আল্লার কালাম মানুষ ছুরতে নাজিল (১:১-১৮)
1পয়লাউ কালাম আছলা, কালাম আল্লার লগে আছলা আর অউ কালাম নিজেউ আল্লা আছলা। 2হকল পয়লা অউ কালাম আল্লার লগে আছলা। 3অউ কালামর মাজদি হক্কলতা পয়দা করা অইছিল, যততা পয়দা করা অইছে, এর কুনুতাউ তানরে ছাড়া পয়দা অইছে না। 4তান মাজে জিন্দেগি আছিল, হউ জিন্দেগিউ অইলো মানষর নুর। 5অউ নুর আন্দারির মাজে জলের, অইলে আন্দাইরে ই নুররে কবজা করতো পারছে না। 6আল্লায় এহিয়া নামর একজন মানষরে দুনিয়াত পাঠাইলা। 7অউ নুরর বেয়াপারে সাক্ষি দিবার লাগি তানরে পাঠাইল অইলো, যাতে তান জবানবন্দি হুনিয়া মানষে ইমান আনে। 8তাইন নিজে হি নুর আছলা না, অইলে নুরর বেয়াপারে সাক্ষি দিবার লাগি দুনিয়াত আইছলা। 9আসল নুর অইলা হউ জন, যেইন হক্কল মানষরে নুর দান করইন, তাইন দুনিয়াত তশরিফ আনরা। 10অউ দুনিয়াত তাইন আছলা, দুনিয়া তান উছিলায় পয়দা অইছে, তা-ও দুনিয়ার মানষে তানরে চিনলো না। 11তাইন নিজর জমিনো আইলা, তান নিজর মানষেউ তানরে কবুল করলো না। 12অইলে যতো জনে তান উপরে ইমান আনিয়া তানরে কবুল করলা, এরা পরতেক জনরে তাইন আল্লার খাছ আওলাদ, মানি মায়ার জন বনার এখতিয়ার দিলা। 13আসলে অউ জন অকলর জনম তো মানষর লউ থাকি অইছে না, শরিলর খাইশ বা মানষর ইচ্ছায়ও অইছে না, ইটা খালি আল্লা থাকিউ অইছে। 14অউ কালামউ মানুষ ছুরতে জনম লইলা আর আমরার মাজে বসতি করলা। বাফর খাছ আওলাদ হিসাবে তাইন যে জালাল আর মহিমা পাইছইন, হউ জালাল আর মহিমা আমরা দেখছি। তাইন তো হক আর রহমতে ষোলআনা কামিল। 15এহিয়া নবীয়ে তান বেয়াপারে বড় গলায় সাক্ষি দিলা, কইলা, “এইনউ তো হউ জন, যেন বেয়াপারে আমি আগে কইছলাম, আমার বাদে একজনে তশরিফ আনরা তাইন আমা থাকিও মহান, আমার বউত আগ থাকিউ তো তাইন আছইন।” 16তাইন ষোলআনা কামিল অওয়ায় আমরা হকলে রহমতর উপরেদি আরো রহমত পাইছি। 17মুছা নবীর মারফতে আল্লায় শরিয়ত দান করছিলা, অইলে ইছা আল-মসীর মারফতে হক আর রহমত আইছে। 18আল্লারে তো কেউ কুনুদিন দেখছে না। তান লগে রওরা হউ একমাত্র পুত, মানি তান খাছ মায়ার জন, যেইন স্বয়ং মউলা, তাইনউ আল্লারে জাইর করছইন।
হজরত এহিয়া (আ:) আর হজরত ইছা আল-মসীর পয়লা উম্মত (১:১৯-৫১)
হজরত এহিয়ার (আ:) পরিচয়
19ইহুদি নেতা অকলে জেরুজালেম টাউন থাকি যেবলা কয়জন ইমাম আর লেবি সমাজর কিছু মানষরে এহিয়া নবীর গেছে পাঠাইলা, অউ সময় এহিয়ায় এরার গেছে সাক্ষি দিলা। তারা যেবলা জিকাইলা, “ছাব, আপনে আসলে কে?” 20এহিয়া নবীয়ে কুন্তা না লুকাইয়া স্বীকার অইয়া কইলা, “আমি তো আল-মসী নায়।” 21তেউ তারা তানরে জিকাইলা, “তে আপনে কে? আপনে ইলিয়াছ নবী নি?” তাইন কইলা, “না, আমি ইলিয়াছ নায়।” অউ তারা জিকাইলা, “তে আপনে কিতা আগর জমানার হউ নবী নি?” তাইন জুয়াপ দিলা, “জি না।” 22তারা হিরবার তানরে জিকাইলা, “তাইলে আপনে কে? আমরারে যেরা পাঠাইছইন, আমরা ফিরিয়া গিয়া কিতা কইতাম, আপনার নিজর পরিচয় কিতা?” 23এহিয়ায় জুয়াপ দিলা, “আমি অইলাম হউ আওয়াজ, যেন বেয়াপারে হজরত ইশায়া নবীয়ে বাতাই গেছইন, মরুভুমির মাজে জুরে জুরে একজনে এলান কররা, তুমরা মালিকর পথ ছহি করো।” 24এহিয়া নবীর গেছে যেরারে পাঠাইল অইছিল, এরা আছলা ফরিশি সমাজর মানুষ। 25তারা তানরে জিকাইলা, “আপনে যেবলা আল-মসীও নায়, ইলিয়াছ নবীও নায় বা আগর জমানার হউ নবীও নায়, তে আপনে কেনে মানষরে তৌবার গোছল দিরা?” 26এহিয়া নবীয়ে তারারে জুয়াপ দিলা, “আমি তো মানষরে পানি দিয়া তৌবার গোছল করাইরাম, অইলে আপনারার মাজে অউলা এক বুজুর্গ জন আছইন, যেনরে আপনারা চিনইন না। 27এইন হউ বুজুর্গ, যেইন আমার বাদে তশরিফ আনার কথা আছিল। তান পাওর জুতার ফিতা গেছা খুলার লাখও আমি নায়।” 28জর্দান গাংগর আরক পারো বায়ত-আনিয়া গাউত, এহিয়া নবী যেখানো তৌবার গোছল করানিত আছলা, হনো অউ ছওয়াল-জুয়াপ অইলো।
আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা
29বাদর দিন এহিয়া নবীয়ে দেখলা হুজুর ইছা তান গেছে আইরা, দেখিয়া কইলা, “অউ দেখরায় নি আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা, যেন উছিলায় হক্কল মানষর গুনার মাফি অয়। 30এইন অইলা হউ জন, যেন বেয়াপারে আমি আগে কইছলাম, আমার বাদে একজনে তশরিফ আনরা, আসলে তাইন আমার আগ থাকিউ আছইন, আর তাইন আমা থাকিও ইজ্জতি জন। 31আগে তো আমি তানরে চিনতাম না, অইলে বনি ইসরাইলর মাজে তাইন যাতে পরিচিতি পাইন, অতার লাগি আমি আগে আইয়া মানষরে পানিদি তৌবার গোছল করাইরাম।” 32বাদে এহিয়া নবীয়ে অউ সাক্ষি দিলা, কইলা, “আমি দেখলাম কইতরর ছুরতে পাক রুহ আছমান থাকি লামিয়া আইলা, আইয়া এন উপরে আজিলা। 33আমি তো তানরে চিনতাম না, অইলে তৌবার গোছল করানির লাগি যেইন আমারে বেজিছইন, তাইন আমারে বাতাই দিছইন যেন, আল্লাই পাক রুহরে যার উপরে লামিয়া আইতে দেখবায়, এইনউ হউ জন, যেইন মানষরে পাক রুহদি তরিকাবন্দি দিবা। 34তে আমি ইতা দেখলাম, দেখিয়া হারি সাক্ষি দিরাম, এইনউ ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন।”
হজরত ইছার পয়লা সাহাবি
35বাদর দিন এহিয়া নবী আর তান দুইজন উম্মত হিরবার হউ জাগাত আইলা। 36অউ সময় হজরত ইছা আটিয়া যাইরা, তানরে দেখিয়া এহিয়ায় কইলা, “অউ দেখরায় নি আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা।” 37এহিয়া নবীর অউ কথা হুনিয়া হউ দুইও জন ইছার খরে খরে রওয়ানা অইগেলা। 38ইছায় খরেদি ফিরিয়া এরারে দেখলা, দেখিয়া কইলা, “কিতাবা, তুমরা কিতা চাও?” তারা জুয়াপ দিলা, “রব্বি, (মানি উস্তাদ), আপনে কুয়াই থাকইন?” 39ইছায় তারারে কইলা, “আও না, আইয়া দেখিয়া যাও।” তেউ তারা তান লগে গেলা, গিয়া দেখলা তাইন কুন জাগাত থাকইন, আর তারাও আস্তা দিন তান লগে রইলা। অউ সময় আছরর অখত আইচ্ছে। 40এহিয়া নবীর কথা হুনিয়া যে দুইজন ইছার খরে খরে গেছলা, এরার একজনর নাম অইলো আন্দ্রিয়াছ, এন ভাইর নাম সাইমন-পিতর। 41অউ আন্দ্রিয়াছে পয়লা তান ভাই সাইমনরে তুকাইয়া বার করিয়া কইলা, “ভাইছাব হুনছো নি, আমরা তো আল-মসীরে দেখছি।” আল-মসীর মানি অইলো আল্লার খেলাফতি পাওয়া জন। 42আন্দ্রিয়াছে সাইমনরে লইয়া ইছার গেছে আইলা। ইছায় সাইমনর বায় চাইয়া কইলা, “তুমি তো সাইমন বিন ইউহান্না, অইলে অখন থাকি তুমারে কৈফা নামে ডাকা অইবো।” কৈফা মানি পিতর, বা পাথর। 43বাদর দিন ইছায় নিয়ত করলা, গালিল জিলাত যাইতাগি। অউ সময় তাইন ফিলিফরে দেখলা, দেখিয়া কইলা, “ও ফিলিফ আও, আইয়া আমার উম্মত অও।” 44ফিলিফ আছলা বায়ত-ছয়দা গাউর মানুষ। আন্দ্রিয়াছ আর পিতরর বাড়িও আছিল অউ গাউত। 45ফিলিফে নথনেলরে তুকাইয়া বার করিয়া কইলা, “মুছা নবীর তৌরাত কিতাবো আর আছমানি নবী অকলর ছহিফাত যেন কথা লেখা আছে, আমরা তো তানরে দেখছি। তাইন তো নাছারত গাউর ইছা, তান বাফর নাম ইউছুফ।” 46ইখান হুনিয়া নথনেলে ফিলিফরে কইলা, “ধুত! নাছারত থাকি ভালা কুন্তা বারয় নি?” ফিলিফে কইলা, “তে আইয়া দেখো।” 47ইছায় দেখলা, নথনেল তান গেছে আইরা, দেখিয়া কইলা, “অউ দেখরায় নি একজন খাটি ইসরাইলি। তার মাজে কুনু ধুন্দুর-মুন্দুর নাই।” 48তেউ নথনেলে ইছারে জিকাইলা, “আপনে আমারে কেমনে চিনলা?” ইছায় জুয়াপ দিলা, “হুনো, তুমারে ডাকিবার আগে তুমি যেবলা হউ ডুমুর গাছর তলে আছলায়, হউ সময় আমি তুমারে দেখছি।” 49ইখান হুনিয়া নথনেলে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনেউ তো ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন। আপনেউ বনি ইসরাইলর বাদশা।” 50ইছায় তানরে কইলা, “তুমারে হউ ডুমুর গাছর তলে দেখছি অখান কওয়ায় তুমি ইমান আনলায় নি? হুনো, এরথাকিও আরো বউত বড় বড় কেরামতি তুমি দেখবায়নে।” 51বাদে ইছায় কইলা, “আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, তুমরা দেখবায় বেহেস্ত খুলিগেছে, আর আল্লার ফিরিস্তা অকল আমি বিন-আদমর উপরে উঠা-লামা কররা।”
আল-মসীর তবলিগ আর কেরামতি কামর বয়ান (২:১-১২:৫০)
হজরত ইছায় পানিরে আংগুরর শরবত বানাইলা
1এর দুইদিন বাদে গালিল জিলার কান্না গাউত এক বিয়া আছিল। হজরত ইছার মা অউ বিয়াত আছলা। 2অউ বিয়াত ইছা আর তান সাহাবি অকলেও দাওত পাইছলা। 3বিয়ার অনুষ্ঠানো যেবলা আংগুরর শরবত ফুড়াই গেল, অউ সময় ইছার মায় ইছারে কইলা, “এরার আংগুরর শরবত শেষ অইগেছে।” 4ইছায় তান মারে কইলা, “মাই গো, ইতা তো আমার বিষয় নায়। অখনও আমার সময় অইছে না।” 5অইলে তান মায় খাদিমদার অকলরে কইলা, “ওবা, তাইন যেতা কইন, অতাউ করো।” 6ইহুদির শরিয়ত মাফিক অজু করার লাগি হিনো পাথরর ছয়টা গামলা আছিল। ইতা একোটাত অনুমান দুই-তিন মন পানি ধরতো। 7ইছায় খাদিমদার অকলরে কইলা, “অউ গামলাইন্তো পানি ভরো।” তেউ তারা ইগুইন টেপে টেপে ভরি দিল। 8বাদে তাইন কইলা, “অন থাকি থুড়া পানি নিয়া পরধান বাবুর্চিরে দেও।” তেউ তারা অলাউ করলো। 9বাবুর্চিয়ে অউ পানি খাইয়া দেখলা, ইতা তো আংগুরর শরবত। অইলে ই শরবত কুয়াই থাকি আইলো, ইখান তাইন জানতা না। খালি খাদিমদার অকলে জানতো। এরলাগি বাবুর্চিয়ে বিয়ার নশারে ডাকিয়া কইলা, 10“পয়লা হকলেউ মানষরে খাটি শরবত খাইতে দেয়। মানষে ইচ্ছামতো খাওয়ার বাদে যেবলা শেষ অইযায়, অউ সময় যে শরবত দেয়, ইতা পয়লা থাকি কিছু ভেজাল থাকে। অইলে তুমি খাটি শরবত অখনও রাখছো।” 11হজরত ইছায় গালিল জিলার কান্না গাউত নিশানা হিসাবে অউ পয়লা কেরামতি দেখাইয়া নিজর মহিমা জাইর করলা। ইতা দেখিয়া সাহাবি অকলে তান উপরে ইমান আনলা। 12এরবাদে ইছায় তান মা, ভাইয়াইন আর সাহাবি অকলরে লইয়া কফরনাউম টাউনো গেলা, গিয়া কয়দিন হনো রইলা।
জেরুজালেম বায়তুল-মুকাদ্দছো ইছা আল-মসী
13ইহুদির আজাদি ইদ ঘনাই গেলে ইছা জেরুজালেম টাউনো আইলা। 14জেরুজালেমো আইয়া তাইন দেখলা, পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা ঘরর সীমানাত কুরবানির গরু, মেড়া আর পারো বেচা-কিনা চলের, আর টেকার বাট্টার কারবারি অকলও বই রইছইন। 15ইতা দেখিয়া তাইন দড়ি দিয়া একটা চাবুক বানাইলা, আর চাবুক দিয়া হকল গরু-মেড়া আর মানষরে ইনথনে খেদাই দিলা। আর টেকার বাট্টার কারবারি অকলর টেকা-পয়সা ছিতরাইয়া, তারার কেশ বাক্স উল্টাইয়া ফালাইলা। 16পারো বেচরা অকলরে ইছায় কইলা, “ইনথনে হক্কলতা হরাও। আমার বাফর ঘররে বাজার বানাইও না।” 17অউ সময় পাক কিতাবর অউ কথা সাহাবি অকলর মনো অইগেল, “তুমার ঘরর লাগি আমার যে মহব্বত, অউ মহব্বতেউ আমার দিলর মাজে আগুনির লাখান জলের।” 18ইছার ই কামর লাগি ইহুদি নেতা অকলে তানরে জিকাইলা, “ইতা করার অধিকার যে তুমার আছে, তার পরমান হিসাবে তুমি কুন কেরামতি দেখাইবায়?” 19তাইন জুয়াপ দিলা, “আপনারা অউ কাবা ঘর ভাংগিলাউক্কা, আমি তিন দিনর ভিতরে হিরবার তুলমু।” 20ইখান হুনিয়া তারা কইলা, “ই এবাদত খানা বানাইতে ছয়চাল্লিশ বছর লাগছিল, আর তুমি কিতা তিন দিনর ভিতরে বানাইলিবায় নি?” 21অইলে ইছায় ইনো আল্লার ঘর বলতে নিজর শরিলর কথাউ কইছইন। 22এরলাগি ইছা মরা থাকি জিন্দা অওয়ার বাদে সাহাবি অকলর মনো অইছিল, তাইন অউ কথাউ কইছলা। তেউ সাহাবি অকলে পাক কিতাবর কথা আর ইছায় যেতা কইছলা, অতা একিন করলা। 23আজাদি ইদর সময় ইছায় জেরুজালেম রইয়া যেতা কেরামতি কাম করছিলা, ইতা দেখিয়া বউত মানষে তান উপরে ইমান আনলো। 24অইলে ইছায় নিজরে তারার গেছে ধরা দিলা না, কারন তাইন হকল মানষরে চিনতা। 25মানষর বেয়াপারে তান কুনু সাক্ষির জরুর আছিল না, তাইন এরার দিলর খবর জানতা।
নয়া জনম আর একিনর বেয়াপারে তালিম
1ফরিশি অকলর মাজে নীকদীম নামে ইহুদি অকলর একজন নেতা আছলা। 2একদিন রাইত তাইন আইয়া ইছারে কইলা, “হুজুর, আমরা জানি, আপনে একজন উস্তাদ হিসাবে আল্লার গেছ থাকি আইছইন। আপনে যেতা কেরামতি কাম কররা, আল্লা লগে না থাকলে কেউ ইতা করতো পারে না।” 3তাইন নীকদীমরে কইলা, “আমি আপনারে হাছাউ কইরাম, নয়া করি জনম না লইলে কেউ আল্লার বাদশাই দেখে না।” 4তেউ নীকদীমে তানরে কইলা, “মানুষ বুড়া অইগেলে হিরবার জনম লয় কিলা? দুছরা বার মার পেটো হামাইয়া জনম লয় নি?” 5ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি আপনারে হাছাউ কইরাম, পানি আর পাক রুহ থাকি জনম না অইলে কেউ আল্লার বাদশাইত হামাইতো পারে না। 6রক্ত-মাংস থাকি যেতার জনম, ইতা তো খালি রক্ত-মাংস। আর পাক রুহ থাকি যেতার জনম, ইতা রুহ। 7আমি যে আপনারে কইলাম, নয়া করি জনম লওয়া জরুর, এতে তাইজ্জুব অইবা না। 8বাতাস তার যেবায় ইচ্ছা অবায় যায়, আর আপনে তার আওয়াজ হুনইন, অইলে কই থাকি আয় আর কই যায়, ইখান জানইন না। তে পাক রুহ থাকি যেরার জনম অইছে, তারার বেলায়ও অলাখান অয়।” 9নীকদীমে ইছারে জিকাইলা, “ইকটা কিলা অইতো পারে?” 10ইছায় জুয়াপ দিলা, “আপনে বনি ইসরাইলর উস্তাদ অইয়াও ইতা বুজইন না নি? 11আপনারে হাছাউ কইরাম, আমরা যেতা জানি অখানউ কই, আর যেতা দেখছি অউ বেয়াপারে সাক্ষি দেই। অইলে আপনারা আমরার সাক্ষি মানইন না। 12আমি আপনারারে দুনিয়াবি বেয়াপারে কইলে যেবলা একিন করইন না, তে বেহেস্তি বেয়াপারে কইলে কিলা একিন করবা? 13যেইন বেহেস্তো থাকইন আর বেহেস্ত থাকি আইছইন, হউ বিন-আদম ছাড়া আর কেউ বেহেস্তো উঠছইন না। 14“মরুভুমির মাজে মুছা নবীয়ে যেলা হাফরে উচাত তুলছিলা, অলা আমি বিন-আদমরেও উচাত তুলা অইবো। 15যাতে যে জনে আমার উপরে ইমান আনে, হে আখেরি জিন্দেগি হাছিল করে। 16আল্লা পাকে দুনিয়ার মানষরে অতো বেশি মায়া করলা, ই মায়ার খাতিরে তান খাছ মায়ার জনরে দান করলা। যে মানষে অউ মায়ার জনর উপরে ইমান আনে, হে বিনাশ অয় না, বরং আখেরি জিন্দেগি হাছিল করে। 17“আল্লায় মানষরে দুষি পরমান করার লাগি তান মায়ার জনরে দুনিয়াত পাঠাইছইন না। অউ মায়ার জনর খাতিরে মানষে যাতে নাজাত পায়, এরলাগিউ পাঠাইছইন। 18যে জনে অউ মায়ার জনর উপরে ইমান আনে, তার কুনু বিচার অয় না, অইলে যে ইমান আনে না, তারে আগেউ দুষি সাইবস্তো করা অইগেছে। কারন আল্লার একমাত্র মায়ার জন, ইবনুল্লার উপরে হে ইমান আনছে না। 19তারে দুষি সাইবস্তো করা অইছে, কারন দুনিয়াত নুর জাইর অইছে। অইলে মানষর বদ কামর লাগি নুর থাকি আন্দাইররে বেশি ভালা পাইছে। 20যে মানষে বদ কাম করে, হে নুররে ঘিন্নায়, তার বদ কাম অকল জাইর অইযিবো করি হে নুরর গেছে আয় না। 21অইলে যে জন হক-হালালির পথে চলে, হে নুরর গেছে আয়, যাতে তার হকল কাম আল্লার মুনশা মাফিক অইছে করি পরমান অয়।”
এহিয়া নবীয়ে ইছার বেয়াপারে কইরা
22এরবাদে হজরত ইছা আর সাহাবি অকল এহুদিয়া এলাকাত আইলা। হিনো তাইন সাহাবি অকলর লগে কিছু দিন কাটাইলা আর মানষরে তৌবার গোছল করাইলা। 23অউ সময় সালিম নামর এক গাউর কান্দাত ঐনোন নামর এক জাগাত এহিয়ায়ও তৌবার গোছল করানিত আছলা। হউ জাগাত বউত পানি থাকায় দলে দলে মানুষ আইয়া তৌবার গোছল লইলা। 24এহিয়া নবীরে অউ সময়ও জেলো বন্দি করা অইছে না। 25অউ সময় শরিয়ত মাফিক পাক-ছাফ অওয়ার বেয়াপার লইয়া, এহিয়া নবীর উম্মত অকলে ইহুদির এক আলিমর লগে তর্ক লাগাই দিলা। 26বাদে তাইন তাইন হজরত এহিয়ার গেছে আইয়া কইলা, “হুজুর, যেইন জর্দান গাংগর হপারো আপনার লগে আছলা, আর যার বেয়াপারে আপনে সাক্ষি দিছলা, দেখরা নি, হকল মানুষ তান গেছে যাইরাগি আর তাইন এরারে তৌবার গোছল দিরা।” 27ইখান হুনিয়া এহিয়ায় কইলা, “বেহেস্ত থাকি দেওয়া না অইলে কেউ কুন্তা পায় না। 28তুমরাউ তো হুনছো, আমি কইছি, আমি আল-মসী নায়, অইলে তান আগে আমারে পাঠানি অইছে। 29যার গেছে কইনারে বিয়া দেওয়া অয়, এইনউ নশা। নশার দুস্তে খালি উবাইয়া নশার মাত হুনইন আর তান গলার আওয়াজ হুনিয়া খুশি অইন। অউ লাখান আমার খুশিও আইজ পুরা অইলো। 30তানরে বড় অইতে অইবো আর আমি হরি যাইতাম অইবো।”
