্য হিসেবে দেবে| এটি দৈনিক উত্সর্গ এবং তার জন্য দানাশস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য অতিরিক্ত হবে| 20 “এই উত্সবের তৃতীয় দিনে তোমরা অবশ্যই 11টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন অবশ্যই কোন খুঁত না থাকে| 21 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 22 এছাড়াও পাপের উত্সর্গের জন্য 1টি পুরুষ ছাগল দেবে| দৈনিক উত্সর্গ শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর সাথে এটিও য়োগ করবে| 23 “এই উত্সবের চতুর্থ দিনে তোমরা অবশ্যই 10টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 24 এছাড়াও তোমরা অবশ্যই ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 25 এছাড়াও তোমরা পাপের উত্সর্গের জন্য 1 টি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য হিসেবে দেবে| দৈনিক উত্সর্গ শস্যের নৈবেদ্য এবং পানীয় নৈবেদ্যর সাথে অবশ্যই এটিও য়োগ করবে| 26 “এই উত্সবের পঞ্চম দিনে তোমরা অবশ্যই 9টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 27 এছাড়াও তোমরা ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 28 তোমরা পাপের উত্সর্গের জন্য 1টি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য দেবে| এটি দৈনিক উত্সর্গ, শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর সাথে এটিও য়োগ করবে| 29 “এই উত্সবের ষষ্ঠ দিনে তোমরা 8টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন অবশ্যই কোনো খুঁত না থাকে| 30 এছাড়াও তোমরা ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 31 পাপের উত্সর্গের জন্য তোমরা 1টি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য হিসেবে দেবে| এটি দৈনিক উত্সর্গ এবং তার সঙ্গে দানাশস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য অতিরিক্ত হবে| 32 “এই উত্সবের সপ্তম দিনে তোমরা অবশ্যই 7টি ষাঁড়, 2টি পুং মেষ এবং 14টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন কোনো খুঁত না থাকে| 33 এছাড়াও তোমরা ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য দেবে| 34 পাপের উত্সর্গের জন্য তোমরা অবশ্যই 1টি পুরুষ ছাগলও নৈবেদ্য হিসেবে প্রদান করবে| দৈনিক উত্সর্গ এবং তার জন্য শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্যর সাথে এটিও য়োগ করবে| 35 “এই উত্সবের শেষ দিনে অর্থাত্ অষ্টম দিন তোমাদের জন্য এক বিশেষ সভা আযোজিত হবে| ঐ দিনে তোমরা কোনো শ্রমসাধ্য কাজ করবে না| 36 তোমরা অবশ্যই সেদিন হোমবলি প্রদান করবে| আগুনের সাহায্যে তৈরী নৈবেদ্যর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করবে| তোমরা অবশ্যই 1টি ষাঁড়, 1টি পুং মেষ এবং 7টি এক বছর বয়স্ক মেষশাবক নৈবেদ্য দেবে| তাদের যেন অবশ্যই কোনো খুঁত না থাকে| 37 এছাড়াও তোমরা ষাঁড়, মেষ এবং মেষশাবকের সঙ্গে ঠিক পরিমাণে দানাশস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় নৈবেদ্য প্রদান করবে| 38 পাপের উত্সর্গের জন্য 1টি পুরুষ ছাগলও দেবে| দৈনিক হোমবলি এবং তার সাথে শস্যের নৈবেদ্য এবং পেয় যে নৈবেদ্য দেওয়া হয় সেগুলির সাথে এটিও য়োগ করবে| 39 “এই উত্সবের দিনগুলিতে তোমরা অবশ্যই হোমবলি, শস্যের নৈবেদ্য, পেয় নৈবেদ্য এবং মঙ্গল নৈবেদ্য, নিয়ে আসবে এবং ঐ নৈবেদ্যগুলি প্রভুকে প্রদান করবে| যে কোনো প্রকার বিশেষ উপহার, যা তোমরা প্রভুকে প্রদান করতে চাও এবং যে কোনো প্রকার নৈবেদ্য যা তোমাদের বিশেষ প্রতিজ্ঞার একটি অঙ্গ, তার অতিরিক্ত হবে ঐ নৈবেদ্যগুলো|” 40 প্রভু মোশিকে যা যা আজ্ঞা করেছিলেন, মোশি ইস্রায়েলের লোকদের সমস্তই বললেন|
30:1 ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠীর সকল নেতাদের সঙ্গে মোশি এই কথা বললেন, “এগুলো প্রভুর আজ্ঞা: 2 “যদি কোন ব্যক্তি ঈশ্বরকে বিশেষ কিছু দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে অথবা কোন কিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখার প্রতিজ্ঞা করে তাহলে সে যেন তার প্রতিজ্ঞা না ভাঙে| সেই ব্যক্তি যেন অবশ্যই যা প্রতিজ্ঞা করেছিল তা সঠিকভাবে পালন করে| 3 “কোন য়ুবতী স্ত্রীলোক তার পিতার বাড়ীতে থাকার সময় প্রভুকে বিশেষ কিছু দেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করতে পারে| 4 যদি তার পিতা এই প্রতিজ্ঞা সম্পর্কে জেনে থাকে এবং একমত হয়, তাহলে সেই য়ুবতী স্ত্রীলোকটি তার প্রতিজ্ঞা অনুসারে অবশ্যই প্রত্যেকটি কাজ করবে| 5 কিন্তু যদি তার পিতা এই প্রতিষ্ঠার কথা জেনে থাকে এবং সে এই ব্যাপারে একমত না হয়, তাহলে সে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল তার থেকে সে মুক্ত, সেই সমস্ত কাজকর্ম তাকে আর করতে হবে না| তার পিতা তাকে সেই কাজ করতে নিষেধ করেছিল, সুতরাং প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন| 6 “কোন স্ত্রীলোক প্রভুকে কিছু দেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করার পর যদি তার বিবাহ হয়, 7 যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে এবং কোনো প্রতিবাদ না করে, তাহলে সেই স্ত্রীলোক যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই কাজগুলো অবশ্যই করবে| 8 কিন্তু যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে এবং তাকে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতে দিতে অসম্মত হয়, তাহলে সেই স্ত্রী যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই সমস্ত কাজ তাকে আর করতে হবে না| তার স্বামী তার স্ত্রীর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করিযেছিল - সেই