বেহেস্ত থাকি যেইন আইছইন
31যেইন উপর থাকি আইন, এইন হকলর উপরে। অইলে যে দুনিয়া থাকি আয়, হে তো দুনিয়ার, হে দুনিয়াবি মাতউ মাতে। যেইন বেহেস্ত থাকি আইন, তান আসন হকলর উপরে। 32তাইন হনো যেতা দেখছইন আর হুনছইন, অতার সাক্ষিউ দেইন। কেউ তান সাক্ষি মানে না। 33অইলে যে জনে তান সাক্ষি কবুল করছে, হে অখান দিয়াউ পরমান করে, আল্লার কালামউ হাছা। 34আল্লায় যেনরে পাঠাইছইন, তাইন আল্লার কালামউ বাতাইন, কারন আল্লায় তানরে পুরাপুর করিয়া পাক রুহ দান করইন। 35বাফে তান পুতরে, মানি তান খাছ মায়ার জনরে মায়া করইন আর তান আতোউ হকলতা দিছইন। 36যে মানষে আল্লার খাছ মায়ার জনর উপরে ইমান আনছে, হে আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে। অইলে যে তানরে মানে না, হে কুনুমন্তেউ আখের পাইতো নায় বরং তার উপরে আল্লার গজব পড়ব।
শমরিয়ার বেটির ইমান
1ফরিশি অকলে হুনলা, হজরত ইছায় এহিয়া নবী থাকি বেশি মানষরে তান উম্মত বানাইছইন, আর তৌবার গোছল করাইরা। 2অইলে ইছায় নিজে তৌবার গোছল করাইরা না, তান উম্মত অকলেউ করাইরা। 3হজরত ইছায় ই খবর পাইয়া, এহুদিয়া জিলা ছাড়িয়া হিরবার গালিল জিলাত যাওয়ার লাগি রওয়ানা অইলা। 4যাওয়ার কালো তানরে শমরিয়ার মাজদি যাওয়া লাগছিল। 5পথো তাইন শমরিয়ার শুখার নামর এক গাউর ধারো আইলা। হজরত ইয়াকুবে তান পুয়া ইউছুফরে যে জমিন দান করছলা, অউ জমিন খান আছিল হউ গাউর ধারো। 6ই জমিনো হজরত ইয়াকুবর কুয়া আছিল। ইছা আটতে আটতে হেরান অইয়া অউ কুয়ার কাছাত জিরাইলা। অউ সময় অনুমান দুইফর অইগেছে। 7-8এরমাজে শমরিয়া জাতির এক বেটিয়ে পানি তুলাত আইলো, আর কুয়ার কাছাত ইছা একলা আছলা, কারন তান সাহাবি অকল খানি-পানি লওয়ার লাগি বাজারো গেছলাগি। ইছায় তাইরে কইলা, “ও মাই, আমারে থুড়া পানি খাওয়াউক্কা।” 9বেটিয়ে কইলো, “আমি তো শমরিয়া জাতির মানুষ। আপনে একজন ইহুদি অইয়া আমার গেছে পানি চাইরা কিলা?” বেটিয়ে ইখান কইলো, কারন শমরিয়া জাতির লগে ইহুদি মানষর কুনুজাত মিল-মিশ বা চলা-ফিরা আছিল না। 10ইছায় তাইরে কইলা, “তুমি যুদি জানতায় আল্লার দান কিতা, আর কে তুমার গেছে পানি চাইরা, তে তুমি নিজেউ তান গেছে পানি চাইলায় অনে, আর তাইন তুমারে জিন্দা পানি দিলা অনে।” 11বেটিয়ে কইলো, “ছাব, আপনার গেছে তো পানি তুলার কুন্তা নাই, আর ই কুয়াও গইন। তে জিন্দা পানি কুয়াই থাকি পাইলা? 12আপনে কুনু আমরার মুল-মুরব্বি ইয়াকুব নবী থাকি বড় নি? তাইনউ আমরার লাগি ই কুয়া খুদিছলা। তাইন আর তান পুয়াইন্তেও অউ কুয়ার পানি খাইতা, আর তান পশুর পালরেও খাওয়াইতা।” 13তেউ ইছায় কইলা, “যে জনে ই কুয়ার পানি খাইবো, তার হিরবার পিয়াছ লাগবো। 14অইলে আমার দেওয়া পানি যে খাইবো, তার কুনু সময়উ পিয়াছ লাগতো নায়। বরং ই পানি তার দিলর মাজে ঝরনার লাখান উথলিয়া উঠবো আর আখেরি জিন্দেগি দান করবো।” 15তেউ বেটিয়ে ইছারে কইলো, “হুজুর, তে আমারেও হউ পানি দেউক্কা, যাতে আমার পিয়াছ না লাগে, আর পানির লাগি ইনো আওয়া না লাগে।” 16ইছায় বেটিরে কইলা, “তে যাও, তুমার জামাইরে অনো লইয়া আও।” 17বেটিয়ে কইলো, “ছাব, আমার তো কুনু জামাই নাই।” ইছায় কইলা, “তুমি ঠিকউ কইছো, তুমার জামাই নাই। 18কারন এর আগে তো তুমার পাচ জন জামাই অইগেছইন, আর অখন যে তুমার লগে আছে, হে তুমার জামাই নায়। তুমি হাছা কথাউ কইলায়।” 19ইখান হুনিয়া বেটিয়ে ইছারে কইলো, “হুজুর, অখন আমি বুজলাম, আপনে একজন নবী। 20আমরার বাফ-দাদাইন্তে অউ পাড়র উপরেউ এবাদত করতা, অইলে আপনারা কইন, জেরুজালেমোউ মানষর এবাদত করা উচিত।” 21ইছায় তানরে কইলা, “হুনো, আমার মাতখান একিন করো। দেখিও, অউলা সময় আইবো যেবলা তুমরা ই পাড়র উপরে, বা জেরুজালেমর কুনুখানো, গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করতায় নায়। 22তুমরা যারে চিনো না, তার এবাদত করো, অইলে আমরা যান এবাদত করি, তানরে আমরা চিনি। জানো নি, নাজাতর পথ তো ইহুদি অকলর মাজদিউ আইছে। 23হুনো, অলা সময় আইবো, বরং অখনউ আইচ্ছে, যেবলা আসল এবাদতকারি অকলে হক্কানি রুহে গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করবা। গাইবি বাফেও অলাখান এবাদতকারির তালাশ করইন। 24আল্লাতালা অইলাগি রুহ, এরলাগি যারা তান এবাদত করবা, তারা হক্কানি রুহে তান এবাদত করা লাগবো।” 25বাদে অউ বেটিয়ে কইলো, “আমি জানি, আল-মসী আইরা। তাইন আইয়া হকলতা আমরারে জানাইবা।” 26ইছায় অউ বেটিরে কইলা, “আমিউ হেইন, যেইন অখন তুমার লগে মাতিরা।” 27অউ সময় সাহাবি অকলে আইয়া দেখলা, ইছায় এক বেটির লগে মাতিরা, দেখিয়া তারা তাইজ্জুব অইগেলা। তা-ও তারা কেউ জিকাইলা না, আপনে কিতা চাইরা বা এন লগে মাতিরা কেনে। 28বাদে বেটিয়ে তাইর পানির খৈলা থইয়া গাউর মানষরে গিয়া কইলো, 29“তুমরা আইয়া একজনরে দেখি যাও। আমার জিন্দেগিত যেতা করছি, ইতা হকলতাউ তাইন কইলিছইন। তে তাইনউ কিতা হউ আল-মসী নি?” 30ইতা হুনিয়া গাউর মানুষ বারইয়া ইছার গেছে আওয়া ধরলা। 31বাদে তান সাহাবি অকলে তানরে অনুরোধ করি কইলা, “হুজুর, কুন্তা খাউক্কা।” 32তাইন কইলা, “আমার গেছে ইলা খানি আছে, যে খানির বেয়াপারে তুমরা জানো না।” 33ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে একে-অইন্যে জিকাইলা, “তে তানরে কেউ কুনু খানি আনিয়া দিছে না কিতা?” 34তেউ ইছায় তারারে কইলা, “যেইন আমারে বেজিছইন, তান মর্জি মাফিক তান কাম পুরা করাউ আমার খানি। 35“তুমরা কও না নি, ‘আর চাইর মাস বাদেউ ফসল কাটার সময় আইবো’? অইলে আমি তুমরারে কইরাম, ভালা করি একবার খেতেদি চাইয়া দেখো, ফসল পাকিয়া কাটার জুকা অইগেছে। 36ফসল কাটরায় অখনউ বেতন পাইরা আর আখেরর লাগি ফসল দলা কররা। এরলাগি যেইন জালা বাইন দেইন আর যেইন ফসল কাটইন, দুইও জনউ হমান খুশি অইন। 37এতে অউ ছিল্লেখর পরমান অয়, ‘একজনে বাইন দেইন, আরক জনে কাটইন।’ 38আমিও তুমরারে অলা ফসল কাটাত পাঠাইছি, যে ফসলর লাগি তুমরা মেনত করছো না। অইন্য মানষে মেনত করছে আর তুমরা অউ মেনতর ফসল কাটিছো।” 39যে বেটির জিন্দেগির হকলতা ইছায় কইলিছইন, অউ বেটির সাক্ষি হুনিয়া হউ গাউর বউত শমরিয়া মানষে ইছার উপরে ইমান আনলা। 40তারা ইছারে গিয়া মিনত করি কইলা, তারার অখানো রইবার লাগি। এরদায় তাইন দুই দিন হনো রইলা। 41অউ সময় তান তালিম হুনিয়া আরো বউত মানষে ইমান আনলা। 42আর গাউর মানষে অউ বেটিরে কইলা, “তুমার কথায় আমরা ইমান আনছি না, আমরা নিজেউ তান মাত হুনিয়া বুজতাম পারছি, এইনউ জগতর আসল তরানেআলা।”
হজরত ইছার দুছরা কেরামতি
43শমরিয়াত দুইদিন রইয়া হারি হজরত ইছা নিজর বাড়ি গালিল জিলাত গেলাগি। 44যুদিও তাইন আগে কইছলা, কুনু নবীরেউ নিজর দেশো দাম দেওয়া অয় না, 45তেবউ অউ সময় তারা তানরে কবুল করলা। কারন ইদর সময় ইছায় জেরুজালেমো যেতা কেরামতি দেখাইছলা, গালিলর মানুষ হনো থাকায় তারা ইতা দেখছলা করি তাইন গালিলো আইলে তারা কবুল করলা। 46বাদে ইছা হিরবার গালিলর কান্না গাউত গেলা। অনোউ তাইন পানিরে আংগুরর শরবত বানাইছলা। কফরনাউম টাউনো এক সরকারি অফিসারর পুয়া খুব বেমার আছিল। 47হজরত ইছা এহুদিয়া থাকি গালিল আইছইন হুনিয়া, অউ অফিসার তান গেছে গিয়া মিনত করলা, তাইন যানু কফরনাউম গিয়া এন পুয়াগুরে ভালা করইন। অউ সময় তান পুয়া মরার পথি অইগেছিল। 48ইছায় অউ অফিসাররে কইলা, “কুনু নিশানা বা কেরামতি কাম না দেখলে আপনারা কুনুমন্তেউ ইমান আনতা নায়।” 49তেউ অফিসারে কইলা, “হুজুর, দয়া করি জলদি আউক্কা, পুয়াগুর জান থাকতে আউক্কা।” 50ইছায় তানরে কইলা, “আপনে যাউক্কাগি, আপনার পুয়া ভালা অইগেছে।” ইছার কথা একিন করিয়া এইন গেলাগি। 51হাছাউ, হউ অফিসার বাড়িত যাওয়ার পথে তান গুলাম অকলে আইয়া খবর কইলো, “ছাব, আপনার পুয়ার বেমার কমিগেছে।” 52তাইন এরারে জিকাইলা, “হে কুন সময় ভালা অইছে?” তারা কইলা, “কাইল দুইফর থাকি তান তাপ ছাড়ি দিছে।” 53তেউ অফিসারর মনো অইলো, ঠিক দুইফরি বালা ইছায় তানরে কইছলা, “আপনে যাউক্কাগি, আপনার পুয়া ভালা অইগেছে।” এরলাগি অউ অফিসার আর তান পরিবারর হকলে ইছার উপরে ইমান আনলা। 54হজরত ইছা এহুদিয়া থনে গালিলো আওয়ার বাদে অউ দুছরা কেরামতি নিশানা দেখাইলা।
ইছায় আটতিশ বছরর বেমারিরে ভালা করলা
1ইতার বাদে ইহুদি অকলর ইদর সময় আইলে ইছা জেরুজালেমো গেলাগি। 2জেরুজালেমো মেড়া-দরজার কান্দাত একটা পুরকি আছিল, অউ পুরকিত সিড়ি বান্দা পাচখান ঘাট আছিল, পাচো ঘাটর উপরে পাচখান ছাউনি। ইবরানি ভাষায় ই পুরকির নাম বায়ত-ছদা। 3অউ ঘাটো বউত জাতর বেমারি পড়ি রইতো। লুলা-লেংড়া, আন্দা, আর বেমারে যেরার শরিল এক্কেবারে হুকাই গেছে, তারাও অনো রইতো। 4মাজে মাজে একজন ফিরিস্তা আইয়া অউ পুরকির পানি লাড়াইতা, লাড়ানির বাদেউ পয়লা যে জন পানিত লামতো, তার যতো বড় বেমার অউক ভালা অইযিতো। এরদায় অউ বেমারি অকলে পানি লাড়ানির আশায় অনো পড়ি রইতো। 5এরার মাজে অলা একজন বেমারি আছিল, যে বেটা আটতিশ বছর থাকি বেমার। 6বউত দিন থাকি হে অনো পড়ি রইছে হুনিয়া ইছায় তারে জিকাইলা, “কিতাবা, তুমার ইচ্ছা নি তুমি ভালা অইযিতায়?” 7বেটায় কইলো, “হুজুর, আমার তো ইলা কেউ নাই, যেইন পানি লাড়ানির লগে লগেউ আমারে পুরকিত লামাইতো। আমি লামতে লামতে আরক জন গিয়া লামি যায়।” 8ইছায় এরে কইলা, “তে উঠো, তুমার বিছনা লইয়া আটা-চলা করো।” 9লগে লগেউ অউ বেমারি ভালা অইগেল, আর তার বিছনা তুলিয়া চলা-ফিরা করলো। হি দিন আছিল জুম্মাবার, জুম্মাবারে কুনুজাত কাম করা জাইজ নায়। 10এরদায় ইহুদি নেতা অকলে অউ বেটারে কইলা, “আইজ তো জুম্মাবার, তে আইজ তুমার বিছনা তুলিয়া নেওয়া জাইজ নায়।” 11অইলে হে কইলো, “যেইন আমারে ভালা করছইন, তাইনউ আমারে কইলা, উঠো, তুমার বিছনা লইয়া আটা-চলা করো।” 12তেউ নেতা অকলে বেটারে জিকাইলা, “অউ মানুষগু খেগু, যেগিয়ে তুমারে কইছে, বিছনা লইয়া চলা-ফিরা করতায়?” 13অইলে অউ বেটায় তো জানতো না, তাইন কে, হি জাগাত বউত মানষে ভিড় করিলিছইন দেখিয়া, ইছা হিন থনে গেছলাগি। 14বাদে ইছায় অউ বেটারে বায়তুল-মুকাদ্দছো পাইয়া কইলা, “হুনো, তুমি তো বেমার থাকি ভালা অইগেছো। তে আর কুনু গুনা করিও না, যাতে তুমার সর্বনাশ না অয়।” 15তেউ অউ বেটায় গিয়া ইহুদি নেতা অকলরে কইলো, তারে যেইন ভালা করছইন, এন নাম ইছা।
হজরত ইছার আল্লাই এখতিয়ার
16ইছায় জুম্মাবারে বেমারিরে ভালা করায় ইহুদি নেতা অকলে তানরে মারিলিতা চাইলা। 17অইলে ইছায় তারারে কইলা, “হুনো, আমার গাইবি বাফে হামেশা কাম কররা আর আমিও কররাম।” 18ইখান হুনিয়া তারা তানরে জানে মারার লাগি আরো গরম অইয়া পথ তুকানিত রইলা। তারা মনো করছিল, তাইন খালি জুম্মাবারর নিয়ম ভাংগিছইন না, তাইন আল্লা পাকরে বাফ ডাকিয়া শিরিকিও করছইন। 19এরলাগি তাইন অউ নেতা অকলরে কইলা, “আমি নিচ্চিত হক কথা কইরাম, পুতে তো নিজে নিজে কুন্তা করতা পারইন না, অইলে তান বাফরে যেতা কাম করাত দেখইন, তাইন খালি অতাউ করইন, বাফে যেতা করইন, পুতেও তো অতা করইন। 20বাফে তান পুতরে মায়া করইন আর তাইন নিজে যে কাম করইন, ইতা হকলতাউ পুতরে দেখাইন। আর ইতা থাকি আরো বড় বড় কুদরতি কাম পুতরে দেখাইবা, যেতা দেখিয়া আপনারা তাইজ্জুব অইযিবা। 21বাফে যেলা মুর্দারে জিন্দা করি তুলইন, পুতেও অউলা যেরারে ইচ্ছা জিন্দেগি দান করইন। 22বাফে কেউরর বিচারও করইন না, তান হকল বিচারর ভার পুতর আতো দিছইন, 23যাতে বাফরে যেলা হকলে ইজ্জত করে, অউলা পুতরেও ইজ্জত করে। পুতরে যে ইজ্জত করে না, হে আসলে হউ বাফরেও ইজ্জত করে না, যেইন ই পুতরে বেজিছইন। 24“আমি আপনারারে হাছা কথা কইরাম, যে জনে আমার কালাম হুনে আর যেইন আমারে পাঠাইছইন তান উপরে ইমান আনে, হে তো আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে। তারে আর দুষি সাইবস্তো করা অইতো নায়। হে তো মউত থাকি জিন্দেগিত পাড়ি দিলাইছে। 25আর আমি হাছাউ কইরাম, ইলা এক জমানা আইবো, বরং অখনউ আইচ্ছে, যেবলা মুর্দা অকলে আমি ইবনুল্লার গলার আওয়াজ হুনবা, আর যারা হুনবা তারা জিন্দা অইবা। 26ইতার কারন অইলো, বাফ নিজে যেলা জিন্দেগির মালিক, তান পুতরেও অউলা জিন্দেগির মালিকানা দিছইন। 27বাফে পুতরে মানষর বিচার করার এখতিয়ার দিছইন, কারন এইনউ তো বিন-আদম। 28তে ইতা হুনিয়া আপনারা তাইজ্জুব অইবা না, জানইন নি, অউলা সময় আইওর, যেবলা আল্লার পুতর গলার আওয়াজ হুনিয়া মুর্দা অকল কয়বর থাকি বারইয়া আইবা। 29আর যেরা নেক কাম করছইন, তারা বেহেস্তি জিন্দেগি পাওয়ার লাগি উঠবা, অইলে যেরা নাফরমানির মাজে জিন্দেগি কাটাইছে, তারা উঠবা সাজা পাওয়ার লাগি। 30“আমি তো নিজে নিজে কুন্তা করতাম পারি না, আমি যেলা হুনি অলা বিচার করি। আমি হক বিচার করি, কারন আমি আমার নিজর ইচ্ছায় কাম করতাম চাই না, খালি যেইন আমারে পাঠাইছইন তান মর্জি পুরা করতাম চাই।
নিজর বেয়াপারে হজরত ইছা
31“আমি যুদি নিজর বেয়াপারে নিজে সাক্ষি দেই, তে ই সাক্ষি সঠিক নায়। 32অইলে দুছরা জনেও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিরা, আর আমি জানি, তাইন যে সাক্ষি দিরা, ইতা হাছা। 33আপনারা তো এহিয়া নবীর গেছে খবরিয়া পাঠাইয়া জিকাইছইন, তাইনও হকর পক্ষে সাক্ষি দিছইন। 34আর আমি কুনু মানষর সাক্ষির উপরে ভরসা করি না, অইলে আপনারা যাতে নাজাত পাইয়া জান বাচাইতা পারইন, এরদায় ইতা কইরাম। 35হজরত এহিয়াউ আছলা হউ জালাইল মুশাল, যে মুশালে ফর দিছিল। আপনারাও থুড়া কয়দিন অউ মুশালর ফরর মাজে খুশি করতে রাজি অইছলা। 36“অইলে এহিয়া নবীর সাক্ষি থনেও আরো বড় সাক্ষি আমার আছে, কারন আমার গাইবি বাফে যে কামর লাগি আমারে পাঠাইছইন, আমি অতাউ কররাম। আর অউ কামর সাক্ষিয়েউ বুজা যায়, আমারে আমার গাইবি বাফে বেজিছইন। 37তাইনউ তো হউ বাবা, যেইন আমারে পাঠাইছইন, তাইন নিজেও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিছইন। আপনারা কুনু সময় তান গলার আওয়াজ হুনছইন না, আর তানরে দেখছইনও না। 38এছাড়া তান কালাম তো আপনারার দিলো রয় না, কারন তাইন যারে পাঠাইছইন, এন উপরে আপনারা ইমান আনইন না। 39“আপনারা তো খুব মন দিয়া আছমানি কিতাব তিলাওত করইন, মনো করইন ইতা তিলাওত করলে আখেরি জিন্দেগি পাইবা। অইলে অউ কিতাবেউ তো আমার বেয়াপারে সাক্ষি দেয়। 40এরবাদেও আপনারা জিন্দেগি পাওয়ার লাগি আমার গেছে আইতা চাইন না। 41“আমি তো মানষর গেছ থাকি তারিফ পাওয়ার আশায় আইছি না, 42অইলে আমি জানি, আল্লার বায় আপনারার কুনু মহব্বত নাই, আমি তো আপনারারে চিনি। 43আমি আমার গাইবি বাফর নাম লইয়া আইছি, তা-ও আপনারা আমারে একিন কররা না। অইলে দুছরা কেউ যুদি তার নিজর নামে আয়, তে তারে আপনারা একিন করবা। 44আপনারা একে-অইন্যর গেছ থাকি তারিফ পাইতা চাইন, অইলে যে তারিফ আল্লার গেছ থনে পাওয়া যায়, ইতার লাগি কুনু চেষ্টা করইন না। তে আপনারা কেমনে একিন করবা? 45আপনারা মনো করবা না, আমি আমার বাবার গেছে আপনাইন্তরে দুষি বানাইমু। অইলে যে মুছা নবীর উপরে আপনারা ভরসা করি আছইন, হউ মুছায়উ আপনাইন্তরে দুষি কইরা। 46আপনারা যুদি মুছা নবীরে একিন করতা, তে আমারেও একিন করলা অনে, ই মুছা নবীয়ে তো আমার বেয়াপারেউ লেখছইন। 47অইলে আপনারা যেবলা তান লেখারেউ একিন করইন না, তে আমার মুখর কথারে কিলা একিন করবা?”
পাচ আজার মানষর গাইবি খানি
1এরবাদে হজরত ইছা গালিল আওরর হপারো গেলাগি, অউ আওরর আরক নাম তিবিরিয়া আওর। 2বউত মানুষ তান খরে অইয়া যাওয়াত আছলা, তারা তো দেখছিলা, বেমারি অকলর উপরে তাইন কিলা কেরামতি কাম করছইন। 3হনো গিয়া হারি তান সাহাবি অকলরে লইয়া এক পাড়র উপরে বইলা। 4অউ সময় ইহুদি অকলর আজাদি ইদ ঘনাই আইছে। 5ইছায় চাইয়া দেখলা, বউত মানুষ তান গেছে উঠিয়া আইরা, অউ তান সাহাবি ফিলিফরে কইলা, “ইতা মানষরে খাওয়ানির লাগি আমরা রুটি পাইমু কুন জাগাত?” 6আসলে ফিলিফরে পরিক্ষা করার লাগি তাইন ইখান জিকাইলা, অইলে কিলা কিতা করবা, ইখান তাইন আগেউ জানতা। 7ফিলিফে জুয়াপ দিলা, “এরারে থুড়া থুড়া খানি দিলেও দুইশো দিনারর রুটিয়ে কুলাইতো নায়।” 8হনো আন্দ্রিয়াছ নামে হজরত ইছার এক সাহাবি আছলা। তাইন অইলা সাইমন-পিতরর ভাই। 9তাইন ইছারে কইলা, “হুজুর, অনো হুরু এক পুয়ার গেছে পাচখান আটার রুটি আর দুইটা বিরান মাছ আছে, অইলে অতো মানষর মাজে ইতায় কিতা অইবো?” 10ইছায় হুকুম দিলা, “তুমরা অতা মানষরে ঘাসর উপরে বওয়াই দেও।” তেউ তারা ঘাসর উপরে বইগেলা। ইনো খালি বেটা মানুষউ আছলা অনুমান পাচ আজার জন। 11বাদে তাইন অউ পাচখান রুটি আতো লইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করিয়া এরারে বাটিয়া দিলা। অউলা বিরান মাছও বাটিয়া দিলা। যে যতো চাইলো, হে অতখান পাইলো। 12হকল মানষে পেট ভরি খাইলো। খাইয়া হারলে ইছায় তান সাহাবি অকলরে কইলা, “খানির বাদে যেতা রইছে, তুমরা অতা এখানো দলা করো, কুন্তা ফালাইও না।” 13এরা অউ পাচখান রুটির বাড়তি টুকরাইন দলা করিয়া বারো টুকরি ভরলা। 14হজরত ইছার ই কেরামতি দেখিয়া মানষে মাতা-মাতি লাগাইলা, “নিচ্চয় এইনউ হউ নবী, যেইন দুনিয়াত তশরিফ আনার কথা।” 15তেউ ইছায় বুজিলিলা, মানষে জুর করিয়া তানরে তারার বাদশা বানানির লাগি ধরতো চার। অখান বুজিয়া তাইন হিরবার একলাউ পাড়র উপরে গেলাগি।
আওরর পানির উপরেদি আটা
16হাইঞ্জা বালা ইছার সাহাবি অকল আওরর পারো গেলা। 17আর কফরনাউম টাউনো যাইতা করি নাও লইয়া আওর পাড়ি দেওয়াত লাগলা। ই সময় আন্দাইর অইগেছিল আর ইছাও তারার লগে আছলা না। 18আওরর মাজখানো যাইতেউ খুব তুফানি বাতাস আর বড় বড় ঢেউ শুরু অইলো। 19অনুমান তিন-চাইর মাইল নাও বাইয়া যাওয়ার বাদে তারা দেখলা, হজরত ইছা পানির উপরেদি আটিয়া তারার গেছে আইরা। ইতা দেখিয়া সাহাবি অকলে খুব ডরাইগেলা। 20অউ সময় ইছায় তারারে কইলা, “ডরাইও না, ই তো আমি।” 21সাহাবি অকলে তানরে নাওয়ো তুলতা চাইলা, আর তারা যে জাগাত যাওয়ার কথা, লগে লগে নাও গিয়া হনো পৌছি গেল।
জিন্দেগি-রুটির বেয়াপারে বয়ান
22আওরর হপারো যেতা মানুষ উবা আছলা, বাদর দিন তারা বুজলা, আগর দিন ইনো এখান নাও ছাড়া দুছরা কুনু নাও আছিল না। তারা এওখানও বুজলা, ইছা তান সাহাবি অকলর লগে নাওয়ো উঠছইন না, বরং তারা একলাউ আওর পারইছইন। 23অইলে যে জাগাত ইছায় আল্লার শুকরিয়া আদায় করিয়া হারি মানষরে রুটি খাওয়াইছলা, অউ জাগার গেছে তিবিরিয়া টাউন থাকি কয়খান নাও আইলো। 24মানষে যেবলা দেখলা, ইছা বা তান সাহাবি অকল কেউ ই জাগাত নাই, অউ তারা অতা নাওয়াইন্তো উঠিয়া ইছার তালাশে কফরনাউম টাউনো গেলাগি। 25হনো গিয়া তারা ইছারে পাইয়া কইলা, “হুজুর, আপনে ইনো কুন সময় আইলা?” 26তাইন জুয়াপ দিলা, “আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম, তুমরা আমার কেরামতি নিশানার মানি বুজিয়া আমারে তুকাইরায় না, বরং পেট ভরি রুটি খাইছো করিউ তুকাইরায়। 27অখন হুনো, দুনিয়াবি যে খানি নষ্ট অইযায়, তার খরে ঘুরিয়া লাভ কিতা? যে খানি কুনুদিন নষ্ট অয় না, বরং আখেরি জিন্দেগি দান করে, তার খরে অইয়া ঘুরো। ই খানি তো আমি বিন-আদমে তুমরারে দিমু। অউ এখতিয়ার খালি আমার আছে, আমার গাইবি বাফ আল্লায়উ ইতার পরমান দেখাইছইন। 28ইখান হুনিয়া তারা ইছারে জিকাইলা, “তে আল্লার কাম করার লাগি আমরা কিতা করতাম?” 29তাইন কইলা, “আল্লায় যারে পাঠাইছইন, তান উপরে ইমান আনাউ অইলো আল্লার কাম।” 30এরবাদে তারা তানরে জিকাইলো, “তে আপনে অমন কিতা নিশানা দেখাইবা, যেতা দেখিয়া আমরা আপনার উপরে ইমান আনমু? আপনে কুন কাম করবা? 31আমরার বাফ-দাদায় তো মরুভুমিত মান্না খাইছলা। পাক কিতাবো লেখা আছে, আল্লায় তারারে বেহেস্তি খানি খাওয়াইলা।” 32ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, বেহেস্তি যে রুটি তুমরা পাইছলায়, ইতা তো মুছা নবীয়ে দিছইন না, বরং আমার গাইবি বাফেউ তুমরারে আসল বেহেস্তি রুটি দান করইন। 33আর আল্লার দেওয়া হউ রুটি অইলা অউ জন, যেইন বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইয়া হারা জগতরে জিন্দেগি দেইন।” 34তেউ তারা কইলো, “হুজুর, তে অউ রুটিউ আমরারে হর-হামেশা দেউক্কা।” 35ইছায় কইলা, “আমিউ হউ জিন্দেগি-রুটি। যে জন আমার গেছে আয়, তার কুনু সময় ভুক লাগে না, আর যে আমার উপরে ইমান আনে, তার কুনু সময় পিয়াছেও ধরে না। 36আমি তো তুমরারে মুখদি কইছিও, আর তুমরা আমারে দেখিয়াও ইমান আনলায় না। 37আমার গাইবি বাফে যেরারে আমার আতো দেইন, তারা হকলউ আমার গেছে আইবো। যে জন আমার গেছে আয়, আমি কুনুমন্তেউ তারে বারে ফালাইতাম নায়। 38আমি কুনু আমার মর্জি মাফিক কাম করাত আইছি নি? না, বরং যেইন আমারে পাঠাইছইন, তান মর্জি যুগাইয়া কাম করার লাগিউ আমি বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইছি। 39হুনো, যে বাফে আমারে পাঠাইছইন, তান মুনশা অইলো, তাইন যেরারে আমার আতো দিছইন, আমি যানু এরা একজনরেও না আরাই বরং রোজ হাশরো এরারে জিন্দা হালতে তুলি। 40আমার বাফর মুনশা অইলো, যারা তান পুতরে দেখিয়া তান উপরে ইমান আনে, তারা যানু আখের পায়। আর আমিউ তারারে রোজ হাশরো জিন্দা করি তুলমু।” 41ইখান হুনিয়া ইহুদি নেতা অকলে ইছারে লইয়া কানা-ঘুসা লাগাইলা। কারন তাইন আগে কইছলা, “বেহেস্ত থাকি যে রুটি লামিয়া আইছে, আমিউ হউ রুটি।” 42এরলাগি তারা নিজে নিজে কইলা, “অগু তো ইউছুফর পুয়া ইছা নায় নি বা? আমরা তো তার মা-বাফরেও চিনি। তে হে কেমনে কয়, হে বুলে বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইছে?” 43ইছায় তারারে কইলা, “তুমরা নিজর মাজে কানা-ঘুসা করিও না। 44আমার যে গাইবি বাফে আমারে পাঠাইছইন, তাইন আশিক না বানাইলে কুনু মানুষউ আমার গেছে আইতো পারে না। আর আমিউ তারে রোজ হাশরো জিন্দা হালতে তুলমু। 45জানো নি, নবী অকলর কিতাবো লেখা আছে, ‘তারা হকলে আল্লার গেছ থাকি তালিম লইবা।’ আর যে জনে গাইবি বাফর গেছ থাকি তালিম পাইছে, হউ জনউ আমার গেছে আয়। 46“অউ বাফরে তো কুনু মানষে দেখছে না, খালি আল্লার গেছ থাকি যেইন আইছইন, তাইনউ ই বাফরে দেখছইন। 47আমি তুমরারে নিচ্চিত হাছা কথা কইরাম, যে জনে আমার উপরে ইমান আনছে, হে লগে লগেউ আখের পাইলিছে। 48আমিউ জিন্দেগি-রুটি। 49তুমরার বাফ-দাদাইন্তে তো মরুভুমিত মান্না খাইছলা, তা-ও তারার মউত অইছে। 50অইলে ইখান অইলো হউ রুটি, যে রুটি বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইছে, যাতে অউ রুটি খাইয়া মানুষ মরন থাকি রেহাই পায়। 51হুনো, আমিউ অইলাম হউ জিন্দা রুটি, যে রুটি বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইছে। যে জনে ই রুটি খাইবো, হে চিরকালিন জিন্দেগি পাইবো। আমার কায়াউ অইলো অউ রুটি। মানষরে চিরকালিন জিন্দেগি দিবার নিয়তে আমি আমার দেহ-কায়া বিলাই দিমু।” 52ইখান হুনিয়া ইহুদি নেতা অকলর মাজে তর্কা-তর্কি লাগি গেল। তারা একে-অইন্যে কইলো, “ই বেটায় কেমনে তার শরিলর গোস্ত আমরারে খাওয়াইবো?” 53ইছায় কইলা, “তে হুনো, আমি নিচ্চিত হক কথা কইরাম, তুমরা আমি বিন-আদমর লউ আর গোস্ত না খাইলে তো তুমরার মাজে জিন্দেগিউ নাই। 54কেউ যুদি আমার লউ আর গোস্ত খায়, তে হে আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে, আর রোজ হাশরর দিনো আমি তারে জিন্দা করি তুলমু। 55আমার গোস্তউ অইলো আসল খানি আর আমার লউ-উ অইলো আসল পানি। 56যে জনে আমার লউ আর গোস্ত খায়, হে আমার ভিতরে থাকে আর আমিও তার ভিতরে থাকি। 57যেলা আমার গাইবি জিন্দা বাফে আমারে পাঠাইছইন, এরলাগিউ আমিও জিন্দা আছি। অউলা যে জনে আমারে খায়, হে-ও আমার লাগি জিন্দা রইবো। 58দেখরায় নি, অউ রুটি তো বেহেস্ত থাকি লামিয়া আইছে। যে রুটি খাইয়া তুমরার বাফ-দাদাইন মারা গেছইন, ই রুটি তো আমার লাখান নায়। আমার অউ রুটি যে জনে খাইবো, হে চিরকাল জিন্দা রইবো।” 59হজরত ইছায় কফরনাউম টাউনর মছিদো তালিম দেওয়ার সময় ইতা হকলতা কইলা।
বউত উম্মতর মনো মত-বিরুধ
60তালিম হুনিয়া হারি তান উম্মতর মাজর বউতে কইলা, “ইতা তো বড় গরম তালিম। ইতা খেগিয়ে মানবো?” 61অইলে ইছায় তান গাইবি বলে বুজিলিলা, কিতা লইয়া এরা কানা-ঘুসা কররা। বুজিয়া এরারে কইলা, “অউ তালিম হুনিয়া তুমরা ঘাবড়ি গেলায় নি? 62তে আমি বিন-আদম আগে যে জাগাত আছলাম, আমারে যেবলা হনো উঠি যাওয়াত দেখবায়, অউ সময় তুমরা কিতা কইবায়? 63তুমরা বুজরায় নি, মানষর শরিল তো বেকামা, আসলে রুহ অইলোগি জিন্দেগি। আমি তুমরারে যে বয়ানি কইলাম, ইতা অইলোগি মানষর রুহ আর জিন্দেগির বেয়াপার। 64অইলে তুমরার মাজে কেউ কেউ অখনও আমার উপরে ইমান আনছে না।” কে তান উপরে ইমান আনছে না, আর কে তানরে দুশমনর আতো ধরাই দিবো, ইছায় পয়লা থাকিউ ইতা জানতা। 65অউ তাইন কইলা, “অউ কারনে আমি তুমরারে কইছি, গাইবি বাফে বল না দিলে, কুনুজনউ আমার গেছে আইতো পারে না।”
হজরত পিতরর সাক্ষি
66ইছার ইতা তালিম হুনিয়া তান বউত উম্মত ফিরিয়া গেলাগি, তারা তান লগে চলা-ফিরা বাদ দিলাইলো। 67এরলাগি ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে জিকাইলা, “কিতাবা, তুমিতাইনও যাইতায়গি নি?” 68সাইমন-পিতরে জুয়াপ দিলা, “হুজুর, আমরা আর কার গেছে যাইতাম? আখেরি জিন্দেগানির তালিম তো খালি আপনার গেছেউ আছে। 69আমরা তো জানছি আর আপনার উপরে ইমানও আনছি, আপনেউ আল্লার ওয়াদা করা হউ পবিত্র জন।” 70তেউ ইছায় এরারে কইলা, “আমি তো তুমরা বারো জনরে পছন্দ করছি, অইলে তুমরার মাজেউ একজন শয়তান আছে।” 71ইনো তাইন সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদার বেয়াপারে কইলা, অউ ইহুদায় বাদে তানে ধরাই দিবো। হে আছিল অউ বারোজন সাহাবির মাজর একজন।
হজরত ইছার আপন ভাইয়াইন
1এরবাদ থাকি হজরত ইছা গালিল জিলার ভিতরেউ চলা-ফিরা করলা। ইহুদি নেতা অকলে তানরে জানে মারিলিতো চাইছিল, এরলাগি তাইন আর এহুদিয়া জিলাত যাইতা চাইলা না। 2অউ সময় ইহুদি অকলর ডেরা-ঘরর ইদর দিন ঘনাই আইছিল। 3এরলাগি ইছার ভাইয়াইন্তে তানরে কইলা, “তুমি ইনথনে এহুদিয়া জিলাত যাওগি, তেউ তুমি যেতা কাম করছো, অতা তুমার উম্মত অকলেও দেখবা। 4কেউ যুদি নিজরে মানষর গেছে জাইর করতো চায়, তে হে লুকাইয়া কুন্তা করে না। তুমিও যেবলা অমন কাম কররায়, তে নিজরে মানষর গেছে জাইর করো।” 5আসলে ইছার ভাইয়াইন্তেও তান উপরে ইমান আনছইন না। 6ইছায় তারারে কইলা, “আমার সময় অখনও অইছে না, অইলে তুমরার তো সময় অসময় কুন্তা নাই। 7দুনিয়ার মানষে তুমরারে ঘিন্নাইতো নায়, অইলে আমারে ঘিন করে। আমি তো তারার বেয়াপারে কইয়ার, তারার হকল কামউ খারাপ। 8তে তুমরা যাওগি, গিয়া ইদ করো। আমার সময় অখনও পুরা অইছে না, এরলাগি আমি অখন যাইতাম নায়।” 9অখান কইয়া তাইন গালিল জিলাত রইগেলা। 10তান ভাইয়াইন ইদর মাহফিলো গিয়া হারলে তাইনও গেলা, অইলে খুলামেলা না গিয়া লুকাইয়া গেলা। 11ইদর কালো ইহুদি নেতা অকলে তান তালাশ করাত রইলা, আর কইলা, “হউ মানুষটা কুয়াই।” 12ভিড়র মাজে ইছার বেয়াপারে মানষে মাতা-মাতি করলা। কেউ কেউ কইলো, “এইন তো বড় ভালা মানুষ।” আর কেউ কেউ কইলো, “না, না, হে তো মানষরে বে-পথি বানাইলার।” 13অইলে ইহুদি নেতা অকলরে ডরাইয়া, মুখ খুলিয়া তান বেয়াপারে কেউ কুন্তা মাতিলো না।
ইদর সময় হজরত ইছার তালিম
14অউ ইদর মাজামাজি সময় হজরত ইছা বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফো গিয়া তালিম দিলা। 15তান তালিম হুনিয়া তাইজ্জুব অইয়া ইহুদি নেতা অকলে কইলা, “ই মানষে মাদ্রাসাত না পড়িয়া অতো ইলিম পাইলো কিলা?” 16ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি যে তালিম দেই, ইতা আমার নিজর নায়, যেইন আমারে বেজিছইন, ইতা তো তানউ তালিম। 17কেউ যুদি তান মর্জি যুগাইয়া চলতো চায়, তে হে বুজবো, ই তালিম আল্লার গেছ থাকি আইছে, না আমার মুখ থাকি দিরাম। 18যে জনে নিজর মন থাকি মাতে, হে খালি নিজর তারিফ পাইতো চায়। অইলে যে জনে তার পাঠানেআলা মালিকর তারিফ করার চেষ্টা করে, হে হামেশা হক-হালাল থাকে, তার মনো কুনু ধুকাবাজি নাই। 19“তুমরা কুনু মুছা নবীর শরিয়ত পাইছো না নি? অইলে তুমরা একজনেও তো শরিয়তর হুকুম-আহকাম মানরায় না। তে তুমরা কেনে আমারে মারিলিতায় চাইরায়?” 20তেউ তারা কইলা, “তুমারে ভুতে পাইছে, তুমারে কে মারতো চার?” 21ইছায় তারারে কইলা, “আমি খালি এখান কাম করলাম, আর তুমরা তাইজ্জুব অইগেলায়। 22হজরত মুছায় তো তুমরারে মছলমানি কাম করানির নিয়ম দিছলা, আর জুম্মাবারেও তুমরা অউ কাম করাও। আসলে, ই নিয়ম মুছা নবীর গেছ থাকি আইছে না, বরং আগর ময়-মুরব্বির গেছ থাকিউ আইছে। 23ঠিক আছে, মুছা নবীর নিয়ম চালু রাখার লাগি জুম্মাবারেও যুদি মছলমানি কাম করাইল যায়, তে আমি জুম্মাবারে একজন বেমারিরে ভালা করছি দেখিয়া আমার উপরে গুছা কররায় কেনে? 24হক-ইনছাফ করো, খালি বারগালা দেখিয়া বিচার করিও না।”
আল-মসী কে?