স্ত্রীকে তার প্রতিজ্ঞানুসারে কাজ করতে দেয নি, সুতরাং প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন| 9 “একজন বিধবা অথবা একজন স্বামী পরিত্যক্তা স্ত্রীলোক কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করে থাকতে পারে| যদি সে তা করে, তাহলে সে তার প্রতিজ্ঞানুসারে সমস্ত কিছুই সঠিকভাবে করবে| 10 একজন বিবাহিতা স্ত্রীলোক প্রভুকে কিছু দেওয়ার জন্য কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করে থাকতে পারে| 11 যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে এবং তাকে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতে দিতে সম্মত হয়, তাহলে সে তার প্রতিজ্ঞানুসারে সমস্ত কাজ অবশ্যই যথায়থভাবে পালন করবে| সে যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই অনুসারে সমস্ত কিছু সে অবশ্যই দেবে| 12 কিন্তু যদি তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে, এবং তাকে তার প্রতিজ্ঞা পালন করতে দিতে অসম্মত হয়, তাহলে সে যা প্রতিজ্ঞা করেছিল সেই সমস্ত কাজ তাকে আর করতে হবে না| সে কি প্রতিজ্ঞা করেছিল তাতে কিছু যায় আসে না, তার স্বামী তার স্ত্রীর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করাতে পারে| যদি তার স্বামী প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করায, তাহলে প্রভু তাকে ক্ষমা করবেন| 13 একজন বিবাহিতা স্ত্রীলোক প্রভুকে কোনো কিছু দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করে থাকতে পারে অথবা কোনো বিষযে নিজেকে বঞ্চিত করার জন্য প্রতিজ্ঞা করে থাকতে পারে অথবা সে ঈশ্বরের কাছে অন্য কোনো বিশেষ প্রতিজ্ঞা করতে পারে| তার স্বামী তার প্রতিজ্ঞাগুলোর মধ্যে যে কোনো একটির ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে অথবা ঐ প্রতিজ্ঞাগুলোর মধ্যে যে কোনো একটিকে পালন করতে দিতে পারে| 14 স্বামী যদি প্রতিজ্ঞাগুলোর সম্পর্কে জানতে পেরে সেগুলোর পালনে বাধা না দেয, তাহলে সেই স্ত্রী অবশ্যই প্রতিজ্ঞানুসারে প্রত্যেকটি জিনিস সঠিকভাবে পালন করবে| 15 কিন্তু যদি স্বামী প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পারে এবং সেগুলোর পালনে বাধা দেয, তাহলে সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের জন্য দায়ী থাকবে|” 16 প্রভু মোশিকে ঐ আজ্ঞাগুলো দিলেন| ঐ আজ্ঞাগুলো হল একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রীর সম্পর্কে, একজন পিতা এবং তার কন্যার সম্পর্কে, যে কন্যা য়ুবতী অবস্থায় পিতার বাড়ীতে রযেছে|
31:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “আমি ইস্রায়েলের লোকদের মিদিয়নীয়দের পরাজিত করে প্রতিশোধ নিতে সাহায্য করবো| তারপরে মোশি তুমি মারা যাবে|” 3 সুতরাং মোশি লোকদের বললেন, “তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে সৈন্য হবার জন্য কযেকজনকে বেছে নাও| মিদিয়নীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রভু ঐ সমস্ত লোকদের ব্যবহার করবেন| 4 ইস্রায়েলের প্রত্যেকটি পরিবারগোষ্ঠী থেকে 1,000 লোক বেছে নাও| 5 সেখানে ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠী থেকে মোট 12,000 সৈন্য থাকবে|” 6 মোশি সেই 12,000 সৈন্যকে যুদ্ধে পাঠালেন| তিনি তাদের সঙ্গে যাজক ইলিয়াসরের পুত্র পীনহসকে পাঠালেন| পীনহস তার সঙ্গে পবিত্র দ্রব্যসামগ্রী, শিঙা ও ভেরী নিলেন| 7 প্রভুর আদেশমতোই ইস্রায়েলের লোকরা মিদিয়নীয়দের সঙ্গে যুদ্ধ করে সমস্ত মিদিয়নীয় লোকদের হত্যা করল| 8 তারা যে সমস্ত লোকদের হত্যা করেছিল তাদের মধ্যে ছিলেন ইবি, রেকম, সূর, হূর এবং রেবা মিদিযনের পাঁচজন রাজা| তারা তরবারির সাহায্যে বিযোরের পুত্র বিলিয়মকেও হত্যা করল| 9 ইস্রায়েলের লোকরা মিদিয়নীয় স্ত্রীদের এবং বাচ্চাদের বন্দী করে নিয়ে এল| এছাড়াও তারা তাদের মেষ, গোরু এবং অন্যান্য জিনিসপত্রও নিয়ে এল| 10 এরপর তারা তাদের সমস্ত শহর এবং গ্রাম পুড়িয়ে দিল| 11 তারা সমস্ত লোকদের, পশুসমূহ এবং যুদ্ধে যা পেয়েছিল তা নিয়ে 12 শিবিরে মোশি, যাজক ইলিয়াসর এবং ইস্রায়েলের অন্যান্য সমস্ত লোকের কাছে এল| ম্পস্রাযেলের লোকরা এইসময় মোয়াবের য়র্দনের উপত্যকায শিবির স্থাপন করেছিল| এটি ছিল যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর পূর্বদিকে| 13 আর মোশি, যাজক ইলিয়াসর এবং ইস্রায়েলের নেতারা সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শিবির থেকে বেরিয়ে এলেন| 14 মোশি 1,000 সৈন্যের সেনাপতি এবং 100 সৈন্যের সেনাপতি, যারা যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছিল তাদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন| 15 মোশি তাদের বললেন, “তোমরা কেন স্ত্রীলোকদের বেঁচে থাকতে দিয়েছো? 16 পিযোরের বিলিয়মের ঘটনার সময় এই সব স্ত্রীলোকরাই প্রভুর কাছ থেকে ইস্রায়েলীয় পুরুষদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিল এবং সেই জন্যই প্রভুর লোকদের মধ্যে মহামারী হয়েছিল| 17 এখন সমস্ত মিদিয়নীয় ছেলেদের হত্যা করো| সমস্ত মিদিয়নীয় স্ত্রীলোকদের হত্যা করো যাদের কোনো না কোনো পুরুষের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক ছিল| 18 তুমি সমস্ত য়ুবতী মেয়েদের বাঁচতে দিতে পারো| কিন্তু কেবল তখনই যদি তাদের সঙ্গে কোনো পুরুষের য়ৌন সম্পর্ক না থেকে থাকে| 19 এরপর তোমরা যারা অন্যান্য লোকদের হত্যা করেছ তাদের প্রত্যেকে অবশ্যই শিবিরের বাইরে সাতদিন থাকবে| তোমরা যদি কেবলমাত্র মৃতদেহ স্পর্শ করে থাকো তাহলেও তোমাদের শিবিরের বাইরে থাকতে হবে| তৃতীয় দিনে তোমরা এবং তোমাদের বন্দীরা অবশ্যই নিজেদের