25অউ সময় জেরুজালেম টাউনর কিছু মানষে কইলো, “নেতা অকলে যারে মারিলতা চাইরা, অগু কিতা হউ মানুষ নায় নি? 26তে হে তো দেখি খুলামেলা মাতের, তা-ও তারা দেখি কুন্তা কইরা না। তাইলে তারা কিতা হাছা কথা বুজিলিছইন নি, অউ মানুষউ আল-মসী? 27আর আমরা তো জানি, অগু কুয়াই থাকি আইছে। অইলে আল-মসী যেবলা আইবা, অউ সময় কেউ জানতো নায়, তাইন কুয়াই থাকি আইছইন।” 28এরবাদে ইছায় বায়তুল-মুকাদ্দছো তালিম দেওয়ার সময় জুরে জুরে বয়ান করলা, “আপনারা আমারেও চিনইন, আর আমি কুয়াই থাকি আইছি ইখানও জানইন। হুনউক্কা, আমি নিজ থাকি আইছি না, হক আল্লা পাকেউ আমারে পাঠাইছইন। 29আপনারা তানরে চিনছইন না, অইলে আমি চিনি। কারন আমি তান গেছ থাকিউ আইছি আর তাইনউ আমারে পাঠাইছইন।” 30ইখান হুনিয়া মানষে ইছারে ধরিলিতো চাইলো, অইলে তান সময় পুরা অইছে না গতিকে কেউ তান গতরো আত তুললো না। 31আর এরার মাজর বউতে তান উপরে ইমান আনিয়া কইলো, “এইন তো বউত কেরামতি দেখাইছইন, আল-মসী আইয়া কুনু এর চাইতে বেশি কেরামতি দেখাইবা নি?” 32ইতা লইয়া মানষে কানা-কানি কররা, ইখান ফরিশি অকলে হুনলা। হুনিয়া বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে ইছারে ধরার লাগি কয়জন পারাদার-সিপাই পাঠাইলা। 33ইছায় কইলা, “হুনো, আমি আর বেশি দিন তুমরার মাজে নায়। আমি তো তান গেছে যাইমুগি, যেইন আমারে পাঠাইছইন। 34তুমরা আমারে তুকাইয়া পাইতায় নায়, আর আমি যে জাগাত রইমু, তুমরা কেউ হিনো আইতায়ও পারতায় নায়।” 35হজরত ইছার ইতা মাত হুনিয়া ইহুদি নেতা অকলে একে-অইন্যে জিকাইলা, “হে কুয়াই যাইবোগি, যেখানো আমরা তারে তুকাইয়া পাইতাম নায়? হে কিতা ইউনানি অকলর দেশো যেতা ইহুদি আছইন, হনো রইয়া ইউনানি অতারেও তালিম দিবো নি? 36হে তো কইলো, তুমরা আমারে তুকাইয়া পাইতায় নায়, আর আমি যেখানো যাইমু, তুমরা হিনো আইতায় পারতায় নায়। তার ই মাতর মানি কিতা?” 37ইদর আখেরি দিন হজরত ইছা উবাইয়া জুরে জুরে বয়ান করলা, “কুনু মানষর পিয়াছে ধরলে, হে আমার গেছে আইয়া পানি খাউক। 38যে জনে আমার উপরে ইমান আনে, পাক কিতাবর আয়াত মাফিক তার দিল থাকি জিন্দা পানির গাংগ বারইবো।” 39ইছার উপরে ইমান আনিয়া যেরা পাক রুহরে পাইবা, হউ পাক রুহর বেয়াপারে তাইন অউ কথা কইলা। তারার গেছে পাক রুহরে অখনও দেওয়া অইছে না, কারন ইছায় তান মহিমা অখনও হাছিল করছইন না।
হজরত ইছারে লইয়া দলাদলি
40ইতা হুনিয়া কিছু মানষে কইলো, “আসলে এইনউ হউ ওয়াদা করা নবী।” 41আর কয়জনে কইলো, “এইনউ আল-মসী।” অইলে কেউ কেউ কইলো, “আল-মসী কুনু গালিল জিলা থাকি আইবা নি? 42পাক কিতাবে তো বাতায়, আল-মসীয়ে জনম লইবা দাউদ নবীর বংশত, দাউদ নবীর বেথেলহাম গাউত।” 43অউ লাখান ইছারে লইয়া মানষর মাজে দলাদলি লাগি গেল। 44এরমাজে কয়জনে তানরে ধরিলিতো চাইলো, অইলে কেউ তান গতরো আত তুললো না। 45ইছারে ধরার লাগি যে পারাদার-সিপাই অকলরে পাঠানি অইছিল, তারা ফিরত আইলে বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে জিকাইলা, “তারে ধরিয়া আনলায় না কেনে?” 46এরা কইলা, “ই মানষে যেলা মাত মাতে, ইলা মাত কেউ কুনুদিন মাতিছে না।” 47তেউ ফরিশি অকলে সিপাই অকলরে কইলা, “হে তুমরারেও টগিলিলো নি? 48দেখছো নি, নেতা বা ফরিশি সমাজর কেউ তার উপরে ইমান আনছে নি? 49খালি অউ যেতায় শরিয়তর কুন্তাউ জানইন না, অতাউ তো। ইতার উপরে লান্নত আছে।” 50ফরিশি অকলর মাজে একজনর নাম আছিল মৌলানা নীকদীম, এইন আগে ইছার গেছে গেছলা। 51নীকদীমে কইলা, “কেউরর মুখর কথা না হুনিয়া বা তার অপরাধ না জানিয়া, তারে সাজা দেওয়ার নিয়ম কুনু আমরার শরিয়তো আছে নি?” 52-53ইখান হুনিয়া ফরিশি অকলে নীকদীমরে কইলা, “তুমিও কিতা গালিল জিলার মানুষ নি? পাক কিতাবো চাইয়া দেখো না, গালিলো কুনু নবীর জনম অয় না।”
জিনাকুর বেটির বিচার
1বাদে হকল মানুষ যারযির বাড়িত গেলাগি, আর হজরত ইছা একলা জয়তুন পাড়ো গিয়া উঠলা। 2বাদর দিন ফজর অখতো ইছা হিরবার বায়তুল-মুকাদ্দছো গেলা, গিয়া হারলে হকল মানুষ তান গেছে আইলো। তাইন অনো বইয়া তারারে তালিম দিলা। 3অউ সময় মৌলানা আর ফরিশি সমাজর মানষে এক জিনাকুর বেটিরে লইয়া তান গেছে আইলো। আইয়া বেটিরে মজলিছর মাজখানো উবা করাইয়া কইলো, 4“হুজুর, অউ বেটি অগু জিনার কামো ধরা খাইছে। 5তে তৌরাত শরিফর মাজে তো মুছা নবীয়ে জিনাকুর বেটিন্তরে পাথর মারিয়া মারিলিবার হুকুম দিছইন। অখন আপনে কিতা কইন?” 6তারা ইছারে পরিক্ষা করার নিয়তেউ ইলা কইলা, যাতে তানরে দুষি বানানির লাগি কুনু খুত পাইন। তেউ ইছায়ও মাথা নিচা করি আংগুল দিয়া মাটিত লেখাত লাগলা। 7অইলে তারা যেবলা বারবার তানরে জিকাইরা, অউ সময় তাইন মাথা তুলিয়া কইলা, “আপনাইন্তর মাজে যে জনে কুনুদিন গুনা করছইন না, এইন পয়লা অউ বেটিরে পাথর মারউক্কা।” 8অখান কইয়া তাইন হিরবার মাথা নিচা করি মাটিত লেখাত লাগলা। 9ইখান হুনিয়া নেতা অকলর মাজে বুড়া থাকি শুরু করিয়া একে একে হকলউ গেলাগি। খালি ইছা আর হউ বেটি ছাড়া দুছরা কেউ রইলো না। 10তেউ ইছায় মাথা তুলিয়া অউ বেটিরে জিকাইলা, “কিতাগো মাই, ইতা মানুষ কুয়াই? কেউ তুমারে সাজার জুকা মনো করলো না নি?” 11বেটিয়ে কইলো, “জি না হুজুর, তারা কেউ তো সাজা দিছইন না।” অউ সময় ইছায় কইলা, “তে আমিও তুমারে কুনু সাজা দিতাম নায়। অখন যাওগি, গুনার পথে আর জিন্দেগি কাটাইও না।”
হজরত ইছা আল-মসীউ দুনিয়ার নুর
12বাদে হজরত ইছায় মানষরে কইলা, “আমিউ দুনিয়ার নুর। যে জন আমার পথে আয়, হে কুনু সময় আন্দারিত পাও ফালাইতো নায়, বরং নুরর জিন্দেগি পাইবো।” 13ইখান হুনিয়া ফরিশি অকলে কইলা, “তুমার সাক্ষি লওয়া যাইতো নায়, তুমি তুমার নিজর পক্ষে সাক্ষি দিরায়।” 14তেউ ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি আমার নিজর পক্ষে সাক্ষি দিলেও আমার সাক্ষি তো হাছা। কারন আমি কুয়াই থাকি আইছি আর কুয়াই যাইরাম, ইতা তো তুমরা জানো না, খালি আমিউ জানি। 15তুমরা তো দুনিয়াবি মানষর লাখান বিচার করো, অইলে আমি কেউরর বিচার করি না। 16আমি কেউরর বিচার করলেও হক বিচার করমু, কারন আমি একলা নায়, আমার লগে আমার গাইবি বাফও আছইন, অউ বাফে আমারে বেজিছইন। 17তুমরার শরিয়তর মাজে লেখা আছে, দুইজনে যুদি এক হমান সাক্ষি দেয়, তে ই সাক্ষি হাছা। 18অলাখান আমিও আমার পক্ষে সাক্ষি দেই, আর যে বাফে আমারে পাঠাইছইন, তাইনও আমার পক্ষে সাক্ষি দেইন।” 19ফরিশি অকলে তানরে কইলা, “তুমার বাফ কুয়াই?” ইছায় জুয়াপ দিলা, “তুমরা আমারেও চিনো না, আর আমার বাফরেও চিনো না। আমারে চিনলে আমার বাফরেও চিনলায় অনে।” 20পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছর দান-বাক্সর গেছে উবাইয়া হজরত ইছায় অউ তালিম দিলা। অইলে তান সময় পুরা না অওয়ায় কেউ তানরে ধরলো না।
নিজর মউতর বেয়াপারে আগাম খবর
21হজরত ইছায় ফরিশি অকলরে হিরবার কইলা, “আমি তো যাইয়ারগি। গিয়া হারলে তুমরা আমারে তুকাইবায়, অইলে আর পাইতায় নায়, আমি যেনো যাইরাম, তুমরা হিনো আইতায়ও পারতায় নায়, তুমরা নিজর গুনার মাজেউ মরবায়।” 22ইহুদি নেতা অকলে কইলা, “হে কেনে কইলো, আমি যেনো যাইরাম, তুমরা হিনো আইতায় পারতায় নায়? হে কিতা নিজে নিজে মরিযিতো নি?” 23ইছায় কইলা, “আমি আইছি উপরে থাকি, আর তুমরা তলে থাকি। তুমরা ই জগতর, অইলে আমি তো ই জগতর নায়। 24এরলাগি আমি কইরাম, তুমরা নিজর গুনার মাজেউ মরবায়। তুমরা যুদি একিন না করো, আমিউ হেইন, তে গুনাগার হালতেউ মরবায়।” 25ইখান হুনিয়া নেতা অকলে তানরে কইলা, “তুমি কে?” তাইন জুয়াপ দিলা, “পয়লা থাকি আমি যেলা কইরাম, আমিউ হেইন। 26তুমরার বেয়াপারে মাতার আর বিচার করার বউততা আছে। হুনো, যেইন আমারে পাঠাইছইন তান মাজে তো মিছা কুন্তা নাই। আমি তান গেছ থাকি যেতা হুনি, অতাউ ই দুনিয়ারে জানাই।” 27ইছায় যেন তান গাইবি বাফর কথা কইরা, তারা ইতা বুজলা না। 28এরদায় ইছায় কইলা, “তুমরা যেবলা আমি বিন-আদমরে উপরে তুলবায়, অউ সময় বুজবায় আমিউ হেইন। আর এওখান বুজবায়, আমি নিজে নিজে কুন্তা করি না, আমার গাইবি বাফে আমারে যে তালিম দিছইন, অউ তালিমউ আমি বাতাই। 29যেইন আমারে পাঠাইছইন, তাইন নিজে আমার লগে আছইন। তাইন আমার লগ ছাড়ছইন না, আমি তো হামেশা অউ কামউ করি, যে কাম করলে তাইন খুশি অইন।” 30ইছার ই বয়ান হুনিয়া বউত মানষে তান উপরে ইমান আনলা।
হজরত ইব্রাহিমর খাটি আওলাদ কে
31এরার মাজে যেতা ইহুদি অকলে তান উপরে ইমান আনছিলা, তাইন এরারে কইলা, “তুমরা যুদি আমার কথামতো চলো, তে তুমরা আমার হাছারর উম্মত। 32তুমরা হক চিনবায় আর অউ হকেউ তুমরারে আজাদ করবা।” 33ইখান হুনিয়া তারা কইলা, “আমরা তো হজরত ইব্রাহিমর বংশর মানুষ, আমরা কুনু সময়ও কেউরর গুলাম আছলাম না। তে তুমি কিলা কইরায়, আমরারে আজাদ করা অইবো?” 34হজরত ইছায় কইলা, “আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, যেরা গুনার মাজে জিন্দেগি কাটায়, তারা গুনার গুলাম। 35কুনু গুলাম চিরকাল তার মুনিবর বাড়িত থাকে না, অইলে পুত তো চিরকাল থাকে। 36এরলাগি পুতে যুদি তুমরারে আজাদ করইন, তে তুমরা হাছারর আজাদ অইবায়। 37আমি জানি, তুমরা ইব্রাহিম নবীর বংশর মানুষ, তেবউ আমারে মারিলিতায় চাইরায়, কারন আমার নছিয়ত তুমরার ভিতরে হামায় না। 38আমি আমার গাইবি বাফর গেছে যেতা দেখছি অতা কইরাম, আর তুমরা নিজর বাফর গেছ থাকি যেতা হিকছো অতাউ কররায়।” 39অউ সময় তারা ইছারে কইলা, “হুনো, হজরত ইব্রাহিমউ আমরার বাফ।” তাইন কইলা, “তুমরা যুদি ইব্রাহিম নবীর আওলাদ অইতায়, তে ইব্রাহিমর লাখান কাম করলায় অনে। 40আমি আল্লার গেছ থাকি যে হক কালাম পাইছি, অতাউ তুমরারে কইরাম। তেবউ তুমরা আমারে মারিলিতায় চাইরায়, অইলে ইব্রাহিমে তো ইলা করছইন না। 41তুমরার নিজর বাফে যেতা করে, তুমরাও অতা কররায়।” অউ তারা ইছারে কইলা, “আমরা তো ফুংগা পুয়া নায়। আমরার একজনউ বাফ আছইন, এইন অইলা আল্লা।” 42ইছায় তারারে কইলা, “আসলেউ আল্লা যুদি তুমরার গাইবি বাফ অইতা, তে আমার বায় তুমরার মায়া থাকলো অনে। কারন আমি আল্লার গেছ থাকি আইছি আর অখন তুমরার মাজে আছি। আমি নিজে আইছি না, তাইনউ আমারে পাঠাইছইন। 43তুমরা আমার কথা বুজরায় না, কারন তুমরা আমার কথা সইয্য করতায় পারো না। 44ইবলিছউ তুমরার বাফ আর তুমরা তার আওলাদ, এরদায় তুমরা তার খাইশ পুরা করতায় চাইরায়। ইবলিছ তো পয়লা থাকিউ খুনি। হে কুনুদিন হকর মাজে বসত করছে না, কারন তার মাজে কুনু হক নাই। হে যেবলা মিছা মাতে, অউ সময় হে নিজ থাকিউ মাতে। কারন হে বেইমান, আর হকল বেইমানি তার মাজ থাকিউ পয়দা অইছে। 45আমি হক মাত মাতিয়ার এরলাগি তুমরা আমারে একিন কররায় না। 46তুমরার মাজে কেউ আমারে গুনাগার পরমান করতো পারবো নি? আমি যুদি হক মাত মাতি, তে আমারে একিন কররায় না কেনে? 47যে মানুষ আল্লার বন্দা, হে আল্লার কালাম হুনে। তুমরা আল্লার নায় গতিকে আল্লার কালাম হুনো না।” 48অউ সময় তারা ইছারে কইলা, “আমরা তো ঠিক কথা কইছি, তুই শমরিয়া জাতর মানুষ, তরে ভুতে ধরছে।” 49তাইন কইলা, “না, আমারে ভুতে ধরছে না। আমি আমার বাফরে ইজ্জত করি, অইলে তুমরা আমারে বেইজ্জত কররায়। 50আমি নিজে কুনু ইজ্জত পাইতাম করি কাম করি না। অইলে একজন আছইন, যেইন আমার ইজ্জতর লাগি কাম করইন, তাইনউ আমার বিচারক। 51আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, কেউ যুদি আমার কথা মানে, হে কুনু সময়উ মরতো নায়।” 52তারা তানরে কইলা, “অখন আমরা বুজলাম, তরে ঠিকউ ভুতে ধরছে। ইব্রাহিম নবী বা আরো নবী অকল তো মারা গেছইন, আর তুই কইরে, কেউ যুদি আমার মাত হুনে, হে কুনু সময়ও মরতো নায়। 53তুই কুনু বাবা ইব্রাহিম থাকিও বড় নি? তাইন নিজে আর বাকি তামাম নবী অকলউ মারা গেছইন। তে তুই নিজরে কিতা মনো করছ?” 54ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি যুদি নিজর তারিফ নিজেউ করি, তে এর কুনু দাম নাই। আমার গাইবি বাফ, যানরে তুমরার আল্লা কইয়া দাবি করো, তাইনউ আমারে ইজ্জত দান করইন। 55তুমরা তানরে চিনছো না, অইলে আমি তানরে চিনি। আমি যুদি কই আমি তানরে চিনি না, তে তো তুমরার লাখান আমিও বেইমান অইমু। আমি তানরে চিনি আর তান হুকুম-আহকাম মানিয়া চলি। 56তুমরার বাফ ইব্রাহিম নবীয়ে আমার দিন দেখার আশায় খুশি করছইন। তাইন ইতা দেখছইন আর খুশিও অইছইন।” 57ইহুদি নেতা অকলে তানরে কইলা, “তুমার বয়স তো অখনও পইঞ্চাশ বছর অইছে না, তে তুমি ইব্রাহিম নবীরে দেখলায় কিলা?” 58ইছায় কইলা, “আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, ইব্রাহিম নবীর জন্মর আগ থাকিউ আমি আছি।” 59ইখান হুনিয়া নেতা অকলে তানরে মারার লাগি পাথর তুকাইয়া লইলা। অইলে হজরত ইছায় আউড়ি দিয়া বায়তুল-মুকাদ্দছ থাকি বারইয়া গেলাগি।
হজরত ইছায় জন্মর আন্দারে ভালা করলা
1হজরত ইছা পথেদি আটিয়া যাওয়ার সময় এক আন্দা বেটারে পাইলা। হে জন্ম থাকিউ আন্দা আছিল। 2এরে দেখিয়া তান সাহাবি অকলে তানরে জিকাইলা, “হুজুর, অউ মানুষগু কার গুনায় আন্দা অইয়া জন্মিছে? তার নিজর গুনার লাগি, না তার মা-বাফর?” 3তাইন জুয়াপ দিলা, “তার নিজর লাগিও নায়, আর তার মা-বাফর গুনার লাগিও নায়। তার মাজদি আল্লার লিলা-খেলা জাইর অওয়ার লাগিউ ইলা অইছে। 4হুনো, যেইন আমারে বেজিছইন, সময় থাকতে থাকতে তান কাম করা আমরার জরুর। রাইত ঘনাইয়া আর, হি সময় কেউ কাম করার উপায় নাই। 5বুজরায় নি, আমি যতদিন দুনিয়াত আছি, অতদিন আমিউ দুনিয়ার নুর।” 6অখান কইয়াউ তাইন মাটিত ছেফ ফালাইয়া ফেক বানাইলা, বাদে অউ ফেক আন্দা বেটার চখুত লাগাইয়া কইলা, 7“যাওবা, ছীলোয়ার পুরকিত গিয়া ধইলাও।” ছীলোয়া মানি পাঠানি। হে গিয়া চউখ ধইলো আর ভালা অইয়া আইলো। 8ইখান দেখিয়া আরি-ফরি আর যতো মানষে তারে আগে ভিক করাত দেখছিলা এরা কইলা, “অগু কিতা হউ বেটা নায় নি, যেগিয়ে অনো বইয়া ভিক করতো?” 9কেউ কেউ কইলো, “অয়, হে তো অউ বেটাউ।” আর কেউ কেউ কইলো, “দেখতে যুদিও তার লাখান, অইলে হে নায়।” তেউ হে নিজে কইলো, “জিঅয়, আমিউ হউ জন।” 10অউ তারা এরে জিকাইলা, “কওছাইন, তুমার চউখ ভালা অইলো কিলা?” 11হে কইলো, “ইছা নামর অউ মানষে ফেক বানাইয়া আমার চখুত লাগাইয়া কইলা, যাওবা, ছীলোয়ার পুকরির মাজে ধইয়া আওগি। আমি গিয়া ধইলাম আর ভালা অইগেলাম।” 12তারা কইলা, “অউ মানুষগু কুয়াই?” হে কইলো, “আমি জানি না।” 13অউ যে বেটা আন্দা আছিল, মানষে তারে ধরিয়া ফরিশি অকলর গেছে লইয়া গেলা। 14কারন ইছায় যেদিন ফেক লাগাইয়া তার চউখ ভালা করছলা, ই দিন আছিল তারার জুম্মাবার। 15এরলাগি ফরিশি অকলে হিরবার তারে জিকাইলা, “তুমার চউখ ভালা অইলো কিলা?” হে কইলো, “হউ জনে আমার চখুত ফেক লাগাইয়া দিলা, আর আমি গিয়া ধইয়াউ চউখে দেখলাম।” 16অউ সময় কয়জন ফরিশিয়ে কইলা, “ই মানুষগু তো আল্লার গেছ থাকি আইছে না। দেখরায় নি, হে জুম্মাবারও মানে না।” অইলে কেউ কেউ কইলা, “গুনাগার মানষে ইলাখান কেরামতি কাম করবো কিলা?” অতা লইয়া তারার মাজে দলাদলি লাগিগেল। 17তারা হিরবার অউ মানষরে জিকাইলা, “ঠিক আছে, হে তো তুমার চউখ ভালা করছে, এরলাগি তুমি তার বেয়াপারে কিতা কও।” হে কইলো, “তাইন একজন নবী।” 18অইলে অউ বেটা যেন আগে আন্দা আছিল আর অখন চউখে দেখের, ইহুদি নেতা অকলে তার মা-বাফরে না জিকানি পর্যন্ত ইতা একিন করলা না। 19তারা তার মা-বাফরে জিকাইলা, “দেখোছাইন, অগু তুমরার হউ আন্দা পুয়া নি, যেগুরে তুমরা জন্মর আন্দা কও? তে হে অখন চউখে দেখের কিলা?” 20তার মা-বাফে কইলা, “জিঅয়, হে আমরারউ পুয়া আর হে আন্দা অইয়া জন্মিছিল। 21অইলে অখন কিলা চউখে দেখের, ইখান আমরা জানি না। আর কে তার চউখ ভালা করছইন, তা-ও কইতাম পারি না। হে তো বড় অইগেছে, তারেউ জিকাউক্কা, তার বেয়াপার হে কউক।” 22তার মা-বাফে ইহুদি নেতা অকলর ডরে অলা মাতিলা, কারন ইহুদি নেতা অকলে আগ থাকিউ আইন করছিলা, কেউ যুদি ইছারে আল-মসী কইয়া কবুল করে, তে তারে সমাজ থাকি বার করি দেওয়া অইবো। 23এরলাগিউ তার মা-বাফে কইলা, “হে বড় অইগেছে, তারেউ জিকাউক্কা।” 24নেতা অকলে দুছরা বার তারে আনিয়া জিকাইলা, “তুমি আল্লার নামে হাছা মাত মাতো। আমরা তো জানি ই মানুষটা গুনাগার।” 25হে জুয়াপ দিলো, “তাইন গুনাগার না কিতা, ইখান আমি জানি না। খালি অখান জানি, আমি আগে আন্দা আছলাম, অখন চউখে দেখিয়ার।” 26নেতা অকলে কইলা, “কওছাইন, হে তুমারে কিতা করছে? তুমার চউখ কিলা ভালা করলো?” 27অউ বেটায় জুয়াপ দিলো, “আমি তো আগেউ কইলাম, অইলে আপনারা হুনলা না। তে অখন কেনে আর হুনতা চাইরা? আপনারাও তান উম্মত অইতা চাইরা নি?” 28ইখান হুনিয়া তারা বেটারে খুব গালা-গালি করিয়া কইলা, “হই, তুই গিয়া অগুর উম্মত অইছত, অইলে আমরা অইলাম মুছা নবীর উম্মত। 29আমরা জানি, আল্লায় নিজে মুছা নবীর লগে বাতচিত করছইন, অইলে ই বেটা কুয়াই থাকি আইছে, ইতা তো আমরা জানিউ না।” 30তেউ বেটায় কইলো, “কি তাইজ্জুবি! আপনারা জানইন না তাইন কুয়াই থাকি আইছইন, অথচ তাইনউ আমার চউখ ভালা করলা। 31আমরা জানি, নাফরমান অকলর কথা আল্লায় হুনইন না। অইলে কেউ যুদি আল্লার আশিক বনিয়া তান মর্জি যুগাইয়া চলে, তে আল্লায় তার ফরিয়াদ হুনইন। 32আর আইজ পর্যন্ত ইলা হুনা গেছে না যেন, জন্ম থাকি আন্দা কুনু মানষর চউখ কেউ ভালা করছে। 33তাইন যুদি আল্লার গেছ থাকি না আইতা, তে ইলা করতা পারলা না অনে।” 34নেতা অকলে তারে কইলা, “তোর জনম অইছে নাফরমানির মাজে, আর তুই আমরারে তালিম দিরে নি?” অখান কইয়া তারা তারে সমাজ থাকি একঘরি করলা। 35ইছায় হুনলা, নেতা অকলে অউ বেটারে একঘরি করছইন। তাইন অউ বেটারে তুকাইয়া বার করিয়া কইলা, “ওবা, তুমি কিতা বিন-আদমর উপরে ইমান আনছো নি?” 36হে কইলো, “হুজুর, তাইন কে? আমারে কউক্কা, আমি যাতে তান উপরে ইমান আনতাম পারি।” 37ইছায় তারে কইলা, “তুমি তানরে দেখছো, আর তাইনউ তুমার লগে মাতিরা।” 38অউ বেটায় কইলো, “হুজুর, আমি ইমান আনলাম।” অখান কইয়াউ হে হজরত ইছারে সইজদা করলো। 39ইছায় কইলা, “হুনো, আমি আইছি ই দুনিয়াত বিচার করার লাগি, যেরা আন্দা আছইন তারা যানু ভালা অইন, আর ভালা অকল আন্দা অইন।” 40অউ সময় কয়জন ফরিশিও ইছার কান্দাত আছলা। ইখান হুনিয়া তারা কইলা, “তে আপনে কিতা কইতা চাইরা, আমরা আন্দা নি?” 41ইছায় কইলা, “তুমরা যুদি আন্দা অইতায়, তে তুমরা কুনু দুষি অইলায় না অনে। অইলে তুমরাউ কইরায় আন্দা নায়, এরলাগিউ তুমরার মাজে দুষ আছে।”
হজরত ইছা আল-মসীউ দুয়ার
1হজরত ইছায় আরো কইলা, “আমি তুমরারে নিচ্চিত হাছা কথা কইরাম, যে মানুষ মেড়ার গোয়াল-ঘরর দুয়ারেদি না হামাইয়া, অইন্য পথে হামায়, হে তো চুর-ডাকাইত। 2অইলে যে জন দুয়ারেদি হামায়, হে-উ মেড়ার রাখাল। 3গোয়াল-ঘরর চকিদারে রাখালরে দুয়ার খুলিয়া দেয়। মেড়াইন্তেও রাখালর ডাক হুনইন আর রাখালে তারার নাম ধরি ডাকি ডাকি বার করি নেয়। 4ঘর থাকি নিজর মেড়াইন্তরে বার করিয়া হারলে, রাখাল তারার আগে আগে যায়, আর তার মেড়াইন যায় খরে খরে, কারন তার গলার আওয়াজ তারা চিনে। 5তারা কুনুবালা অচিনা কুনু রাখালর লগে যাইতো নায় বরং তার গেছ থাকি বাগিবো, কারন অচিনা কুনু রাখালর গলার আওয়াজ তারা চিনে না।” 6ইছায় ফরিশি অকলরে হিকানির লাগি অউ উদাহরন দিলা, অইলে তাইন কিতা বুজাইরা, তারা সমজিতা পারলা না। 7এরলাগি তাইন হিরবার কইলা, “আমি তুমরারে নিচ্চিত হক কথা কইরাম, মেড়ার পালর লাগি আমিউ দুয়ার। 8আমার আগে রাখালর ভাব ধরিয়া যেতা আইছলা, ইগুইন তো চুর-ডাকাইত আছলা, মেড়াইন্তেও তারার কথা হুনছইন না। 9আমিউ দুয়ার। আমার মাজদি যে হামাইবো, হে তার জান বাচাইবো। হে ভিতরে আওয়া-যাওয়া করবো আর আটিয়া-চরিয়া খাইবো। 10চুরে তো খালি চুরি, খুন-খারাপি আর বিনাশ করার নিয়তেউ আয়। অইলে আমি আইছি যাতে তারা জিন্দেগি পায়, আর অউ জিন্দেগি পুরাপুর ভোগ করে। 11“আমিউ আসল রাখাল। আসল রাখালে তার মেড়ার লাগি নিজর জান বিলাই দেয়। 12খালি বেতনর আশায় যে জনে রাখালি করে, হে খাটি রাখাল নায় আর ই মেড়াইনও তার নিজর নায়। বাঘ আওয়াত দেখলেউ হে মেড়াইন ফালাইয়া নিজর জান বাচায়। 13কারন হে খালি বেতনর লাগি রাখালি করে, মেড়াইন্তর কথা চিন্তাও করে না। বাঘে আইয়া মেড়াইন ধরিয়া নেয়গি, তেউ তারা পাল ভাংগিয়া ছিতরি যায়। 14-15তে আমিউ ভালা রাখাল। আমার গাইবি বাফে আমারে চিনইন, আর আমিও আমার বাফরে চিনি। ঠিক অউলা, আমি আমার মেড়াইন্তরেও চিনি, আর আমার মেড়াইন্তেও আমারে চিনইন। আমি আমার মেড়া পালর লাগি নিজর জান দিলাইরাম। 16আমার তো আরো মেড়াইন আছইন, যেতা ই গোয়াল-ঘরো নাই, তারারেও আমি আনতে অইবো। তারা নিচ্চয় আমার ডাক হুনবা, তেউ খালি একজন রাখাল আর একটা পাল অইবো। 17“বাফে আমারে মায়া করইন, কারন আমি আমার জান বিলাইমু যাতে হিরবার ফিরত নেই। 18আমার জান কেউ আমার গেছ থাকি কাড়িয়া নিতো নায়, অইলে আমি নিজেউ জান বিলাইমু। মনো রাখিও, জান দেওয়ার খেমতা যেলা আমার আছে, অউলা ফিরত নেওয়ার খেমতাও আছে। ই দায়িত্ব আমি আমার গাইবি বাফর গেছ থাকি পাইছি।” 19হজরত ইছার ইতা মাত-কথা হুনিয়া ইহুদি নেতা অকলর মাজে হিরবার দলাদলি লাগি গেল। 20তারার মাজর বউতে কইলো, “অগুরে ভুতে ধরছে, হে পাগল, তুমরা অগুর মাত হুনরায় কেনে?” 21আর বউতে কইলো, “ভুতে ধরা মানষর মাত তো ইলা নায়। ভুতে কুনু আন্দার চউখ ভালা করে নি?”