পবিত্র করবে| সপ্তম দিনে তোমরা পুনরায অবশ্যই এই একই কাজ করবে| 20 তোমরা অবশ্যই তোমাদের সমস্ত পরিধেয বস্ত্র ধোবে| চামড়া, পশম অথবা কাঠের তৈরী যে কোনো জিনিসই তোমরা অবশ্যই ধোবে এবং শুচি হবে|” 21 “এরপর যাজক ইলিয়াসর সৈন্যদের বললেন, “ঐ নিয়মগুলো প্রভু মোশিকে দিয়েছন| ঐ নিয়মগুলো সেইসব সৈন্যদের জন্য, যারা যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছে| 22 কিন্তু আগুনে দেওয়া যাবে এমন দ্রব্যসামগ্রীর সম্পর্কে নিয়ম আলাদা| তোমরা অবশ্যই সোনা, রূপো, পিতল, লোহা, টিন অথবা সীসা আগুনের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে এবং তারপর ঐ জিনিসগুলোকে জল দিয়ে পরিষ্কার করবে তাহলে সেগুলো পবিত্র হবে| যদি কোনো দ্রব্যসামগ্রীকে আগুনে রাখা না যায়, তাহলে তোমরা অবশ্যই সেগুলোকে জল দিয়ে পরিষ্কার করবে| 23 24 সপ্তম দিনে তোমরা তোমাদের সমস্ত জামাকাপড় পরিষ্কার করবে এবং তখন তোমরা শুচি হবে| এরপরে তোমরা শিবিরের মধ্যে আসতে পারবে|” 25 এরপরে প্রভু মোশিকে বললেন, 26 “তুমি, যাজক ইলিয়াসর এবং সমস্ত নেতারা সমস্ত বন্দীদের, পশুদের এবং সৈন্যরা যুদ্ধে যেসব দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে এসেছিল সেগুলো গণনা করবে| 27 এরপর ঐসব দ্রব্যসামগ্রী সৈন্যদের মধ্যে যারা যুদ্ধে গিয়েছিল এবং ইস্রায়েলের বাকী অন্যান্য লোকদের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেবে| 28 যুদ্ধে গিয়েছিল এমন সৈন্যদের কাছ থেকে ঐসব দ্রব্যসামগ্রীর কিছু অংশ কর হিসাবে নিয়ে নাও; সেই অংশটি হবে প্রভুর| প্রত্যেক 500টি দ্রব্যসামগ্রীর জন্য একটি করে দ্রব্যসামগ্রী প্রভুর হবে| এই সব দ্রব্যসামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত হল মানুষ, গরু, গাধা এবং মেষ| 29 সৈন্যরা যুদ্ধ থেকে লুঠ করে যেসব দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে এসেছিল তার অর্ধেক ভাগ দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে নাও| এরপর ঐসব দ্রব্যসামগ্রী যাজক ইলিয়াসরকে দিয়ে দাও| ঐ অংশটি হবে প্রভুর| 30 এবং তারপর ইস্রায়েলের লোকদের অংশের অর্ধেক থেকে, প্রত্যেক 50টি দ্রব্যসামগ্রীর জন্য একটি করে জিনিস নাও| এই সব দ্রব্যসামগ্রীর মধ্যে মানুষ, গরু, গাধা, মেষ অথবা অন্য যে কোনো পশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে| ঐ অংশটি লেবীয়দের দিয়ে দাও কারণ লেবীয়রা প্রভুর পবিত্র তাঁবুর যত্ন করে|” 31 প্রভু মোশিকে যা আজ্ঞা করেছিলেন মোশি এবং ইলিয়াসর ঠিক সেই মতোই কাজ করলেন| 32 সৈন্যরা 6,75,000 মেষ, 33 72,000 গরু, 34 61,000 গাধা, 35 এবং 32,000 স্ত্রীলোক সঙ্গে নিয়ে এসেছিল| (ওরা সেইসব স্ত্রীলোক যাদের কোনো পুরুষের সঙ্গে য়ৌন সম্পর্ক ছিল না|) 36 যে সব সৈন্যরা যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের প্রাপ্য়ের অর্ধেক অংশ হল 3,37,500 টি মেষ| 37 তারা প্রভুকে 675 টি মেষ দিয়েছিল| 38 সৈন্যরা 36,000 টি গোরু পেয়েছিল| তারা 72টি গোরু প্রভুকে দিয়েছিল| 39 সৈন্যরা 30,500 টি গাধা পেয়েছিল| তারা প্রভুকে 61টি গাধা দিয়েছিল| 40 সৈন্যরা 16,000 স্ত্রীলোক পেয়েছিল| তারা প্রভুকে কর হিসেবে 32 জন স্ত্রীলোক দিয়েছিল| 41 প্রভু মোশিকে যেমন আদেশ করেছিলেন সেই আদেশমতোই তিনি যাজক ইলিয়াসর প্রভুর জন্য ঐ সকল উপহার সামগ্রী দিয়েছিলেন| 42 সৈন্যদের দ্বারা লুন্ঠিত দ্রব্য়ের অর্ধেক, যা মোশি ইস্রায়েলের লোকদের জন্য আলাদা করেছিলেন তা গণনা করে দেখা গেল| 43 লোকরা 3,37,500 টি মেষ, 44 36,000 গোরু, 45 30,500 গাধা, 46 এবং 16,000 স্ত্রীলোক পেয়েছিল| 47 মোশি প্রভুর জন্য প্রত্যেক 50টি দ্রব্যসামগ্রী পিছু একটি করে জিনিস নিয়েছিলেন| এর মধ্যে পশু এবং মানুষ অন্তর্ভুক্ত ছিল| এরপর তিনি ঐ সকল দ্রব্য সামগ্রী লেবীয়দের দিয়েছিলেন, কারণ তারা প্রভুর পবিত্র তাঁবুর রক্ষণাবেক্ষণ করত| প্রভু যেমন আদেশ করেছিলেন মোশি ঠিক সেভাবেই এই কাজটি করলেন| 48 এরপর সৈন্যদের নেতারা (1,000 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতারা এবং 100 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতারা) মোশির কাছে এলেন| 49 তাঁরা মোশিকে বললেন, “আমরা, আপনার সেবকরা, আমাদের সৈন্যদের গণনা করেছি| আমরা তাদের কাউকেই বাদ দিই নি| 50 সুতরাং আমরা প্রত্যেক সৈন্যর কাছ থেকে প্রভুর উপহার নিয়ে এসেছি| আমরা সোনার তৈরী বাহু-বন্ধনী, কব্জির অলংকার, আংটি, মাকড়ি এবং কন্ঠহার নিয়ে এসেছি| আমাদের শুচি করার জন্য প্রভুকে এই সকল উপহার দেওয়া হচ্ছে|” 51 সুতরাং মোশি সোনা দিয়ে তৈরী ঐ সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে সেগুলো যাজক ইলিয়াসরকে দিলেন| 52 1,000 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতারা এবং 100 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতারা যে সোনা দিয়েছিলেন তার মোট ওজন ছিল প্রায় 420 পাউণ্ড| 53 সৈন্যরা যুদ্ধ থেকে যে সকল দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে এসেছিল তার বাকী অংশ তারা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল| 54 প্রতি 1,000 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতাদের কাছ থেকে এবং প্রতি 100 জন পুরুষের উর্দ্ধতন নেতাদের কাছ থেকে সোনা নিয়ে মোশি এবং যাজক ইলিয়াসর সেই সোনা সমাগম তাঁবুতে রাখলেন| প্রভুর সামনে এই উপহার ইস্রায়েলের লোকদের জন্য স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে ছিল|