হজরত ইছা আল-মসীর দাবি
22বাদে জেরুজালেম কাবা ঘরর দখল পাওয়ার ইদর সময় আইয়া আজিলো। অউ সময় আছিল শীতর দিন। 23হজরত ইছা বায়তুল-মুকাদ্দছর বাদশা সুলাইমানর বারিন্দাত আটা-উটি কররা। 24এরমাজে ইহুদি নেতা অকল ইছার চাইরোবায় দলা অইয়া কইলা, “আর কতদিন তুমি আমরারে লটকাইয়া রাখতায়? তুমি যুদি হাছারর আল-মসী অও, তে পরিস্কার করি আমরারে কও।” 25তেউ ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি তো কইলাম, অইলে আপনারা একিন কররা না, আর আমার গাইবি বাফর নামে আমি যে কাম করি, ইতায়ও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দের, 26তা-ও আপনারা একিন কররা না, কারন আপনারা আমার পালর মেড়া নায়। 27আমার মেড়াইন্তে আমার ডাক হুনইন। আমি তো তারারে চিনি আর তারাও আমার খরে খরে রইন। 28আমি তারারে আখেরি জিন্দেগি দান করি, তারা কুনু সময় বিনাশ অইতা নায়। কেউ আমার গেছ থনে তারারে কাড়িয়া নিতো নায়। 29আমার যে গাইবি বাফে তারারে আমার আতো দিছইন, তাইন হকল থাকি মহান। তান আত থাকি কেউ কুন্তা কাড়িয়া নিতো পারে না। 30আমি আর বাবা, আমরা এক।” 31তেউ ইহুদি নেতা অকলে হিরবার পাথর লইলা তানরে মারার লাগি। 32ইছায় তারারে কইলা, “গাইবি বাফর হুকুম মাফিক বউত ভালা ভালা কাম আমি আপনাইন্তরে দেখাইছি। ইতার মাজে কুন কামর লাগি আপনারা আমারে পাথর মারতা চাইরা?” 33তারা কইলা, “ভালা কুনু কামর লাগি আমরা তরে পাথর মারিয়ার না, তুই তো শিরিকি কররে, এরলাগিউ পাথর মারমু। মানুষ অইয়া তুই নিজরে আল্লা হিসাবে দাবি কররে।” 34তাইন কইলা, “আপনারার শরিয়তো লেখা আছে না নি, ‘আমি কইলাম, তুমরাউ এলাহি’? 35তে আল্লার কালাম যেরার গেছে নাজিল অইছিল, এরারে তো তাইন নিজেউ আল্লার লাখান কইয়া ডাকিছইন। আর পাক কিতাবর কথা তো বাদ দেওয়া যায় না। 36তে গাইবি বাফে যানরে নিজর লাগি বাছিয়া পছন্দ করলা আর দুনিয়াত পাঠাইলা, অউ আমি যেবলা কইলাম, আমি ইবনুল্লা, তে আপনারা কিলা কইরা, তুই শিরিকি কররে? 37আমি যুদি আমার গাইবি বাফর কাম না করি, তে আপনারা আমার উপরে ইমান আনবা না। 38অইলে আমি যুদি আমার বাফর হকল কাম করিয়া থাকি, তে আমার উপরে ইমান না আনলেও ইতা একিন করউক্কা। তেউ আপনারা জানবা, গাইবি বাফ আমার মাজেউ আছইন, আর আমিও তান মাজে আছি।” 39অউ সময় হিরবার তারা ইছারে ধরার চেষ্টা করলা, অইলে তাইন ইনথনে গাইব অইগেলা। 40বাদে তাইন হিরবার জর্দান গাংগর হপারো গিয়া রইলা। আগে অউ জাগাত হজরত এহিয়ায় মানষরে তৌবার গোছল দিতা। 41হনো বউত মানুষ তান গেছে আইলো আর মাতা-মাতি করলো, “এহিয়া নবীয়ে তো কুনু কেরামতি নিশানা দেখাইছইন না, অইলে তাইন হজরত ইছার বেয়াপারে যততা কইছলা, ইতা পুরাপুর হাছা।” 42অখান বুজিয়া হনর বউত মানষে হজরত ইছার উপরে ইমান আনলা।
হজরত ইছায় মুর্দা লাছাররে জিন্দা করলা
1লাছার নামে একজন মানুষ বেমার আছলা। তান বাড়ি বায়ত-আনিয়া গাউত, মরিয়ম আর মার্থা নামর তান দুই বইনও অউ গাউত রইতা। 2কয়দিন বাদে অউ মরিয়মেউ ইছার পাওয়ো খুশবয় আলা আতর মাখাইয়া, নিজর মাথার চুলদি পাও ফুছাই দিবা। অউ মরিয়মর ভাই অইলা বেমারি লাছার। 3এরলাগি তান বইনাইন্তে অখান কইয়া হজরত ইছার গেছে খবর পাঠাইলা, “হুজুর, আপনার মায়ার মানুষ খুব বেমার।” 4খবর পাইয়া ইছায় কইলা, “ই বেমার তো তার মউতর লাগি অইছে না, বরং আল্লার মহিমা জাইরর লাগিউ অইছে, যাতে এর মাজদি আমি ইবনুল্লার মহিমাও জাইর অয়।” 5হজরত ইছায় বিবি মার্থা, তান বইন আর লাছাররে খুব মায়া করতা। 6লাছারর বেমারর কথা হুনার বাদেও ইছা যে জাগাত আছলা, হনো আরো দুইদিন রইলা। 7বাদে তান সাহাবি অকলরে কইলা, “আও, আমরা হিরবার এহুদিয়া জিলাত যাই।” 8সাহাবি অকলে কইলা, “হুজুর, অউ কয়দিন আগে হনর মানষে আপনারে পাথর মারতা চাইলা, অখন আপনে হিরবার হনো যাইতা নি?” 9তাইন কইলা, “দিনর বেলা তো বারো ঘন্টা আছে, কেউ যুদি দিনর বেলা চলা-ফিরা করে, হে উষ্টা খায় না, কারন হে অউ দুনিয়ার ফর দেখে। 10আর কেউ যুদি রাইতর বেলা চলা-ফিরা করে, হে উষ্টা খায়, কারন তার মাজে কুনু ফর নাই।” 11অখান কইয়া হারি তান সাহাবি অকলরে কইলা, “হুনো, আমরার দুস্ত লাছার ঘুমাই গেছেগি, আমি তারে হজাগ করাত যাইয়ার।” 12ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে কইলা, “হুজুর, হে যুদি ঘুমো থাকে, তে তো ভালা অইযিবো।” 13ইছায় লাছারর মউতর কথা কইছলা, অইলে তারা মনো করলা, তাইন এমনে ঘুমর কথা কইছইন। 14তেউ ইছায় পরিস্কার করি কইলা, “লাছার মারা গেছে। 15অইলে আমি তুমরার কথা মনো করিয়া খুশি অইছি, আমি হিনো আছলাম না, যাতে তুমরা একিন করতায় পারো। অখন আও, আমরা লাছারর গেছে যাই।” 16তেউ তান সাহাবি থুমাছে লগর সাহাবি অকলরে কইলা, “আও না, আমরাও যাই, যাতে তান লগে মরতাম পারি।” অউ থুমাছরে জমজ কইয়া ডাকা অয়। 17হনো গিয়া হারলে হজরত ইছায় হুনলা, তাইন যাওয়ার চাইর দিন আগেউ লাছাররে দাফন করা অইগেছে। 18জেরুজালেম টাউন থাকি অউ বায়ত-আনিয়া গাউ অনুমান দুই মাইল দুরই আছিল। 19লাছারর মউতর বাদে তান বইন বিবি মার্থা আর মরিয়মরে বুজ দেওয়ার লাগি ইহুদি সমাজর বউত মানুষ আইলা। 20এরমাজে হজরত ইছায় তশরিফ আনরা হুনিয়া বিবি মার্থা তান লগে দেখা করাত গেলা, অইলে মরিয়ম ঘরো বই রইলা। 21বিবি মার্থায় ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে যুদি অনো রইতা, তে আমার ভাইগু মরলো না অনে। 22অইলে এরবাদেও আমি জানি, আপনে আল্লার গেছে যেতা চাইবা, তাইন আপনারে অতা দিবা।” 23ইছায় কইলা, “হুনো, তুমার ভাই হিরবার জিন্দা অইয়া উঠবো।” 24তেউ মার্থায় কইলা, “জিঅয়, আমি জানি কিয়ামতর দিন যেবলা মুর্দা অকল জিন্দা অইবা, অউ সময় হে-ও জিন্দা অইয়া উঠবো।” 25ইছায় মার্থারে কইলা, “আমিউ তো কিয়ামত আর জিন্দেগি। যে জনে আমার উপরে ইমান আনে হে মরলেও জিন্দা অইবো। 26আর যে জনে আসল জিন্দা অইয়া আমার উপরে ইমান আনে, হে কুনুদিনও মরতো নায়। তুমি ইখান একিন করো নি?” 27মার্থায় কইলা, “জিঅয় হুজুর, আমি ইমান আনছি, আল্লার ওয়াদা করা যে জনে দুনিয়াত তশরিফ আনার কথা, আপনেউ হউ আল-মসী ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন।” 28অখান কইয়া মার্থায় গিয়া তান বইন মরিয়মরে চুপতে ডাকিয়া নিয়া কইলা, “হুনো, হুজুর অনো আছইন, তাইন তুমারে ডাকিরা।” 29তেউ মরিয়ম জলদি করি ইছার কান্দাত গেলা। 30ইছা অউ সময়ও গাউর ভিতরে হামাইছইন না, মার্থায় তান লগে যেনো দেখা করছলা, তাইন হনোউ উবাই রইছলা। 31আর ঘরর ভিতরে যেতা ইহুদি অকলে মরিয়মরে বুজ দেওয়াত আছলা, মরিয়মে আখতাউ বারে যাওয়াত দেখিয়া তারা তান খরে খরে গেলা। তারা মনো করলো, মরিয়ম কয়বরর গেছে কান্দা-কাটি করাত যাইরা। 32ইছা যে জাগাত আছলা, মরিয়মও হনো গেলা আর ইছারে দেখিয়া তান পাওয়ো পড়িয়া কইলা, “হুজুর, আপনে যুদি অনো থাকতা, তে আমার ভাইগু মরলো না অনে।” 33মরিয়ম আর তান লগর ইহুদি অকলর কান্দন-আহাজারি দেখিয়া হজরত ইছার দিলর রুহ গরম অইগেল, তাইন কাতর অইগেলা। 34তাইন এরারে জিকাইলা, “লাছাররে কুয়াই দাফন করছো?” তারা কইলা, “হুজুর আউক্কা, দেখি যাউক্কা।” 35অউ সময় ইছায় কান্দি দিলা। 36তান কান্দন দেখিয়া হনর এরা কইলা, “দেখরায় নি, তাইন লাছাররে কতো মায়া করতা!” 37অইলে কুনু কুনু জনে কইলা, “যেইন আন্দার চউখ ভালা করছইন, তাইন ইলা কুন্তা করতা পারলা অনে না নি, যাতে লাছারগু না মরে?” 38ইতা হুনিয়া হজরত ইছার দিলর রুহ হিরবার গরম অইগেল, তাইন লাছারর কয়বরর ধারো গেলা। ই কয়বর আছিল গুহার লাখান এক গাতো আর কয়বরর মুখো এক পাথর দেওয়া আছিল। 39তাইন মানষরে কইলা, “পাথরটা হরাও।” লাছারর বইন মার্থায় কইলা, “হুজুর, অখন তো লাশ পচিয়া গন্দ বারইগেছে, তাইন চাইর দিন আগে মারা গেছইন।” 40ইছায় এনরে কইলা, “আমি তো তুমারে কইছি, তুমি যুদি একিন করো, তে আল্লার কুদরতি মহিমা দেখবায়।” 41তেউ মানষে কয়বরর মুখর পাথরটা হরাইলা। ইছায় আছমানর বায় চাইয়া দোয়া করলা, “ও গাইবি বাবা, তুমি আমার কথা হুনছো, এরলাগি আমি তুমার শুকরিয়া আদায় করি। 42আমি জানি, তুমি হামেশা আমার কথা হুনো। অইলে আমার চাইরোবায় যেতা মানুষ আছইন, তারা যাতে একিন করইন, তুমি আমারে পাঠাইছো, এরদায়উ অখান কইলাম।” 43অখান কইয়া তাইন জুরে ডাক দিয়া কইলা, “লাছার, বারইয়া আও।” 44তেউ মুর্দা লাছার কয়বর থাকি বারইয়া আইলা। তান আত-পাও কাফনদি পেচাইল আছিল, আর মুখ আছিল রুমাল দিয়া বান্দা। ইছায় মানষরে কইলা, “তার বান্দ খুলো আর তারে যাইতে দেও।”
হজরত ইছারে জানে মারার ষড়যন্ত্র
45বিবি মরিয়মর গেছে যেতা ইহুদি মানুষ আইছলা, হজরত ইছার অউ কেরামতি কাম দেখিয়া এরার মাজর বউতে তান উপরে ইমান আনলা। 46অইলে কেউ কেউ ফরিশি অকলর গেছে গিয়া ইছার অউ কামর কথা জানাইলো। 47ইতা হুনিয়া বড় ইমাম অকলে আর ফরিশি দলর মানষে দেশর ফতোয়া কমিটিরে লইয়া এখানো বইলা, বইয়া কইলা, “আমরা অখন কিতা করতাম? ই বেটায় তো বউত কেরামতি কাম দেখার। 48আমরা যুদি তারে এমনে চলতে দেই, তে হকল মানষে তার উপরে ইমান আনবো, আর ইতা হুনিয়া রোমান সরকারর মানষে আমরার ঠিকানা আর আমরার জাতিরেও বিনাশ করবা।” 49অউ মজলিছর মাজে অউ বছরর পরধান ইমাম, কায়াফা নামর একজন আছলা। তাইন এরারে কইলা, “তুমরা তো কুন্তাউ জানো না। 50বুজো না নি, আস্তা জাতি বিনাশ অওয়ার চাইতে, হকলর বদলা একজনর মরন আরো ভালা।” 51ইমাম কায়াফায় আসলে নিজর মন থাকি অউ কথা কইছইন না, তাইন অউ বছরর পরধান ইমাম অওয়ায় গাইবি বুলি তান মুখ থাকি বারইছে যে, ইহুদি জাতিরে বাচানির লাগি ইছার মরন অইবো। 52খালি ইহুদি জাতির লাগি নায়, আল্লার যতো বন্দাইন চাইরোবায় ছিতরিয়া আছইন, তারারে দলা করিয়া এখানো করার লাগিও তাইন জান বিলাই দিবা। 53হউ দিন থাকি তারা ইছারে মারার পায়তারা করাত লাগলা। 54এরলাগি ইছায় তারার মাজে খুলামেলা চলা-ফিরা বাদ দিলাইলা, আর অউ জাগা ছাড়িয়া মরুভুমির কান্দাত আফরাহিম নামর এক গাউত গিয়া তান সাহাবি অকলরে লইয়া রইলা। 55অউ সময় ইহুদি অকলর আজাদি ইদ ঘনাই আইছিল। ইদর আগে নিজরে পাক-ছাফ করার লাগি বউত মানুষ গাউ থাকি জেরুজালেম টাউনো গেলা। 56হিনো গিয়া তারা হজরত ইছারে তুকাইলা। তারা বায়তুল-মুকাদ্দছো উবাইয়া একে-অইন্যে জিকাইলা, “কিতা মনো করইন, তাইন ই ইদো আইতা নায় নি?” 57বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে হুকুম দিছলা, কেউ যুদি ইছার খুজ পায়, তে তারারে জানানির লাগি, যাতে তারা ইছারে ধরতা পারইন।
মাথার চুলদি পাও ফুছা
1আজাদি ইদর ছয়দিন আগে, হজরত ইছা হউ লাছারর গাউ বায়ত-আনিয়াত আইলা, যে লাছাররে তাইন মরা থাকি জিন্দা করছলা। 2ইনো তারা হজরত ইছার লাগি খানির মেজবানি জুইত করলা। ইছার লগে খাওয়াত যেরা বইছিল, এরার লগে লাছারও আছলা আর বিবি মার্থায় খাদিমদারি করলা। 3অউ সময় লাছারর বইন মরিয়মে আধা সের খুব দামি খাটি আতর লইয়া আইলা, আইয়া অউ আতর ইছার পাওয়ো ঢালিয়া নিজর মাথার চুলদি পাও ফুছিয়া দিলা। আতরর খুশবয়ে আস্তা ঘর ভরিগেল। 4ইহুদা ইস্কারিয়াত নামে ইছার এক সাহাবি, যেইন তানরে দুশমনর আতো ধরাই দিবা, এইন কইলা, 5“ইস, ই আতর ফুটিন বেচিলে তো তিনশো দিনার পাইয়া গরিব অকলরে বিলাই দেওয়া গেলো অনে।” 6আসলে ইহুদায় গরিব অকলর কথা চিন্তা করিয়া ইখান কইছে না। হে আছিল চুর। টেকার থলি তার গেছে থাকতো, আর জমা টেকা থাকি হে চুরি করতো, এরলাগি অলা কইছে। 7ইছায় কইলা, “তুমরা ই বেটিগুর মনো দুখ দিও না। আমার দাফন-কাফনর লাগি তাইন ই ফুটাইন থইছলা। 8গরিব অকল তো হামেশাউ তুমরার মাজে আছইন, অইলে আমারে হামেশা পাইতায় নায়।” 9হজরত ইছা বায়ত-আনিয়াত আইছইন হুনিয়া, ইহুদি জাতির বউত মানুষ অনো আইলা। তারা খালি ইছার লাগি নায়, হউ যে লাছাররে ইছায় মরা থাকি জিন্দা করছলা, তারেও দেখাত আইলা। 10অউ সময় বড় ইমাম অকলে নিয়ত করলা লাছাররেও মারিলিতা। 11কারন লাছারর লাগি বউত ইহুদি মানষে নেতা অকলর লগ ছাড়িয়া, ইছার উপরে ইমান আনছিলা।
হজরত ইছা জেরুজালেমো আইলা
12ইদর নিয়তে দলে দলে যতো মানুষ আইছইন, তারা বাদর দিন হুনলা, হজরত ইছায় জেরুজালেমো তশরিফ আনরা। 13অউ তারা খেজুরর খেছমা ডাল লইয়া তানরে আগুয়াইয়া আনাত গেলা আর মিছিল দিয়া কইলা, “মারহাবা! মাবুদর নামে যেইন তশরিফ আনরা, তান তারিফ অউক, তাইনউ ইসরাইলর বাদশা!” 14আল্লার কালামর আয়াত মাফিক হজরত ইছায় একটা গাধা দেখিয়া তার উপরে ছওয়ার অইলা। কিতাবো লেখা আছে, 15“ও ছিয়ন-কইনা জেরুজালেম, ডরাইও না। চাইয়া দেখো, গাধার বাইচ্চা চড়িয়া তুমার বাদশা আইরা।” 16সাহাবি অকলে পয়লা ইতার কুনু মানি বুজলা না। বাদে হজরত ইছার কুদরতি মহিমা জাইর অইয়া হারলে, পাক কিতাবর কথা তারার মনো অইলো, অউ আয়াতো তান বেয়াপারেউ লেখা আছিল, আর মানষে তান লাগিউ অততা করছে। 17কয়বর থাকি লাছাররে ডাকিয়া জিন্দা করি তুলার সময় যেতা মানুষ ইছার লগে আছলা, তারাও অউ বেয়াপারে হামেশা মাত-কথা মাতিতা। 18এরলাগি মানষে তান অউ কেরামতি কামর খবর হুনিয়া তানরে আগুয়াইয়া আনাত গেছলা। 19ইতা দেখিয়া ফরিশি অকলে একে-অইন্যে কইলো, “আমরার তো কুনু লাভ অর না। দেখরায় নি, আস্তা দুনিয়াউ তার খরে গেছেগি।”
নিজর মউতর আগাম খবর
20আজাদি ইদো যেরা এবাদত করাত আইছলা, তারার মাজে কয়জন ইউনানি মানুষও আছলা। 21তারা গালিল জিলার বায়ত-ছয়দা গাউর ফিলিফরে আইয়া মিনত করলা, “ছাব, আমরা হুজুর ইছারে দেখতাম চাই।” 22ফিলিফে ইখান আন্দ্রিয়াছরে কইলা। বাদে আন্দ্রিয়াছ আর ফিলিফে গিয়া ইছারে জানাইলা। 23ইছায় তারারে কইলা, “আমি বিন-আদমর মহিমা জাইর অওয়ার সময় আইচ্ছে। 24আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, ধানর বিচ মাটিত পড়িয়া যুদি না মরে, তে একটাউ থাকে, আর মাটিত মরলে বউত ফসল ফলে। 25অলা যে জনে নিজর জানরে বেশি মায়া করে, হে তার আসল জিন্দেগি খুয়াইলায়, অইলে যে জনে ই দুনিয়াত নিজর জানরে তুচ্ছ মনো করে, হে তার আসল জিন্দেগি, মানি আখেরাতর লাগি জান বাচায়। 26কেউ যুদি আমার খেজমত করতো চায়, তে আমার পথে চলউক। তেউ আমি যেখানো রইমু আমার খেজমতকারিও অনো রইবো। যে জনে আমার খেজমত করে, আমার গাইবি বাফে তারে ইজ্জত দিবা। 27“আমার মন অখন পেরেশান অইগেছে। তে আমি অখান কইতাম নি, বাবা, যে সময় আইয়া আজিছে, অউ সময়র আত থাকি আমারে বাচাও? অইলে অতার লাগিউ তো আমি অউ সময় পর্যন্ত আইছি। 28বাবা, তুমি তুমার মহিমা জাইর করো।” অউ সময় আছমান থাকি গাইবি আওয়াজ আইলো, “আমি আমার মহিমা জাইর করছি আর হিরবার জাইর করমু।” 29ই আওয়াজ হুনিয়া হিনো যতো মানুষ আছলা, তারা কইলা, “ইতা তো মেঘর ডাক।” কেউ কেউ কইলো, “কুনু ফিরিস্তায় তান লগে বাতচিত করছইন।” 30ইখান হুনিয়া ইছায় কইলা, “ই আওয়াজ তো আমার লাগি আইছে না, আপনারার লাগিউ আইছে। 31ই জগতর মানষর বিচারর সময় আইচ্ছে, দুনিয়ার মুনিব ইবলিছর আত থাকি অখন খেমতা কাড়িয়া নেওয়া অইবো। 32আমারে যেবলা জমিন থাকি উপরে তুলা অইবো, অউ সময় আমি হকলরে আমার গেছে টানিয়া তুলমু।” 33তান কিলাখান মউত অইবো, অখান বুজানির লাগি তাইন ইতা কইলা। 34অউ সময় মানষে ইছারে কইলা, “আমরা পাক কিতাব থাকি হুনছি আল-মসী চিরকাল রইবা। তে আপনে কিলা কইরা, বিন-আদমরে উচাত তুলা অইবো? তাইলে ই বিন-আদম কে?” 35তাইন জুয়াপ দিলা, “আর কিছু সময় নুর আপনারার লগে আছে, নুর থাকতে থাকতেউ আটা ধরউক্কা, যেলা আন্দাইরে আইয়া আপনাইন্তরে না বেরে। যে জন আন্দাইর পথে আটে, হে জানে না হে কুয়াই যার। 36নুর আপনারার লগে থাকতে থাকতেউ নুরর উপরে ইমান আনউক্কা, যাতে আপনারাও অউ নুরর মানুষ অইতা পারইন।” এরবাদে ইছা ইনথনে হরিয়া গিয়া, এরার চউখ থাকি নিজরে লুকাইলিলা।
মানষর দিল পাষান