32:1 রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীতে অনেক গবাদি পশু ছিল| ঐ লোকরা যাসের ও গিলিয়দের কাছে জমি দেখেছিল| তারা দেখল যে, এই জমিটি তাদের পশুদের কাছে খুবই উপযোগী| 2 সেই কারণে রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশি, যাজক ইলিয়াসর এবং লোকদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলল| 3 তারা বলল, “আমাদের অর্থাত্ আপনাদের সেবকদের অনেক গবাদি পশু আছে এবং যে জমি প্রভু ইস্রায়েলীয়দের জন্য জয় করেছিলেন সেটি পশুদের পক্ষে খুবই উপযোগী| এই দেশের অন্তর্ভুক্ত জায়গাগুলো ছিল অষ্টারোত্, দীবোন, যাসের, নিম্রা, হিষ্বোন, ইলিয়ালী, সেবাম, নবো ও বিযোন| 4 5 তারা বলল, “যদি আপনার খুশী হয় তাহলে এই জায়গাটি আমাদের দিয়ে দিতে পারেন| আমাদের যর্দন নদীর অপর পাশে নিয়ে যাবেন না|” 6 মোশি রূবেণ এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের বললেন, “তোমরা যখন এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করবে তখন কি তোমরা তোমাদের ভাইদের যুদ্ধে যেতে দেবে? 7 তোমরা ইস্রায়েলের লোকদের নিরুত্সাহ করার চেষ্টা করছ কেন? তোমরা তাদের নিরুত্সাহ করছ যাতে তারা নদী পার না হয় এবং ঈশ্বর তাদের যে দেশ দিয়েছেন সেই দেশ অধিগ্রহণ না করে! 8 তোমাদের পিতারাও আমার সঙ্গে ঠিক একই ব্যবহার করেছিল| কাদেশ-বর্ণেয় দেশটি দেখার জন্য আমি কিছু গুপ্তচর সেখানে পাঠিয়েছিলাম| 9 ঐ সমস্ত লোকরা ইষ্কোলের উপত্যকা পর্য়ন্ত গিয়েছিল| তারা দেশটি দেখেছিল এবং ঐ সমস্ত লোকরা ইস্রায়েলের লোকদের এতটাই নিরুত্সাহ করেছিল যে প্রভু তাদের যে জায়গা দিয়েছিলেন, সেখানে যেতেও তারা অস্বীকার করেছিল| 10 প্রভু ঐ লোকদের প্রতি প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন; 11 ‘মিশর থেকে এসেছে এমন 20 বছর অথবা তার বেশী বয়স্ক কোনো লোকই সেই দেশ দেখার অনুমতি পাবে না যে দেশ আমি অব্রাহাম, ইস্হাক এবং যাকোবের কাছে দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম| কিন্তু তারা সঠিকভাবে আমাকে অনুসরণ করে নি| সুতরাং কালেব এবং যিহোশূয় ছাড়া আর কেউ এই দেশ পাবে না| 12 কারণ কনিসীয গোষ্ঠীভুক্ত য়িফূন্নির পুত্র কালেব এবং নূনের পুত্র যিহোশূয় প্রভুকে সঠিকভাবে অনুসরণ করেছিল!’ 13 “ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি প্রভু প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন| সেই কারণে প্রভু ঐ লোকদের 40 বছর মরুভূমিতে বাস করতে বাধ্য করেছিলেন| যারা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপকার্য় করেছিল তাদের সকলকেই প্রভু তাদের মৃত্যু পর্য়ন্ত মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য করেছিলেন| 14 তোমাদের পিতারা যে কাজ করেছিলেন এখন তোমরা সেই একই কাজের পুনরাবৃত্তি করছো| তোমরা পাপী লোকরা, তোমরা কি চাও যে, প্রভু তার লোকদের বিরুদ্ধে আগের থেকেও আরও বেশী ক্রুদ্ধ হন? 15 তোমরা যদি প্রভুকে অনুসরণ করা ছেড়ে দাও, তাহলে প্রভু ইস্রায়েলের লোকদের আরও দীর্ঘদিনের জন্য মরুভূমিতে থাকতে বাধ্য করবেন| এই ভাবে তোমরা এই সমস্ত লোকদের ধ্বংস করবে|” 16 কিন্তু রূবেণের এবং গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশির কাছে গিয়ে বলল, “আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য এখানে শহর তৈরী করবো এবং আমাদের পশুর জন্য খোঁযাড় গড়ে তুলবো| 17 তাহলে আমাদের সন্তানরা এই দেশে বসবাসকারী অন্যান্য লোকদের থেকে নিরাপদে থাকতে পারবে| কিন্তু আমরা খুব খুশী মনেই এগিয়ে এসে ইস্রায়েলের অন্যান্য লোকদের সাহায্য করব যে পর্য়ন্ত না তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে আসব| 18 ইস্রায়েলের প্রত্যেকে তার জমির অংশ না পাওয়া পর্য়ন্ত আমরা বাড়ী ফিরবো না| 19 যর্দন নদীর পশ্চিম দিকের কোনো জমি আমরা দেবো না| যর্দন নদীর কেবলমাত্র পূর্বদিকের জমিই আমাদের|” 20 সুতরাং মোশি তাদের বললেন, “তোমরা যদি এগুলোর সবটাই করো, তাহলে এই জমি তোমাদের হবে; কিন্তু তোমাদের সৈন্যদের অবশ্যই প্রভুর সামনে যুদ্ধে যেতে হবে| 21 তোমাদের সৈন্যরা অবশ্যই যর্দন নদীর পার করবে এবং শত্রুদের দেশত্যাগ করতে বাধ্য করবে| 22 প্রভু আমাদের সবাইকে জমি অধিগ্রহণ করতে সাহায্য করার পরে, তোমরা বাড়ী ফিরে যেতে পারো| তখন প্রভু এবং ইস্রায়েলের লোকরা তোমাদের দোষী মনে করবে না| তখন প্রভু তোমাদের এই জমি নিতে দেবেন| 23 কিন্তু তোমরা যদি এইগুলো না করো, তাহলে তোমরা প্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করবে এবং এটা নিশ্চিত জেনে রেখো যে, তোমরা তোমাদের পাপের জন্য শাস্তি পাবে| 24 তোমরা তোমাদের সন্তানদের জন্য শহর এবং তোমাদের পশুদের জন্য খোঁযাড় তৈরী করো; কিন্তু তোমরা যা শপথ করেছিলে সেগুলো অবশ্যই কোরো|” 25 তখন গাদের এবং রূবেণের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা মোশিকে বলল, “আমরা আপনার সেবক, আপনি আমাদের গুরু, সুতরাং আপনি যা বলবেন আমরা সেটাই করব| 26 আমাদের স্ত্রীরা, সন্তানরা এবং আমাদের সমস্ত পশু গিলিয়দের শহরগুলোতে থাকবে| 27 কিন্তু আমরা, আপনার সেবকরা যর্দন নদী পার হব| আমাদের প্রভুর কথামতো আমরা প্রভুর সামনে যুদ্ধের জন্য এগিয়ে যাবো|” 28 সুতরাং মোশি, যাজক ইলিয়াসর, নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠীগুলোর সমস্ত নেতাদের তাদের বিষয এই নির্দেশ দিলেন| 29 মোশি তাদের বললেন, “গাদ এবং রূবেণের মানুষ যর্দন নদী পার হবে এবং প্রভুর সামনে থেকে যুদ্ধে যাবে| তারা তোমাদের সেই দেশ নিতে সাহায্য করবে এবং তাদের দেশের অংশ হিসেবে তুমি গিলিয়দের দেশ দিয়ে দেবে| 30 তারা প্রতিজ্ঞা করেছে যে কনান দেশ অধিকার করতে তারা তোমাদের সাহায্য করবে| কিন্তু যদি তারা তোমাদের সৈন্যদের সঙ্গে পার না হয় তাহলে তারা কেবলমাত্র কনানে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট জমির অংশ পাবে|” 31 গাদ এবং রূবেণের লোকরা উত্তর দিল, “প্রভু যা আদেশ করেছেন ঠিক সেটা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতি করেছি| 32 আমরা প্রভুর সামনে যর্দন নদী পার হয়ে কনান দেশে যাব, কিন্তু যর্দন নদীর পূর্বদিকের দেশই হল আমাদের অংশ|” 33 সুতরাং গাদের লোকদের, রূবেণের লোকদের এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোককে মোশি সেই দেশ দিয়েছিলেন| (মনঃশি ছিলেন য়োষেফের পুত্র|) ইমোরীয়দের রাজা সীহোনের রাজ্য এবং বাশনের রাজা ওগের রাজ্য সেই দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল| ঐ জায়গার আশেপাশের সমস্ত ঐ শহর ঐ দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল| 34 গাদের লোকরা দীবোন, অটারোত্ ও অরোযের এবং 35 অটারোত্-শোফন, যাসের ও য়গ্বিহ এবং 36 বৈত্-নিম্রা ও বৈত্-হারণ শহরগুলি খুব শক্ত প্রাচীর দিয়ে গড়ে তুলেছিল এবং পশুদের জন্য খোঁযাড় তৈরী করেছিল| 37 রূবেণের লোকরা হিষ্বোন, ইলিয়ালী, কিরিযাথযিম, 38 নবো, বাল্-মিযোন এবং সিব্মা শহর গড়ে তুলেছিল| তারা তাদের পুর্নগঠিত শহরগুলোর আগের নামগুলোই রেখেছিল কিন্তু নবো এবং বাল্-মিযোনের নাম পরিবর্তন করেছিল| 39 মনঃশির পুত্র মাখীরের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দে গিয়ে সেখানে বসবাসকারী ইমোরীয়দের পরাজিত করেছিল| 40 সেই কারণে মোশি মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর মাখীরকে গিলিয়দ দিলেন এবং তাদের পরিবার সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করল| 41 মনঃশি গোষ্ঠীর যাযীর সেখানকার ছোটো ছোটো গ্রামগুলোকে অধিকার করল| এরপর সে ঐ গ্রামগুলোর নাম দিয়েছিল যাযীরের শহর সকল| 42 কনাত্ এবং এর কাছের ছোটো ছোটো শহরগুলোকে নোবহ পরাজিত করেছিল| এরপর সে নিজের নামানুসারে সেই জায়গার নামকরণ করেছিল|
33:1 মোশি এবং হারোণ মিশর থেকে ইস্রায়েলের লোকদের নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ করে নিয়ে গিয়েছিলেন| 2 তারা যে জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করেছিল, প্রভুর আজ্ঞা অনুযায়ীমোশি সে জায়গাগুলো সম্পর্কে লিখেছিলেন| তাদের যাত্রার পর্য়াযগুলি এখানে দেওয়া হল: 3 প্রথম মাসের 15তম দিনে তারা রামিষেষ ত্যাগ করেছিল| সেই দিন সকালে নিস্তারপর্বের পরে ইস্রায়েলের লোকরা জয়ের ভঙ্গীতে তাদের হাত উঁচু করে মিশর থেকে বেরিয়ে এসেছিল| মিশরের সমস্ত লোক তাদের দেখেছিল| 4 প্রভু যাদের হত্যা করেছিলেন সেই প্রথমজাতদের মিশরীয়রা সেই সময় কবর দিচ্ছিল| মিশরের দেবগণের বিরুদ্ধেও প্রভু তাঁর বিচার দেখিয়েছিলেন| 5 ইস্রায়েলের লোকরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল| 6 সুক্কোত্ থেকে তারা এথমের দিকে যাত্রা করেছিল| লোকরা সেখানে মরুভূমির প্রান্তে শিবির স্থাপন করেছিল| 7 তারা এথম ত্যাগ করে পী-হহীরোতের দিকে যাত্রা করেছিল| এই জায়গাটি বাল-সফোনের কাছে ছিল| লোকরা মিগ্দোলের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল| 8 লোকরা পী-হহীরোত ত্যাগ করে সমুদ্রের মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল| তারা মরুভূমির দিকে গিয়েছিল, এরপর তিন দিন ধরে এথম মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটেছিল| লোকরা মারা নামক স্থানে শিবির স্থাপন করেছিল| 9 লোকরা মারা ত্যাগ করে এলীমে গিয়েছিল এবং সেখানেই শিবির স্থাপন করেছিল| সেখানে 12টি ঝর্ণা এবং 70টি খেজুর গাছ ছিল| 10 লোকরা এলীম ত্যাগ করে সূফ সাগরের কাছে শিবির স্থাপন করেছিল| 11 সূফ সাগর ত্যাগ করার পরে লোকরা সীন মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল| 12 এরপর সীন মরুভূমি ত্যাগ করে দপ্কাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 13 দপ্কা ত্যাগ করে আলুশে শিবির স্থাপন করেছিল| 14 আলুশ ত্যাগ করে রফীদীমে শিবির স্থাপন করেছিল| সেই স্থানে লোকদের পান করার উপযোগী কোনো জল ছিল না| 15 লোকরা রফীদীম ত্যাগ করে সীনয় মরুভূমিতে শিবির স্থাপন করেছিল| 16 সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে কিব্রোত্-হত্তাবাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 17 লোকরা কিব্রোত্-হত্তাবা ত্যাগ করে হত্সেরোতে শিবির স্থাপন করেছিল| 18 হত্সেরোত ত্যাগ করার পরে রিত্মোত শিবির স্থাপন করেছিল| 19 রিত্মা ত্যাগ করে রিম্মোণ-পেরসে শিবির স্থাপন করেছিল| 20 রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে লিব্নাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 21 লিব্না ত্যাগ করে রিস্সাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 22 রিস্বা ত্যাগ করে কহেলাথায শিবির স্থাপন করেছিল| 23 কহেলাথা ত্যাগ করে শেফর পর্বতে শিবির স্থাপন করেছিল| 24 শেফর পর্বত ত্যাগ করে হরাদাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 25 হরাদা ত্যাগ করে মখেলোতে শিবির স্থাপন করেছিল| 26 মখেলোত্ ত্যাগ করে তহতে শিবির স্থাপন করেছিল| 27 তহত্ ত্যাগ করে তেরহতে শিবির স্থাপন করেছিল| 28 তেরহ ত্যাগ করে মিত্কাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 29 মিত্কা ত্যাগ করে হশ্মোনাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 30 হশ্মোনা ত্যাগ করে মোষেরোতে শিবির স্থাপন করেছিল| 31 মোষেরোত্ ত্যাগ করে বনেযাকনে শিবির স্থাপন করেছিল| 32 বনেযাকন ত্যাগ করে হোর্-হগিদ্গদে শিবির স্থাপন করেছিল| 33 হোর্-হগিদ্গদে ত্যাগ করে য়ট্বাথাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 34 য়ট্বাথা ত্যাগ কের