37হজরত ইছায় মানষর ছামনে অতো বেশি কেরামতি নিশানা দেখানির বাদেও তারা তান উপরে ইমান আনলো না। 38ইতা হক্কলতা ঘটিছিল যাতে আগর জমানার নবী ইশায়ার কথা পুরা অয়, তাইন বাতাইছলা, মাবুদ গো, আমরার তবলিগর উপরে কে একিন করছে? তুমার কুদরতি আত কার গেছেউ বা জাইর অইছে? 39এরলাগিউ তো ইতা মানষে ইমান আনছে না, কারন ইশায়া নবীয়ে এওখান কইছলা, 40আল্লায় তারার চউখ আন্দা বানাইলিছইন, তারার দিল পাষান বানাইলিছইন, যাতে চউখদি না দেখে আর দিলদি না বুজে। আরনায় কিযানু তারা তৌবা করিলাইন, আল্লার বায় ফিরিযাইন, আর আমি তারারে শিফা করিলাই। 41ইশায়া নবীয়ে ইছার মহিমা দেখছলা গতিকে, তান বেয়াপারে অউ কথা কইছলা। 42তেবউ ইহুদি নেতা অকলর মাজ থাকি বউতে তান উপরে ইমান আনলা, অইলে ফরিশি অকলে তারারে সমাজ থাকি বার করি দিলাইবো, অখান ডরাইয়া তারা স্বীকার করলা না। 43তারা আল্লার তারিফ থাকি মানষর তারিফ পাইতে বেশি পছন্দ করতা।
হজরত ইছাউ তরানেআলা
44বাদে ইছায় জুরে জুরে কইলা, “যে জনে আমার উপরে ইমান আনে, হে খালি আমার উপরে নায়, যেইন আমারে পাঠাইছইন তান উপরেও ইমান আনে। 45যে জনে আমারে দেখে, হে আসলে তানরেউ দেখে, যেইন আমারে পাঠাইছইন। 46আমি ই দুনিয়াত নুর হিসাবে আইছি, যাতে আমার উপরে যে ইমান আনে, হে আর আন্দারিত না রয়। 47কেউ যুদি আমার কথা হুনিয়া, অউ মাফিক আমল না করে, তে আমি নিজে তার বিচার করি না, কারন আমি মানষরে দুষি সাইবস্তো করাত আইছি না, বরং মানষরে তরানিত আইছি। 48যে জনে আমারে মানে না আর আমার কথা হুনে না, তার বিচারর লাগি তো একজন আছইন। আমি তারে যে কথা কইছি, অউ কথায়উ কিয়ামতর দিন তারে দুষি সাইবস্তো করবো। 49আমি তো নিজে থাকি কুন্তা কইছি না, খালি আমার যে গাইবি বাফে আমারে বেজিছইন, তাইন নিজেউ হুকুম দিছইন, আমি কিতা কিতা কইতাম। 50আমি জানি, তান হুকুম মানাউ অইলো আখেরি জিন্দেগি। এরলাগি আমি যেতা কই, ইতা আমার গাইবি বাফর হুকমেউ কই।”
উম্মত অকলরে হজরত ইছার আখেরি তালিম (১৩:১-১৭:২৬)
সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইলা
1আজাদি ইদর থুড়া আগর ঘটনা। ইছায় বুজিলিলা, তাইন ই দুনিয়া ছাড়িয়া তান গাইবি বাফর গেছে যাইবার সময় আইচ্ছে। দুনিয়াত যেরা তান আপন মানুষ আছলা, তারারে তাইন খুব মায়া করতা আর হেশ পর্যন্ত অলা মায়া করিয়াউ গেছইন। 2রাইতকুর খানিত বইবার আগর কথা, হজরত ইছারে দুশমনর আতো ধরাই দিবার লাগি, ইবলিছে আইয়া সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদার মনো খাইশ জাগাই দিলো। 3ইছায় জানতা, তান গাইবি বাফ আল্লায় তান আতো হকলতা সপি দিছইন, তাইন আল্লার গেছ থাকি আইছইন আর তান গেছেউ ফিরিয়া যাইরা। 4এরলাগি তাইন খাওয়া থাকি উঠলা আর ফিন্নর পাইঞ্জাবি খুলিয়া এখান গামছা কমরো বান্দিলা। 5বাদে তাইন গামলার মাজে পানি লইয়া সাহাবি অকলর পাও ধোয়াই দিলা, আর কমরর গামছাদি পাও ফুছিয়া দেওয়াত লাগলা। 6অউ লাখান তাইন যেবলা সাইমন-পিতরর গেছে আইলা, পিতরে কইলা, “হুজুর, ইতা কিতা করইন, আপনে আমার পাও ধোয়াইয়া দিতা নি?” 7তাইন কইলা, “আমি যেতা করিয়ার, অখন তুমি ইতার মানি বুজতায় নায়, বাদে বুজবায়।” 8অউ পিতরে তানরে কইলা, “জি না, আপনে কুনুমন্তেউ আমার পাও ধোয়াই দিবা না।” ইছায় কইলা, “আমি যুদি তুমার পাও ধইয়া না দেই, তে তুমার লগে আমার কুনু খাতির নাই।” 9তেউ সাইমন-পিতরে কইলা, “হুজুর, তে খালি পাও নায়, আমার মাথা আর আতও ধোয়াইয়া দেউক্কা”। 10তাইন কইলা, “যে মানষে গোছল করছে, তার পাও ছাড়া আর কুন্তা ধোয়ার জরুর নায়, তার তো হকলতা পরিস্কার আছে। তুমরাও নিচ্চয় পরিস্কার আছো, অইলে হকল নায়।” 11আসলে দুশমনর আতো কে তানরে ধরাই দিবো, ইখান তাইন জানতা। এরদায় তাইন কইলা, “তুমরা হকল পরিস্কার নায়।” 12সাহাবি অকলর পাও ধোয়াইয়া হারলে ইছায় তান পাইঞ্জাবি ফিন্দিয়া হিরবার বইলা আর তারারে কইলা, “আমি কিতা করলাম, তুমরা ইতা বুজছো নি? 13তুমরা আমারে উস্তাদ আর মালিক কইয়া ডাকো, ইখান ঠিকউ, আমিউ তুমরার উস্তাদ আর মালিক। 14আর আমি তুমরার উস্তাদ আর মালিক অইয়াও যেবলা তুমরার পাও ধোয়াইয়া দিলাম, তে তুমরাও অলা একে-অইন্যর পাও ধোয়াই দেওয়া জরুর। 15আমি ইলা করিয়া দেখাইলাম, যাতে আমি যেলা করলাম তুমরাও অলা করো। 16আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, গুলাম তার মুনিব থাকি বড় নায়। আর যারে পাঠানি অইছে, হে তার পাঠাওরা থাকি বড় নায়। 17ইতা জানিয়া যুদি আমল করো, তে তুমরা ধইন্য। 18“আমি তুমরা হকলর বেয়াপারে কইরাম না। আমি যেরারে পছন্দ করছি তারারে তো চিনি। হুনো, আল্লার কালামর আয়াত তো ফলিতে অইবো, লেখা আছে, ‘আমার লগে বইয়া যেগুয়ে খাওয়া-দাওয়া করে, হগুয়ে আমার উপরে পাও তুলছে।’ 19ইতা ঘটার আগেউ আমি তুমরারে জানাই দিলাম, তেউ ঘটার বাদে তুমরা বুজবায়, আমিউ হেইন। 20আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, আমি যারে পাঠাই, তারে যে জনে কবুল করে, হে আসলে আমারেউ কবুল করে। আর যে জনে আমারে কবুল করে, হে তানরেউ কবুল করে, যেইন আমারে পাঠাইছইন।”
বেইমান ইহুদা
21অখান কইয়া হারলে হজরত ইছার দিল পেরেশান অইগেল। তাইন খুলিয়া কইলা, “আমি হক কথা কইরাম, তুমরার মাজর একজনেউ আমারে দুশমনর আতো ধরাই দিবো।” 22তাইন কার কথা কইরা, সাহাবি অকলে ইখান না বুজায় একে-অইন্যর বায় চাই রইলা। 23এরার মাজর যে সাহাবিরে ইছায় মায়া করতা, এইন ইছার কুলো এলাইন দিয়া বওয়াত আছলা। 24সাইমন-পিতরে এনরে ইশারা দিয়া কইলা, তুমি জিকাও, তাইন কার কথা কইরা। 25তেউ অউ সাহাবিয়ে ইছার বায় জুকিয়া কইলা, “হুজুর, কে অউ জন?” 26ইছায় জুয়াপ দিলা, “অউ রুটির টুকরা বউলো ভিজাইয়া যারে দিমু, হে-উ অউ জন।” আর অউ রুটি তাইন সাইমন ইস্কারিয়াতর পুয়া ইহুদারে দিলা। 27রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগেউ ইবলিছ ইহুদার ভিতরে হামাইলো। ইছায় তারে কইলা, “যেতা করতায় চাও, জলদি করিলাও।” 28ইছার লগে যারা খাওয়াত বইছলা, তারা কেউ বুজলা না, তাইন ইহুদারে কেনে ইখান কইছইন। 29কেউ কেউ মনো করলো, ইদর বাজার করার লাগি ইছায় ইহুদারে অখান কইছইন বা গরিব অকলরে কুন্তা দেওয়ার কথা কইছইন, কারন টেকার থলি তো ইহুদার গেছেউ থাকতো। 30রুটির টুকরা লওয়ার লগে লগে ইহুদা বারইয়া গেলগি। ই সময় রাইত আছিল।
নয়া হুকুম
31ইহুদা বারে গিয়া হারলে ইছায় কইলা, “বিন-আদমর মহিমা জাইর করার সময় আইচ্ছে, তান মাজদি আল্লার মহিমা জাইর অইবো। 32আর আল্লার মহিমা যেবলা তান মাজদি জাইর অইবো, অউ সময় আল্লায়ও নিজর মাজে বিন-আদমর মহিমা জাইর করবা, ইতা তাইন খুব জলদিউ করবা। 33ও আওলাদ অকল, আমি আর বেশি দিন তুমরার গেছে রইতাম নায়। তে ইহুদি নেতা অকলরে আগে যেলা কইছলাম, তুমরা আমারে তালাশ করবায়, অইলে আমি যেখানো যাইমু তুমরা হিনো যাইতায় পারতায় নায়, অখন অউ কথা তুমরারেও কইরাম। 34আমি তুমরারে এখান নয়া হুকুম দিরাম, তুমরা একে-অইন্যরে মায়া করিও। আমি যেলা তুমরারে মায়া করছি, তুমরাও অলা একে-অইন্যরে মায়া করিও। 35তুমরা যুদি একে-অইন্যরে মায়া করো, তে হকলে বুজবো তুমরা আমার উম্মত।”
সাহাবি পিতরর অস্বীকারর কথা
36সাইমন-পিতরে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে কুয়াই যাইরা?” তাইন কইলা, “আমি যেনো যাইরাম, তুমরা অখন আমার লগে হিনো আইতায় পারতায় নায়, অইলে বাদে আইবায়।” 37পিতরে কইলা, “অখন কেনে যাইতাম পারতাম নায়? আপনার লাগি আমি আমার জানও বিলাই দিমু।” 38অউ সময় ইছায় কইলা, “আমার লাগি হাছাউ তুমার জান দিবায় নি? তে হাছা কথা আমি তুমারে কইরাম, মুরগায় বাং দিবার আগেউ, তুমি তিনবার কইবায়, তুমি আমারে চিনো না।”
হজরত ইছা আল-মসীউ পথ
1হজরত ইছায় কইলা, “তুমরা আর পেরেশান অইও না। আল্লার উপরে তো তুমরার একিন আছে, তে আমার উপরেও একিন রাখো। 2আমার বাফর বাড়িত রওয়ার বউত জাগা আছে, না থাকলে আমি কইলাম অনে। আমি তো তুমরার লাগি জাগা ঠিক করাত যাইরাম। 3জাগা ঠিক করিয়া হিরবার আইমু, আইয়া তুমরারে আমার গেছে নিমু। তেউ আমি যেনো রইমু, তুমরাও হনো রইবায়। 4আর আমি কুয়াই যাইরাম, ই পথ তো তুমরার চিনা আছে।” 5অউ সময় সাহাবি থুমাছে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে কুয়াই যাইরা, অখানউ আমরা জানি না, তে পথ কিলা চিনমু?” 6ইছায় কইলা, “আমিউ পথ, আমিউ হক আর আমিউ জিন্দেগি। আমার উছিলা ছাড়া কুনু মানুষউ গাইবি বাফর গেছে যাইতো পারে না। 7তুমরা আমারে চিনলে আমার গাইবি বাফরেও চিনলায় অনে। তে অখন তুমরা তানে চিনছো আর দেখছোও।” 8ফিলিফে কইলা, “হুজুর, অউ গাইবি বাফ আমরারে দেখাউক্কা, তেউ আমরা শান্তি অইমু।” 9ইছায় কইলা, “ফিলিফ, অতো দিন থাকি আমি তুমরার লগে লগে আছি, এরবাদেও তুমি আমারে চিনলায় না নি? যে জনে আমারে দেখছে, হে আমার গাইবি বাফরেও দেখছে। তে তুমি কিলান কইলায়, গাইবি বাফরে দেখাউক্কা? 10তুমি একিন করো না নি, আমি গাইবি বাফর মাজে আছি, আর গাইবি বাফও আমার মাজে আছইন? আমি তুমরারে যেতা কই, ইতা আমার নিজর মুখর বুলি নায়, যে গাইবি বাফ আমার ভিতরে আছইন, তাইনউ তান নিজর কাম চালাইরা। 11আমার কথা একিন করো, আমি আমার বাফর মাজে আছি, আর তাইন আমার মাজে আছইন। আরনায় অন্তত আমার অতা কেরামতি কাম দেখিয়া আমারে একিন করো। 12“আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, কেউ যুদি আমার উপরে ইমান আনে, তে আমি যেতা কাম করি, হে-ও অতা করবো। আর আমি আমার বাফর গেছে যাইয়ারগি করি হে আরো বড় বড় কাম করবো। 13তুমরা আমার নামে যেতা চাইবায়, আমি ইতা পুরা করমু যাতে বাফর মহিমা পুতর মাজদি জাইর অয়। 14আমার নাম লইয়া আমার গেছে কুন্তা চাইলে, আমি দিমু।
পাক রুহর বেয়াপারে ওয়াদা
15“তুমরা যুদি আমারে মায়া করো, তে আমার হকল হুকুম-আহকাম আমল করিও। 16আমি গাইবি বাফর গেছে চাইমু, আর তাইন তুমরার লাগি আরক সাইয্যগির পাঠাইবা, এইন চিরকাল রইবা। 17অউ সাইয্যগির অইলা হক রুহ। ই দুনিয়ার মানষে অউ হক রুহরে কবুল করে না, কারন তারা এরে দেখেও না, চিনেও না। অইলে তুমরা এনে চিনো, এইন তো তুমরার লগে লগে রইন আর ছামনেদি তুমরার দিলর মাজে বসত করবা। 18“আমি তুমরারে এতিম হালতে ফালাইয়া যাইতাম নায়, আমি হিরবার তুমরার গেছে আইমু। 19থুড়া বাদে দুনিয়ার মানষে আমারে আর দেখতো নায়, অইলে তুমরা দেখবায়। আমি জিন্দা আছি গতিকে তুমরাও জিন্দা রইবায়। 20আমি জিন্দা অইয়া উঠিয়া হারলে তুমরা বুজবায়, আমি আমার গাইবি বাফর মাজে আছি আর তুমরা আমার মাজে আছো, আমি তুমরার মাজে আছি। 21যে জনে আমার হুকুম-আহকাম চিনে আর আমল করে, হে-উ আমারে মায়া করে। আর যে জনে আমারে মায়া করে, আমার গাইবি বাফ আল্লায়ও তারে মায়া করবা। আমিও তারে মায়া করমু, আর আমার নিজরে তার গেছে জাইর করমু।” 22সাহাবি অকলর মাজে ইহুদা ইস্কারিয়াত ছাড়া আরক সাহাবির নাম আছিল ইহুদা, এইন কইলা, “হুজুর, দুনিয়ার হকল মানষর গেছে জাইর না করিয়া, খালি আমরার গেছেউ আপনারে কেনে জাইর করবা?” 23ইছায় জুয়াপ দিলা, “কেউ যুদি আমারে মায়া করে, তে হে আমার কথা মানবো। আমার গাইবি বাফে তারে মায়া করবা, আমরা তার গেছে আইমু, আইয়া তার লগে বসত করমু। 24অইলে যে জনে আমারে মায়া করে না, হে কুনুমন্তেউ আমার কথায় চলে না। আমি তুমরারে যেতা কইলাম, ইতা আমার মুখর কথা নায়, যেইন আমারে বেজিছইন হউ বাফর কথা। 25“আমি তুমরার লগে থাকতে থাকতেউ ইতা কইলাম। 26অউ সাইয্যগির পাক রুহ, যানরে আমার বাফে আমার নামে পাঠাইবা, তাইনউ হকল বেয়াপারে তুমরারে তালিম দিবা, আর আমি তুমরারে যেতা কইছি অতা ইয়াদ করাই দিবা। 27“আমি তুমরার লাগি শান্তি রাখিয়া যাইয়ার, আমার শান্তিউ আমি তুমরারে দিয়া যাইয়ারগি। ই দুনিয়ায় যেমনে শান্তি দেয়, আমি ইলা দেই না। তুমরার দিলো যানু কুনু পেরেশানি বা ডর-খফ না আয়। 28আমি তো আগেউ তুমরারে কইছি, আমি যাইয়ারগি, আর হিরবার তুমরার গেছে আইমু। তুমরা যুদি আমারে মায়া করতায়, তে আমি আমার বাফর গেছে যাইয়ার করি খুশি অইলায় অনে, কারন ই বাফ তো আমার থাকিও মহান। 29ইতা ঘটার আগেউ তুমরারে জানাই দিলাম, যাতে ঘটিয়া হারলে তুমরা একিন করতায় পারো। 30আমি তুমরার লগে আর বেশি সময় মাততাম নায়, কারন দুনিয়ার মুনিব ইবলিছ আইওর। আমার উপরে তার কুনু খেমতা নাই। 31অইলে আমি আমার বাফর হুকুম মানিয়া ইতা হকলতা করি, যাতে দুনিয়ার মানষে বুজইন, আমি আমার বাফরে মায়া করি। তে আও, আমরা অখন ই জাগা থাকি যাইগি।”
হজরত ইছাউ আসল আংগুর গাছ
1হজরত ইছায় কইলা, “আমিউ আসল আংগুর গাছ আর আমার বাবা গিরস্ত। 2আমার যেতা ডালাইন্তো ফল ধরে না, তাইন ইতারে কাটিয়া ফালাই দেইন। আর যেতা ডালাইন্তো ফল ধরে, তাইন ইতারে ছাটিয়া ছাফ-ছুতরা করি রাখইন, যাতে আরো বেশি ফল ধরে। 3তে আমি তুমরারে যে কালাম তালিম দিছি, এরলাগি তো তুমরা আগ থাকিউ ছাটা অইয়া ছাফ-ছুতরা অইছো। 4তুমরা আমার মাজে রও, আমিও তুমরার দিলো রইমু। আংগুর গাছর লগে ডাল যুদি লাগাইল না থাকে, তে ডালে যেলা নিজে নিজে ফল ধরাইতো পারে না, অউলা তুমরাও আমার মাজে না রইলে নিজে নিজে ফলআলা অইতায় পারো না। 5আমিউ আংগুর গাছ, আর তুমরা অইলায় ডালপালা। যে জন আমার লগে লাগাইল থাকে, আমিও তার লগে লাগাইল রই, তেউ তার জিন্দেগিত বউত ফল ধরে। আর, আমারে ছাড়া তো তুমরা কুন্তাউ করতায় পারো না। 6“আমার লগে কেউ লাগাইল না রইলে, তারে কাটা ডালর লাখান ফালাই দেওয়া অয় আর রইদে হুকাই যায়। বাদে হুকনা ডালাইন তুবাইয়া আগুইনো দেইন, তেউ ইতা জলি-পুড়ি যায়। 7তুমরা যুদি আমার লগে লাগাইল থাকো আর আমার কালাম খানাইন তুমরার দিলো থাকে, তে তুমরার যেতা ইচ্ছা অতাউ চাইও, ইতা তুমরারে দেওয়া অইবো। 8তুমরার জিন্দেগিত যুদি বউত ফল ধরে, আর অলাখান তুমরা নিজরে আমার উম্মত হিসাবে পরমান করিলাও, তে আমার গাইবি বাফর তারিফ অইবো। 9বাফে আমারে যেলা মায়া করছইন, আমিও অউলা তুমরারে মায়া করছি। তুমরা আমার মায়ার মাজে রও। 10আমি আমার বাফর হকল হুকুম-আহকাম মানিয়া যেলা তান মায়ার মাজে রইছি, তুমরাও অউলা আমার হুকুম-আহকাম মানলে আমার মায়ার মাজে রইবায়। 11“আমি তুমরারে ইতা কইলাম, যাতে আমার খুশি তুমরার দিলো থাকে আর তুমরার খুশি পুরা অয়। 12আমার হুকুম অইলো, আমি যেলা তুমরারে মায়া করছি, তুমরাও অউলা একে-অইন্যরে মায়া করো। 13কেউ যুদি নিজর দুস্তর লাগি জান বিলাই দেয়, তে তার থাকি আর বেশি মায়া কার আছে? 14আমার দেওয়া হুকুম যুদি তুমরা আমল করো, তে তুমরা আমার দুস্ত। 15আমি তুমরারে আর গুলাম কইরাম না, কারন মুনিবে কিতা করইন গুলামে তো ইতা জানে না, বরং আমি তুমরারে দুস্ত কইছি, কারন গাইবি বাফর গেছ থাকি আমি যততা হুনছি, হকলতাউ তুমরারে জানাইছি। 16“আমারে তো তুমরা পছন্দ করছো না, বরং আমিউ তুমরারে পছন্দ করছি আর কামো লাগাইছি, যাতে তুমরার জিন্দেগি ফলআলা অয় আর অউ ফল টিকিয়া রয়। তেউ আমার নামে গাইবি বাফর গেছে যেতা চাইবায়, তাইন তুমরারে দিবা। 17আমি তুমরারে অউ হুকুম দিয়ার, তুমরা একে-অইন্যরে মায়া করো।
দুনিয়া মুমিন অকলর দুশমন
18“দুনিয়ার মানষে তুমরারে ঘিন্নাইন, অইলে মনো রাখিও, এর আগে তারা আমারেউ ঘিন্নাইছে। 19তুমরা যুদি অউ দুনিয়ার অইতায়, তে তারা তুমরারে নিজর হিসাবে ভালা পাইলো অনে। তুমরা তো ই দুনিয়ার নায়, আমি তুমরারে দুনিয়ার মাজ থাকি পছন্দ করছি গতিকে তারা তুমরারে ঘিন্নায়। 20আমার কথা খান মনো রাখিও, গুলাম তার মুনিব থাকি বড় নায়। এরলাগি মানষে যুদি আমারে জুলুম করে, তে তুমরারেও অলা করবো। তারা আমার কথা মানলে তুমরার কথাও মানলো অনে। 21আমার কারনেউ তারা তুমরার লগে অলা করবো, কারন আমারে যেইন বেজিছইন, এনরে তারা চিনে না। 22“আমি যুদি না আইতাম আর তারার গেছে নছিয়ত না করতাম, তে তারা গুনাগার অইলো না অনে, অইলে অখন তো তারার কুনু অজুআত নাই। 23যে জনে আমারে ঘিন্নায়, হে আমার গাইবি বাফরেও ঘিন্নায়। 24হুনো, যেতা কেরামতি কেউ কুনুদিন দেখাইছে না, অতা কেরামতি যুদি আমি না দেখাইতাম, তে তারা গুনাগার অইলো না অনে। অইলে তারা তো আমারে আর আমার গাইবি বাফরে দেখছে, দেখিয়াও ঘিন্নাইছে। 25ইতা অইলো, যাতে তারার কিতাবর অউ কথা ফলে, কিতাবো আছে, তারা বিনা কারনে আমারে ঘিন্নাইছে। 26“আমি আমার গাইবি বাফর গেছ থাকি যে সাইয্যগির রুহরে তুমরার গেছে পাঠাইমু, তাইন আইয়া আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবা। তাইন অইলা হক রুহ, তাইন গাইবি বাফর গেছ থাকি আইবা। 27আর তুমরাও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবায়, তুমরা তো পয়লা থাকিউ আমার লগে লগে আছো।”