অব্রোণাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 35 অব্রোণা ত্যাগ করে ইত্সিযোন-গেবরে শিবির স্থাপন করেছিল| 36 ইত্সিযোন গেবর ত্যাগ করে সীন মরুভূমির কাদেশে শিবির স্থাপন করেছিল| 37 কাদেশ ত্যাগ করে হোরে শিবির স্থাপন করেছিল| ইদোম দেশের সীমান্তে এই পর্বতটি ছিল| 38 যাজক হারোণ প্রভুর কথা মান্য করে হোর পর্বতের ওপরে গিয়েছিলেন| সেই জায়গায় পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে হারোণ মারা গিয়েছিলেন| ইস্রায়েলের লোকরা মিশর ত্যাগ করার পরে সেইটি ছিল 40তম বছর| 39 হোর পর্বতের ওপরে মারা যাওয়ার সময় হারোণের বয়স ছিল 123 বছর| 40 কনান দেশের নেগেভে অরাদ নামে একটি শহর ছিল| সেই শহরে কনানের রাজা শুনেছিলেন যে ইস্রায়েলের লোকরা আসছে| 41 লোকরা হোর পর্বত ত্যাগ করেছিল এবং সল্মোনাতে শিবির স্থাপন করেছিল| 42 লোকরা সল্মোনা ত্যাগ করে পূনোনে শিবির স্থাপন করেছিল| 43 পূনোন ত্যাগ করে ওবোতে শিবির স্থাপন করেছিল| 44 ওবোত্ ত্যাগ করে ম্পযী-অবারীমে শিবির স্থাপন করেছিল| এই জায়গাটি মোয়াব দেশের সীমান্তে অবস্থিত ছিল| 45 লোকরা ইযীম (ইযী-অবারীমে) ত্যাগ করে দীবোন-গাদে শিবির স্থাপন করেছিল| 46 দীবোন-গাদ ত্যাগ করে অল্মোন-দিব্লাথযিমে শিবির স্থাপন করেছিল| 47 অল্মোন-দিব্লাথযিম ত্যাগ করে নবোর কাছে অবারীম পর্বতের ওপরে শিবির স্থাপন করেছিল| 48 অবারীম পর্বত ত্যাগ করে মোয়াবের যর্দন উপত্যকায শিবির স্থাপন করেছিল| যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর কাছে এই জায়গাটি ছিল| 49 তারা মোয়াবের যর্দন উপত্যকায যর্দন নদী বরাবর শিবির স্থাপন করেছিল| তাদের শিবির বৈত্-য়িশীমোত্ থেকে আবেল-শিটীম পর্য়ন্ত বিস্তৃত ছিল| 50 সেই স্থানে প্রভু মোশিকে বললেন, 51 “ইস্রায়েলের লোকদের এই কথাগুলি বলো: তোমরা যর্দন নদী পার হয়ে কনানের অভ্য়ন্তরে প্রবেশ করবে| 52 সেখানকার অধিবাসীদের তোমরা দূর করে দেবে| তোমরা তাদের সমস্ত খোদাই করা মূর্ত্তি ও প্রতিমাদের ধ্বংস করবে এবং তাদের পূজার সমস্ত উচ্চস্থানগুলো ধ্বংস করবে| 53 তোমরা সেই জায়গা অধিকার করে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করবে, কারণ আমিই সেই জায়গাটি তোমাদের দিচ্ছি| এই জায়গাটি কেবলমাত্র তোমাদের গোষ্ঠীগুলির হবে| 54 তোমাদের গোষ্ঠীর প্রত্যেকে এই দেশের অংশ পাবে| তোমরা ঘুঁটি চেলে সিদ্ধান্ত নেবে কোন পরিবার দেশের কোন অংশ পাবে| বড় পরিবার দেশের বড় অংশ পাবে| ছোটো পরিবার দেশের ছোট অংশ পাবে| চালা ঘুঁটি দেখিয়ে দেবে কোন পরিবার দেশের কোন অংশ পাবে| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী দেশে তার অংশ পাবে| 55 “তোমরা যদি ঐ দেশের অধিবাসীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য না কর তবে যাদের তোমরা থাকতে দেবে, তারা তোমাদের সামনে প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে| তারা হবে তোমাদের চোখে বালির মতো এবং তোমাদের পাশে কাঁটার মতো হবে| তোমরা যেখানে বাস করবে সেখানে তারা প্রচুর সমস্যা নিয়ে আসবে| 56 তোমরা যদি ঐ সমস্ত লোকদের তোমাদের দেশে থাকতে দাও, তাহলে আমি তাদের প্রতি যা করতে চেয়েছিলাম তা তোমাদের প্রতি করবো|”
34:1 প্রভু মোশিকে বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের এই আদেশ দাও| তোমরা কনান দেশে আসছো| তোমরা এই দেশকে পরাজিত করবে| তোমরা সমগ্র কনান দেশটিকে অধিগ্রহণ করবে| 3 দক্ষিণ দিকে তোমরা ইদোমের কাছে সীন মরুভূমির কিছু অংশ পাবে| লবণ সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে তোমাদের দক্ষিণ সীমান্ত শুরু হবে| 4 এটি অক্রব্বীমের দক্ষিণ দিক অতিক্রম করবে| এটি সীন মরুভূমির মধ্য দিয়ে যাবে কাদেশ-বর্ণেযের এবং তারপরে হত্সর-অদ এবং তারপরে এটি অস্মোনের মধ্য দিয়ে যাবে| 5 অস্মোন থেকে এই সীমান্ত মিশরের নদী পর্য়ন্ত বিস্তৃত হবে এবং এটি শেষ হবে ভূমধ্যসাগরে| 6 তোমাদের পশ্চিম সীমান্ত হবে ভূমধ্যসাগর| 7 তোমাদের উত্তর সীমান্ত শুরু হবে ভূমধ্যসাগর থেকে এবং এটি বিস্তৃত হবে, হোর পর্বত লিবানোন পর্য়ন্ত| 8 হোর পর্বত থেকে এটি লেবো হমাত পর্য়ন্ত যাবে এবং তারপরে সদাদ পর্য়ন্ত| 9 এরপর সেই সীমান্ত সিফ্রোণ পর্য়ন্ত যাবে এবং এটি শেষ হবে হত্সর-ঐননে| সুতরাং সেটিই তোমাদের উত্তর সীমান্ত| 10 তোমাদের পূর্ব সীমান্ত শুরু হবে হত্সর-ঐননে এবং এটি শফাম পর্য়ন্ত যাবে| 11 শফাম থেকে সীমান্তটি ঐনের পূর্ব দিকে রিব্লা পর্য়ন্ত যাবে| সীমান্তটি কিন্নেরত্ হ্রদের পাশে পাহাড়ের সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত হবে| 12 এরপর সীমান্তটি যর্দন নদীর সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত থাকবে| এটি লবণ সাগরে গিয়ে শেষ হবে| ঐগুলোই হল তোমার দেশের চারধারের সীমানা|” 13 সেই কারণে মোশি ইস্রায়েলের লোকদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, “এই সেই দেশ যেটি তোমরা পাবে এবং নয়টি গোষ্ঠী ও মনঃশির গোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে ভূমিটিকে ভাগ করে দেওয়ার জন্য তোমরা ঘুঁটি চালবে| 14 রূবেণ ও গাদের পরিবারগোষ্ঠী এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক তাদের দেশ বেছে নিয়েছে| 15 ঐ দুটি এবং অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী যিরীহোর কাছের দেশ নিয়েছিল| তারা যর্দন নদীর পূর্বদিকের জমি নিয়েছিল|” 16 এরপর প্রভু মোশিকে বললেন, 17 “দেশ ভাগ করে দেওয়ার কাজে, এই সমস্ত লোকরা তোমাকে সাহায্য করবে: যাজক ইলিয়াসর, নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং 18 সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীর নেতারা| সেখানে প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠী থেকে একজন করে নেতা থাকবেন| ঐ সমস্ত লোকরা দেশ ভাগ করবে| 19 এইগুলো হলো নেতাদের নাম:যিহূদা পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়িফূন্নির পুত্র কালেব| 20 শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের পুত্র শমূয়েল| 21 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠী থেকে কিশ্লোনের পুত্র ইলীদদ| 22 দানের পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়গ্লির পুত্র বুক্কি| 23 য়োষেফের উত্তরপুরুষদের মধ্য থেকে মনঃশির পরিবারগোষ্ঠী থেকে এফোদের পুত্র হন্নীযেল| 24 ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠী থেকে শিপ্তনের পুত্র কমূযেল| 25 সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী থেকে পর্ণকের পুত্র ইলীষাফণ| 26 ইষাখর পরিবারগোষ্ঠী থেকে অস্সনের পুত্র পল্টিযেল| 27 আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকে শলোমির পুত্র অহীহূদ| 28 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী থেকে অম্মীহূদের পুত্র পদহেল|” 29 ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে কনানের জমি ভাগ করে দেওয়ার জন্য প্রভু ঐ সমস্ত লোকদের মনোনীত করেছিলেন|
35:1 প্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন| এটি হয়েছিল যিরীহোর অপর পারে যর্দন নদীর কাছে মোয়াবের যর্দন উপত্যকায| প্রভু বললেন, 2 “ইস্রায়েলের লোকদের বলো, তাদের জমির অংশ থেকে কিছু শহর লেবীয়দের দিতে| ইস্রায়েলের লোকদের উচিত্ ঐ সমস্ত শহর এবং তার আশেপাশের পশুচারণের উপযোগী জমিগুলি লেবীয়দের দিয়ে দেওয়া| 3 লেবীয়রা ঐ সমস্ত শহরে বাস করতে সক্ষম হবে| আর লেবীয়দের সমস্ত গোরু এবং অন্যান্য পশু ঐ শহরের আশেপাশের চারণোপয়োগী ভূমি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে| 4 যে পরিমাণ জমি তোমরা লেবীয়দের দেবে, তা হল শহরের প্রাচীরের থেকে 1,500 ফুট বাইরের সমস্ত জমি| 5 এছাড়াও শহরের পূর্বদিকের 3,000 ফুট দূরত্ব পর্য়ন্ত সমস্ত জমি, শহরের পশ্চিম দিকের 3,000 ফুট দূরত্ব পর্য়ন্ত সমস্ত জমি, এবং শহরের উত্তর দিকে 3,000 ফুট দূরত্ব পর্য়ন্ত সমস্ত জমি লেবীয়দের হবে| (ঐ সমস্ত জমির মাঝখানে শহরটি থাকবে|) 6 ঐ শহরগুলোর মধ্যে ছয়টি শহর হবে নিরাপত্তার জন্য| যদি কোনো ব্যক্তি ঘটনাচক্রে কাউকে হত্যা করে, তাহলে সেই ব্যক্তি তার নিরাপত্তার জন্য ঐ সমস্ত শহরে পালিয়ে যেতে পারে| ঐ ছয়টি শহর ছাড়াও তোমরা লেবীয়দের আরও 42টি শহর দেবে| 7 সুতরাং তোমরা মোট 48টি শহর লেবীয়দের দেবে| ঐ শহরগুলোর চারধারের জমিও তোমরা তাদের দেবে| 8 ইস্রায়েলের বড় পরিবারগুলি জমির বড় অংশ পাবে| ছোটো পরিবারগোষ্ঠীগুলি জমির ছোট অংশ পাবে| সুতরাং বড় পরিবারগোষ্ঠীগুলি বেশী শহর এবং ছোট পরিবারগোষ্ঠীগুলি কম শহর লেবীয়দের দেবে|” 9 এরপর প্রভু মোশিকে বললেন, 10 “লোকদের বল: তোমরা যর্দন নদী পার হয়ে যখন কনান দেশে প্রবেশ করবে, 11 তখন সুরক্ষার শহর হিসাবে তোমরা অবশ্যই কিছু শহর বেছে নেবে| যদি কোনো ব্যক্তি ঘটনাচক্রে অন্য কাউকে হত্যা করে, তাহলে সে তার সুরক্ষার জন্য ঐ শহরগুলোর যে কোনো একটিতে পালিয়ে যেতে পারে| 12 মৃত ব্যক্তির পরিবারের যারা প্রতিশোধ নিতে চায এমন যে কারো কাছ থেকে সে নিরাপদে থাকতে পারবে| আদালতে তার বিচার হওয়া পর্য়ন্ত সে নিরাপদে থাকবে| 13 সেখানে ছয়টি সুরক্ষার শহর থাকবে| 14 ঐ শহরগুলোর মধ্যে তিনটি শহর যর্দন নদীর পূর্ব দিকে থাকবে এবং তিন থাকবে যর্দন নদীর পশ্চিমে কনান দেশে| 15 ইস্রায়েলের নাগরিকদের জন্য এবং বিদেশী ও পর্য়টকদের জন্য ঐ শহরগুলো হবে নিরাপদ জায়গা| ঐ সমস্ত লোকদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি ঘটনাচক্রে কাউকে হত্যা করে তবে সে ঐ শহরগুলোর যে কোনো একটিতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হবে| 16 “যদি কোনো ব্যক্তি লোহার অস্ত্র ব্যবহার করে কাউকে এমন আঘাত করে যে সেই ব্যক্তি মারা যায়, তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মরতে হবে| 17 যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো প্রস্তরখণ্ড নেয এবং তা দিয়ে যদি সে কাউকে হত্যা করে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মরতে হবে| (কিন্তু প্রস্তরখণ্ডটি যেন অবশ্যই সেই পরিমাপের হয় যেটিকে লোকদের হত্যা করার কাজে সাধারণভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে|) 18 যদি কোনো ব্যক্তি কাউকে হত্যা করার জন্য কোনো কাঠের টুকরো ব্যবহার করে, যা দিয়ে হত্যা করা যায়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মরতে হবে| (কাঠের টুকরোটি যেন অবশ্যই একটি অস্ত্র হয় যেটিকে লোকরা সাধারণতঃ লোকদের হত্যা করার কাজে ব্যবহার করে|) 19 মৃত ব্যক্তির পরিবারের একজন সদস্য সেই হত্যাকারীর পেছনে তাড়া করে তাকে হত্যা করতে পারে| 20 “কোন ব্যক্তি যদি তার হাত দিয়ে কাউকে এমন আঘাত করে যে তার মৃত্যু হয় অথবা যদি সে কাউকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করে বা যদি কোনো কিছু ছুঁড়ে তাকে হত্যা করে এবং হত্যাকারী সেটি ঘৃণাবশতঃ করে তাহলে সে একজন খুনী| তাকে অবশ্যই হত্যা করা উচিত্| মৃত ব্যক্তির পরিবারের যে কোনো একজন সদস্য সেই হত্যাকারীর পশ্চাদ্ধাবন করে তাকে হত্যা করতে পারে| 21 22 “কিন্তু একজন ব্যক্তি দুর্ভাগ্যবশতঃ অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে| সেই ব্যক্তি নিহত ব্যক্তিকে ঘৃণা করত না, এটি কেবলমাত্র একটি দুর্ঘটনা ছিল| অথবা, একজন ব্যক্তি কোনো কিছু ছুঁড়তে পারে এবং দুর্ঘটনাক্রমে অন্য কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে যদিও সে কাউকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করে নি| 23 অথবা যার দ্বারা মারা যায় এমন কোন পাথর না দেখে কারোর উপরে ফেলে এবং সেই পাথরখণ্ডটির আঘাতে যদি ব্যক্তিটি খুন হয় অথচ সেই ব্যক্তি কাউকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করে নি| 24 যদি সে রকম হয়, তাহলে মণ্ডলীকে অবশ্যই স্থির করতে হবে কি করা উচিত্| মণ্ডলীর আদালত অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে যে মৃত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্য সেই ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারে কি না| 25 মণ্ডলী যদি মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে খুনীকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয, তাহলে মণ্ডলী অবশ্যই তাকে তার সুরক্ষার শহরে ফিরিযে নিয়ে যাবে এবং পবিত্র তেলের দ্বারা অভিষিক্ত মহাযাজক মারা যাওয়া পর্য়ন্ত হত্যাকারী অবশ্যই সেখানে থাকবে| 26 “সেই ব্যক্তি তার শহরের সুরক্ষার সীমানার বাইরে অবশ্যই যাবে না| যদি সে সেই সীমানাগুলোর বাইরে যায়, এবং যদি মৃত ব্যক্তির পরিবারের কোনো সদস্য তাকে ধরতে পারে এবং তাকে হত্যা করে, তাহলে সেই সদস্য এই হত্যার জন্য দোষী হবে না| 27 28 যে ব্যক্তি দুর্ঘটনাক্রমে কোনো একজনকে হত্যা করেছিল, সে মহাযাজক মারা যাওয়া পর্য়ন্ত অবশ্যই তার সুরক্ষার শহরে থাকবে| মহাযাজক মারা যাওয়ার পরে সে তার নিজের জায়গায় ফিরে যেতে পারে| 29 তোমার লোকদের সমস্ত শহরে চিরকালের জন্য ঐগুলোই বিচার বিধি হবে| 30 “যদি সেখানে কযেকজন সাক্ষী থাকে তাহলেই একজন হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত্| শুধুমাত্র একজন সাক্ষী থাকলে কোনো ব্যক্তিকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে না| 31 “যদি কোনো ব্যক্তি খুনী হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত্| অর্থ গ্রহণ করে তার শাস্তির কোনো প্রকার পরিবর্তন করো না| সেই খুনীকে অবশ্যই হত্যা করা উচিত্| 32 “যদি কোনো ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে সুরক্ষার শহরের কোনো একটিতে পালিয়ে যায়, তাহলে তাকে বাড়ীতে ফিরে যেতে দেওয়ার জন্য কোনো অর্থ গ্রহণ করো না| মহাযাজক মারা যাওয়া পর্য়ন্ত সেই ব্যক্তি অবশ্যই সেই শহরে থাকবে| 33 “নিরাপরাধের রক্তে তোমার দেশের সর্বনাশ হতে দিও না| যদি কোনো ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে, তাহলে সেই অপরাধের একমাত্র শাস্তি হল সেই খুনীর মৃত্যুদণ্ড| অন্য কোনো প্রকার শাস্তিই দেশকে সেই অপরাধ থেকে মক্ত করতে পারবে না| 34 আমি প্রভু! আমি ইস্রায়েলের লোকদের সঙ্গে বাস করি| আমিও সেই দেশে থাকবো, সুতরাং নিরপরাধ লোকদের রক্তে এটিকে অপবিত্র করো না|”
36:1 মনঃশি ছিলেন য়োষেফের পুত্র| মনঃশির পুত্র ছিলেন মাখীর| মাখীরের পুত্র ছিলেন গিলিয়দ| মোশি এবং ইস্রায়েলের পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য গিলিয়দ পরিবারের নেতারা গিয়েছিলেন| 2 তাঁরা বললেন, “ঘুঁটি চেলে জমি নিতে প্রভু আমাদের আদেশ করেছিলেন| মহাশয়, প্রভু আমাদের আদেশ করেছিলেন যে সল্ফাদের জমি তার কন্যারাই পাবে| সল্ফাদ আমাদেরই ভাই ছিলেন| 3 হতে পারে, অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর যে কোনো একটির থেকে একজন ব্যক্তি সল্ফাদের কন্যাদের মধ্যে কোনো একজনকে বিয়ে করবে| সেই জমি কি তাহলে আমাদের পরিবারের বাইরে চলে যাবে? সেম্প অন্য পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা কি সেম্প জমি পাবে? ঘুঁটি চেলে আমরা যে জমি পেয়েছিলাম, সেটি কি আমরা হারাবো? 4 লোকরা তাদের জমি বিক্রি করতে পারে| কিন্তু জুবিলী বছরে সমস্ত জমি সেই পরিবারগোষ্ঠীর কাছে ফিরে আসে যারা প্রকৃতই সেটির মালিক| সেই সময়, সল্ফাদের কন্যাদের জমি কে পাবে? আমাদের পরিবার কি সেই জমি চিরকালের জন্য হারাবে?” 5 মোশি ইস্রায়েলের লোকদের এই আদেশ দিয়েছিলেন| এই আদেশটি ছিল প্রভুর কাছ থেকে পাওয়া| “য়োষেফের পরিবারের লোকরা যা বলছে তা ঠিক| 6 সলফাদের কন্যাদের প্রতি প্রভুর আদেশ হল এই: যদি তোমরা কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চাও, তাহলে তোমরা অবশ্যই তোমাদের নিজেদের গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তিকেই বিয়ে করবে| 7 এই প্রকারেই ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে এক পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্য পরিবারগোষ্ঠীতে জমি হস্তান্তরিত হবে না| প্রত্যেক ইস্রায়েলীয় তার পূর্বপুরুষের অধিকারভুক্ত জমি রাখবে| 8 এবং যদি কোনো স্ত্রীলোক তার পিতার জমি পায়, তাহলে সে অবশ্যই তার নিজের গোষ্ঠীর কোনো ব্যক্তিকেই বিবাহ করবে| এই প্রকারে প্রত্যেক ব্যক্তি তার পূর্বপুরুষের অধিকারভুক্ত জমি রাখবে| 9 “সুতরাং ইস্রায়েলের লোকদের মধ্যে এক গোষ্ঠী থেকে অন্য পরিবারগোষ্ঠীতে জমি অবশ্যই হস্তান্তরিত হবে না| প্রত্যেক ইস্রায়েলীয় তার নিজের পূর্বপুরুষের অধিকারভুক্ত জমি রাখবে|” 10 সল্ফাদের কন্যারা মোশিকে দেওয়া প্রভুর আদেশ মান্য করেছিল| 11 সেই কারণে সলফাদের কন্যারা মহলা, তির্সা, হগ্লা, মিল্কা এবং নোয়া - পরিবারে তাদের পিতার দিকের, জ্ঞাতি ভাইদের বিবাহ করেছিল| 12 তাদের স্বামীরা ছিল মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, সেই কারণে তাদের জমি তাদের পিতার পরিবার এবং পরিবারগোষ্ঠীর অধিকারেই ছিল| 13 সুতরাং ঐগুলোই হল আইন এবং আদেশ যা যিরীহোর অপর পারে, যর্দন নদীর পাশে মোয়াবের যর্দন উপত্যকায প্রভু মোশিকে দিয়েছিলেন|