1হজরত ইছায় আরো কইলা, “আমি ইতা জানাই দিলাম, যাতে তুমরা খরলামি না যাও। 2মানষে তুমরারে সমাজ থাকি বার করি দিবা। অলা সময় আইবো, যারা তুমরারে খুন করবো, তারা মনো করবো ইতা আল্লার এবাদত করের। 3তারা ইতা করবো, কারন তারা গাইবি বাফরেও চিনছে না, আমারেও চিনছে না। 4আমি ইতা আগেউ কইয়া রাখলাম, যাতে সময় আইলে মনো অয়, আমি তুমরারে অতা কইছলাম। আমি পয়লা থাকি ইতা কইছি না, কারন আমি তো তুমরার লগে লগেউ আছলাম।
সাইয্যগির রুহর কাম-কাজর নমুনা
5“হুনো, আমারে যেইন পাঠাইছইন, আমি অখন তান গেছে যাইয়ারগি, তা-ও তুমরা কেউ আমারে জিকাইরায় না, আমি কই যাইরাম। 6বরং আমি তুমরারে ইতা কইছি, এরলাগি তুমরার মনো খুব দুখ আইছে। 7তেবউ আমি হক কথা কইরাম, আমার যাওয়া খান তুমরার লাগি ভালা, আমি না গেলে তো হউ সাইয্যগির রুহ আইতা নায়। আমি গেলেগি তানরে তুমরার গেছে পাঠাইমু। 8তাইন আইয়া গুনার বেয়াপারে, আল্লার মর্জি মাফিক চলার বেয়াপারে আর আল্লার বিচারর বেয়াপারে মানষরে হজাগ করবা। 9তাইন গুনার বেয়াপারে হজাগ করবা, কারন মানষে আমার উপরে ইমান আনে না। 10আল্লার মর্জি মাফিক চলার বেয়াপারে হজাগ করবা, কারন আমি আমার গাইবি বাফর গেছে যাইয়ারগি, তুমরা আমারে আর দেখতায় নায়। 11বিচারর বেয়াপারে হজাগ করবা, কারন দুনিয়ার মুনিব ইবলিছর বিচার অইগেছে। 12“তুমরারে আরো বউততা কওয়ার আছে, অইলে অখন ইতা কইলে সইয্য করতায় পারতায় নায়। 13হউ হক রুহ আইয়া হারি পথ দেখাইয়া তুমরারে পুরাপুর হক খান জানাইবা। তাইন তো নিজ থাকি কুন্তা কইতা নায়, খালি যেতা হুনইন, অতাউ কইবা। আর যেতা ঘটবো, অতাউ জানাইবা। 14আমি যেতা কই, তাইন আইয়া অতাউ তুমরার গেছে জাইর করবা। অলাখান তাইন আমার মহিমা জাইর করবা। 15গাইবি বাফর যেতা আছে, ইতা হকলতাউ আমার। এরলাগি আমি কইরাম, আমি যেতা কই, তাইন অতাউ তুমরার গেছে জাইর করবা।”
উম্মত অকলরে বুজ দেওয়া
16হজরত ইছায় কইলা, “থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়, হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়।” 17ইখান হুনিয়া কয়জন সাহাবিয়ে মাতা-মাতি করলা, “তাইন ইতা কিতা মাতইন, ‘থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়, হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়’, তাইন হিরবার কইরা, ‘আমি বাফর গেছে যাইরামগি।’ 18তে তাইন যে থুড়া সময়র কথা কইরা, ইখান কিতা? তাইন কিতা মাতিরা, আমরা তো বুজরাম না।” 19হজরত ইছায় বুজিলিলা, তান সাহাবি অকলে অউ বেয়াপারে তানরে কুন্তা জিকাইতা চাইরা, বুজিয়া তাইন কইলা, “আমি যে কইছি, ‘থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়, হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়’ অতা লইয়া তুমরা মাতা-মাতি কররায় নি? 20হুনো, আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম, তুমরা কান্দিবায় আর আহাজারি করবায়, অইলে ই দুনিয়ার মানষে খুশি করবা। তুমরা অখন দুখ-কষ্ট করবায়, অইলে বাদে ই দুখ রইতো নায়, এর বদলা খুশি করবায়। 21বাইচ্চা অওয়ার সময় বেটিন্তর খুব কষ্ট অয়, অইলে অইয়া হারলে নয়া আওলাদর ফুর্তিয়ে মন ভরি যায়, হি কষ্টর কথা আর মনো থাকে না। 22অউ লাখান তুমরাও অখন দুখ-কষ্ট কররায়, অইলে হিরবার যেবলা তুমরার লগে আমার দেখা অইবো, হউ সময় খুশিয়ে তুমরার দিল ভরিযিবো, ই খুশি কেউ কাড়িয়া নিতো পারতো নায়। 23“হি সময় তুমরা আমার গেছে কুন্তা চাইতায় নায়। আমি তুমরারে হাছা কইরাম, তুমরা আমার নামে আমার গাইবি বাফর গেছে যেতা চাইবায়, তাইন তুমরারে দিবা। 24অখনও তো তুমরা আমার নামে কুন্তা চাইছো না। চাও, তেউ পাইবায়, যাতে তুমরার খুশি পুরা অয়। 25“আমি তুমরারে উদাহরন দিয়া অউ তালিম দিলাম। অইলে অলাখান সময় আইবো, যেবলা আমি কুনু উদাহরন ছাড়া, আমার গাইবি বাফর বেয়াপারে খুলামেলা বুজাইমু। 26হউ দিনউ তুমরা আমার নামে চাইবায়। আমি তো ইখান কইরাম না, আমি তুমরার অইয়া গাইবি বাফর গেছে মিনত করমু। 27তাইন নিজেউ তুমরারে মায়া করইন, কারন তুমরা আমারে মায়া করছো আর একিন করছো যে, আমি আল্লার গেছ থাকি আইছি। 28আসলে, আমি আমার গাইবি বাফ আল্লার গেছ থাকি অউ দুনিয়াত আইছি আর দুনিয়া ছাড়িয়া তান গেছেউ যাইরাম।” 29অউ সময় সাহাবি অকলে তানরে কইলা, “হুজুর দেখউক্কা, অখন তো আপনে খুলামেলাউ মাতিরা, কুনু উদাহরন দিরা না। 30অখন আমরা বুজলাম, আপনার অজানা কুন্তা নাই, আর আপনারে কেউ কুন্তা জিকানিরও নাই। গতিকেউ আমরা একিন করলাম, আপনে আল্লার গেছ থাকিউ আইছইন।” 31ইছায় তারারে কইলা, “অখন একিন অইছে নি? 32হুনো, অলা সময় আইওর, এমনকি আইচ্ছে, যেবলা তুমরা দল ছাড়িয়া আমারে থইয়া যারযির জাগাত বাগিবায়। অইলে আমি তো একলা নায়, আমার গাইবি বাফ আমার লগে লগে আছইন। 33আমি তুমরারে ইতা কইলাম, যাতে তুমরা আমার লগে মিশিয়া আছো গতিকে মনো শান্তি পাও। ই দুনিয়াত তুমরা দুখ-মছিবতো আছো, তা-ও মনোবল রাখিও, আমিউ দুনিয়ারে জয় করছি।”
উম্মতর লাগি মুনাজাত
1অখান কইয়া হারি হজরত ইছায় আছমানর বায় চাইয়া দোয়া করলা, “বাবা, সময় অইগেছে। তুমি তুমার পুতর মহিমা জাইর করো, যাতে পুতেও তুমার মহিমা জাইর করতা পারইন। 2তুমি তানরে হকল মানষর উপরে খেমতা দিছো, যাতে তুমি যেরারে তান আতো সপিছো, এরারে তাইন আখেরি জিন্দেগি দেইন। 3একমাত্র হক আল্লারে মানি তুমারে আর তুমি যেনরে পাঠাইছো, হউ ইছা আল-মসীরে চিনাউ অইলো আখেরি জিন্দেগি। 4তুমি আমারে যে কাম দিছো, ই কাম আদায় করিয়া দুনিয়াত তুমার মহিমা জাইর করছি। 5তে বাবা, দুনিয়া পয়দা করার আগে তুমার দরবারো আমার যে মহিমা আছিল, তুমার গেছর অউ মহিমা অখন আমারে হিরবার দেও। 6“ই দুনিয়ার মাজর যেরারে আমার আতো সপিছো, আমি এরার গেছে তুমারে জাইর করছি। তারা তো তুমারউ আছলা, তুমিউ তারারে আমার আতো সপিছো। তারা তুমার হুকুম মানিয়া চলছে। 7তারা অখন বুজছে, তুমি যেতা আমারে দিছো, ইতা তো তুমার গেছ থাকিউ আইছে। 8কারন অইলো, তুমি যেতা তবলিগ করার হুকুম দিছো, আমি অতা জানাইছি। আর তারাও ইতারে কবুল করিয়া আসল খান বুজিলিছে যেন, আমি তুমার গেছ থাকিউ আইছি। তারা একিনও করছে, তুমিউ আমারে পাঠাইছো। 9তে আমি তো হকলর লাগি মিনত করিয়ার না, খালি তুমি যারারে আমার আতো দিছো, এরার লাগিউ মিনত কররাম, তারা তো তুমারউ। 10আমার যততা আছে হক্কলতাউ তুমার, আর তুমার হক্কলতাউ আমার। এরার মাজদিউ আমার মহিমা জাইর অর। 11“ও পবিত্র বাবা, ই দুনিয়াত আমি আর বেশি সময় নায়, অইলে তারা ই দুনিয়াত আছইন, আমি তো তুমার গেছে আইরাম। তুমি আমারে তুমার যে নাম দিছো, অউ নামর বলে এরারে বাচাও, যাতে আমরা যেলা এক, তারাও অলা এক অইতা পারইন। 12আমি যতদিন তারার লগে আছলাম, অতদিন তুমার দেওয়া অউ নামর গুনে তারারে বাচাইছি। তারারে পারা দিয়া রাখছি, তারা কেউ বিনাশ অইছে না। খালি যার বিনাশ অওয়ার কথা, হে-উ বিনাশ অইছে, যাতে আল্লার কালামর কথা ফলে। 13“তে অখন আমি তুমার গেছে আইরাম, দুনিয়াত রইতেউ ইতা তারারে জানাই দিলাম, যাতে আমার খুশিয়ে তারার দিল ভরি যায়। 14তুমি আমারে যেতা জানাইছো, আমিও তারারে অতা জানাইছি। আমি যেলা ই দুনিয়ার নায়, তারাও অলা ই দুনিয়ার নায়, এরলাগি দুনিয়ার মানষে তারারে ঘিন্নাইছে। 15আমি তুমার গেছে আবদার কররাম না, তুমি তারারে দুনিয়া থাকি নিতায়গি, বরং অউ আবদার কররাম, তুমি তারারে ইবলিছর আত থাকি হেফাজত করো। 16আমি যেলা অউ দুনিয়ার নায়, অউলা তারাও ই দুনিয়ার নায়। 17তুমি তারারে তুমার হক দিয়া খাছ হিসাবে রাখো। তুমার কালামউ অইলো অউ হক। 18তুমি যেলা আমারে দুনিয়াত পাঠাইছো, অউলা আমিও তারারে দুনিয়ার মাজে পাঠাইছি। 19আমি তারার লাগি নিজরে খাছ করি রাখছি, যাতে তারারেও হক দিয়া খাছ হিসাবে রাখা অয়। 20“তে আমি খালি এরার লাগি মিনত করিয়ার না, তারার লাগিও মিনত কররাম, যেরা এরার কথা হুনিয়া আমার উপরে ইমান আনবো। 21আমি মিনত করিয়ার তারা হকল যানু এক অয়। বাবা, তুমি যেলা আমার লগে আছো আর আমিও যেলা তুমার লগে আছি, অউলা তারাও যানু আমরার লগে মিলিয়া রইন। তেউ দুনিয়ার মানষে একিন করবা, তুমিউ আমারে পাঠাইছো। 22তুমি আমারে যে মহিমা দান করছো, আমি ইতা তারারে দান করছি, যাতে আমরা যেলা এক, অউলা তারাও এক অইতা পারইন। 23তুমি যেলা আমার মাজে আছো, অলা আমিও তারার মাজে আছি। অউ লাখান তারা যানু পুরাপুর এক অইতা পারইন। তেউ দুনিয়ার মানষে বুজবো, তুমিউ আমারে পাঠাইছো, আর তুমি আমারে যেলা মায়া করো, অউলা তারারেও মায়া করো। 24বাবা, আমি চাইরাম, তুমি যেরারে আমার আতো সপিছো, আমি যেখানো আছি, তারাও যানু আমার লগে হনো রইন আর আমার মহিমা দেখইন। ই মহিমা তো তুমিউ আমারে দান করছো, কারন দুনিয়া পয়দা করার আগ থাকিউ তুমি আমারে মায়া করছো। 25“ও হক ইনছাফকারি বাবা, দুনিয়ার মানষে তুমারে চিনে না, অইলে আমি তো চিনি। আর তুমিউ যেন আমারে পাঠাইছো, ইখান এরা বুজিলিছে। 26এরার গেছে আমি তুমার নাম জাইর করছি, আগেদি আরো করমু, যাতে তুমি আমারে যেলা মায়া করো, অলা মায়া তারার ভিতরেও থাকে আর আমি তারার লগে মিশিয়া থাকি।”
হজরত ইছার উপরে জুলুম-মছিবত আর তান উফাত (১৮:১-১৯:৪২)
দুশমনর আতো হজরত ইছা
1অউ মুনাজাতর বাদে হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া কিদ্রোন নামর এক পাড়িয়া খাল পারইয়া গেলা। গিয়া তারারে লইয়া এক বাগানর ভিতরে হামাইলা। 2বেইমান ইহুদায় ই জাগা চিনতো, কারন ইছায় আগে বউত বার সাহাবি অকলরে লইয়া অনো বইছইন। 3এরমাজে বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে অউ ইহুদার লগে এক দল সিপাই আর বায়তুল-মুকাদ্দছর কয়জন পুলিশ পাঠাইলা। ইহুদায় তারারে লইয়া অনো আইলো, অউ সময় তারার আতো লেম, মুশাল, আর অস্ত্র-শস্ত্র আছিল। 4ইছায় আগ থাকিউ হকলতা জানতা, তান উপরে কিতা ঘটবো। এরলাগি তাইন আগুয়াইয়া আইয়া তারারে জিকাইলা, “আপনারা কারে তুকাইরা?” 5তারা কইলা, “নাছারত গাউর ইছারে।” তাইন কইলা, “আমিউ হেইন।” অউ সময় বেইমান ইহুদাও তারার লগে আছিল। 6ইছায় যেবলা কইলা, “আমিউ হেইন,” ইখান হুনিয়াউ তারা খরেদি গিয়া মাটিত পড়িগেলা। 7তাইন হিরবার তারারে জিকাইলা, “আপনারা কারে চাইরা?” তারা কইলা, “নাছারত গাউর ইছারে।” 8তাইন কইলা, “আমি তো কইলাম, আমিউ হেইন। আপনারা যুদি আমারেউ তুকানিত আইন, তে আমার লগর এরারে ছাড়ি দেউক্কা।” 9আসলে ইলা ঘটলো, যাতে ইছায় আগে যেতা কইছলা অতা পুরা অয়। তাইন কইছলা, “বাবা, তুমি যেরারে আমার আতো সপিছো, এরা একজনরেও আমি খুয়াইছি না।” 10অউ সময় সাইমন-পিতরর লগে এখান তলোয়ার আছিল, অখান বার করিয়া, তাইন পরধান ইমামর গুলামর ডাইন কান কাটিলিলা। ই গুলামর নাম আছিল মালকুছ। 11এরলাগি ইছায় পিতররে কইলা, “তুমার তলোয়ার খাপো হারাও। গাইবি বাফে আমারে যে মছিবতর পিয়ালা দিছইন, ইকটার স্বাদ আমি লইতাম না নি?” 12অউ সময় সিপাই অকলে, পরধান সিপাইয়ে আর বায়তুল-মুকাদ্দছর পুলিশ অকলে ইছারে ধরিয়া বান্দিলিলো। 13বান্দিয়া পয়লা তারা হাননর গেছে লইয়া গেল। ই হানন আছলা হউ বছরর পরধান ইমাম কায়াফার হউর। 14অউ কায়াফায় আগে ইহুদি নেতা অকলরে কইছলা, “আস্তা জাতি বিনাশ অওয়ার চাইতে, হকলর বদলা একজনর মরন আরো ভালা।”
সাহাবি পিতরর পয়লা বার অস্বীকার
15অউ সময় পিতর আর আরক জন সাহাবি ইছার খরে খরে গেলা। অউ সাহাবিরে পরধান ইমামে চিনতা। এইন ইছার লগে অইয়া পরধান ইমামর বাড়ির উঠানো হামাইলা। 16অইলে পিতর বাইরে গেইটর গেছে উবাই রইলা। তেউ পরধান ইমামর পরিচিত ইছার অউ সাহাবি বারে গিয়া পারাদার বেটিরে কইয়া পিতররে ভিতরে আনাইলা। 17অউ বেটিয়ে পিতররে কইলো, “তুমিও এন মুরিদ নি?” পিতরে কইলা, “না, না, আমি নায়।” 18অউ সময় খুব শীত পড়ছিল, এরদায় সিপাই আর গুলাম অকলে উঠানো আংরাদি আগুইন ধরাইয়া আগুইন তাবানিত লাগলা। পিতরেও তারার ধারো উবাইয়া আগুইন তাবাইলা।
পরধান ইমামর জেরা
19অউ সময় পরধান ইমামে ইছারে তান উম্মত আর তান তালিমর বেয়াপারে জিকাইলা। 20ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি মানষর ছামনে খুলামেলা মাতিছি। ইহুদি অকল যেখানো জমা অইন, অতা মছিদো আর বায়তুল-মুকাদ্দছো হামেশা তালিম দিছি। আমি তো লুকাইয়া কুন্তা কইছি না। 21তে আমারে আর কেনে জিকাইরা? আমার তালিম যেরা হুনছে, তারারেউ জিকাউক্কা। আমি যে তালিম দিছি, ইতা তারার জানা আছে।” 22ইছার ই জুয়াপ হুনিয়া, কান্দাত যে সিপাই অকল উবা আছলা, এরা একজনে তানরে চড় মারিয়া কইলো, “তুই পরধান ইমামরে অলা জুয়াপ দিরে নি?” 23তাইন কইলা, “আমি যুদি বাদ কুন্তা কইয়া থাকি তে কউক্কা, আর ভালা মাত মাতিলে আমারে মাররা কেনে?” 24অউ সময় হাননে বান্দা হালতে ইছারে পরধান ইমাম কায়াফার গেছে পাঠাই দিলা।
হজরত পিতরর হিরবার অস্বীকার
25সাহাবি সাইমন-পিতরে যেবলা আগুইন তাবাইরা, অউ সময় মানষে তানরে কইলো, “তুমিও তার লগর একজন সাহাবি নি?” পিতরে দুছরা বার অস্বীকার করি কইলা, “না, না, আমি নায়।” 26পিতরে যার কান কাটিছলা, তার এক কুটুম আছিল পরধান ইমামর গুলাম। হে কইলো, “আমি বাগানর ভিতরে অগুর লগে তুমারেও দেখলাম না নি?” 27পিতরে হিরবার অস্বীকার করলা, আর লগে লগেউ মুরগায় বাং দিলাইলো।
হাকিম পিলাতর ছামনে হজরত ইছা
28ইহুদি নেতা অকলে বিয়ানে ইছারে কায়াফার গেছ থাকি, রোমান বাদশার পরধান হাকিম পিলাতর টংগিত লইয়া গেলা। অইলে তারা বাড়ির ভিতরে হামাইলা না, যাতে বে-দীন হাকিমর বাড়িত হামাইয়া নাপাক না অইন, বরং পাক-ছাফ রইয়া আজাদি ইদর খানি খাইতা পারইন। 29এরলাগি রোমান হাকিম পিলাত বারে আইয়া জিকাইলা, “ই বেটার বিরুদ্ধে তুমরার নালিশ কিতা?” 30তারা কইলা, “হে অপরাধ না করলে তো আপনার গেছে আনলাম না অনে।” 31পিলাতে তারারে কইলা, “তুমরা তারে লইয়া যাওগি, গিয়া তুমরার শরিয়ত মাফিক বিচার করিলাও।” ইখান হুনিয়া তারা পিলাতরে কইলা, “কুনু মানষরে জানে মারার মতো সাজা দেওয়ার খেমতা আমরার আতো নাই, খালি রোমান অকলর আতো আছে।” 32নিজর মউত কিলান অইবো, ইছায় ইখান আগেউ কইছইন। তে ইতা অইলো, যাতে তান অউ কথা ফলে। 33তেউ পিলাত হিরবার টংগির ভিতরে হামাইলা আর ইছারে ডাক দিয়া কইলা, “ওবা, তুমি কিতা ইহুদি অকলর বাদশা নি?” 34তাইন জুয়াপ দিলা, “আপনে নিজে অউ কথা কইরা, না মানষে আমার বেয়াপারে আপনারে কইছে?” 35পিলাতে জুয়াপ দিলা, “আমি কিতা ইহুদি নি? তুমার নিজর জাতির মানষে আর বড় ইমাম অকলে তুমারে আমার আতো দিছে। কও, তুমি কিতা করছো?” 36ইছায় কইলা, “আমার বাদশাই ই দুনিয়ার নায়। আমার বাদশাই যুদি অউ দুনিয়ার অইতো, তে ইহুদি নেতা অকলর আতো আমি না পড়ার লাগি আমার মানষে লাড়াই করলো অনে, অইলে আমার বাদশাই তো ইনর নায়।” 37ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে জিকাইলা, “তাইলে তুমি কিতা বাদশা নি?” ইছায় কইলা, “আপনেউ তো কইরা, আমি বাদশা। হুনউক্কা, হকর পক্ষে সাক্ষি দেওয়ার লাগি আমি দুনিয়াত আইছি। যারা হকর লগে আছে, তারা আমার কথা হুনে।” 38পিলাতে তানরে কইলা, “তে হক খান কিতা?” অখান কইয়া তাইন হিরবার বারে গিয়া ইহুদি নেতা অকলরে কইলা, “আমি তো এর কুনু দুষ পাইছি না। 39অইলে তুমরার তো একটা রেওয়াজ আছে, আজাদি ইদর সময় আমি একজন কয়দিরে খালাছ দেই। তে তুমরা চাও নি, আমি ইহুদির অউ বাদশারে ছাড়ি দিতাম?” 40ইখান হুনিয়া তারা চিল্লাইয়া কইলো, “না, না, এরে না, বারাব্বারে ছাড়ি দেউক্কা।” অউ বারাব্বা আছিল এক ডাকাইত।
1বাদে রোমান হাকিম পিলাতে ইছারে চাবুক মারার হুকুম দিলা। 2আর সিপাই অকলে গছা-কাটা দিয়া এক মুকুট বানাইয়া তান মাথাত দিলো, আর বাইংগনি রংগর বাদশাই লেবাছ ফিন্দাইলো। 3বাদে তারা তান ছামনে আইয়া কইলো, “ও ইহুদির বাদশা, মারহাবা!” অখান কইয়া কইয়া তারা তান গালো চড়াইলো। 4তেউ পিলাত হিরবার বারে আইয়া কইলা, “হুনো, আমি এরে তুমরার গেছে বার করিয়া আনিয়ার, তেউ তুমরা বুজবায়, আমি এর কুনু দুষউ পাইরাম না।” 5হউ গছা-কাটার মুকুট আর বাইংগনি লেবাছ ফিন্দা হালতে ইছা বারইয়া আইলা, আর পিলাতে কইলা, “অউ দেখো, হউ মানুষ।” 6ইছারে দেখিয়া বড় ইমাম আর বায়তুল-মুকাদ্দছর পুলিশ অকলে চিল্লাইয়া কইলা, “তারে সলিবো দেও, সলিবো দেও।” পিলাতে কইলা, “আমি তো তার কুনু দুষ পাইছি না, তে তুমরাউ তারে নিয়া সলিবো গাথিলাও।” (ই সলিব অইলো লাকড়িদি বানাইল, মানষরে লটকাইয়া মারার এক জিনিস।) 7ইহুদি নেতা অকলে পিলাতরে কইলা, “আমরার শরিয়ত মাফিক তার মরন অওয়া উচিত, কারন হে নিজরে আল্লার খাছ মায়ার জন, ইবনুল্লা কইছে।” 8ইখান হুনিয়া পিলাতে আরো বেশি ডরাইগেলা। 9তাইন হিরবার টংগি-ঘরর ভিতরে হামাইয়া ইছারে জিকাইলা, “তুমি কুয়াই থাকি আইছো?” অইলে ইছায় কুনু জুয়াপ দিলা না। 10এরদায় পিলাতে ইছারে কইলা, “তুমি আমার মাতর কুনু জুয়াপ দিতায় না নি? তুমি জানো নি, তুমারে খালাছ দিবার বা সলিবর উপরে লটকাইয়া মারার খেমতা আমার আছে?” 11তেউ ইছায় কইলা, “উপরে থাকি আপনারে খেমতা না দেওয়া অইলে, আমার উপরে আপনার কুনু খেমতাউ থাকতো না। এরলাগি যে মানষে আমারে আপনার আতো ধরাই দিছে, হে-উ বড় গুনাগার।” 12ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে খালাছ দিলাইতা চাইলা, অইলে ইহুদি নেতা অকলে চিল্লাইয়া কইলা, “আপনে যুদি এরে খালাছ দিলাইন, তে আপনে রোমান বাদশার দুস্ত নায়। যে মানষে নিজরে বাদশা কইয়া দাবি করে, হে তো রোমান বাদশার দুশমন।” 13ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে বার করি আনলা আর পাথরদি-বান্দা নামর এক উঠানো বিচারর আসনো বইলা। ইবরানি ভাষায় ই উঠানরে গাব্বাথা কওয়া অয়। 14ই দিন আছিল আজাদি ইদর আয়োজনর দিন। অউ সময় বেইল অনুমান দুইফর অইগেছে। পিলাতে ইহুদি নেতা অকলরে কইলা, “অউ দেখো, তুমরার বাদশা।” 15ইছারে দেখিয়া তারা চিল্লাইয়া কইলো, “অগুরে হরাও, হরাও, তারে সলিবো দেও।” পিলাতে কইলা, “তুমরার বাদশারে আমি সলিবো দিলাইতাম নি?” বড় ইমাম অকলে কইলা, “খালি রোমান বাদশা ছাড়া, আমরার আর কুনু বাদশা নাই।” 16তেউ হাকিম পিলাতে সলিবর উপরে লটকাইয়া মারার লাগি ইছারে তারার আতো সমজাই দিলা, আর সিপাই অকলে তানরে লইয়া গেলা।
হজরত ইছা আল-মসীর মউত
17বাদে ইছায় তান সলিব নিজে বইয়া কল্লার চাড় নামর জাগাত গেলা। ইবরানি ভাষায় ই জাগার নাম গলগাথা। 18হিনো নিয়া তারা তানরে সলিবো লটকাইলো। ইছারে মাজখানো, আর তান দুই গালার দুইও সলিবো অইন্য দুইজনরে লটকাইলো। 19আর পিলাতে এখান অপরাধ-নামা লেখিয়া ইছার সলিবর উপরে লাগাইলা। ইখানো লেখা আছিল, “নাছারত গাউর ইছা, ইহুদির বাদশা।” 20যে জাগাত তানরে সলিবো লটকাইল অইছিল, অউ জাগা টাউনর কান্দাত আছিল গতিকে বউত ইহুদিয়ে অউ অপরাধ-নামা পড়লো। ইখান ইবরানি, ইউনানি আর রোমান ভাষায় লেখা আছিল। 21ইহুদির বড় ইমাম অকলে হাকিম পিলাতরে কইলা, “ইহুদির বাদশা না লেখিয়া, আপনে অলা লেখউক্কা, হে কইতো, আমি ইহুদির বাদশা।” 22পিলাতে কইলা, “আমি যেতা লেখছি, লেখছিউ।” 23ইছারে সলিবো লটকানির বাদে সিপাই অকলে তান কাপড়-চুপড় চাইর বাট করি বাটিয়া নিলা। বাদে তান কোর্তাটাও নিলা। ই আস্তা কোর্তার গলা থাকি বাইন করা, কুনু সিলাই আছিল না। 24এরলাগি সিপাই অকলে একে-অইন্যে কইলো, “ইকটা না ছিড়িয়া বরং লটারি মারি দেখি, কার ভাইগ্যত পড়ে।” ইতা ঘটছিল, যাতে আছমানি কিতাবর কথা ফলে, কিতাবো লেখা আছে, তারা নিজর মাজে আমার কাপড়-চুপড় বাটা-বাটি করছে, আমার কোর্তার লাগি তারা লটারি মারছে। 25আর হাছাউ তারা অলা করলো। হজরত ইছার সলিবর কান্দাত তান মা, খালা, কুলুফার বউ মরিয়ম আর মগদিলিনী মরিয়ম উবা আছলা। 26ইছায় দেখলা, তান মা আর মায়ার হউ সাহাবি ধারো উবাই রইছইন। দেখিয়া পয়লা তান মারে কইলা, “মাই গো, অউনু তুমার পুয়া।” 27আর সাহাবিরে কইলা, “ভাই, অউনু তুমার মা।” অউ সময় থাকি ই সাহাবিয়ে ইছার মারে তান নিজর ঘরো লইয়া গেলাগি। 28এরবাদে হক্কলতা শেষ অইগেছে জানিয়া, আল-জবুর কিতাবর আয়াত যাতে ফলে, অতার লাগি ইছায় কইলা, “আমার পিয়াছে ধরছে।” 29অউ সময় হিনো এক জগ টেংগা আংগুরর শরবত আছিল। তারা এখান তেনা আনিয়া অউ শরবতর মাজে ভিজাইয়া, এছুব গাছর ডেটার মাথাত লাগাইয়া উচা করি তান মুখর গেছে দিলো। 30ই শরবত খাইয়া হারলে তাইন কইলা, “শেষ অইগেছে।” অখান কইয়া, তাইন মাথা নোয়াইয়া আখেরি দম ফালাইলা।
আল-মসীর লাশর পরিক্ষা
31আজাদি ইদর আগর দিন হজরত ইছায় ইন্তেকাল করলা। বাদর দিন আছিল খাছ পবিত্র এক জুম্মাবার। এরলাগি ইহুদি নেতা অকলে চাইলা, ই দিন যানু কুনু লাশ সলিবর উপরে না থাকে। অউ তারা হাকিম পিলাতর গেছে চাইলা, যাতে সলিবো যেরা আছে, তারা জলদি মরার লাগি তারার পাও ভাংগিয়া সলিব থাকি লামানি অয়। 32তেউ ইছার লগে যেরারে সলিবো লটকাইল অইছিল, সিপাই অকলে এরা দুইওজনর পাও ভাংগি দিল। 33তারা ইছার গেছে আইয়া দেখলো, তাইন মারা গেছইন, এরলাগি তান পাও ভাংলো না। 34অইলে এক সিপাইয়ে ছুলফি দিয়া তান পাত্তি-আড়র মাজেদি ফাড় মারলো, ফাড়র লগে লউ আর পানি বারইয়া আইলো। 35যে জনে নিজর চউখে ই ঘটনা দেখছইন, তাইনউ সাক্ষি দিছইন আর তান সাক্ষি হাছা। তাইন জানইন, তাইন যেতা কইরা ইতা হাছা, যাতে তুমরাও একিন করো। 36ইতা অইছিল যাতে পাক কিতাবর অউ কথা পুরা অয়, কিতাবো আছে, “তান একটা আড্ডিও ভাংগা অইতো নায়।” 37এওখান আছে, “যারা তানরে গাথিছে, তারা তানবায় চাই রইবো।”
হজরত ইছা আল-মসীর দাফন
38ইতা ঘটনার বাদে আরিমাথিয়া গাউর ইউছুফে ইছার লাশ নিতা করি হাকিম পিলাতর অনুমতি চাইলা। ইউছুফ আছলা ইছার একজন লুকাইল উম্মত, কারন তাইন ইহুদি নেতা অকলরে ডরাইতা। পিলাতর অনুমতি পাইয়া তাইন ইছার লাশ নিলা। 39আগে রাইতর বালা যেইন ইছার গেছে আইছলা, হউ নীকদীমেও মুরা-আতর আর অগুরু মিশাইয়া অনুমান এক মন খুশবয় মসলা লইয়া আইলা। 40আর ইছার লাশ নিয়া ইহুদি অকলর নিয়ম মাফিক অউ খুশবয় আলা মসলা মাখাইয়া কাফন ফিন্দাইলা। 41ইছারে যেখানো সলিবো গাথা অইছিল, হনো এক বাগানর ভিতরে পাড়র গুহার মাজে নয়া একটা কয়বর খুদিয়া রাখা আছিল। ই কয়বরো কেউররে দাফন করা অইছে না। 42অউ দিন ইহুদি অকলর ইদর আগর দিন অওয়ায় আর কয়বরটাও কান্দাত থাকায়, তারা তাড়া-উড়া করি ইছারে অনোউ দাফন করলা।
হজরত ইছা মউতর বাদে জিন্দা অইলা আর বউতে দেখলা (২০:১-২১:২৫)
হজরত ইছা মুর্দা থাকি জিন্দা অইলা
1হাপ্তার পয়লা দিন ফজর অখতো আন্দাইর রইতেউ মগদিলিনী মরিয়ম হজরত ইছার কয়বরর কান্দাত গেলা। গিয়া দেখলা, কয়বরর মুখ থাকি পাথরটা হরাইল অইগেছে। 2দেখিয়া তাইন সাইমন-পিতর আর যে সাহাবিরে ইছায় খুব মায়া করতা, এরার গেছে দৌড়াইয়া গিয়া কইলা, “হুনছইন নি, হুজুরর লাশ মানষে কয়বর থাকি তুলিয়া নিছইনগি। নিয়া কই রাখছইন আমরা জানি না।” 3খবর পাইয়া পিতর আর অউ সাহাবি কয়বরর বায় রওয়ানা অইলা। 4দুইওজনে একলগে দৌড়াইরা। পিতররে খরে ফালাইয়া হউ সাহাবি আগে কয়বরর কান্দাত গেলা। 5গিয়া উন্দা অইয়া দেখলা, কয়বরর ভিতরে কাফন পড়ি রইছে, অইলে তাইন কয়বরর ভিতরে হামাইলা না। 6পিতরও তান খরে খরে আইলা, আইয়া কয়বরর ভিতরে হামাইয়া দেখলা, খালি কাফন খান পড়ি রইছে। 7যে কাফনর টুকরা দিয়া তান মাথা বান্দা অইছিল, ইখান অইন্য টুকরার লগে নায়, আলগা পড়ি রইছে। 8যে সাহাবি পয়লা কয়বরর কান্দাত গেছলা, বাদে তাইনও ভিতরে হামাইলা, হামাইয়া হকলতা দেখিয়া একিন করলা। 9ইছার তো মুর্দা থাকি জিন্দা অওয়া জরুর, পাক কিতাবর অউ তালিমর মানি আগে তো এরা কেউ বুজছইন না। 10এরবাদে সাহাবি অকল যারযির বাড়িত গেলাগি, 11অইলে মরিয়মে কয়বরর কান্দাত উবাইয়া কান্দন লাগাইলা। তাইন কান্দি কান্দি উন্দা অইয়া কয়বরর ভিতরেদি চাইয়া দেখলা, 12ইছার লাশ যেনো হুতাইয়া রাখা অইছিল, হনো ধলা কাপড় ফিন্নো দুইজন ফিরিস্তা বই রইছইন, একজন হিতানেদি, আরক জন পাও গালাবায়। 13ফিরিস্তা অকলে মরিয়মরে কইলা, “তুমি কান্দিরায় কেনে গো?” তাইন কইলা, “মানষে আমার মালিকর লাশ তুলিয়া নিছইনগি, নিয়া কই থইছইন জানি না।” 14অখান কইয়া তাইন খরেদি চাইতেউ দেখলা, হজরত ইছা উবাই রইছইন। অইলে তাইনউ যে ইছা, মরিয়মে ইখান বুজলা না। 15ইছায় মরিয়মরে কইলা, “ওগো, তুমি কান্দো কেনে? কারে তুকাইরায়?” ইছারে বাগানর মালি মনো করিয়া তাইন কইলা, “দেখউক্কা, আপনে যুদি তান লাশ নিয়া থাকইন, তে কুয়াই নিছইন, কউক্কা। আমি তান লাশ নিমু।” 16ইছায় কইলা, “মরিয়ম।” তেউ মরিয়ম ফিরিয়া উবাইয়া ইবরানি ভাষায় তানরে কইলা, “রাব্বুনি” মানি উস্তাদ। 17ইছায় তানরে কইলা, “আমারে ধরিয়া রাখিও না, আমি তো অখনও গাইবি বাফর গেছে উপরে গেছি না। তুমি বরং আমার ভাইয়াইনরে গিয়া কও, যেইন আমার আর তুমরার গাইবি বাফ, আমার আর তুমরার আল্লা, আমি উপরে তান গেছেউ যাইরাম।” 18তেউ মগদিলিনী মরিয়মে সাহাবি অকলরে গিয়া কইলা, ইছার লগে তান দেখা অইছে আর ইছায়উ তানরে ইতা হকলতা কইছইন।
সাহাবি অকলে জিন্দা ইছারে দেখলা
19হউ দিন, মানি হাপ্তার পয়লা দিন হাইঞ্জা বালা সাহাবি অকল এখানো দলা অইলা। অইলে ইহুদি নেতা অকলর ডরে ঘরর দুয়ার-খিড়কি হকলতা বন্দ আছিল। এরমাজে আখতাউ হজরত ইছা আইয়া এরার মাজখানো উবাইয়া কইলা, “আছছালামু আলাইকুম।” 20অখান কইয়া হারি তাইন নিজর দুইও আত আর পাত্তি-আড়র জখমর দাগ এরারে দেখাইলা। হুজুররে দেখিয়া সাহাবি অকল খুব খুশি অইলা। 21বাদে ইছায় হিরবার এরারে কইলা, “আছছালামু আলাইকুম। হুনো, আমার গাইবি বাফে যেলা আমারে পাঠাইছইন, আমিও অউলা তুমরারে পাঠাইরাম।” 22অখান কইয়া তাইন সাহাবি অকলর উপরে ফু দিয়া কইলা, “আল্লার পাক রুহরে কবুল করো। 23হুনো, তুমরা যুদি কেউরে মাফ করি দেও, তে তার গুনা মাফ করা অইবো, আর যুদি মাফ না করো, তে তার গুনার মাফি মিলতো নায়।”
সাহাবি থুমাছর সন্দয়
24হজরত ইছা যেবলা সাহাবি অকলর ছামনে আইলা, অউ সময় বারো জন সাহাবির মাজর থুমাছ নামর একজন সাহাবি ইনো আছলা না। অউ থুমাছরে জমজ কইয়া ডাকা অইতো। 25এরলাগি বাকি সাহাবি অকলে থুমাছরে কইলা, “আমরা তো হুজুররে দেখছি।” থুমাছে কইলা, “হুনউক্কা, আমি আমার নিজর চউখে যুদি তান দুইও আতর পেরেগর দাগ না দেখি, অউ জখমো আংগুল না লাগাই, আর তান পাত্তি-আড়র জখমো আত না দেই, তে কুনুমন্তেউ আমি ইতা একিন করতাম নায়।” 26এর এক হাপ্তা বাদে হিরবার সাহাবি অকল অউ ঘরো দলা অইলা, এরার লগে থুমাছও আছলা। অউ সময় ঘরর হকল দুয়ার-খিড়কি বন্দ থাকলেও আখতাউ ইছা আইয়া তারার মাজখানো উবাইয়া কইলা, “আছছালামু আলাইকুম।” 27বাদে তাইন থুমাছরে কইলা, “তুমার আংগুল লাগাইয়া আমার দুইও আত দেখো, আর তুমার আত বাড়াইয়া আমার পাত্তি-আড়র জখমো হারাও, একিন করো, সন্দয় করিও না।” 28তেউ থুমাছে কইলা, “মালিক আমার, আল্লা আমার।” 29ইছায় তানরে কইলা, “থুমাছ, আমারে দেখছো করি তুমি ইমান আনলায় নি? হুনো, ধইন্য তারা, যেরা না দেখিয়াও আমার উপরে ইমান আনে।”
অউ কিতাবর মুল নছিয়ত
30হজরত ইছায় সাহাবি অকলর ছামনে আরো বউত কেরামতি নিশানা দেখাইছইন, ইতা হকলতা তো অউ কিতাবো লেখা অইছে না। 31খালি অউ ঘটনা অকল লেখা অইছে, যাতে অতা তিলাওত করিয়া তুমরা ইমান আনো, হজরত ইছাউ আল্লা পাকর ওয়াদা করা হউ আল-মসী, তাইনউ ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন, আর ইমান আনিয়া যাতে তান উছিলায় তুমরা আখেরি জিন্দেগি হাছিল করো।
সাতজন সাহাবির লগে জিন্দা ইছার সাক্ষাত
1এরবাদে তিবিরিয়া নামর আওরর পারো হজরত ইছায় সাহাবি অকলরে হিরবার দেখা দিলা। ঘটনা অউ লাখান অইলো। 2সাইমন-পিতর, থুমাছ যারে জমজ কওয়া অইতো, আর গালিল জিলার কান্না গাউর নথনেল, জিবুদিয়ার পুয়াইন সহ আরো দুইজন সাহাবি একলগে আছলা। 3সাহাবি সাইমন-পিতরে লগর এরারে কইলা, “আমি মাছ মারাত যাইয়ারগি।” তারা কইলা, “আমরাও তুমার লগে যাইমু।” তেউ তারা নাও লইয়া মাছ মারাত বারইলা, অইলে ই রাইত কুনু মাছ পাইলা না। 4ফজর অখতো ইছা আইয়া আওরর পারো উবাইলা। অইলে তাইনউ যে ইছা, এরা ইখান বুজলা না। 5তাইন সাহাবি অকলরে কইলা, “ও বেটাইন, তুমরা কুনু মাছ পাইছো না নি?” তারা কইলা, “জি না, পাইছি না।” 6ইছায় তারারে কইলা, “তে নাওর ডাইন গালাবায় জাল ফালাও, তেউ পাইবায়নে।” তান কথামতো তারা জাল ফালাইলা আর জালো অতো মাছ হামাইলা, ইখান টানিয়া তুলতা পারলা না। 7যে সাহাবিরে ইছায় মায়া করতা, তাইন পিতররে কইলা, “এইন তো মালিক।” ই সময় সাইমন-পিতরর গতরো কাপড় আছিল না। “এইন তো মালিক” অখান হুনিয়াউ তাইন কাপড় ফিন্দিয়া ফালদি পানিত পড়লা। 8অইলে বাকি সাহাবি অকলে মাছে ভরা জালখান টানি টানি নাও লইয়া পারো আজিলা। কারন তারা পার থাকি বেশি দুরই নায়, অনুমান দুইশো আত দুরই আছলা। 9তারা পারো উঠিয়া দেখলা আংরার আগুইন, অউ আগুইনর উপরে মাছ আর রুটি। 10ইছায় তারারে কইলা, “অখন যেতা মাছ মারছো, অন থনে কয়টা আনো।” 11সাইমন-পিতরে নাও থাকি জালখান পারো টানিয়া তুললা। জালর ভিতরে একশো তেপ্পান্নটা বড় মাছ আছিল, তেবউ জাল ফাড়লো না। 12ইছায় তারারে কইলা, “আও, খাও আইয়া।” অইলে কুনু সাহাবিয়ে জিকানির সাওস অইলো না “আপনে কে?” কারন তারা জানতা, তাইনউ মালিক। 13বাদে তাইন আইয়া তারারে রুটি খাইতে দিলা, অউলা বিরান মাছও দিলা। 14মুর্দা থাকি জিন্দা অওয়ার বাদে, অউ তিন নম্বর বার তাইন সাহাবি অকলরে দেখা দিলা।
হজরত পিতরর লগে ছওয়াল-জুয়াপ
15তারার খাওয়া-দাওয়ার বাদে ইছায় সাইমন-পিতররে জিকাইলা, “ও সাইমন বিন ইউহান্না, এরা যেলা আমারে মায়া করইন, তুমি আমারে এরথাকি বেশি মায়া করো নি?” তাইন কইলা, “জিঅয় মালিক, আপনে তো জানইন, আমি আপনারে কতো মায়া করি।” তেউ ইছায় কইলা, “তে আমার মেড়া-বাইচ্চার রাখালি করো।” 16ইছায় হিরবার তানরে জিকাইলা, “সাইমন বিন ইউহান্না, তুমি আমারে মায়া করো নি?” পিতরে কইলা, “জিঅয় মালিক, আপনে তো জানইন, আমি আপনারে কতো মায়া করি।” ইছায় কইলা, “তে আমার মেড়ার পাল দেখা-হুনা করো।” 17বাদে তাইন তিছরা বার জিকাইলা, “ও সাইমন বিন ইউহান্না, হাছাউ আমি তুমার মায়ার মানুষ নি?” ইছায় তিছরা বার জিকানিয়ে পিতর মনে মনে কিছু দুখিত অইয়া কইলা, “মালিক, আপনে তো হকলতাউ জানইন, আপনে জানইনউ আপনে আমার খুব মায়ার জন।” তেউ ইছায় কইলা, “তে আমার মেড়া পালর রাখালি করো। 18আমি তুমারে হাছাউ কইরাম, তুমার জুয়ানকির সময় তুমি নিজেউ তুমার কমর বান্দিয়া যেনো খুশি অনো যাইতায়। অইলে বুড়াকির সময় তুমার আত বাড়াই দিবায়, আর অইন্য জনে তুমারে বান্দিয়া, তুমি যেনো যাইতায় চাও না, হনো লইয়া যাইবো।” 19আল্লার গৌরব জাইর অওয়ার লাগি পিতরর মউত কিলান অইবো, অখান বুজানিত গিয়া ইছায় অউ কথা কইলা। বাদে তাইন পিতররে কইলা, “আও, আমার লগে থাকো।” 20অউ সময় পিতরে খরেদি চাইয়া দেখলা, ইছার হউ মায়ার সাহাবি খরে খরে আইরা। অউ সাহাবিয়ে কয়দিন আগে খানিত বইয়া ইছার বায় জুকিয়া কইছলা, “হুজুর, আপনারে দুশমনর আতো যে ধরাই দিবো, হে কে?” 21পিতরে এনরে দেখিয়া ইছারে কইলা, “হুজুর, এন কিতা অইবো?” 22ইছায় পিতররে কইলা, “আমি যুদি চাই, আমি দুছরা বার দুনিয়াত না আওয়া পর্যন্ত হে অনো রউক, তে তুমার কিতা? তুমি আমার লগে থাকো।” 23এরলাগি উম্মত অকলর মাজে খবর রটি গেল, অউ সাহাবি মরতা নায়। অইলে ইছায় পিতররে ইখান কইছইন না। বরং তাইন কইছলা, “আমি যুদি চাই, আমি হিরবার তশরিফ না আনা পর্যন্ত হে অনো থাকউক, তে তুমার কিতা?”
লেখক সাহাবির সাক্ষি
24অউ সাহাবিয়ে ইতা হকল বেয়াপারে সাক্ষি দিছইন আর লেখছইন। আমরা জানি, তান সাক্ষি হাছা। 25হজরত ইছায় আরো বউত কাম করছইন। ইতা যুদি এক এক করি লেখা অইতো, তে অতো কিতাব অইতো, ইতা আস্তা দুনিয়াইয়ে ধরলো না অনে॥